আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যার ঘটনায় দোষীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভারে অপহরণের দশ দিন পর মুক্তিপণ না পেয়ে হত্যা করা সেই হৃদয়ের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে তার স্বজন ও সহপাঠীরা।

রোববার (২১ মে) দুপুর ১২টার দিকে সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ফারাবী আহমেদ হৃদয়ের সহপাঠী-স্বজনরা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে।

বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ফারাবী আহমেদ হৃদয়ের হত্যায় জড়িত প্রধান আসামি সহ সহযোগীদের ফাঁসির দাবি জানান।

এ সময় নিহত হৃদয়ের মা বিলকিস বেগম আহাজারিতে হৃদয় বিধায়ক পরিবেশ তৈরি হয়। তিন মিডিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার ছেলের কি অপরাধ কি করেছে? তাকে এভাবে কেন হত্যা করা হলো। আমি হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমার ছেলের কারো সঙ্গে কোনো বিবাদ ছিল না।

তারা হৃদয়কে অপহরণ করে টাকা দাবি করার পর আর ফোন করেনি। পরে বারবার সেই নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে পারিনি। যে টাকা অপহরণকারীরা চেয়েছে সেই টাকা দিতাম। কিন্তু আমার ছেলেকে কেন মারলো তারা৷ যারা আমার ছেলেকে কষ্ট দিয়ে বিনা কারণে হত্যা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

উল্লেখ্য, গত ১৮ মে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ না পেয়ে নিখোঁজের ১০দিন পর গত ১৮ মে কলেজছাত্র ফারাবী আহমেদ হৃদয়ের বস্তাবন্দি মরদেহ আশুলিয়ার মোজারমেইল এলাকার একটি ডোবা থেকে উদ্ধার করে র‍্যাব-৪ এর সদস্যরা। নিখোঁজ কলেজছাত্রকে হাত পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে প্রতিবেশী বন্ধু পরান ও তার ২ সহযোগী। এ ঘটনায় র‍্যাব দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পরানসহ তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। সোমবার (৪ মার্চ) কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ঢাকা-৯ (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে মিরাজ হোসেন ও আব্দুল বাকী সাক্ষ্য দেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার আইনজীবী হাজিরা দেন। এরপর তারা আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে মিরাজের জবানবন্দি ও জেরা শেষ হয়েছে। আব্দুল বাকী আংশিক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া ও হান্নান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় এ মামলা করেন। কানাডিয়ান প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে এ মামলা করা হয়।

এরপর ২০১৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২৩ সালে ১৯ মার্চ কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকা-৯ (অস্থায়ী) বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশনের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান মারা যাওয়ায় মামলা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।

নিউজ ট্যাগ: খালেদা জিয়া

আরও খবর



মজাদার ফুলকপির বিরিয়ানি

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ফুলকপি খাওয়ার মজাই আলাদা। ফুলকপি দিয়ে তৈরি যেকোনো খাবারই বেশ সুস্বাদু হয়ে থাকে। তাই আজকের আয়োজনে থাকছে ফুলকপির বিরিয়ানি রান্নার রেসিপি। বাসায় বসে খুব সহজে তৈরি করতে জেনে নিন, কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন মজাদার ফুলকপির বিরিয়ানি।

উপকরণ : ছোট করে কাটা ফুলকপি দুই কাপ, বাসমতি বা পোলাওয়ের চাল দুই কাপ, মটরশুটি আধা কাপ, কাঁচামরিচ পাঁচটি, জিরা সামান্য, আদা-রসুন বাটা আধা চা চামচ, হলুদের গুঁড়া সামান্য, গরম মসলা সামান্য, ধনেপাতা কুচি সামান্য, তেল পরিমাণমতো এবং লবণ স্বাদমতো।

