আজঃ শুক্রবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

মুশতাক আহমেদকে নিয়ে সুখবর দিল বিসিবি

প্রকাশিত:বুধবার ৩১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ৩১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মধ্যে দিয়ে নিজের বাংলাদেশ অধ্যায় শেষ করেন স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ। বিশ্বকাপ পর্যন্তই বাংলাদেশের সঙ্গে সাবেক এই পাকিস্তানি লেগ স্পিনারের সঙ্গে চুক্তি ছিল। কিন্তু তার কাজে খুশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই আবারও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি যেতে যায় বাংলাদেশ।

আজ বুধবার পাকিস্তানি এই সাবেক ক্রিকেটারকে নিয়ে সুখবর দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস।

জালাল ইউনুস জানান, আগামী মাসে পাকিস্তান সফরেই মুশতাককে পাচ্ছে বাংলাদেশ। আজ সাংবাদিকদের বিসিবির এই পরিচালক বলেছেন, পাকিস্তান সিরিজের মুশতাক আহমেদকে পাওয়া যাবে।

তবে পাকিস্তান সফরের পর পরের সিরিজগুলোতে আপাতত তাকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। এই ব্যাপারে জালাল ইউনুস বলেন, যেহেতু সামনে ওর নিজেরও কিছু প্রোগ্রাম আছে, সে জন্য পারছে না বাকি সিরিজগুলোয় থাকতে। ডিসেম্বর পর্যন্ত সে ব্যস্ত। তবে আমরা জানুয়ারি থেকে চেষ্টা করব তার সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করার। বলছি না যে করা যাবে। আমরা চেষ্টা করব। এখন পর্যন্ত ইতিবাচক একটা ভাইব পাচ্ছি। দেখা যাক, সামনে কী হয়।


আরও খবর
ভারত সফরের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪




সাভারে অধিকাংশ কারখানা সচল: অভিযানে আটক-১৪

প্রকাশিত:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

শিল্পাঞ্চল সাভারে শ্রমিক অসন্তোষের জেরে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলছে বেশ কিছুদিন ধরে। শিল্পাঞ্চলের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে শান্ত করতে এপর্যন্ত ১৪ জন দুষ্কৃতিকারীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এতে ধিরে ধিরে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সাভার আশুলিয়ার শিল্পকারখানা গুলো। শ্রমিক অসন্তোষে ৮০ টির মত কারখানা সাময়িক বন্ধ থাকলেও ৫০টিরও বেশি কারখানা ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে।

আজ রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দেখা যায় দলে দলে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছে। কোথাও হামলা, ভাংচুর কিংবা সড়ক অবরোধের কোন খবর পাওয়া যায়নি। তবে ৩০টির মত কারখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে বলে জানান, শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম। এই কারখানা গুলোর শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে কর্মবিরতি পালন করেছে।

বিশৃঙ্খলা এড়াতে সাভার আশুলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও কিছু পোশাক কারখানায় মূল ফটকের সামনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পাহাড়া বসিয়ে কাজ চালাতে দেখা গেছে।

শনিবার রাতে যৌথ অভিযানে আটককৃতরা হলেন, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থানাধীন রামহিশান্তি এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে মোতালেব হোসেন (২৫), জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানাধীন ধরইল এলাকার আব্দুল মোমেনের ছেলে সেলিম রেজা (২১), ভোলার চরফ্যাশন হালিমাবাদ এলাকার আবু তাহেরের ছেলে রাসেল (২৩) এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বলরামচক এলাকাত বিমল চন্দ্র দাসের ছেলে লিটন কুমার দাস (২৩)। আটককৃতরা সকলেই আশুলিয়ার নরসিংহপুর, ঘোষবাগ ও নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো।

শিল্প পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার হা-মীম গ্রুপের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে নাসা গ্রুপে অসন্তোষ চলে আসলেও আজ উৎপাদন চালু আছে। তবে নিউ এইজ ও আল মুসলিম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা কারখানায় এসে কাজে যোগদান না করায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে ডিইপিজেডসহ আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে।

আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, বাইরের কারখানা গুলোতে কোথাও তেমন কোন সমস্যা নেই। তবে যেসব প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরে দাবী দাওয়া নিয়ে ম্যানেজমেন্ট সমাধান করতে পারে নাই, সেখানে ঝামেলা হচ্ছে। এরকম ৩০টির মত কারখানার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রয়েছে। তবে আজ শিল্পাঞ্চলের পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক আছে। গার্মেন্টস খাতকে অস্থিতিশীল করতে জড়িত সন্দেহে গতকাল আটককৃত চারজন সহ মোট ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া শিল্পাঞ্চলের যেসব জায়গায় গণ্ডগোল হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব জায়গায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‍্যাব ও আমাদের শিল্প পুলিশের সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে আছে বলেও জানান তিনি।

নিউজ ট্যাগ: সাভার

আরও খবর



‘সেনাগৌরব পদক’ পেলেন ক্যাপ্টেন আশিক

প্রকাশিত:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৮ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পেশাদারিত্ব এবং ধৈর্যের পরিচয় দেওয়ায় সেনাগৌরব পদক (এসজিপি) অর্জন করেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আলোচিত ক্যাপ্টেন আশিক।

রোববার (১৮ আগস্ট) দুপুরে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের কার্যালয়ে তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

এ সময় প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও পেশাদারিত্ব বজায় রাখায় ক্যাপ্টেন আশিককে সাধুবাদ জানান সেনাপ্রধান। তাকে ভবিষ্যতের জন্যও অনুপ্রাণিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, ক্যাপ্টেন আশিক অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দেন এবং সেটির সমাধান করেন।


আরও খবর



দেশে-বিদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে : তারেক রহমান

প্রকাশিত:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশে-বিদেশে বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে এখন সবাইকে আরও বেশি সজাগ থাকতে হবে। যখন সুযোগ ছিল তখন বিএনপি নারীদের নিরাপত্তায়, কৃষকের উন্নয়ন থেকে শুরু করে দেশের সর্বক্ষেত্রে অবদান রাখার চেষ্টা করেছে। ভবিষ্যতেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল অডিটোরিয়ামে ময়মনসিংহ দক্ষিণ, উত্তর ও মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তারেক রহমান বলেন, ৫ আগস্টের পর জনগণের চিন্তা ধারায় পরিবর্তন ঘটেছে। বিএনপিকেও মানুষের এই চিন্তা ধারার সাথে পরিবর্তিত হতে হবে। মনে রাখতে হবে বিএনপি বিরোধী দলে ছিল। এখনো বিরোধী দলে আছে, যতক্ষণ না জনগণ আমাদের পক্ষে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তাই জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের কথাবার্তা ও কাজকর্মে সতর্ক হতে হবে।

তিনি বলেন, জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস। শহীদ জিয়ার এই স্লোগানটিকে শুধু স্লোগান হিসেবে বিবেচনা না করে প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর মনে তা ধারণ ও বিশ্বাস করতে হবে। তবেই আমাদের দল কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জন করতে পারবে। যারা নিজেকে চালাক মনে করছে, তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। অনেকেই ভাবছেন স্বৈরাচার পতনের পর মাঠে তাদের আর কোনো অবস্থান নেই। এ রকম ভাবসাব অনেকের মধ্যে দেখা যায়। যার পতন হয়েছে সে ছিল আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আজ তারা হয়ত দুর্বল হয়ে পড়েছে। কিন্তু এতে আমাদের জন্য পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে। কারণ আগে আমাদের প্রতিপক্ষ ছিল দৃশ্যমান। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ অদৃশ্য। তারা আপনাকে এবং দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাদের বিষয়ে সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় সতর্ক থেকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএনপির বিরুদ্ধে কুৎসা রটানো হচ্ছে। এই বিষয়েও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। স্বৈরাচার পতন আমাদের জন্য প্রিটেস্ট এবং জনগণের আস্থা অর্জন আমাদের জন্য টেস্ট পরীক্ষা। মনে রাখতে হবে আমাদের দলের বিরুদ্ধে ভিন্ন উপায়ে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের প্রতারিত করে দলে অনুপ্রবেশ করে ভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তারেক রহমান বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আমাদের মধ্যে অনেকেই ভুল করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দল পিছপা হয়নি। আমরা সরকারে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতাম। দেশনেত্রীর স্লোগান- মানুষ বাচাঁও দেশ বাচাঁও। বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে রক্ষার দায়িত্ব বিএনপির। তাই দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী নিজেকে সেভাবে প্রস্তুত করুন। যে জনগণ আপনাদের পক্ষে রায় দেয়। ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়া সহজ হবে না বরং আমাদের লক্ষ্য অর্জন অতীতের চেয়ে অনেক কঠিন হবে। তাই দলের নেতাকর্মীদের অতন্ত্র প্রহরী হিসাবে কাজ করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আফজাল এইচ খান, সহ-সাংগঠনিক আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মাহাবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, সাবেক এমপি শাহ নূরুল কবীর শাহীন, আবু রেজা ফজলুল হক বাবলু, আবুল বাশার আকন্দ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, দক্ষিণ জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক আলমগীর মাহমুদ আলম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কাজী রানা, শাহ শিব্বির আহম্মেদ বুলু, একেএম মাহাবুবুল আলম, শামীম আজাদ, ফারজানা রহমান হুসনা, লিটন আকন্দ, এম.এ হান্নান খান, কায়কোবাদ মামুন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফকরুদ্দিন আহম্দে বাচ্চু, আকতারুজ্জামান বাচ্চু, আকতারুল আলম ফারুক, ফাত্তাহ খান, আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: তারেক রহমান

