পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন
বলেছেন, কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের প্রথম সারির নেতা মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে
ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। শনিবার
(২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য
করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমে পাঠানো এক
প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মুহিবুল্লাহ নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরত যেতে চেয়েছিলেন, সে কারণে কিছু
স্বার্থান্বেষী মহল তাকে হত্যা করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে যে বা যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে
কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার।
মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের
সম্মুখীন করা হবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যাকারীদের
অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন করা হবে। এ ব্যাপারের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বৃহস্পতিবার রাতে রোহিঙ্গা নেতা মুহিববুল্লাহ
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা
দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে
অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের শীর্ষ ৫ নেতার একজন মুহিবুল্লাহ
হত্যা মামলায় শুক্রবার দুপুরে মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ ওরফে লম্বা সেলিম নামে এক রোহিঙ্গা
সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। একই দিন
রাতে আরও দুই জন রোহিঙ্গাকে আটক করে এপিবিএন।
২৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কক্সবাজারের উখিয়ায় লাম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্ত মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করে। মুহিবুল্লাহ আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান ছিলেন।