প্রস্তুত প্রণালি : প্রথমে চাল পানিতে সেদ্ধ করে নিন। এবার একটি প্যানে পানির মধ্যে হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে ফুলকপি দিয়ে দিন। ১০ মিনিট সেদ্ধ করে পানি ঝরিয়ে নিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ফুলকপি ধুয়ে ডুবো তেলে বাদামি করে ভেজে নিন। এখন অন্য একটি প্যানে তেল দিয়ে তাতে জিরা, আদা-রসুন বাটা, কাঁচামরিচ ও মটরশুটি দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার এতে ভাজা ফুলকপিগুলো ও সেদ্ধ ভাত দিয়ে দিন। এর ওপরে গরম মসলা ও লবণ ছড়িয়ে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। দুই মিনিট পর চুলা থেকে নামিয়ে প্লেটে ঢেলে ধনেপাতা কুচি দিয়ে সাজিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন দারুণ সুস্বাদু ফুলকপির বিরিয়ানি।


আরও খবর
রোজায় ত্বক ভালো রাখতে যা করবেন

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




আসছে রমজান, ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে বাজার

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আসছে রমজান মাস। রমজান উপলক্ষ্যে অন্যান্য দেশে সব কিছুর দাম তুলনামূলক কমিয়ে দেওয়া হলেও এ দেশে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এরই ধারাবাহিকতায় রমজান আসার আগেই বাজারে মাছ, মাংস, মুরগি ও সবজিসহ বেড়েছে প্রায় সবকিছুর দাম। সব মিলিয়ে বাজারে যেন বাড়তি দামের ছোঁয়া লেগেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজি থেকে শুরু করে মাছের অতিরিক্ত বাড়তি দাম যাচ্ছে। সেই সঙ্গে কিছুদিন রাজধানীতে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হলেও সেটি বেড়ে আবার ৭৫০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। পাশাপাশি ব্রয়লারসহ সোনালি ও দেশি মুরগির দাম আগের চেয়ে বেড়েছে। বাজারে সব ধরনের মাছের দামও বাড়তি যাচ্ছে।

আজ রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়, প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, মুলা প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, আর প্রতি মুঠা হিসেবে নিলে প্রতি মুঠা ২০ টাকায়, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৮০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, টমেটো প্রতি কেজি ৫০ টাকায়, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ টাকায়, আলু প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে। আজকের বাজারে চাষের পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি রাজধানীতে কিছুদিন গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি হলেও আবারও আগের মতো প্রতি কেজি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়। গরুর মাংসের পাশাপাশি ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে প্রতি কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, সোনালি মুরগি ও কক মুরগিরও দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর শেওড়াপাড়া বাজারে বসে কথা হয় খোরশেদ আলমের সাথে। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশে শুনেছি রমজান এলে সবকিছুর দাম কমিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের দেশে ঘটে উল্টোটা... রমজান এলেই বেড়ে যায় সবকিছুর দাম। আজকে বাজারে সবজির দাম থেকে শুরু করে মাছ-মাংসসহ অন্যান্য প্রায় সবকিছুর দামই বাড়তি দেখলাম।

তিনি বলেন, বয়লার মুরগি আগে ২০০ টাকা কেজি ছিল, আজ সেটি বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। গরুর মাংসও ফিরে গেছে আগের বাড়তি দামে। এছাড়া, সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে। ঊর্ধ্বগতির বাজারে এখন বাজার করতে এলে আমাদের মতো সাধারণ ক্রেতাদের নিয়মিত হিমশিম খেতে হয়।

মাসুদুর রহমান নামে এক ক্রেতা বলেন, ইদানীং বাজারে মাছের দাম এতোটাই বেড়েছে যে, আমরা সাধারণ ক্রেতারা দুই-এক ধরনের মাছ ছাড়া অন্য কোনো মাছ কিনতে পারি না। মাছের দাম অতিরিক্ত বেশি।  নিয়মিত পাঙাশ, তেলাপিয়া ও চাষের কই এগুলো কিনতে হয়। কিছুদিন ধরে পাঙাশ মাছ ২০০ টাকা কেজি কিনলেও আজ দাম বেড়ে ২২০ টাকা হয়েছে। একইভাবে চাষের কই, তেলাপিয়া, রুই ও পাবদা মাছের দামও বেড়েছে। এসব মাছ ছাড়া ভালো মানের অন্য কোনো মাছ আমরা কিনতে পারি না অতিরিক্ত দামের কারণে। সামনে রমজান মাস, রমজান আসার আগেই বাজারে সব ধরনের মাছের দামই অতিরিক্ত বাড়তি যাচ্ছে।

সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাওয়ার কথা স্বীকার করে রামপুরা বাজারের মাছ বিক্রেতা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, আরও বেশ কিছুদিন যাবত মাছের দাম বাড়তে যাচ্ছে। রমজানের আগে এর দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। মূলত মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকেই সব ধরনের মাছের দাম বেড়ে গেছে, এরপর আর দাম কমেনি।

তিনি বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে মাছ যখন কিনে আনি তখনই আমাদের বাড়তি দামে কিনতে হয়। এরপর পরিবহন খরচ ও শ্রমিক খরচ সব মিলিয়ে কিছুটা দাম পড়ে। আমরা যখন কোনো মাছ পাইকারি বাজারে কম দামে কিনতে পারি, তখন খুচরা বাজারেও আমরা কম দামে বিক্রি করতে পারি। এক কথায় বলতে গেলে, মাছের খাবারের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে মাছ চাষের‌ খরচ বেড়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। বেশ কিছুদিন ধরেই মাছের দাম বাড়তি। আগামীতেও মাছের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না।


আরও খবর
দেশে এলো এক হাজার টন আলু

বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪




ভালো প্রস্তাব পেলে ফেরাবেন না মাহিয়া মাহি

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি ও তার স্বামী রাকিব সরকার বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছেন। কারণ কিছুদিন আগে ভিডিওতে এসে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন এই নায়িকা। গেল ১৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর অবশ্য ফুরফুরে মেজাজেই আছেন তিনি। বর্তমানে ছেলেকে নিয়ে আলাদাই থাকছেন এই নায়িকা। মাঝেমধ্যে অবশ্য ফেসবুকে নানা রকম ছবি শেয়ার করছেন তিনি।

বিচ্ছেদের ঘোষণা দেওয়ার পর ফের কাজে মনোযোগ দিয়েছেন মাহি। সম্প্রতি বেশ কিছু কাজ নিয়ে ব্যস্তই আছেন তিনি। এর মাঝেই জানিয়েছেন, ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেবেন না।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাহি বলেন, অনেক প্রস্তাব ছিল আমার কাছে। বড় নির্মাতা ও ভালো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান আমার সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিল। আমি রাজি হলে অন্তত পাঁচটি ভালো সিনেমা করতে পারতাম। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি আমার কারণেই। বাছবিচার ছাড়াই সবাইকে ফিরিয়ে দিচ্ছিলাম। এখন ঘোর থেকে বাস্তবে ফিরেছি। ভালো প্রস্তাব পেলে আর ফিরিয়ে দেব না। এখন একের পর এক কাজ করতে চাই।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৪ মে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন মাহি। এর কয়েক বছর পরেই ২০২০ সালের মে মাসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা জানান তিনি। পরে ২০২১ সালে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সরকার রকিবকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি।


আরও খবর



নারী দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী, তুলে দিলেন জয়িতা সম্মাননা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও জয়িতা সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (০৮ মার্চ) সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান থেকে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতাকে সম্মাননা তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।

এবার জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতা হলেন— ময়মনসিংহের আনার কলি, রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি, সিলেটের চা শ্রমিক কমলী রবিদাশ, বরগুনার জাহানারা বেগম ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া।

জয়িতাদের মধ্যে ময়মনসিংহের আনার কলি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী।

ওরাও সম্প্রদায়ের জয়িতা কল্যাণী মিনজি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে লেখাপড়া করে বর্তমানে তিনি সোনাদীঘি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

সিলেটের কমলী রবিদাশ একজন সফল জননী। তিনি দিনে মাত্র ১৮ টাকা মজুরিতে চা শ্রমিক হিসেবে কাজ করে এক ছেলেকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন। তার ছেলে বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা।

বরগুনার জাহানারা বেগমের ১২ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যায়। যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামী তাকে অ্যাসিডে দগ্ধ করেন। পরে নিজেকে একজন স্বাবলম্বী জয়িতা হিসেবে প্রমাণ করেন।

খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া নিজের জনগোষ্ঠীর অধিকার ও জীবনমান উন্নয়নে কাজ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণ দেবেন।


আরও খবর