আজঃ মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুনিয়া ইস্যু নিয়ে যুদ্ধাপরাধী-বিএনপির রাজনীতি

প্রকাশিত:সোমবার ১১ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গুলশানে একজন কলেজছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে রাজনীতি শুরু হয়েছে। গত এপ্রিলে মারা যান মুনিয়া। গুলশানের একটি ফ্ল্যাটে তার মৃত্যুর পর প্রথমে দায়ের করা হয় এটি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা। আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় কোনো প্ররোচনার অভিযোগ না পাওয়ার পর পুলিশ প্রায় তিন মাস তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে ওই মামলার বাদী মুনিয়ার বড় বোন নুসরাত তানিয়া নারাজি দরখাস্ত দেন। কিন্তু আদালত ওই নারাজি দরখাস্ত নাকচ করে দেয়। এর কয়দিন পরেই নুসরাত তানিয়া নতুন করে একটি হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার তদন্ত এখন করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পিবিআই মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

এই মামলাটিকে আপাত একটি ন্যায় বিচারের প্রার্থনার কথা বলা হলেও এর ভেতরে রয়েছে একটি গভীর রাজনীতি এবং ষড়যন্ত্র। সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলার জন্য এবং দেশে আইনের শাসন নেই, ন্যায় বিচার হয় না ইত্যাদি অনেকগুলো ইস্যুকে প্রমাণের জন্য হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে মুনিয়ার মৃত্যুর ইস্যুকে।

প্রথমত, প্রথম থেকেই যুদ্ধাপরাধী এবং বিএনপি জামাত গোষ্ঠী প্রকাশ্য এবং নীরবে কাজ করছে। মুনিয়ার মৃত্যুর পরপরই প্রথমে যুদ্ধাপরাধী গোষ্ঠী যারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকার, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিদেশে বসে সাইবার সন্ত্রাস করছে তারা ইস্যুটিকে লুফে নেয়। তারা একের পর এক অপপ্রচার, মিথ্যাচার, চরিত্রহনন এবং কুৎসিত, নোংরা আক্রমণ শুরু করে এই ইস্যুকে নিয়ে।

দ্বিতীয়ত, এর মূল উদ্দেশ্য হলো সরকারকে সমালোচনায় বিদ্ধ করা। দেশে আইনের শাসন, ন্যায়বিচার নেই এটি প্রমাণ করা। একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, মুনিয়া ইস্যু নিয়ে যে সাইবার সন্ত্রাস চলছে সেই সন্ত্রাসের মূল টার্গেট আসলে সরকার। সরকার ন্যায় বিচার করছে না, এটি প্রমাণের জন্য মুনিয়া ইস্যুকে বেছে নিয়েছে যুদ্ধাপরাধী সাইবার সন্ত্রাসীরা।

তৃতীয়ত, এসবের পেছনে আবার বিএনপি এবং জামাতপন্থীদের একটি মদদ রয়েছে বাংলাদেশে। একটু লক্ষ্য করলেই দেখা যায় যে মুনিয়ার মৃত্যুর পর তার বোনকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য যারা তৎপর হয়েছেন তাদের সকলেরই রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে। এরা বিএনপি-জামাত ঘরানার আইনজীবী হিসেবে পরিচিত। বিশেষ করে ৮ নং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মুনিয়া ইস্যুতে যে মামলাটি হয়েছে সেখানে যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষাবলম্বন করা  আইনজীবীসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন যারা যুদ্ধাপরাধী এবং বিএনপির মদদপুষ্ট। অর্থাৎ আইনি এমন একটি বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে সরকার বিচার করে না বিষয়টি নিশ্চিত করা।

চতুর্থত, এই মামলার মধ্য দিয়ে সুশীল সমাজের একটি মেরুকরণের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে সরকারকে চাপে ফেলার কৌশল হিসেবে। এই  মামলার মাধ্যমে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যে, বাংলাদেশে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা আইনের ঊর্ধ্বে। অথচ মুনিয়ার মৃত্যুর পর পুলিশ নির্মোহভাবে তদন্ত করেছে এবং তিন মাস তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এই তদন্তকালে তারা একদিকে যেমন মুনিয়ার বাসায় কারা গিয়েছিল, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েছে। মুনিয়ার ডায়েরি এবং অন্যান্য তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছে। সবকিছু করার পরই এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এখন এটি নিয়ে জলঘোলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে দেশের পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত এবং বিব্রত করার লক্ষ্যে। অর্থাৎ বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর সম্বন্ধে বিএনপি-জামায়াত গত চার-পাঁচ বছর ধরে যে সমালোচনাগুলো করছে, সেই সমালোচনাকেই মুনিয়ার মৃত্যুর মাধ্যমে সরল সমীকরণে ফেলার চেষ্টা করছে।

