সময়টা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না মুশফিকুর রহিমের।
খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতিও ইঙ্গিত দিয়েছেন, নিজের সিদ্ধান্ত এবার নিজেকেই
নিতে হবে অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যানকে। তাকে নিয়ে এমন আলোচনা যেন তাতিয়ে দিয়েছে মুশফিককে।
চট্টগ্রাম টেস্টে মধুর সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যেন তারই জবাব দিলেন তিনি। মুশফিকের রানে ফেরা
স্বস্তি এনে দিয়েছে তার ভক্তদের।
মুশফিকের এই সেঞ্চুরি এসেছে ২৭০ বলে। ইনিংসের ১৫৩তম
ওভারে অসিথা ফার্নান্দোকে চার মেরে অঙ্কের মাইলফলক স্পর্শ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবলখ্যাত
এ ব্যাটার। ১২৫ বলে অর্ধশতক করা মুশফিক পরের পঞ্চাশ করতে খেলেছেন ১৪৫ বল। ৭৫ থেকে ১০০
রানের কোটা ছুঁতে অর্থাৎ এই ২৫ রান করতে ৭৫ বল খেলেছেন।
তার ব্যাট থেকে চারের মার এসেছে ৪টি, কোনো ছয় নেই।
সাদা পোশাক গায়ে এটি তার অষ্টম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয়
সর্বোচ্চ।
অন্য ফরম্যাটের মতো টেস্টেও ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগছেন
মুশফিকের ব্যাট। শেষ ৯ ইনিংসে অর্ধশতক মাত্র একটি। শেষবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন ২০২০ সালের
ফেব্রুয়ারি মাসে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দীর্ঘ প্রায় ২৭ মাস পর আবার শতকের দেখা পেলেন
তিনি। এই দুই সেঞ্চুরির মাঝে কেটে গেছে ১৮ ইনিংস আর ১০ ম্যাচ।
টেস্টে শ্রীলংকার বিপক্ষে এটি মুশফিকের দ্বিতীয় শতক।
আগেরটি এসেছিল ২০১৩ সালে লংকান দ্বীপপুঞ্জে। সেই শতককে ডাবলে রূপ দিয়েছিলেন তিনি। এবার
কোথায় গিয়ে থামেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।
এই ম্যাচে আরেক মাইলফলক অতিক্রম করেছেন মুশফিক। দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে পাঁচ হাজারি ক্লাবে প্রবেশে করেছেন তিনি।