আজঃ শনিবার ০৩ জুন ২০২৩
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে উত্ত্যক্তের অভিযোগে সালিশ, প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ৩

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মুন্সীগঞ্জে মেয়ে সংক্রান্ত ঘটনায় সালিশি বৈঠকে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেলো দুই কলেজ ছাত্রের। পরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকায় মারা যান সালিশি বৈঠকের বিচারক মো. আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান (৪৫)। এ ঘটনায় আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে আরো চারজন। গত বুধবার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় জামালের দোকানের সামনে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।

নিহতরা হলেন- উত্তর ইসলামপুর এলাকার কাশেম পাঠানের ছেলে মো. ইমন হোসেন (২২) ও একই এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. সাকিব হোসেন (১৯) ও মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে আওলাদ হোসেন মিন্টু প্রধান (৪৫)। এই ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইভটিজিং নিয়ে ইমন পাঠান একই এলাকার অভিকে দোষী করে চর থাপ্পর মারে। পরে ইমন পাঠানের পক্ষের বড় ভাই মিন্টু আবার অভিকে ডেকে নিয়ে ধাপ্পর মারে। বুধবার রাত ৯ টার দিকে এই ঘটনা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে এই নিয়ে আপোষ-নিস্পত্তিতে সাড়ে ১১ টার দিকে মিন্টুর বাড়ির সামনে জামালের দোকান প্রাঙ্গণে সালিশি বৈঠক হয়। এই বৈঠকেই মিমাংসাও হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যায়ে অভি গুরুপের লোকজন আকস্মিকভাবে তিনজনকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে । রক্তাক্ত অবস্থায় তারা মাটিতে লুতিয়ে পড়ে। তখন চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং বৈঠকে থাকা লোকজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মুন্সীগঞ্জ থানার ওসি মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, সৌরভ, অভি ও শামীম গুরুপ এই হামলার সাথে জড়িত। তাদের তিনজনের কাউকে গ্রেফতার করতে না পারলেও এই সাথে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে বৈঠকে উপস্থিত সৌরভের পিতা জামাল প্রধান রয়েছেন। তিনি আরো জানান, ঘটনাস্থলে এক জনের মৃত্যু হয়ে। আরেক জন ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টুর মৃত্যু হয়।

নিউজ ট্যাগ: মুন্সীগঞ্জ

আরও খবর