আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মুরাদের স্ত্রীর জিডি পুলিশকে তদন্তের অনুমতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
গত ৬ জানুয়ারি ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডি থানায় স্বামী মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে জিডি করেন

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগে স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, জিডির তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মামুনুর রশিদ আজ (রোববার) এ আদেশ দেন।

এর আগে, তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক রাজীব হাসান শনিবার জিডি তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন।

গত ৬ জানুয়ারি ডা. জাহানারা এহসান ধানমন্ডি থানায় স্বামী মুরাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে জিডি করেন। এর আগে তিনি জাতীয় জরুরি সহায়তা নম্বর ৯৯৯ এ কল করে পুলিশি সহায়তা চান। এরপরই ধানমন্ডি পুলিশের ১০ সদস্যের একটি দল ঢাকার ধানমন্ডিতে মুরাদের বাড়িতে ছুটে যায়।

মুরাদ হাসান মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ৭ ডিসেম্বর। নারীদের সম্পর্কে আপত্তিকর এবং অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। পদত্যাগের পর ১০ ডিসেম্বর কানাডার উদ্দেশে দেশত্যাগ করেন মুরাদ। তবে কানাডার বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি তাকে সে দেশে প্রবেশ করতে দেয়নি। এরপর কানাডা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে ১২ ডিসেম্বর ঢাকায় ফিরে আসেন।

নিউজ ট্যাগ: ডা. মুরাদ হাসান

আরও খবর



কারও ফেসবুক হ্যাক হয়নি, আতঙ্কিত হবেন না : পুলিশ

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক হঠাৎ করে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের ব্যবহারকারীরা কেউ ফেসবুকে লগইন করতে পারছেন না। হঠাৎ ফেসবুকে ঢুকতে না পেরে অনেকে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তাদের আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করেছেন ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের এসপি মো. নাজমুল ইসলাম।

ফেসবুকের বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এ কথা জানান। মঙ্গলবার রাতে এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তা দেন এসপি নাজমুল।

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ফেসবুকের কার্যক্রম বর্তমানে কিছুটা বিঘ্নিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এবং সিঙ্গাপুরের ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছে সমস্যার সমাধানে তারা কাজ করে যাচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তিনি আরও বলেন, এটা সম্পূর্ণ ফেসবুকের কারিগরি সমস্যা, কেউ আতঙ্কিত হবেন না। এতে ফেসবুক অ্যাকাউন্টধারী বা ফেসবুক অ্যাপের কোনো ত্রুটি নেই। পাসওয়ার্ড বা আর্থিক কোনো বিষয়েও সংশ্লিষ্টতা নেই। আপনার ফেসবুক হ্যাক হয়নি, তাই কেউ আতঙ্কিত  হবেন না। শিগগিরই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার পর থেকে এ সমস্যার কথা জানাতে থাকেন ব্যবহারকারীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে কর্মীরা ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন, তারা ফেসবুক ব্যবহার করতে পারছেন না। ঢাকা পোস্টের কর্মীরাও ফেসবুক লগইন করতে পারছেন না বলে জানান।

এদিকে রাত ১০টার দিকে ওয়েবসাইট পর্যবেক্ষক ডাউনডিটেক্টরে দেখা যায়, রাত ৯টা ৩২ পর্যন্ত ৫ লাখ ৪১ হাজার ৫৭৩ জন ব্যবহারকারী তাদের সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তারা এও জানতে চাচ্ছেন কী হয়েছে সামজিক মাধ্যমটির? কেনই বা লগইন করা যাচ্ছে না? কখন ঠিক হবে?

ডাউনডিটেক্টরের মন্তব্যের ঘরে ব্যবহারকারীদের এমন অসংখ্য প্রশ্ন দেখা যায়। যদিও এ প্রসঙ্গে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মেটা কর্তৃপক্ষ।

ডাউনডিটেক্টর ছাড়াও ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট, অ্যাপ এবং বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ফেসবুক বিভ্রাটের বিষয়টি রিপোর্ট করছেন ব্যবহারকারীরা। সেই সঙ্গে এ অভিযোগের সংখ্যা আজ রাত ১০টার পর থেকে আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়।


আরও খবর
গুগল ডুডলে মহান স্বাধীনতা দিবস

মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪




রোজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসে গাজা ও সুদানে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে নিরাপত্তা পরিষদ চেম্বারের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ আহ্বান জানান।

