মুন্সীগঞ্জ থেকে জিতু রায়ঃ
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের কাজিরবাগ গ্রামে এক গৃহবধূকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এই ঘটনায় পুলিশ নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী মুরাদ শেখকে(৪০) আজ রবিবার ১ আগস্ট বিকাল ৩টার দিকে আটক করেছে।
জানাগেছে, ওই গ্রামের হেলাল শেখের ছেলে মাদকাসক্ত মুরাদ শেখ দির্ঘদিন যাবৎ তার স্ত্রী হালিমা বেগমকে মারধর করে আসছিল।
আজ রবিবার সকালে হালিমা বেগম(২৫) নামের গৃহবধূকে কিল ঘুশি মেরে নির্মমভাবে মারধর করে হত্যার চেষ্টা করে তার পাষণ্ড স্বামী মুরাদ। স্থানীয় মহিলারা বাধা দিলে মুরাদ তাদের চাপাতি নিয়ে তেরে আসে। এ সময় প্রতিবেশি খাদিজা তার মোবাইলে মারধরের দৃশ্য ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে পরে । পরে স্থানীয় মেম্বার ও লোকজন গিয়ে হালিমাকে উদ্ধার করে ৯৯৯ এ ফোন দেয়।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ দিন যাবত হালিমাকে মারধর করে আসছে হেলাল শেখের ছেলে মুরাদ। এর আগে বেশ কয়েকবার পানিতে চুবিয়ে মারার চেষ্টা করেছিলো। গত শনিবার এ নিয়ে স্থানীয় মেম্বার বিচার করেছে কিন্তু মুরাদ থামেনি।
ভিডিও ধারণ কারি খাদিজা জানান, মুরাদ হাতে চাপাতি নিয়ে মারধর করে এবং কেও ধরতে আসলে তাকেও চাপাতি নিয়ে তেরে আসে।
মালখানগর ইউ পি সদস্য মো. আবু সাঈদ জানান, আমি ঘটনা শুনতে পেরে ঘটনাস্থালে যাই। গিয়ে দেখি মুরাদ হালিমার পেটে, পিঠে, মুখে কিল ঘুষি মারছে। আমি তাকে উদ্ধার করি এবং মুরাদকে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দেই।
বাংলাদেশ মানবাধিকার উন্নয়ন কমিশনের মুন্সিগঞ্জ জেলা শাখার চেয়ারম্যান এ এন হুমায়ুন কবির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা যেখানে মানবধিকার হরণ হয় সেখানে আমরা তাদের পাশে দাড়াই। আমরা হালিমার চিকিৎসার কথা বলেছি। তার ভাই জানিয়েছে তারা চিকিৎসা করবে। যদি তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় আমরা সহায়তা করব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, স্থাণীয় এক মানবধিকার কর্মী আমাকে গৃহবধূকে মারধরের বিষয়টি জানালে আমি পুলিশ পাঠিয়ে ঘাতক স্বামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আসামী বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে মারধর করতেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।