লঙ্কানদের কাছে রীতিমতো নাস্তানাবুদ হচ্ছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ছাড়া কেউই তেমন রানের দেখা পাননি। একের পর এক উইকেট হারিয়ে যখন দিশেহারা টাইগাররা তখন রান আউট হয়ে বিপদ বাড়ালেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই ব্যাটারের মধ্যে বোঝাপড়ার ভুলে আউট হয়ে ফিরেছেন মিরাজ। কাসুন রাজিথার লেন্থ বলটা স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে দাঁড়িয়েই ছিলেন মিরাজ। তবে অপর প্রান্তে থাকা শান্ত ততোক্ষণে অর্ধেক ক্রিজ পেরিয়ে গেছেন। সেট ব্যাটারকে বাঁচাতে গিয়ে শেষমেশ নিজের উইকেট বিসর্জন দিলেন মিরাজ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান। ৮৭ রান করা শান্তর সঙ্গে উইকেটের অন্য প্রান্তে আছেন শেখ মেহদী।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই তামিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। নিজের অভিষেক রাঙাতে পারেননি এই ব্যাটার। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে দলীয় ৪ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে যান তামিম। তাকে সাজঘরে ফেরান লঙ্কান স্পিনার থিকসানা। এরপর ক্রিজে আসেন নাজমুল হাসান শান্ত। শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন আরেক ওপেনার নাইম।
তবে ইনিংসের অষ্টম ওভারে বড় শট খেলতে গিয়ে আউট হন নাইম। দলীয় ২৫ রানে ১৬ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সাকিব। তবে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। দলীয় ৩৬ রানে ১১ বলে মাত্র ৪ রান করে আউট হন তিনি। সাকিবের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন তাওহিদ হৃদয়।
হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করতে থাকেন শান্ত। ৬৬ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। তবে এর এক বল পরেই দলীয় ৯৫ রানে আউট হন হৃদয়। ৪১ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
হৃদয়ের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মুশফিকুর রহিম। মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন শান্ত। তবে দলীয় ১২৭ রানে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক। ২২ বলে ১৩ রান করে আউট হন তিনি।
মুশফিকের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। দলীয় ১৪১ রানে ১১ বলে রান করে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। ৩৭ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ।