আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

‘মুজিব কিল্লা’ নির্মাণকাজে ধীরগতি, বাড়ছে সময়-ব্যয়

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে জানমাল রক্ষায় দেশের উপকূলীয় এলাকায় মাটির কিল্লা নির্মাণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। পরবর্তীসময়ে জনগণের কাছে এটি মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি পায়। দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবসহ নানাবিধ কারণে বেদখল হয়ে যায় এসব কিল্লা। বর্তমান সরকার সেগুলো ফের সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয় ২০১৮ সালে। কিন্তু চার বছরে নির্মাণকাজে দেখা গেছে ধীরগতি। এরই মধ্যে নতুন করে বাড়ানো হয়েছে সময় ও ব্যয়। বিদ্যমান ১৭২টি মুজিব কিল্লা সংস্কার ও উন্নয়নের পাশাপাশি নতুন করে নির্মাণ করা হবে ৩৭৮টি কিল্লা। ফলে মোট মুজিব কিল্লার সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৫০টি। দেশের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৬টি জেলার ৬৪টি উপজেলা এবং বন্যা ও নদী ভাঙনপ্রবণ ২৪টি জেলার ৮৮টি উপজেলায় এগুলো নির্মাণ ও সংস্কার হবে।

‘মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় এ উদ্যোগ নেয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। প্রকল্পের কাজ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়, যা শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের ডিসেম্বরে। কিন্তু সময়মতো কাজ শেষ না হওয়ায় এর মেয়াদ বাড়ছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পাশাপাশি ব্যয় বাড়ছে ৪০ কোটি টাকা। মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা ছিল ১ হাজার ৯৯৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে চার বছরে প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা বা ১৬ শতাংশ। তবে প্রকল্পের আওতায় কোথাও কোথাও কিল্লা নির্মাণে জমি পাওয়া যাচ্ছে না।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যমাত্রা: দুর্যোগকালে কিল্লার আশপাশের জনসাধারণ ও তাদের মূল্যবান সামগ্রী রক্ষা, গৃহপালিত প্রাণীদের নিরাপদ আশ্রয়} নিশ্চিতকরণ, স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি খেলার মাঠ ও হাট-বাজার হিসেবে কিল্লা ব্যবহার করা। গ্রাম ও ইউনিয়ন কমিউনিটির মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বৈঠকখানা হিসেবে ব্যবহার করা হবে কিল্লা। প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও দুর্যোগের সময় অস্থায়ী সেবাকেন্দ্র হিসেবেও কিল্লা ব্যবহার করা হবে।

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম: ১৮৬টি মুজিব কিল্লা এ’ ক্যাটাগরির। এর মধ্যে বিদ্যমান ৫৫টি কিল্লা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার হবে। নতুন করে নির্মাণ হবে ১৩১টি। বি’ ক্যাটাগরির মুজিব কিল্লা হবে ১৭১টি। এর মধ্যে বিদ্যমান ৬৩টি পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করা হবে। নতুন করে নির্মাণ হবে ১০৮টি। সি’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১৯৩টি মুজিব কিল্লা। এর মধ্যে ৫৪টি বিদ্যমান মুজিব কিল্লা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার হবে, ১৩৯টি নির্মাণ হবে নতুন করে।

প্রকল্প এলাকা: গাইবান্ধা, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লা, পটুয়াখালী, বরগুনা, ভোলা, পিরোজপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, খুলনা, যশোর, নড়াইল, সুনামগঞ্জ ও চাঁদপুরে নির্মাণ করা হবে এসব মুজিব কিল্লা।

বেড়েছে প্রকল্পের মেয়াদ: বর্তমান সময় পর্যন্ত মুজিব কিল্লা নির্মাণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ১৬ শতাংশ। এর মধ্যে আবার করোনার কারণে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) প্রকল্প এলাকায় আসতে পারেনি। সব মিলিয়ে এক বছর বাড়ছে এর মেয়াদ।

কম্পিউটার খাতে ব্যয় বৃদ্ধি: নানা কারণে প্রকল্পের কিছু বিষয় সংশোধন হচ্ছে। এর মধ্যে কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক খাতে বেড়েছে ব্যয়। মূল ডিপিপিতে (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) সাতটি কম্পিউটারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু প্রকল্প দপ্তরে নিয়োজিত আছেন ১৬ কর্মকর্তা। জনপ্রতি একটি করে কম্পিউটার রাখা হয়েছে। ফলে এ খাতে বেড়েছে ব্যয়।

পরামর্শক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি: মূল প্রকল্পে পরামর্শক খাতে ব্যয়ের জন্য ৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা ধরা হয়েছিল। পরে এটা করা হয় ৬ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বুয়েট ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে।

রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং: প্রথমে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েট খেলার মাঠে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং (বিশেষ পদ্ধতিতে কূপের মাধ্যমে বৃষ্টির পানি ভূগর্ভে রিজার্ভ) ডিজাইন করে। কিন্তু মাঠে ৮-১১ ফুট পর্যন্ত বালু ভরাট হয়ে থাকে। ফলে সেখানে পানি ধরে রাখা সম্ভব নয়। বৃষ্টির সময় ময়লা পানি ভরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রকল্পের সব সাইটের মাঠে রেইনওয়াটার হার্ভেস্টিং না করার সিদ্ধান্ত হয়।

অতিরিক্ত কাজের অন্তর্ভুক্তি: বিভিন্ন সাইটে বেশি করে মাটি ভরাট কাজ করতে হচ্ছে। এছাড়া বাড়ছে শেডের ফ্লোরের কাজ। বজ্ররোধক প্রযুক্তি লাইটনিং অ্যারেস্টার স্থাপনের কারণেও ব্যয় ও সময় বাড়ছে।

জ্বালানির পরিমাণ বৃদ্ধি ও গাড়ি ভাড়া: প্রকল্পের জন্য কেনা দুটি গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে অকটেন ব্যবহার হয়। প্রতিটি গাড়িতে মূল ডিপিপিতে বরাদ্দ দেখানো হয়েছে মাসে ১৭৫ লিটার তেল। বর্তমানে জ্বালানি তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে প্রতি মাসে গড়ে ৪০০ লিটার ধরা হয়েছে। এছাড়া প্রকল্পটি দেশের ৪০টি জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সেখানে কাজের তদারকির জন্য যাতায়াত করতে হয়। তাই সঠিকভাবে কাজের মনিটরিংয়ের জন্য তিনটি গাড়ি ভাড়া করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, চলমান প্রকল্পের কিছু কাজ করতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কিছু জিনিস বাদ দিতে হবে, আবার কিছু যোগ করতে হবে। ঝামেলা রয়েছে জমি নিয়ে। এর মধ্যে আবার করোনা- সবমিলিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি কম। অন্যদিকে রড-সিমেন্টের দামও বেড়েছে। ফলে কাজে লাগানো যাচ্ছে না ঠিকাদারদের। আমরা প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছি। ব্যয় কিছু বাড়বে। পাশাপাশি প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ করতে এক বছর সময় প্রয়োজন।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছা‌দ থে‌কে যুব‌কের মর‌দেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদ থেকে এক যুবকের মর‌দেহ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে। ট্রেন চলাকালে কোনো গা‌ছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লে‌গে হা‌নি‌ফ (৩০) না‌মের ওই যুব‌কের মৃত্যু হ‌য়ে‌ছে ব‌লে ধারণা কর‌ছে রেলও‌য়ে পু‌লিশ।

মৃত হানিফ জয়পুরহাটের আমতলী উপ‌জেলার আমতলী গ্রামের হান্নানের ছেলে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকা‌লে টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদ থেকে মর‌দেহটি উদ্ধার করেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশ‌ন মাস্টার মো. শাহীন বলেন, ট্রেনটি বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে আসার পর ছা‌দের ওপর ওই যুব‌কের মর‌দেহ আটকে থাকতে দেখা যায়। প‌রে সেখান‌ থেকে মর‌দেহ‌টি টাঙ্গাইল স্টেশ‌নে পা‌ঠি‌য়ে দেওয়া হ‌য়।

ঘারিন্দা রেলস্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) আকবর বলেন, হানিফ মিয়া পঞ্চগড় থেকে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাদে উঠেছিল। পথিমধ্যে কোথায় গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে তা কেউ বলতে পারেনি। ট্রেনটি টাঙ্গাইলের ঘারিন্দা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছালে মর‌দেহটি উদ্ধার করা হয়। এখন রেল পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। পরিবারের লেকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মর‌দেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



গত ২৪ ঘণ্টায় হিটস্ট্রোকে ৭ জেলায় ৮ মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইজন, পাবনায় একজন, মেহেরপুরে একজন, নরসিংদীর মাধবদীতে একজন, শরীয়তপুরে একজন, ঝালকাঠিতে একজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

দিনাজপুর: দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে হিট স্ট্রোকে দুজন মারা গেছেন। তারা হলেন- ফুলবাড়ী পৌর এলাকার চকসাবাজপুর গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোতাহার আলী (৫৮) এবং অপরজন যশোর কোতোয়ালি থানা এলাকার রাজারহাট গ্রামের ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন (৫২)। মোতাহার হোসেনের ছেলে সানজিদ আহম্মেদ সুইট বলেন, কয়েক দিন ধরে জ্বর ছিল আমার বাবার। শনিবার (২০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরদিকে, ট্রাকমালিক সোহরাব হোসেন বলেন, যশোর থেকে পাথরের ডাস্টের ভাড়া আনতে বড়পুকুরিয়া এলাকায় যান ট্রাকচালক বিল্লাল হোসেন। গতকাল রাত ১০টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুনেছি স্ট্রোক করে ড্রাইভার বিল্লালের মৃত্যু হয়েছে।

পাবনা: পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ভুট্টা খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল (৪৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে মারা যান আলাউদ্দিন আলী আলাল। তিনি উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়য়নের নেউতিগাছা এলাকার মো. ইউসুফ আলীর ছেলে। পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সকালের দিকে চাটমোহরে ভুট্টার খেতে কাজ করতে গিয়ে হিট স্ট্রোকে আলাউদ্দিন আলী আলাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. কামরুজ্জামান বলেন, আমাদের এখানে সকালে ভর্তি হয়েছিল। পরে দুপুরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পাবনা জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন উনি কি জন্য মারা গেছেন। আলাউদ্দিন আলী হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আয়েশা সিদ্দিকা।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে প্রতিদিনই মানুষ হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক রোগী হাসপাতালে আসছে। চাটমোহরের আলাউদ্দিন হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে এসেছিলেন বলে আমাদের প্রাথমিক ধারণা।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা শহরে হিট স্ট্রোক করে সুকুমার দাস (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। এদিন পাবনা শহরের রূপকথা রোডে একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় হিট স্ট্রোক করেন তিনি। এসময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুকুমার দাস শহরের শালগাড়িয়ার জাকিরের মোড়ের বাসিন্দা।

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে হিটস্ট্রোকে শিল্পী খাতুন (৪৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকাল ৮টায় উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়নের রুয়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিল্পী খাতুন রুয়েরকান্দি গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী এবং পার্শ্ববর্তী আমতৈল গ্রামের বিল্লাল মালিথার মেয়ে। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক শামীম হাসান বলেন, শিল্পী খাতুনের মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতে ইউএনও এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বইছে। তীব্র গরমে অতি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের না হতে এবং নিজেকে সুস্থ রাখার নির্দেশনা দিয়ে মাইকিং করা হয়েছে।

