মুন্সীগঞ্জের
ঐতিহ্যবাহী সংগঠন থিয়েটার সার্কেলের নাট্যযাত্রার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে নাটক ‘সুবচন নির্বাসনে’ মঞ্চায়িত হয়েছে। মঙ্গলবার
(০৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়িত হয় দলের ৫৬তম প্রযোজনার
১ম প্রদর্শনীর এই নাটকটি। বাংলাদেশের অন্যতম প্রয়াত নাট্যজন আব্দুল্লাহ আল মামুনের
রচনায় গুণী নাট্যকার ও সঙ্গীত শিল্পী শিশির রহমানের নির্দেশনায় নাটকটিতে স্থানীয় গুণী
শিল্পীরা অভিনয় করে।
নাটকটির উদ্বোধনী
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সরকারি হরগঙ্গা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর
সুভাষ চন্দ্র হীরা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক চন্দন রেজা, প্রেসিডিয়াম সদস্য উত্তম সাহা।
সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
অভিজিৎ দাস ববির সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের
সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহিন মোঃ আমান উল্লাহ্, নাট্যকার নির্দেশক জাহাঙ্গীর আলম
ঢালী, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজন হায়দার জনি প্রমুখ।
অভিনয়ে অংশ নেয়
শিশির রহমান, আশরাফ আলী, মাশফিক শিহাব, রবিন ঢালী, সিমান্ত দাস, দিগন্ত দাস, মেহেরুন
নেছা তন্নী, ইকবাল মাহমুদ, মো: শিপন, লোকনাথ দাস, কামরুল হাসান প্রমুখ।
নাটকটিতে ফুটে
উঠেছে স্কুল মাস্টার বাবার বাঙালি সমাজের প্রচলিত চিরন্তন কিছু সুবচনে বিশ্বাস। আর
তিনি চান তার ছেলে-মেয়েরাও যেনো ওই সব আদর্শেই বড় হয়। বাবা বিশ্বাস করেন- ‘সততাই মহৎ গুণ’, লেখাপড়া করে যে- গাড়ি
ঘোড়া চড়ে সে.... ইত্যাদি। পড়াশোনা, চাকরি, সামাজিক জীবন-সবক্ষেত্রেই সে দেখেছে বাবার
শিখিয়ে দেয়া আদর্শের পরাজয়। স্বাধীনতার পর এভাবেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে সুবচন নির্বাসনে
গিয়েছে। সেখানে স্থান করে নিয়েছে আদর্শহীনতা, নীতিহীনতা, কপটতা, ভন্ডামি ইত্যাদি। আমাদের
বর্তমান সমাজ, সংসার, পরিবার, রাষ্ট্র-সব ক্ষেত্র থেকেই সুবচন আজ নির্বাসনে। বিষয়টি
আরো বেশি দৃশ্যমান আমাদের রাজনীতিতে।