আরও খবর



২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২১ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সদ্য আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের প্রতীক্ষায় দলের নেতাকর্মীরা। দলের নেতাকর্মীরা বলছেন, তারেক রহমান বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বিরুদ্ধে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাসহ অর্ধশতাধিক মামলা রয়েছে।

২০০৭ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৭টি মামলা এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা, অর্থ-পাচার এবং সারা দেশব্যাপী মানহানির মামলাসহ আরো অন্তত ২০টির বেশি মামলা হয় বলে জানান আইনজীবীরা।

এর মধ্যে ছয়টি মামলার বিচার শেষে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। আর কিছু মামলা স্থগিত অবস্থায় রয়েছে। তবে, কোন মামলাতেই তিনি সাজা ভোগ করেননি। তাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার হয়েছে এসব মামলার।

আইনজীবীরা বলছেন, মানহানির অভিযোগে দেশের প্রত্যেক জেলায় মামলা হয়েছে। যেগুলো সম্পর্কে এখনো সেভাবে জানা যায়নি। বিবিসির প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য মামলাগুলো ওঠে এসেছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা-মামলা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমাবেশ চলার সময় গ্রেনেড হামলা হয়। সেই হামলায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন, আহত হয়েছিলেন চারশোর বেশি নেতাকর্মী। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর হামলার ঘটনার পুনঃতদন্ত শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবার অধিকতর তদন্ত করা হয়।

এরপর তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এ মামলায় মোট আসামি ছিল ৫২ জন। পরে এ মামলায় ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় এ মামলায়।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা: ২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। এ মামলায় অভিযোগ ছিল, এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে পাওয়া ২ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি অর্থ ট্রাস্টের কাজে ব্যবহার করা হয়নি। বরং সেই টাকা নিজেদের হিসেবে জমা রাখার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত। একইসঙ্গে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মামলায় কারাদণ্ড: ২০০৭ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও জুবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল বানুর বিরুদ্ধে মামলাটি করেছিলো দুদক। অভিযোগ ছিল মি. রহমান ও তার স্ত্রীর ঘোষিত আয়ের বাইরেও ৪ কোটি ৮০ লাখ টাকারও বেশি পরিমাণ অর্থের অবৈধ সম্পদ রয়েছে। গত বছরের দুই আগস্ট এ মামলায় মি. রহমানকে নয় বছরের এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।

অর্থপাচার মামলা: ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেয়। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মানহানির মামলায় দণ্ড: ২০১৪ সালে লন্ডনে এক সমাবেশে শেখ মুজিবুর রহমানকে রাজাকার ও পাক বন্ধু উল্লেখ করে তারেক রহমান নানা অবমাননাকর কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ এনে ওই সময় নড়াইলে তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান বিশ্বাস। ওই মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন নড়াইলের আদালত। শুধুমাত্র ঢাকার আদালতেই মানহানির অভিযোগে কমপক্ষে ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা: তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাও। ২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারি তেজগাঁও থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় তাকে এবং একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে যোগসাজশ করে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। এ ছাড়া নোয়াখালীতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে আরেকটি মামলা আছে। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।


আরও খবর



ডেঙ্গুতে মৃত্যু বেড়ে ৮৮, হাসপাতালে ভর্তি ৩৩৫

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ নিয়ে চলতি বছর ৮৮ জনের মৃত্যু হলো ডেঙ্গুতে। এ ছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে নতুন করে ৩৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, আক্রান্তদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৭ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫২ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৫ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৯ জন এবং রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন।

সব মিলিয়ে চলতি বছরের ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪৩ জন। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ মহিলা রয়েছেন।


আরও খবর