আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মুখরিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা

প্রকাশিত:শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
রাজনীতি ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হবে। এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সংগঠনটির ২২তম সম্মেলন। দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিয়মিত বিরতিতে তাদের সম্মেলন করে আসছে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় দলটির প্রতি বাংলাদেশের মানুষের যেমন আশা-আকাঙ্ক্ষা বাড়ছে তেমনি দেশের মানুষের জন্য তাদের দায়-দায়িত্বও বাড়ছে।

এমন এক সময়ে এবার আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে যখন দলটির সরকার ক্ষমতায় কিন্তু দেশ সত্যিকার অর্থেই কিছু সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটটা প্রকট চেহারা নিয়ে সামনে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক সংকট নিয়েও এই মুহূর্তে ভাবতে হচ্ছে দলটিকে। 

আগামী বছরের শেষে বা পরের বছরের শুরুতে দেশে অনুষ্ঠিত হবে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কী প্রত্যাশা- তারা কি আরেকবার ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রা শুরু করতে পারবে? দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতি কিংবা আওয়ামী লীগেরই আগামীর রূপ-রং কেমন হবে? সবটা কি সাদা চোখের শান্তি ও সমৃদ্ধির উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ হবে নাকি অন্যকিছুর ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করে রাখছে দলটি? বিপরীত বাতাসের জন্য কতটা প্রস্তুত থাকবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ?

নানা হিসাব-নিকাশ আর প্রশ্ন-উত্তর গায়ে জড়িয়ে আজ সম্মেলনে মিলিত হবেন এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বলয়ে থাকা আওয়ামী লীগের নেতারা। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র- সর্বত্র কাউন্সিলের উষ্ণ আবহ দেখা গেছে গত কিছুদিন। দেশের রাজনীতি সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা উত্তপ্ত হলেও আওয়ামী লীগ পথ চলছে তার আপন গতিতে। দেশের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল বিএনপির মাঠের রাজনীতির শীর্ষ দুই নেতা এই মুহূর্তে কারাগারে রয়েছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ অনেকটা সচেতনভাবেই তাদের কারাপ্রকোষ্ঠে রেখে নিজেদের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখছে।

সারা দেশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আজকের সম্মেলনের দিকে। এই দৃষ্টি যেমন নতুন নেতৃত্বের জন্য তেমনি নতুন দিক নির্দেশনার জন্যও। দলের প্রধান শেখ হাসিনা আজ সারা দেশ থেকে আসা নেতাকর্মীদের জন্য ভবিষ্যতের পথরেখা দেবেন বলে আশা করছেন সবাই। বিশেষ করে এক বছর পরে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনের জন্য এখন থেকে কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে তার দিক-নির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি- এমনটা প্রত্যাশা করছেন তারা। বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে কিংবা তাদের কোনো ষড়যন্ত্র বা বেআইনি পদক্ষেপ স্থানীয়ভাবে কীভাবে মোকাবিলা করবে তৃণমূল তার নির্দেশনাও আজ দিতে পারেন দলীয় প্রধান। 

বহুল আলোচিত এবং অপেক্ষার এই সম্মেলনে বড় প্রশ্ন আওয়ামী লীগের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক কে হবেন? স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য স্মার্ট দলের দ্বিতীয় প্রধান ব্যক্তিটি কি নতুন কেউ হবেন, নাকি গত দুইবারের মতো আরেকবার উচ্চারিত হবে ওবায়দুল কাদেরের নাম? সম্মেলন ঘিরে সপ্তাহ দুয়েক যে আলোচনা এবং যে নীরবতা এক ধরনের (সম্পাদক পদ নিয়ে) তাতে বাতাসের প্রকৃত বার্তা পরিষ্কার নয়। সম্মেলনেই বিষয়টি পরিষ্কার হওয়ার অপেক্ষার অবসান হবে। তবে এ কয়দিনে নতুন কোনো নাম জোরালোভাবে কানে আসেনি, দেয়ালে প্রতিধ্বনিও শোনা যায়নি। সুতরাং খেলা হবে!