গতকাল সোমবার তিনি বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এই মাসে বিশ্বজুড়ে মুসলমানরা শান্তি, পুনর্মিলন ও সংহতির মূল্যবোধ উদযাপন করেন এবং এই বার্তা ছড়িয়ে দেন। তারপরও গাজায় হত্যা, বোমা হামলা ও রক্তপাত অব্যাহত রয়েছে।

অ্যান্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, আজ আমার জোরালো আহ্বান হলো রমজানের চেতনাকে সম্মান জানান এবং জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহে সব ধরনের বাধা প্রত্যাহার করুন।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা জাতিসংঘ মহাসচিব হিসেবে তার দায়িত্বে থাকার বছরগুলোতে নজিরবিহীন। তবে, গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ আসছে, তা যদি আদৌ কাজে আসে!

অ্যান্তোনিও গুতেরেস সতর্ক করেন, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর রাফাহতে ইসরায়েলি হামলার হুমকি গাজার জনগণকে নরকের আরও গভীর বৃত্তে ফেলে দিতে পারে।

এদিন রমজানে সুদানেও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ক্ষুধা, বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখি সুদানের জনগণের স্বার্থে সেখানে লড়াই অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, গাজায়, সুদানে এবং অন্যনায় জায়গায় এখন শান্তির সময়। আমি সর্বত্র রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সম্প্রদায়ের নেতাদের এই পবিত্র সময়কে সহানুভূতি, কর্ম ও শান্তির সময় হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানাই।


আরও খবর



দেশে প্রথম ৬-স্টার এনাজিং রেটিং এসি আনল ওয়ালটন

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

গরম শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিক্রির প্রধান মৌসুম। এবছর গরমের শুরুতেই দেশে প্রথম বিএসটিআইর ৬-স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত এসি বাজারে আনল ওয়ালটন। যা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটন এসি বিএসটিআইর ৬ স্টার এনাজিং রেটিং সনদ অর্জন করেছে।

এছাড়া বিশ্বে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই রয়েছে সর্বাধিক ফিচার। ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই এসিতে রয়েছে ৫ ইঞ্চি টিএফটি কালার ডিসপ্লে; যেখানে এসির রানিং ডাটা, পারফরম্যান্স, টাইমিং, ইনডোর ও আউটডোরের টেম্পারেচারসহ প্রয়োজনীয় সকল ইনফরমেশন দেখতে পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়! স্মার্ট অ্যাপস সল্যুউশন ফাংশন অ্যাপের মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে মুঠোফোনের মাধ্যমে ওয়ালটন এসি চালু এবং বন্ধ করা যায় এবং সেই সাথে এসির বিদ্যুৎ বিলের হিসাবও বের করা যায় খুব সহজেই। এছাড়াও এসিতে কোনো সমস্যা আছে কিনা তা স্মার্ট ডায়াগনাইসিসের মাধ্যমে চেক করা যায়। 

ওয়ালটন সূত্রমতে, সারা দেশে চলমান ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন ২০ এর আওতায় এই গরমে দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম বা অনলাইন সেলস প্লাটফর্ম ই-প্লাজা থেকে এসি কিনে ক্রেতারা পাচ্ছেন ননস্টপ মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। ক্রেতারা ১ মার্চ, ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এসব সুবিধা পাবেন।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের পাশাপাশি চালু রয়েছে ওয়ালটনের এসি এক্সচেঞ্জ সুবিধা। এর আওতায় গ্রাহকেরা ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুমে যেকোনো ব্র্যান্ডের নতুন বা পুরাতন এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন স্পিøট এসি ২৩ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড়ে এবং কমার্সিয়াল এসি সর্বোচ্চ ৪২ হাজার ৪৮০ টাকা ছাড়ে কিনতে পারছেন।

ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো. তানভীর রহমান জানান, গ্রাহকদের হাতে বিশ্বের সর্বাধিক ফিচার সমৃদ্ধ সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি তুলে দেয়ার পাশাপাশি সর্বোচ্চ গ্রাহক সুবিধা এবং বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করছে ওয়ালটন। তাই এবছর গরমের শুরুতেই বিএসটিআইর ৬-স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত নতুন মডেলের এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি হচ্ছে ওয়ালটনের নতুন মডেলের এই এসি। ওয়ালটনের ৬-স্টার এনার্জি রেটিং এর ১ টনের এই এসির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, গ্রাহক চাইলে ওয়ালটনের নিকটস্থ সেলস পয়েন্ট, সার্ভিস সেন্টার অথবা কল সেন্টারের ১৬২৬৭ নাম্বারে যোগাযোগের মাধ্যমে ওয়ালটন এসির এনার্জি ইফিসিয়েন্সি যাচাই করে নিতে পারবেন।