সবচেয়ে বড় কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি, উন্নয়ন হচ্ছে সেখানে বেসরকারি খাত যে বড় ধরণের ভূমিকা রাখছে সেটিকে বাধাগ্রস্থ করাও এই মামলার উদ্দেশ্য। এইরকম মামলার ফলে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, শিল্প গ্রুপগুলো সংকুচিত হবে, কুণ্ঠিত হবে এবং তাদের যে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এবং শিল্পের প্রসারে যে ভূমিকা তা সংকুচিত হবে। অর্থাৎ মুনিয়ার মৃত্যু নিয়ে যুদ্ধাপরাধী এবং বিএনপির অপরাজনীতির একটি সুস্পষ্ট তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো ন্যায় বিচার নয় বরং সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে সামনে যে আন্দোলন হবে সেই আন্দোলনের জন্য একটি ইস্যু তৈরি করা।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর



এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েও শিক্ষাজীবন অনিশ্চিত পূর্ণ বিশ্বাসের

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের হাল ধরতে কাজ করতেন গ্যারেজে মিস্ত্রি হিসেবে। অভাবের সংসারে জম্ম হলেও এই মেধাবী ছাত্র বড় হয়ে একজন ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। বাবা প্রিয়তোষ বিশ্বাস সিএনজি অটোরিকশা চালিয়ে কোনরকমে সংসার চালাতেন।

অভাব অনটনের মাঝে মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস হাল ছাড়েনি পড়াশোনার। সকালে স্কুলে আর বিকালে স্থানীয় বাজারে একটি দোকানে গাড়ির গ্যারেজে কাজ করতেন। রাতে বাড়ি ফিরে বসে পড়তেন পড়ার টেবিলে। বিজ্ঞান বিভাগে পড়ালেখা করা সন্তানকে সামর্থ না থাকায় তাঁর কোনো প্রাইভেট শিক্ষাক দিতে পারেনি বাবা-মা। কিন্তু নিজের অদম্য ইচ্ছা এবং অধ্যবসায় কাজে লাগিয়ে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে অংশ নিয়ে এই দরিদ্র ঘরের সন্তান জিপিএ-৫ পেয়েছে। তাঁর এই সাফল্য দরিদ্র পরিবারে অসহায় বাবা মায়ের মুখে হাঁসি ফুটেছে।

চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার ডাবুয়া ইউনিয়নের কুলাল পাড়া গ্রামের অটো চালক প্রিয়াতোষ বিশ্বাস ও নন্দিতা বিশ্বাসের সন্তান পূণ (১৬)। উপজেলার এয়াছিননগর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। গত রবিবার পরীক্ষার ফলাফলে সে জিপিএ-৫ পেয়ে পাস করেন।

ছেলের সফলতা নিয়ে কথা হয় মা নন্দিতা বিশ্বাসের সাথে তিনি বলেন, আমার ছেলের এই অর্জন এলাকার সবার। আমরা গরীব তার বাবা একজন সাধারণ গাড়ি চালক। কোনো রকমে চলে আমাদের সংসার। সংসার চালাতেই আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের ছেলে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এ পেয়ে পাস করছেন। আমাদের স্বপ্ন তাকে ডাক্তার বানানো। এই অভাবের সংসারে কলেজে ভর্তি খরচ, পড়াশোনার খরচ আমরা কোথায় পাব। ছেলের এ সাফল্য অর্জনে চিন্তা বেড়েছে হতদরিদ্র মায়ের। তিনি সবার কাছে সন্তানের লেখাপড়া জন্য সহযোগিতা কামনা করেন।

মেধাবী শিক্ষার্থী পূর্ণ বিশ্বাস বলেন, আমার আজকের এ সাফল্যের পেছনে আমার বাবা মায়ের এবং এলাকার ও স্কুলের শিক্ষকদের অনেক বেশি অবদান রয়েছে। আমি ভালো কলেজে পড়ে ডাক্তার হত চাই। মানুষের সেবা করতে চাই। তবে আমাদের অর্থ সংকটের কারণে আমার আর পড়াশোনা করা সম্ভাব হবে কিনা আমি জানিনা। আমি দশম শ্রেণিতে পড়ালেখা করার সময়ে মাঝে মাঝে স্থানীয় একটি গাড়ির গ্যারেজে কাজ কর করি। আমার এসএসসি পরীক্ষার পর থেকে আমি ঐ গ্যারেজে প্রতিদিন কাজ করি।

এলাকার মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, পূর্ন বিশ্বাসের মাঝে অন্যরকম প্রতিভা রয়েছে। অভারের সংসারে সেই আজকে যে আলো দেখিয়েছে। তা আমাদের সমাজ ও গ্রামকে উজ্জ্বল করছে। গাড়ির গ্যারেজে কাজ করে এতোবেশি সফলতা অর্জন করেছে। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে পরিবার তার লেখাপড়া চালাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ করছেন গ্রামের মানুষ। দেশের মানুষকে তার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তার এলাকার লোকজন। যাতে এই মেধাবী ছাত্র টাকা-পয়সার অভাবে পড়াশোনা থেকে বাদ পড়ে না যায়।

আমির হামজা, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



গাজীপুরে ট্রাকচাপায় প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে ট্রাকচাপায় এক প্রকৌশলী নিহত হয়েছে। নিহত প্রকৌশলীর নাম শাহাদাত হোসেন মুন্না।

বুধবার (১ মে) সকাল ৭টার দিকে পূবাইল থানা এলাকার মীরের বাজার চৌরাস্তার কামারগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহাদাত হোসেন মুন্না ময়মনসিংহ জেলার নান্দইল থানার রামগাতি খালপাড় গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি মিরপুর-১ লালকুটি তৃতীয় কলোনিতে থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, মুন্না রোড ও ফ্লাইওভার প্রজেক্টের ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন। তিনি সকালে মোটরসাইকেলে উলুখোলা থেকে ভোগড়া বাইপাসের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় উল্টো দিক থেকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক মোটরসাইকেলসহ তাকে চাপা দেয়। এতে মুন্না গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। তবে ট্রাকচালক কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

আজ সোমবার (১৩ মে) দুপুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সচিবালয়স্থ দপ্তরে হাইকমিশনারের নেতৃত্বে ২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাৎকালে তাঁরা দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুপ্রতীম দুটি দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভারত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। প্রতিমন্ত্রী পানি সম্পদ খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নে ভারতের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং ধন্যবাদ জানান। ভবিষ্যতেও এসব সহযোগিতা অব্যাহত রাখারও অনুরোধ করেন।

ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এ উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ভারত কাজ করছে। শীঘ্রই দুই দেশের সচিব পর্যায়ে এবং ভারতে নির্বাচনের পরে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে এ মর্মে ভারতীয় হাইকমিশনার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


আরও খবর



শাশুড়ির করা পর্নোগ্রাফি মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাবি শিক্ষিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

পর্নোগ্রাফির মাধ্যমে মানহানির অভিযোগে শাশুড়ির করা মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভাষা কোর্সের খন্ডকালীন শিক্ষিকা গুলশান আরা। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজের আদালত আস সামছ জগলুল হোসেন আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করার মতো উপাদান না থাকায় তাকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

গুলশান আরার আইনজীবী আল মামুন রাসেল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুধুমাত্র হারিয়ে যাওয়া সিমের (মোবাইল সিম) কারণে এই মিথ্যা অভিযোগের মামলায় উনি (গুলশান আরা) ফেঁসে যান। শ্বশুরবাড়ির পরিকল্পিত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় উনাকে ফাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করেছেন, কিন্তু কোনো ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করেননি। আমরা আদালতে তার অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একটি ফেসবুক আইডি থেকে ২০২২ সালের ৯ মে বাদীর মেয়ের (আসামির ননদ) নগ্ন ছবি বাদীর মেয়ের বান্ধবীর মেসেঞ্জারে পাঠানো হয়। এডিট করে এ নগ্ন ছবি তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি বাদীর। এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে ওই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর হুমকি দেন, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবিগুলো ছড়িয়ে দেবেন।

পরে বাদী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ফেসবুক আইডিটি তার পুত্রবধূ গুলশান আরার। পরে তিনি এ ঘটনায় ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

২০২৩ সালের ৩০ মে মামলাটি তদন্ত করে গুলশান আরাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন বাড্ডা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রাসেল পারভেজ।


আরও খবর