জাতীয় সম্মেলনের মঞ্চের পেছনে যে ডিজিটাল ব্যানার স্থান পেয়েছে সেখানে একটি নৌকা রয়েছে। ভবিষ্যতের নৌকায় কারা উঠবেন সে ধরনের কোনো ইঙ্গিত অবশ্য সেখানে নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় আর মেয়ে পুতুল ব্যানারের যে জায়গাগুলোতে অধিষ্ঠিত হয়েছেন তা অর্থবহ হতে পারে। শেখ হাসিনার পরে বিষয়টা যদিও সেভাবে প্রকাশ্যে কেউ আনতেই চান না, আওয়ামী লীগ নেতারা তো ননই- বিচক্ষণ রাজনীতিক শেখ হাসিনা নিজে সেই চিন্তা করতেই পারেন। ২২তম জাতীয় কাউন্সিলের ব্যানারে ভবিষ্যৎ কি পড়া যায়? হ্যা, না- দুটোই হতে পারে। তবে সত্যি সত্যি এমন একটি ভাবনা থাকা এবং এ বিষয়ে একটা ঠান্ডা মাথার সমাধান প্রত্যাশা করাও তো জরুরি যে আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ আসলে কে গড়বেন, কারা গড়বেন? 

ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আওয়ামী লীগের এই সম্মেলন থেকেই শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রা শুরু করবে আওয়ামী লীগ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশের যাত্রায় কে কে নৌকার বৈঠা ধরবেন, কে কে হবেন মাঝি- আজ দিনশেষে নিশ্চয়ই মিলবে সে উত্তর।

উপমহাদেশের অন্যতম সফল রাজনৈতিক দল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া দলটির ভবিষ্যতের পথচলা সুচিন্তিত এবং মসৃণ হোক। দেশের গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হোক আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার জন্য রক্ত দিয়েছেন যত লক্ষ শহীদ আর যত লক্ষ মা-বোন দিয়েছেন সম্ভ্রম তাদের মনে রেখে হাজার বছর পথ চলুক এই দুর্দান্ত রাজনৈতিক দলটি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন সফল হোক। ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে দলটির নেতাকর্মীদের প্রতি শুভেচ্ছা।


আরও খবর



ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাতটি ধাপে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল বিজেপি এই নির্বাচনে তাদের সার্বিক প্রস্তুতি ও প্রচারণা দেখানোর জন্য বিদেশি কিছু রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বিজেপি।

বিজেপির নির্বাচনি প্রস্তুতি ও প্রচারণা পর্যবেক্ষণের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পাঠানো আমন্ত্রণপত্রে তারা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একজন প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য অনুরোধ করেছে। এই আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে দলের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সংসদ সদস্য ড. সেলিম মাহমুদকে আওয়ামী লীগ সভাপতি ভারত সফরে মনোনীত করেছেন।

এই সফরটি মূলত পাঁচ দিনের। ১ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত। এই সফরে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধির সাথে বিজেপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠক রয়েছে। দিল্লির বাইরে বিজেপির নির্বাচনি প্রচারণা সরেজমিনে দেখানোর জন্য বিজেপি আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিকে ছত্রিশগড়ে নিয়ে যাবেন। ভারতের নির্বাচন ১৯ এপ্রিল শুরু হয়েছে যা ১ জুন পর্যন্ত চলবে। ৪ জুন ভোটের ফলাফল ঘোষিত হবে।


আরও খবর



তফসিল ঘোষণা

চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচন ৫ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করছে নির্বাচন কমিশন। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন ইসি সচিব জাহাংগীর আলম।

তিনি বলেন, ৫৪টি উপজেলা পরিষদে ৫ জুন চতুর্থ ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫০ উপজেলায় ভোট হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলার ভোটগ্রহণ ২১ মে। এছাড়া তৃতীয় ধাপের ১১২ উপজেলায় ভোটগ্রহণ ২৯ মে।


আরও খবর



পাপারাজ্জিদের ওপর চটে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নোরা ফাতেহির

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে সেলেবরা যেখানেই যাবেন, সেখানেই হাজির হন পাপারাজ্জিরা। অন্যদিকে তারকাদের এক্সক্লুসিব ছবি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন ছবি শিকারিরা। সম্প্রতি পাপারাজ্জিদের ওপর চটলেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহি। এক সাক্ষাৎকারে নোরা জানালেন, মাঝে মধ্যেই ছবি শিকারিরা শরীরের নানা অংশে ক্যামেরা জুম করেন! শুধু তাই নয়, আজব প্রশ্নও নাকি করেন পাপারাজ্জিরা!

নোরা বললেন, মনে হয় আমার মতো নিতম্ব কখনও দেখেনি ওরা। সব সময় এমন হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অন্য অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। হয়তো তাদের নিতম্ব নির্দিষ্ট করে ক্যামেরায় দেখানো হয় না, কারণ তাদের নিতম্ব খুব একটা উত্তেজনামূলক নয়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে তাদের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্যামেরার নজরে আসে। আমার মনে হয়, এটা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট করে দেখানোর মতো কিছু নয়। কোন দিকে নজর তাদের?

নোরা ফাতেহি জানান, সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য এই সব করা হয়। শরীরের কারণে বার বার শিরোনামে এসেছেন। তবে নিজের শরীর নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই নোরার। আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি কখনোই আমার শরীর নিয়ে লজ্জিত নই।

ছবি শিকারিদের এই প্রবণতা হয়তো ভুল কিন্তু সেটা আলাদাভাবে আলোচনার বিষয়। আমি এক একজনকে ধরে ধরে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিতে পারব না বললেন অভিনেত্রী।

নোরার মতে, বলিউডে তার সফর নিয়ে মানুষ বাহবা দেন। বিশেষত যাদের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছেন। কাজ নিয়ে কখনও আপস করেন না অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর



তীব্র তাপের মধ্যেও উন্নয়নের নামে বৃক্ষশূন্য করা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বৈশাখী প্রখর রোদের তেজে তীব্র গা-জ্বলা খরতাপে পুড়ছে জনপদ। ঠাকুরগাঁওয়ে আজকে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। ভয়ংকর  দাবদাহে মানুষ যখন এক প্রকার মরতে বসেছে, সেই সময় আবার বিক্রির জন্য গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে বন বিভাগ। তীব্র তাপপ্রবাহ ও কম বৃষ্টিপাতের কারণে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। এসবের পরও উন্নয়নের নামে প্রায় বৃক্ষশূন্য করে ফেলা হচ্ছে ঠাকুরগাঁওকে।

গেল বছরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী, আমজানখোর ও চাড়োল ইউনিয়নের প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তার ৫ হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ওই রাস্তাগুলোর মধ্যে ৮ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন গাছ লাগালেও বাকি রাস্তাগুলোতে গাছ লাগানোর কোন অগ্রগতি চোখে পড়েনি।

এর মধ্যেই দরপত্রের মাধ্যমে আবারও একই উপজেলার ধনতলা ও পাড়িয়া ইউনিয়নের ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার ৪ হাজার গাছ কাটা শুরু হয়েছে। তাপদহের এই দুঃসময়ে গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।

বন বিভাগের ভাষ্য, নিয়ম অনুযায়ী আয়তনের তুলনায় ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও ঠাকুরগাঁও জেলা রয়েছে ২ ভাগের কম বনভূমি রয়েছে। এসব গাছপালা কেটে ফেলা হলে শূন্যের কোঠায় পৌছাবে বনভূমি। সবকিছু জানার পরেও গেল মাসে ৮ ইউনিয়নে রাস্তায় থাকা অবশিষ্ট গাছগুলো কেটে ফেলার জন্য দরপত্র দিয়েছে বন বিভাগ। এর মধ্যে দুটো ইউনিয়নে শুরু হয়েছে গাছ কাটা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, দরপত্র পাওয়া দিনাজপুরের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ করা শ্রমিকরা রাস্তার গাছ কাটছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে এ কার্যক্রম শুরু করেছেন তারা। দরপত্রের কার্যাদেশ অনুযায়ী ৪ হাজার গাছ কাটবেন তারা। এক সপ্তাহে ৩ শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে বলে জানান শ্রমিকরা।

বন বিভাগের আহবান করা দরপত্র অনুযায়ী উপজেলার পাড়িয়া ইউনিয়নের লোহাগাড়া হইতে তিলকরা সরাকন্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও ধনতলা ইউনিয়নের পাঁচপীর থেকে ফুটানী হাট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার, তিলময় বাবুর বাড়ী হতে এনামুল চেয়ারম্যানের বাড়ী হয়ে বাহার জিলা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার ও সিন্দুরপিন্ডি হইতে খোঁচাবাড়ী হয়ে তীরনই নদীর শেষ সীমানা ও দলুয়া হয়ে পান্তা ভিটা পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারসহ ৩৭ কিলোমিটার রাস্তার পাশের বিশাল আকৃতির গাছগুলোর গায়ে সিরিয়াল নম্বর দেওয়া হয়েছে কাটার জন্য।

মশালডাঙ্গী গ্রামের সমারু মাঠে কাজ করে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তিনি জানান, রাস্তার ধারে থাকা গাছগুলোর ছায়ায় কৃষক ও শ্রমজীবি শ্রেণির মানুষেরা মাঠে কাজের ফাঁকে একটু বিশ্রাম নেয়। এ তীব্র তাপদাহের মধ্যে এখন রাস্তার দু'পাশের বিশালাকৃতির গাছগুলো কাটা হলে মরুভুমিতে পরিনত হবে এলাকাটি। তাই এলাকাবাসীর দাবি প্রচন্ড তাপদাহের মধ্যে এই মুহূর্তে গাছগুলো না কেটে কিছুদিন পরে কাটলে এলাকাবাসী উপকৃত হতো।

ঠাকুরগাঁওয়ে আবহাওয়া অফিস না থাকলেও রংপুর আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ঠাকুরগাঁও জেলায় দুপুরে তাপের প্রখরতা ছিল ৩৭ ডিগ্রী, শনিবার ৩৪ ডিগ্রী ও আজ রবিবার ৩৯ ডিগ্রী ছুইছুই। গরমের তীব্রতায় মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ইশতেশকার নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। এ অবস্থায় গাছ কাটায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার লোকজন।

শিক্ষক আমানুল্লাহ জানান, রাস্তার পাশের গাছগুলো এই এই মুহূর্তে যেমন মানুষের জন্য প্রয়োজন, তেমনী পশু-পাখিদের জন্যও প্রয়োজন। অনেক পাখি এখন গাছগুলোতে বাসা বানিয়ে ডিম দিয়েছে। প্রচন্ড তাপদাহের সময়ে পাখিগুলোর জন্য হলেও কিছুদিন পরে গাছগুলো কাটা উচিত।

পাড়িয়া ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী জানান, দরপত্র হয়েছে গাছ কাটবে ঠিকাদার। এতে বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে গ্রামবাসীর দাবি গরমের দিনগুলো পার করে গাছ কাটা হউক। এটা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন এবং বন বিভাগকে প্রয়োজনে লিখিত আকারে জানানো হবে।

ঠাকুরগাঁও বনবিভাগের বন কর্মকর্তা শফিউল আলম মন্ডল জানান, গাছগুলো কাটার উপযোগী এবং যারা লাগিয়েছেন তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কাওছার জানান, পরিস্থিতি বিবেচনায় গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও বন বিভাগকে জানিয়েছি। তাপদাহ কমে গেলে দরপত্র অনুযায়ী ঠিকাদার কাটবেন।


আরও খবর



বৈশ্বিক ঋণ রেকর্ড ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে: আইএমএফ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

গত বছর বৈশ্বিক ঋণের ভান্ডারে আরও ১৫ ট্রিলিয়ন বা ১৫ লাখ কোটি ডলারের বেশি যোগ হয়েছে। এর ফলে মোট বৈশ্বিক ঋণ ৩১৩ ট্রিলিয়ন ডলারের নতুন রেকর্ড উচ্চতায় উঠেছে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

আইএমএফের এক ব্লগপোস্টে বলা হয়েছে, গত ছয় মাসে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া প্রায় সব উন্নত দেশে মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। কিন্তু সরকারের ক্রমবর্ধমান ঋণ অনেক দেশেই এখন বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যেভাবে সরকারের ঋণ বাড়ছে, তার প্রভাব মোকাবিলা করা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মহামারি শুরু হওয়ার চার বছর পর এখন উন্নত দেশগুলোতে সরকারি ব্যয় প্রাক্ মহামারি পূর্বাভাসের চেয়ে জিডিপির ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। সরকারি ঋণ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবার ওপরে আছে বিশ্বের দুই প্রধান অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মহামারি শুরুর চার বছর পর এই দুই দেশে সরকারি ঋণ বেড়েছে যথাক্রমে ২ ও ৬ শতাংশীয় পয়েন্ট হারে। এই দুটি দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর বৈশ্বিক অর্থনীতি অনেকটাই নির্ভর করে। চীনের প্রবৃদ্ধির হার কমে গেলে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ও বাণিজ্যের গতি কমে যায়। ফলে যেসব দেশ বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল, তারা ক্ষতির মুখে পড়ে। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রেজারি বন্ডের সুদহার বেড়ে গেলে সারা বিশ্বে বিনিয়োগ প্রবাহে ভাটা পড়ে।

২০২৪ সাল জুড়ে বিশ্বের অনেক দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জনসংখ্যার হিসাবে এসব দেশে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস। ইতিহাসে দেখা যায়, নির্বাচনের বছরে সরকারি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি করহার কমে যায়। নির্বাচনের বছরে দেশে দেশে সরকারের রাজস্ব ঘাটতি পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশীয় পয়েন্ট বেড়ে যায়। এবারের নির্বাচনি বছরে এই ঘাটতি যেন লাগামছাড়া না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে আইএমএফ। উদীয়মান দেশগুলোতে সরকারি ঋণ বেড়ে যাওয়ার কারণে এসব দেশের রাজস্ব ঘাটতি কমিয়ে আনা জরুরি বলে মনে করে আইএমএফ।


আরও খবর