এই এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর৩২ রেফ্রিজারেন্ট। নতুন মডেলের এই এসিতে ব্যবহৃত হয়েছে ফ্রস্ট ক্লিন, এয়ার প্লাজমা, থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজি, ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টারসহ নানান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। এসিতে ব্যবহৃত এয়ার প্লাজমা প্রযুক্তি বাতাসে বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করে ঘরে স্বাস্থ্যকর ও আরামদায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে। ওয়ালটন এসির ফোর-ডি এয়ার ফ্লো টেকনোলজি রুমের প্রতিটি কোনায় কোনায় বাতাসের প্রবাহ নিশ্চিত করে এবং এর টার্বো কুল টেকনোলজি নিমেষেই রুমকে ৪০ শতাংশ দ্রুত ঠান্ডা করে।  থ্রি ইন ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজির এই এসি গ্রাহকের রুমের আয়তন অনুযায়ী ১.৫ টন থেকে ১ টন এবং পৌনে এক টনে রূপান্তরের সুবিধা রয়েছে।

ওয়ালটন এসির গ্রাহকেরা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্টসহ কম্প্রেসারে ১০ বছরের গ্যারান্টি, স্পেয়ার পার্টস এ ৩ বছরের ওয়ারেন্টি ও ১ বছরের ফ্রি আফটার সেলস সার্ভিস সুবিধা পাচ্ছেন। এছাড়া আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ৮২টি সার্ভিস সেন্টারের পাশাপাশি প্রায় ৩০০ সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে দেশব্যাপী এসির গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে ওয়ালটন। তাদের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসি ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।


আরও খবর



২১০০ সালের মধ্যে প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে, গবেষণায় সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

বর্তমানে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে ২১০০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা কমবে বা সঙ্কুচিত হবে। এমন তথ্য সামনে এনেই সতর্ক করা হয়েছে নতুন এক গবেষণায়। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতাব্দীর শেষ নাগাদ বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে জন্মহার এতোটাই কমে যাবে যে দেশগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারা বজায় রাখা কঠিন হবে বলে বড় এক গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে।

চিকিৎসা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সাময়িকী ল্যানসেটে গত সোমবার এই গবেষণার তথ্য প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০৪টি দেশের মধ্যে ১৯৮টি দেশের জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হবে। আর সেসময বেশিরভাগ শিশু জন্মের ঘটনা দরিদ্র দেশগুলোতেই দেখা যাবে।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-এর পরিচালিত সমীক্ষা অনুসারে, ২১০০ সালে বিশ্বে জন্ম নেওয়া প্রতি দুই শিশুর মধ্যে একজনের জন্ম হবে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোতে। আর সেসময় কেবল সোমালিয়া, টোঙ্গা, নাইজার, চাদ, সামোয়া এবং তাজিকিস্তান তাদের জনসংখ্যা (বৃদ্ধির ধারা) বজায় রাখতে সক্ষম হবে।

আইএইচএমই-এর সহ-প্রধান লেখক এবং প্রধান গবেষণা বিজ্ঞানী নাটালিয়া ভি ভট্টাচার্য বলেছেন, প্রাপ্ত ফলাফলের অর্থগুলো অপরিসীম। জন্মহার এবং জীবিত জন্মের এই ভবিষ্যৎ প্রবণতাগুলো বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং ক্ষমতার আন্তর্জাতিক ভারসাম্যকে সম্পূর্ণরূপে পুনর্গঠন করবে এবং সমাজগুলোকেও পুনর্গঠন করতে হবে।’

গবেষণার লেখকরা বলেছেন, জনসংখ্যাগত পরিবর্তন সেসময় দেশগুলোকে বেবি বুম’ এবং বেবি বাস্ট’ বিভাজনের দিকে নিয়ে যাবে, যেখানে ধনী দেশগুলো তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে লড়াই করবে এবং দরিদ্র দেশগুলো কীভাবে নিজেদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যাকে সহায়তা করা যায় সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় লড়াই করবে।

গবেষণার সহ-প্রধান লেখক এবং আইএইচএমই-এর ভারপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক অস্টিন ই শুমাখার বলেছেন, সর্বোচ্চ জন্মহারের কারণে সাব-সাহারান আফ্রিকার দেশগুলোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি বা সম্ভাব্য মানবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকির সাথে সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা।’

তিনি আরও বলেন, জন্মের সংখ্যার এই বিশাল পরিবর্তন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে, স্বাস্থ্যসেবা পরিকাঠামো উন্নত করার প্রচেষ্টায় এই অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয় এবং চরম দারিদ্র্য দূরীকরণ ও নারীর প্রজনন অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপের পাশাপাশি শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস অব্যাহত রাখা, পরিবার পরিকল্পনা এবং মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি প্রতিটি সরকারের শীর্ষ অগ্রাধিকার হিসেবে থাকতে হবে।’

প্রসঙ্গত, নানা সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্য এবং ১৯৫০ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে অন্যান্য উৎস থেকে সংগৃহীত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ, ইনজুরি অ্যান্ড রিস্ক ফ্যাক্টরস স্টাডির অংশ হিসাবে গবেষণাটি প্রস্তুত করা হয়েছে। কয়েক দশক-ব্যাপী হওয়া এই গবেষণায় বিশ্বের ১৫০টিরও বেশি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি বিজ্ঞানী যুক্ত ছিলেন।


আরও খবর



ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
স্বাস্থ্য ডেস্ক

Image

দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

এ সময় তিনি দেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসাসেবার মান বিশ্বের কোনো দেশের চিকিৎসকদের তুলনায় কম নয় বলেও মন্তব্য করেন। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, হাঙ্গেরি থেকে চিকিৎসক এনে আমরা জোড়া শিশুর অপারেশন করেছি। সে সময় আমি দেখেছি বাচ্চাদের যখন এনেস্থিসিয়া দেওয়া হয়, তখন হাঙ্গেরির চিকিৎসকরা দিতে পারেননি, পেরেছেন দেশের চিকিৎসকরাই।

শনিবার (৯ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এমডি-এমএস ফেইজে ভর্তিকৃত রেসিডেন্টদের ইনডাকশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. সামন্ত লাল বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা যে মেধাবী, তার অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে। ভুটান থেকে রোগী এসে আমাদের এখানে চিকিৎসা নিচ্ছে। দেশ থেকে শুধু যে রোগী বাইরে যাচ্ছে এমন নয়, ভারত থেকে আমাদের দেশেও অনেক রোগী আসছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা এখানে বসে আছেন, সবিনয়ে তাদের কাছে একটা কথা বলবো। আসুন আমরা চিকিৎসকদের মান-সম্মান এমন এক জায়গায় নিয়ে যাই যেন দেশের  মানুষ চিকিৎসকদের দেখলেই মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে যায়। তার জন্য প্রধান কাজ হলো ধৈর্য ধরে রোগীদের কথা শোনা, তাদের সময় দেওয়া এবং ধৈর্য ধরে তাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া।

মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসকরাই হলো দেশের ভবিষ্যতের আসল কাণ্ডারি। ডাক্তার-রোগীর সম্পর্ক অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। শুধু ডাক্তারের উপরই নির্ভর করে না। হাসপাতালে ভালো চিকিৎসাসেবা দিতে গেলে হাসপাতাল পরিচালক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার উপরই নির্ভর করে। সবার সমন্বিত প্রয়াসেই চিকিৎসাসেবার সুনাম বৃদ্ধি করে।

তিনি বলেন, আমরা সময়মতো হাসপাতালে যাবো। মানুষের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দেবো। আমাদের দেশের মানুষ, যারা হাসপাতালে আসে, তারা কিন্তু খুব বেশি কিছু চায় না। শুধু একটু গায়ে হাত দিয়ে কথা বলা, সুন্দর করে একটু কুশলাদি বিনিময় করলেই কিন্তু তারা খুশি হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রোগীরা সাধারণত রোগ থেকে মুক্তি পেতে অসহায়ের মতো চিকিৎসকের উপর নির্ভর করে। অনেক ক্ষেত্রে একজন চিকিৎসককে পিতা-মাতা-ভাই-বোনের স্থান দখল করতে হয়। চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীদের সঙ্গে একটা সুসম্পর্ক তৈরি করতে পারেন। এতে করে রোগীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবার পাশাপাশি ভালো চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যাবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের বিশাল একটা জনসংখ্যা অল্পশিক্ষিত বা অশিক্ষিত। যখনই কেউ রোগে আক্রান্ত হয়, সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করে চিকিৎসকের উচিত তাদের সক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতার কথা রোগীকে জানানো এবং সে অনুযায়ী রোগীকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর