আজঃ সোমবার ০৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুন্সীগঞ্জে জিও ব্যাগের নামে পদ্মায় চলছে অবৈধ ড্রেজিং

প্রকাশিত:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাকিব আহম্মেদ, মুন্সিগঞ্জ

Image

মুন্সীগঞ্জে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার নামে পদ্মায় চলছে অবৈধ ড্রেজিং, ভাঙ্গন আতঙ্কে দিঘীরপাড় বাজারসহ শত শত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। পদ্মা নদীতে প্রকাশ্যে এমন ড্রেজিং চললেও একপ্রকার নিশ্চুপ রয়েছে প্রশাসন।

অভিযোগ রয়েছে ভাঙ্গন রোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের নাম করে দীর্ঘদিন ধরে ডাম্পিংয়ের একশ গজের মধ্যেই চলছে অবৈধ ড্রেজিং। প্রকাশ্যে এমন ঘটনা চলছে মুন্সীগঞ্জ ও শরিয়তপুর জেলার সীমানা সংলগ্ন টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের পদ্মা নদীর সরিষাবন এলাকায়। শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জ সীমানা এলাকায় এমন ড্রেজিং কার্যক্রম চললেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না দুই জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

অভিযোগ রয়েছে অবৈধ ড্রেজিং এর সাথে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জড়িত থাকায় প্রশাসনকে কোন প্রকার পাত্তা না দিয়েই চালানো হচ্ছে ড্রেজিং, প্রতিদিন শতাধিক বাল্কহেড লোডিং করে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রভাবশালী একটি মহল ।

সরেজমিন দেখা গেছে, শাহপরান ড্রেজিং প্রকল্প নামের একটা লোডিং ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে ড্রেজিং করে একের পর এক বাল্কহেড ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জিও ব্যাগ ডাম্পিং স্থান সহ বিক্রির উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায়। এছাড়াও জিও ব্যাগ ডাম্পিং এর ১ শ গজের মধ্যেই অবৈধ এমন ড্রেজিং এর ফলে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ঐতিহ্যবাহী দিঘিরপার বাজারসহ পদ্মার চরের কৃষি জমি ও গ্রামে গ্রামে। এতে করে আতঙ্কে রয়েছে আশপাশের শত শত বসত বাড়ি ও কৃষি জমি সহ দিঘীরপাড় বাজারের শত শত ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে, পদ্মার ভাঙ্গন রোদে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তবে জিও ব্যাগের ভিতরে যে বালু দেয়া হচ্ছে এসব বালু দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব নয়। কারণ জিও ব্যাগে মোটা বালু দেয়ার কথা থাকলেও অবৈধভাবে ড্রেজিং করে পদ্মা নদীর চিকন বালি যা পাউডার বালু নামে পরিচিত তা দিয়ে চলছে জিও ব্যাগ ভর্তি করে ভাঙ্গন রোধে ডাম্পিং কাজ। কোনরকম মৌখিক অনুমোদন নিয়েই চলছে এমন অবৈধ ড্রেজিং।

স্থানীয়রা জানান, জিও ব্যাগ ভর্তি বালুর নাম করে অবৈধভাবে কোনরূপ অনুমোদন ছাড়াই ড্রেজিং চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। এছাড়াও ড্রেজিংয়ে জড়িত ড্রেজারটিরও নেই অনুমোদন। তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। ফলে তাদের ইচ্ছা মতো লোডিং ড্রেজার দিয়ে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ ঘন মিটার বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে চক্রটি। এতে করে পদ্মার তীরবর্তি এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী দিঘীরপাড় বাজার ও পদ্মার চরের শত শত একর কৃষি জমি ও বসত বাড়ি। অনতিবিলম্বে এই অবৈধ ড্রেজিং বন্ধ না করতে পারলে জিও ব্যাগ ফেলে কোন কাজেই আসবে না বরং এই বর্ষায় ভাঙ্গনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করবে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

ড্রেজার সুখানী মহসিন জানান, টোকেন হাতে পাওয়ার পর থেকে প্রতিদিন ১৯/২০ টি বাল্কহেড লোড দিতে পারেন তারা। এর মধ্যে কতটা জিও ব্যাগের আর কতটা বাহিরে যায় সেটি তার জানা নেই। আমরা প্রতিটি বাল্কহেডের আলাদা আলাদা টোকেন অনুযায়ী লোড দিয়ে থাকি।

জিও ব্যাগ ডাম্পিং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নবারুণ ট্রেডাসের সাইড অফিসার মোহাম্মদ রুবেল হোসেন জানান, আমরা শুধু জিও ব্যাগে বালুভর্তি করে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার ডাম্পিং করে যাচ্ছি। তবে বালু কোথা থেকে আসলো সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। এটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ, তারাই জানে ড্রেজিং এর বিষয়টি অনুমোদন আছে কিনা।

তবে অবৈধভাবে ড্রেজিং এর সাথে জড়িত অভিযুক্ত ড্রেজার মালিকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের পাওয়া যায়নি।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুজ্জামান ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা রেজওয়ানা আফরিন জানান, ড্রেজিং এর বিষয়টি দুই জেলার মধ্যখানে হওয়ায় সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা যখনই অভিযানে যাই তখন ড্রেজিংকারীরা শরীয়তপুরের নড়িয়া অংশে চলে যায়। ফলে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না। তবে খুব দ্রুতই অবৈধ ড্রেজিং এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান।

 বালু কিনে জিও ব্যাগ ভরে ভাঙ্গন রোধে নদীতে ফেলা হচ্ছে দাবি করে মুন্সীগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নরেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বলেন, আমাদের বালি কিনে এনে জিও ব্যাগে ভরে ভাঙ্গন এলাকায় ফেলা হচ্ছে। তবে কারা ড্রেজিং করছে বা এর সাথে জড়িত তা আমাদের জানা নেই। যদি কেউ ড্রেজিং করে থাকে সেটি সেই জানে কিভাবে সে পারমিশন পেল। তবে তিনি ড্রেজিং এর বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানান ।


আরও খবর



ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক নেহাল আহমেদ। এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক নেহাল আহমেদের অভোগকৃত অবসরউত্তর ছুটি ও তৎসংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সাথে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী এক বছর মেয়াদে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হলো।

মাউশিতে অধ্যাপক নেহাল আহমেদের চাকরির মেয়াদ শেষ হয় গত ১৩ এপ্রিল। ওই দিন ঈদের ছুটি থাকার কারণে তিনি শেষ অফিস করেন ৯ এপ্রিল। এরপর থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন কলেজ ও প্রশাসন শাখার পরিচালক অধ্যাপক শাহেদুল খবির চৌধুরী।

এর আগে গত ১ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ অধ্যাপক নেহাল আহমেদকে গ্রেড-১ এ পদোন্নতি দিয়ে মাউশির মহাপরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।

অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তিনি ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এর আগে তিনি একই প্রতিষ্ঠানের উপাধ্যক্ষ ছিলেন। মাউশির মহাপরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার আগে তিনি ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।


আরও খবর



বিকেলে দুবাই পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোমালিয়ার জলদস্যুদের থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি আজ রোববার সকালে পারস্য উপসাগরের কাসাব উপকূল অতিক্রম করছে। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে জাহাজটি দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জাহাজের অবস্থান নির্ণয়কারী বৈশ্বিক সংস্থা মেরিন ট্রাফিক এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, দুবাই পৌঁছার পর জাহাজে থাকা ৫৫ হাজার টন কয়লা খালাস করা হবে। আর কয়লা খালাসের পর জাহাজটি চট্টগ্রামে চলে আসতে পারে।

মেরিন ট্রাফিকের তথ্য বলছে, এমভি আবদুল্লাহ গতকাল রাতে ওমান সাগর পারি দিয়ে পারস্য উপসাগরে প্রবেশ করে। জাহাজটি ঘণ্টায় ৯ দশমিক ৩ কিলোমিটার গতিতে দুবাইয়ের দিকে আগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজটির অবস্থান ও গতিবেগ অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় আজ বিকেল ৪টার মধ্যে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে।

এমভি আবদুল্লাহর ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদ গণমাধ্যমকে জাহাজের ২৩ নাবিকের সবাই সুস্থ আছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। দুবাই পৌঁছানোর পর নাবিকদের দুইজন ফ্লাইটে বাংলাদেশে ফিরবেন। বাকি ২১ জন কয়লা খালাসের পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে জাহাজ নিয়ে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পেয়ে দুবাই বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। এর আগে হেলিকপ্টার দিয়ে দস্যুদের কাছে ডলার পাঠানো হয়েছিল। ডলার পাওয়ার পরই জাহাজ ও জিম্মি ২৩ নাবিককে মুক্তি দেয় দস্যুরা।


আরও খবর



‘বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে

১। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২। ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩। ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।


আরও খবর



ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগ পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর