আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রযুক্তি পল্লীর’ অভাবনীয় সফলতা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ মার্চ 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভার থেকে আসাদুজ্জামান খাইরুল,

সকালের সূর্য ওঠার সাথে সাথে, "স্টাবলিশমেন্ট অফ বিএলআরআই টেকনোলজি ভিলেজ এড রিজিওনাল ষ্টেশন" (Establishment of BLRI Technology Village at Regional Station) প্রকল্পের মাঠ কর্মীরা বেরিয়ে পড়েন প্রান্তিক খামারিদের বাড়িতে বাড়িতে। উদ্দেশ্য প্রান্তিক পর্যায়ের একটি পল্লীর সকল খামারিকে আধুনিকায়ন, সফল ও সাবলম্বী খামারি হিসেবে গড়ে তোলা। মডেল একটি গ্রাম তৈরি করা যেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর প্রান্তিক খামারিরাও উপকৃত হবেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের এই কর্মসূচির নাম "প্রযুক্তিপল্লী" বা "টেকনোলজি ভিলেজ" নামে পরিচিত। প্রথম পর্যায়ে ২০১৮ সালের জুন মাসে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামকে এই প্রজেক্টের আওতায় এনে, সফল প্রযুক্তি পল্লীতে রূপান্তর করছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। অল্প কিছুদিনের মধ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে, দেশের পাঁচটি জেলার একটি করে গ্রামকে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনজন ডিভিশনাল ফিল্ড অফিসারের আওতায় প্রতিটি গ্রামে দুই থেকে চারজন মাঠকর্মী নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন প্রযুক্তিপল্লী বাস্তবায়নে।


প্রযুক্তি পল্লীতে আধুনিক, দক্ষ ও সফল খামারি তৈরীতে সকল ধরনের সহযোগিতা করে থাকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। খামারিদের পশু পালনে নানাবিধ সহায়তার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে ভিটামিন ও কৃমিনাশক, খুড়ারোগ, লাম্পি স্কিন ডিজিজ, পিপিআর, রানীক্ষেত, ডাগপ্লে ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি চলমান আছে। এছাড়াও খামারীদের স্বাবলম্বী করতে গরু, ছাগল, মুরগি বিনামূল্যে প্রদান ও গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি খামারিদের পশু লালন পালন ও ভ্যাকসিন দেয়ার প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মাঠকর্মীরা।


এতে বিভিন্ন জেলায় সফল খামারির সংখ্যা যেমন বাড়ছে, তেমনি অসচ্ছল পরিবারগুলো স্বচ্ছলতায় ফিরতে খামারি হয়ে উঠছে । বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নেয়া এই উদ্যোগ, জনসাধারণ ও পল্লী এলাকার প্রান্তিক খামারিরা আশার আলো হিসেবে দেখছেন। এমনটাই মনে করছেন সচেতন মহল।

ঢাকা জেলার ধামরাই শরিফবাগ গ্রামের, সফল প্রযুক্তি পল্লীর, খামারি সনিয়া আক্তার, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পক্ষ থেকে তিনটি বিনামূল্যে ছাগল নিয়ে শুরু করে তার খামার। ছয় মাসের ব্যবধানে ২০টি ছাগল হয়েছে তার। পাশাপাশি ছাগল মোটা তাজা করনে পিলেট খাদ্য তৈরি ও ভ্যাকসিন দেয়ার প্রশিক্ষণ নিয়ে, একজন সফল খামারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সে। তার দেখাদেখি গ্রামের অন্যান্য অসচ্ছল পরিবারগুলো খামারি হয়ে উঠছেন। এতে পাল্টে যাচ্ছে এই গ্রামের দারিদ্রতার চিত্র।

অপর আরেক সফল গরু খামারি আরহাম এগ্রো ফার্মের মালিক, মহসিন মিয়ার দাবি গরুর রোগ বালাই মুক্ত করণে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচির আওতায় এসে খামারকে করেছেন রোগ মুক্ত ।

একই গ্রামে দশ বছর ধরে গরু মোটাতাজাকরণ করে আসছেন খামারি আরিফুর রহমান। তিনি বলেন শুরুর দিকটা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জিং ও ভীতিকর। যখন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় আমাদের গ্রাম এসেছে, তখন থেকে আমার খামার ব্যবসার ভীতিকর পরিস্থিতি থেকে মুক্ত হয়েছি। কারণ এখন আমি নিজে গরু মোটাতাজাকরণে আধুনিক পদ্ধতি, ভ্যাকসিনেশন ও পশুর রোগ বালাই সম্পর্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। এটা বর্তমান সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের, খামারিদের জন্য নেয়া যুগান্তকারী পদক্ষেপের ফলাফল।

প্রযুক্তি পল্লীর ভেড়া খামারি রেজিনা আক্তার জানান গ্রামের অন্যান্য মহিলাদের ধীরে ধীরে সফল খামারি হতে দেখে আমি স্বাবলম্বী হতে ভেড়া পালনের উদ্যোগ নেই। সরকারের প্রযুক্তি পল্লীর কর্মসূচি দেখে আমি সাহস করি। বিএলআরআই এর ফিল্ড অফিসার বোরহান ভাইকে আমার উদ্যোগের কথা জানালে সার্বিক সহযোগিতা করেন তিনি আমাকে। ভেড়া পালনের উপর ছোট ছোট ট্রেনিং ও বিভিন্ন রোগবালয়ের ঔষধপত্র দিয়ে সহযোগিতা করেছেন আমাকে। এখন আল্লাহর রহমতে আমার সচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

প্রযুক্তি পল্লী প্রকল্পের ডিভিশনাল ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট তরিকুল ইসলাম বলেন, এভাবে বাংলাদেশের ছয়টি জেলায় কার্যক্রম শুরু করেছে মৎস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। আমরা চলতি মাসে ধামরাই উপজেলার প্রযুক্তি পল্লীতে ৫ শত গরু ৬ শত ছাগল ২ হাজার মুরগি ৩শত ভ্যাড়া ভ্যাকসিনেশন সম্পূর্ণ করেছি। অন্যান্য জেলাগুলোতে কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

আরেক ডিভিশনাল ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট বোরহান উদ্দিন বলেন আমরা ঢাকা জেলাকে একটি সফল প্রযুক্তিপল্লী উপহার দিতে পেরেছি । যখন কৃষকের সফলতা ও আনন্দ দেখতে পাই তখন সকল পরিশ্রম সার্থক মনে হয়। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা ও গ্রাম থেকে খামারি ও বিভিন্ন এনজিও এসেছেন আমাদের সফল প্রযুক্তিপল্লী শরীফবাগ গ্রাম পরিদর্শনে । এখান থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে অন্যান্য গ্রামেও ছড়িয়ে পড়ছে প্রযুক্তি পল্লীর বিভিন্ন সফলতা।

বিএলআরআই টেকনোলজি ভিলেজ এড স্টেশন রিজিওনাল ষ্টেশন (Establishment of BLRI Technology Village at Regional Station) প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ফার্নিং সিস্টেম রিসার্চ ডিভিশনের বিভাগীয় প্রধান ডঃ রাজিয়া খাতুন বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় প্রান্তিক পর্যায়ে খামারিদের আধুনিকায়ন ও সফল খামারি হিসেবে গড়ে তুলতে কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা প্রযুক্তি পল্লীর কর্মসূচিতে জনসাধারণ ও প্রান্তিক খামারিদের ব্যাপক সারা ও উদ্দীপনা পেয়েছি। প্রথম পর্যায়ে ধামরাই উপজেলার শরীফবাগ গ্রামে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় এনে কার্যক্রম শুরু করি।

এখানে ৩৫০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের খামারীদের সফল আধুনিক খামারি করণে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রাম ও অনুদান দিয়েছি। নিয়মিত কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে খামারিদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করেছি। পল্লী এলাকার খামারিদের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে এই কর্মসূচি ফরিদপুর, রাজশাহী, সিরাজগ, যশর, চট্টগ্রামে নতুন করে একটি করে গ্রামকে প্রযুক্তি পল্লীর আওতায় এনে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ এল আর ডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট) এর মাধ্যমে আমাদের প্রযুক্তিপল্লীর সফল কর্মসূচি গুলো দেশের অন্যান্য পল্লী এলাকায় ছড়িয়ে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই ২০ মার্চ (সোমবার) থেকে ২২ মার্চ (বুধবার ) পর্যন্ত এ এল আরডি(অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম এন্ড ডেভেলপমেন্ট) তথা জাতীয় নীতি অ্যাডভোকেসি কৃষি সংস্কার, প্রচার, শক্তিশালীকরণ এবং নেটওয়ার্কিং সংস্থার সঙ্গে কর্মশালা চলবে।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর
আচমকা অবসরে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




দ্রুত সময়ের মধ্যে মুজিবনগরে স্থলবন্দর হবে : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

ঐতিহাসিক মুজিবনগরে স্থলবন্দরের কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দরের জন্য আমাদের এপারে যেমনি সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ওই দিকেও (ভারতের অংশে) সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মুজিবনগর দিবসের অনুষ্ঠানে ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী বলেন, একটি স্থলবন্দর হতে গেলে দুই অংশের (বাংলাদেশ-ভারত) রাস্তাঘাট ঠিক করতে হয়। সেক্ষেত্রে আমরাও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমরা মুজিবনগর-দর্শনা সড়কটি প্রশস্ত করেছি। এখান থেকে অন্যান্য সংযোগ সড়কগুলোর ডিপিপি কার্যক্রম চলমান আছে।

স্থলবন্দরের জন্য দুদেশেরই কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিপাক্ষিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে শিগগিরই স্থলবন্দর চালু হবে।

এর আগে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর জলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন। এরপর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেন তিনি।


আরও খবর



ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদত পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে  গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড মিরা।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।

শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব।  তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই  নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। এ ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭২৮-৩২৫১৫০ নম্বরে। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।


আরও খবর



জাবিতে ছিনতাইয়ে অভিযুক্ত তিন শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় অভিযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান, একই ব্যাচের পরিসংখ্যান ও উপাত্ত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান নাজিজ এবং এহসানুর রহমান রাফি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শৃঙ্খলা কমিটির (ডিসিপ্লিনারি বোর্ড) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক প্রক্টর ও ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের সদস্য সচিব অধ্যাপক আলমগীর কবির

অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন, এ ঘটনায় আল বেরুনী হল প্রাধ্যক্ষ শিকদার মোঃ জুলকারনাইনকে সভাপতি ও নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা মো. রাসেল মিয়াকে সদস্য সচিব করে করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন- প্রীতিলতা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জহিরুল ইসলাম খন্দকার, সুফিয়া কামাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক কে এম আক্কাস আলী।

এর আগে, গত ২০ মার্চ (বুধবার) জাবিতে ঘুরতে আসা চার বহিরাগতকে আটকে ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ তিন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।


আরও খবর
ফের মাউশির ডিজি হলেন অধ্যাপক নেহাল

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




রিজার্ভ বাড়ল ৫১ কোটি ডলার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পালে ভর করে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ গত এক সপ্তাহে বেশ খানিকটা বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে নিট রিজার্ভ বেড়েছে ৫০ কোটি ৯৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে রিজার্ভের এ হিসাব তুলে ধরা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী বর্তমানে নিট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৯৯৬ কোটি ৫৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে আগে তা ছিল এক হাজার ৯৪৫ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ডলার।

গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ঝোড়ো বাতাস বইছিল। যে হারে রিজার্ভ কমছিল, সে হারে বাড়ছিল না। ফলে ক্রমাগত কমছিল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। গত দুই মাস ধরে সে অবস্থার কিছুটা উন্নতি শুরু হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার সঙ্গে সঙ্গে আবার তা পূরণ হয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এক সপ্তাহে প্রায় ৫১ কোটি ডলার বাড়ল।

নিট রিজার্ভের পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ মোট রিজার্ভও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সর্বশেষ মোট রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলারে। এক সপ্তাহ আগে ছিল দুই হাজার ৪৮১ কোটি ১৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। এক সপ্তাহে বাড়ল ৪৮ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার।

গত মার্চ মাস শেষে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী নিট বা প্রকৃত রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার যে ঋণ দিয়েছে, তার শর্ত অনুযায়ী মার্চ শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রকৃত (নিট) রিজার্ভ থাকার কথা ছিল ১৯ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু প্রকৃত রিজার্ভ ছিল ১৫ বিলিয়ন ডলারের মতো।


আরও খবর