পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডাকবাংলোয় মঠবাড়িয়ায় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে পৌরসভাসহ উপজেলার সকল খাল দখল মুক্ত করতে স্থানীয় সকল ক্লাবের পত্রিকায় কর্মরত প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদের সামনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক কমিটির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুল হক খান মজনু।
এ সময় তিনি বলেন, এক সময় মঠবাড়িয়ার প্রতিটি খাল ছিল স্বাধীন, পরাধীনতার ছোবল থেকে শতভাগ নিরাপদ। মাঝিরা মনের সুখে রাতের কলরবে আনন্দ মুখর পরিবেশে তাদের হৃদয় নিংরিত সুরের লহড়ীতে গান গেয়ে মনের ভাব প্রকাশ করত। আর কখন যে, তার গন্তব্যে পৌঁছে যেত সে কথা ভাবা যেন আজ দু:স্বপ্নের মত। উপজেলার প্রতিটি খালের দুধারে ক্ষমতাসীনদের লেভেল লাগিয়ে এক শ্রেণির দখল বাজরা গায়ের জোরে জেলা পরিষদ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমিতে অনুমোদন বিহীন দেদারছে পাকা ও আধা পাকা ঘর নির্মাণ করছেন। বর্তমানে খাল দখলের এক মগের মুল্লুক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানাগেছে, ঘুরে ফিরে একটি চক্রই এ কাজে জড়িত। যে কারণে দিন দিন তার নাব্যতা হারিয়ে খালগুলো প্রায় অস্তিত্ব বিলিনের পথে। বিশেষ করে পৌর শহর দক্ষিণ বন্দরের তিন খালের মোহনাটি দখল প্রতিযোগীতায় সংকোচিত হয়ে ড্রেনের চেহারায় রূপ নিয়েছেন। এক কালের নাব্যতায় পরিপুর্ণ খালটি অস্তিত্ব খুবলে খেয়েছে অধিকাংশ ক্ষমতাসীন, কতিপয় বিএনপি নেতা সুশিল নামধারি ব্যক্তিত্ব ও সুবিধাবাদী গণমাধ্যম কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে পৌরবাসির কাছে বিশের নর্ধমা ও যানজটের সুঁতিকাগার হয়ে আছে স্লুইসগেট। রাস্তার দুধারে পৌর মেয়র রফিউদ্দিন আহমেদ ফেরদৌস তিনি তার নিজের নামে ৪টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। যে কারণে এক কালের প্রশস্থ খালটি সংকুচিত হয়ে যায়। নামে মাত্র পানি নিস্কাশনের জন্য একটি অপরিকল্পিত স্লুইসগেট করলেও সেখানে সামান্য পানি ওঠা নামা করে যা প্রয়োজন মাফিক অপ্রতুল। তদারকির অভাবে খালের সকল বর্জ্যলো তার প্রবেশ মুখে প্রায়ই ভীড় করে থাকে। যা পৌরসভা কর্তৃক অপসারণের কোন উদ্যোগ নেই। যে কারণে একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। নাগরিক কমিটি সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন সংকীর্ণ স্লুইসগেট ও খালের দুপাশের সকল অবৈধ স্থাপনা অতিদ্রুত অপসারণের দাবী জানান। এ কর্মসূচীকে আরো বেগবান করতে প্রয়োজনে তারা আগামীতে মানববন্ধন কর্মসূচী সহ বরিশাল বিভাগীয় নদী খাল রক্ষা আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম জালাল, মঠবাড়িয়া নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও মিরুখালী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান প্রমূখ।