নরসিংদী: নরসিংদীর মাধবদীতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে সাফকাত জামিল ইবান (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। ইবান সদর উপজেলার মাধবদী থানার ভগীরথপুর এলাকার মৃত জাকারিয়া জামিলের ছেলে এবং শেখেরচর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকলে অফিসার (আরএমও) ডা. মাহমুদুল কবির বাশার বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় প্রচণ্ড রোদের মাঝে চলাফেরা এবং প্রচুর ঘামের ফলেই অজ্ঞান হয়ে যান ইবান। তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়। পরিবারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে তার মৃত্যু হিটস্ট্রোকে হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হারুন চৌকিদার (৪৩) নামে এক অটোরিকশা চালকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রবিবার দুপুরে জেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে। হারুন চৌকিদার নড়িয়া উপজেলার মোক্তারেরচর ইউনিয়নের নয়ন মাদবরকান্দি এলাকার আলী হোসেন চৌকিদারের ছেলে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাবিকুন নাহার বলেন, স্বজনদের কাছ থেকে জানতে পারি অতিরিক্ত গরমে কাজ করার ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান হারুন। রোগীর স্বজনরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে সদর হাসপাতালে সামনে নিয়ে এলে আমি অ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে তাকে দেখি। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ঝালকাঠি: ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কাঠালিয়া সদর ইউনিয়নের পশ্চিম আউরা গ্রামে এক যুবক হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন। তার নাম মো. আফজাল তালুকদার (৪৫)। হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক দিলীপ চন্দ্র হাওলাদার।

সিলেট: সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় হিট স্ট্রোকে এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে রিকশাচালকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশে ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানান, দুপুর ১২টার দিকে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের রিকশাচালক দক্ষিণ সুরমা পুলিশ বক্সের সামনে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর



বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা দ্বিতীয়, শীর্ষে দিল্লি

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৮টার দিকে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৩ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়েছে।

ভারতের দিল্লি বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৯৬ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। এ ছাড়া তৃতীয় অবস্থানে থাকা চীনের বেইজিং শহরের স্কোর ১৮৭, চতুর্থ অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৭৪ আর ১৬৮ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর



সুপারসনিক মিসাইল নিয়ে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের ভূখণ্ডে ইরানের কয়েকশ ড্রোন এবং মিসাইল হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, মার্শাল শাপোশনিকভ নামে রাশিয়ার ফ্রিগেটটি মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই ফ্রিগেট কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পরিকল্পিত নৌ মহড়ার অংশ হিসাবে কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল সজ্জিত রাশিয়ান নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্শাল শাপোশনিকভ তার ওপর অর্পিত কাজগুলি সম্পাদন করে যাবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বাইরে আর বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।

ওই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। এই ইস্যুতে আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‌এই অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্থিতিশীলতার দিকে যাতে চলে না যায় সেজন্য এখনই সব পক্ষের সংযম বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়ার যে হুঁশিয়ারি ইরানের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তা রোববার (১৪ এপ্রিল) বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।

ইরানের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানি হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন। বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করেন বাইডেন।

এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে।

এদিকে ইসরাইলে ইরানের এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজের মুখপাত্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, এটি আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

জার্মানি ইসরাইলের পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অযৌক্তিক হামলার মাধ্যমে ইরান একটি আঞ্চলিক সংঘর্ষের ঝুঁকিতে পড়ল।

এদিকে এই ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ নাক গলাতে এলে কিংবা ইসরাইলের পাল্টা পদক্ষেপে সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ওয়াশিংটন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপে সমর্থন জানালে মার্কিন ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে জানিয়েছে ইরান।

এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার প্রতিক্রিয়ায় জারি করা এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে গাজা সংঘাত আরও দীর্ঘ হবে। সংঘাত এখনই শেষ হওয়া উচিত।

মুখপাত্র আরও বলেন, গত ২৫ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে আর বিলম্ব করা উচিত নয়। ওই অঞ্চলে শান্তি এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করার জন্য প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর