আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

মঠবাড়িয়ায় বিউটিশিয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী ও ছেলে আটক

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৮ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মনিরুল ইসলাম, মঠবাড়িয়া:

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক বিউটিশিয়ানের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওই বিউটিয়ানের নাম শাম্মী আক্তার (৪০) বলে জানা গেছে। শাম্মী আক্তার দুই সন্তানের জননী ও ব্যবসায়ী শেখ সিরাজুল সালেকিনের স্ত্রী।

পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শাম্মী আক্তার পাশ্ববর্তী শরণখোলা উপজেলার রাজাপুর গ্রামে থেকে মঠবাড়িয়ায় এস.কে.এম লতীফ সুপার মাকের্টে দ্বিতীয় তলায় দশ বছর ধরে শাম্মী বিউটি পার্লার নামের একটি পার্লারের ব্যবসা করে আসছিলেন। শাম্মী আক্তার দুটি বিবাহ করেন। প্রথম স্বামী মারা যাওয়ার পর সেই সংসারে দুই সন্তান নিয়ে থানাপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। দুই বছর আগে তিনি আবার দ্বিতীয় বিবাহ করেন। সোমবার ছিল তাদের দ্বিতীয় সংসারের বিবাহ বার্ষিকী। সে উপলক্ষে স্বামী সালেকিন ঢাকা থেকে মঠবাড়িয়ায় আসেন। গতকাল রোববার রাতে তিনি স্বামীকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সোমবার ভোরে স্বামী সালেকিন স্ত্রী শাম্মীকে বিছানায় অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকতে দেখে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাম্মীকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মুহা. নুরুল ইসলাম বাদল জানান, মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় ওই বিউটিশিয়ান নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য জানা যাবে। ওই নারীর স্বামী শেখ সিরাজুল সালেকিন ও পুত্র সাইমকে জিজ্ঞাসা বাদের জন্য আটক করা হয়েছে। 

নিউজ ট্যাগ: পিরোজপুর

আরও খবর



শুক্রবার নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে বিএনপি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি পাচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

আগামীকাল শুক্রবার (১০ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। তবে বিএনপিকে মানতে হবে কিছু শর্ত।

সমাবেশের অনুমতি নিতে বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কার্যালয়ে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির তিন নেতা। তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এবং সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু।

প্রায় পৌনে একঘণ্টা পর বাইরে বেরিয়ে এসে শুক্রবারের (১০ মে) সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ বলে জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা আগেই এই সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। তবে তাপপ্রবাহের কারণে সেটি পিছিয়ে আগামীকাল শুক্রবার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে এ সমাবেশ ও মিছিল করা হবে।

সমাবেশের ব্যাপারে পুলিশের মনোভাব পজিটিভ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তারা বলেছেন, আজ বিকেলের মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবেন। যেহেতু শুক্রবার ট্রাফিক সংক্রান্ত কোনো ইস্যু নেই, তাই আমরা প্রত্যাশা করছি তাদের সহযোগিতা পাব।

বিএনপি শুক্রবার সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কখনো বাধা দিই না। রাজনৈতিক দলগুলো রাজনৈতিক কর্মসূচি করবে এটিই স্বাভাবিক। তবে সেই রাজনৈতিক কর্মসূচি যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করে সেজন্য আমরা কিছু শর্ত আরোপ করে থাকি।

খ. মহিদ বলেন, বিএনপিকে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি যাতে না হয় সে ব্যাপারে বলা হয়েছে। তাদের সমাবেশের অনুমতির বিষয়টি ডিএমপি ইতিবাচকভাবে দেখছে।

জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করা, রাস্তার একপাশে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখাসহ কিছু শর্তসাপেক্ষে সমাবেশের অনুমতি পাবে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি: রিজভী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনে এখনো আমরা রয়েছি। আমাদের লক্ষ্যে এখনো আমরা পৌঁছাতে পারিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাত থানার কারা-নির্যাতিত নেতাকর্মীদের সম্মানে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে বা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আঘাতে আমাদের ২০ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন গত আড়াই মাসে। পঙ্গু হয়েছেন অনেকেই, কারও পা চলে গেছে, কারও হাত চলে গেছে আর কারও পৃথিবীর আলো চলে গেছেদুই চোখ অন্ধ হয়ে গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া গুলিতে আজকে অনেক নেতাকর্মী অন্ধ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ঈর্ষা থেকে হুমকি দিচ্ছেন উল্লেখ করে বিএনপির এ শীর্ষ নেতা বলেন, ওবায়দুল কাদের এখন বলছেন, এবার আমরা বিএনপিসহ সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধ করব। লজ্জা করল না বলতে? পৃথিবী মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকরতম সাম্প্রদায়িক শক্তি এখন পার্শ্ববর্তী দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে। সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি, যারা ভারতে রাষ্ট্র পরিচালনা করছে, একমাত্র তারাই আপনাদের সমর্থন জানিয়েছে।

এত বড় সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সখ্যতা মন্তব্য করে রিজভী বলেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের বন্ধুত্ব। আপনাদের মন্ত্রী বলেছেন, তাদের সঙ্গে আপনাদের নাকি স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। আর আপনারা বলেন, সাম্প্রদায়িক শক্তিকে নাকি তাড়াবেন।


আরও খবর



টিপু-প্রীতি হত্যা: আ.লীগ নেতাসহ ৩৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শাহজাহানপুরে মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৩৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের আদালত এই আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ২১ মে সাক্ষ্যগ্রহণ পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. রফিক উদ্দীন (বাচ্চু) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত ২৫ এপ্রিল মামলায় দায়ে অব্যাহতির আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। এরপর আদালত ২৯ এপ্রিল অভিযোগ গঠন বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন।

মামলার আসামিরা হলেন কথিত শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহম্মেদ মন্টু, ফ্রিডম মানিক ওরফে জাফর, প্রধান সমন্বয়কারী সুমন সিকদার মুসা, শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ, শামীম হোসাইন, তৌফিক হাসান ওরফে বিডি বাবু, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মারুফ রেজা সাগর, ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুর রহমান ওরফে ঘাতক সোহেল, মতিঝিল থানা জাতীয় পার্টির নেতা জুবের আলম খান রবিন, হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক সোহেল শাহরিয়ার, মাহবুবুর রহমান টিটু, নাসির উদ্দিন মানিক, মশিউর রহমান ইকরাম, ইয়াসির আরাফাত সৈকত, আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান, সেকান্দার শিকদার আকাশ, মতিঝিল থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম মাতবর, আবু সালেহ শিকদার, কিলার নাসির, ওমর ফারুক, মোহাম্মদ মারুফ খান, ইশতিয়াক আহম্মেদ জিতু, ইমরান হোসেন জিতু, রাকিবুর রহমান রাকিব, মোরশেদুল আলম পলাশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ তালুকদার, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মারুফ আহমেদ মনসুর, রিফাত হোসেন, সোহেল রানা, ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক নেতা আমিনুল, সামসুল হায়দার উচ্ছল ও ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান বাবুল।

২০২৩ সালের ৫ জুন ৩৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ইয়াসিন শিকদার।

২০২২ সালের ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শোরুমের সামনে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় গাড়ির পাশে রিকশায় থাকা সামিয়া আফরান প্রীতিও নিহত হন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ হন টিপুর গাড়িচালক মুন্না।

এ হত্যাকাণ্ডের পর ওইদিন রাতেই শাহজাহানপুর থানায় নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়।


আরও খবর



হবিগঞ্জে হাওরে ধান কাটা শেষের পর সরকারিভাবে সংগ্রহ শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জে শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান। তবে হাওরের প্রায় ৯৯ শতাংশ ধান কাটা-মাড়াই শেষ হওয়ার পর অভিযান শুরু হওয়ায় লক্ষমাত্রা অর্জন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা বলছেন, ধান সংগ্রহে সরকারের কালক্ষেপণের কারণে কৃষকরা যেমন সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন, তেমনি দৌড়াত্ব বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বোরো মৌসুমে ৩২ টাকা কেজি (১২৮০ টাকা) দরে ধান, ৪৫ টাকায় সিদ্ধ চাল এবং ৪৪ টাকায় আতপ চাল কিনবে সরকার। সেই হিসেবে হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা থেকে ১৪ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ধান ৪ হাজার ১৬৬ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ১৪ হাজার ৯৬৬ মেট্রিক টন সেদ্ধচাল কেনার লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। তবে জুনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ অর্জনের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। এদিকে, কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, পুরো জেলায় সার্বিকভাবে ধান কাটা শেষ হয়েছে ৮০ শতাংশ। হাওরের কাটা ও মাড়াই শেষ হয়েছে প্রায় ৯৯ শতাংশ।

কৃষকরা বলছেন, জেলায় সবচেয়ে বেশি ধান উৎপাদন হয় হাওরে। সেই ক্ষেত্রে হাওরের ধান কাটা-মাড়াই শেষে কৃষক কম দামে পাইকার ও ফড়িয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। বাকি ধান বছরের খাবার জন্য গোলায় তুলছেন। এরপর ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হওয়ায় হাওরের কৃষকরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকবেন। একই সাথে বাড়বে মধ্যসত্বভোগীদের দৌড়াত্ব।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা এলাকার কৃষক সুমন মিয়া বলেন, সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করেছে ১২৮০ টাকা মণ। আর আমরা পাইকারের কাছে বিক্রি করছি ৭৭০ টাকা মণ। অনেক অপেক্ষা করছি কখন সরকার ধান কিনবে। আমরা ঋণ পরিশোধ করতে ধান কেটে বিক্রি করে ফেলেছি। এখন সরকার ধান কিনলেও আমাদের কোন লাভ নেই।

একই এলাকার কৃষক আনুয়ার মিয়া বলেন, একেতো সরকার ধান কিনতে দেরি করে ফেলছে। তার উপর আবার মাত্র ১২৮০ টাকায় ধান কিনছে। সরকারকে ধান দিতে হলে ট্রাক ভরে খাদ্য গুদামে নিয়ে যেতে হয়। যে কয়টা টাকা লাভ হওয়ার কথা, সেটি গাড়ি ভাড়া আর শ্রমিকের মজুরিতেই চলে যাবে। এরপর দেখা যাবে খাদ্য কর্মকর্তা বলতেছেন, ধান পরিস্কার না, ভালোভাবে শুকানো হইছে না। নানা অজুহাত।

এ ব্যাপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা বলেন, অন্য বছর কৃষকরা যে অভিযোগ করেন এবার তা পারবেন না। কারণ এ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে ধান বিক্রি করতে হবে। এছাড়া ধান বিক্রির টাকা কৃষক তার নিজস্ব ব্যাংক একাউন্টে পাবেন।

চলতি বছর জেলা ১ লাখ ২৩ হাজার ৭৩৭ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ৫ লাখ ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।

নিউজ ট্যাগ: হবিগঞ্জ

আরও খবর



প্রেম ও বিয়ে নিয়ে মুখ খুলেছেন ইশা সাহা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের একজন ইশা সাহা। সোয়েটার সিনেমার প্রেমে পড়া বারণ গানটির মাধ্যমে দর্শকের নজর কেড়েছিলেন এই অভিনেত্রী। একের পর সিনেমা এবং ওয়েব কনটেন্টে কাজ করছেন তিনি। এবারে এই অভিনেত্রী প্রেম এবং বিয়ে প্রসঙ্গে কথা বলেছেন একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে।

কিছুটা বিরতি নিয়ে ওয়েবের কাজে ফিরলেন ইশা সাহা। পাশবালিশ নামে একটি সিরিজে অভিনয় করেছেন। সঙ্গে সৌরভ দাস ও সুহোত্র মুখার্জি। আগামীকাল (১০ মে) সিরিজটি মুক্তি পাচ্ছে জি-ফাইভে। এই কাজের সূত্র ধরেই  গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছেন ইশা। 

বছর দুয়েক আগে গুঞ্জন ছড়ায় যে, অভিনেতা ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের সঙ্গে প্রেম করছেন ইশা। এ কারণেই ইন্দ্রনীলের এক যুগের সংসারে ভাঙন ধরছে। সম্পর্ক কি এখনও আছে এই প্রশ্নের জবাবে ইশা বলেন, সম্পর্ক আছে না নেই সেটা দূর থেকে অনুমান করে লোকে। বিনোদন দুনিয়ার মানুষদের কথা বাদ দিন, পাশের বাড়ির কাউকে নিয়েও এই আলোচনা হয়। অনুমান, মুখরোচক আলোচনা ঠিক আছে, কিন্তু আপনি আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে বিবৃতি দিতে পারেন না। বিবৃতি আমি দেবো বা আমার যার সঙ্গে নাম জড়াবে, তিনি দেবেন। আপনি তো তৃতীয় ব্যক্তি।

সম্পর্ক নিয়ে ধোঁয়াশা কাটাননি অভিনেত্রী। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট করে তিনি কিছু বলেন নি। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যার সঙ্গে আমার নাম জড়ানো হয়েছিল, তার সঙ্গে আমার কিছু থাকতেও পারে, আবার না-ও থাকতে পারে। বলার আগে সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে তাদের। আন্দাজে ঢিল ছুড়লে ভিমরুলের কামড় খেতে হবে।

তবে প্রেম ও বিয়ে নিয়ে ইশার মনোভাব স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, এই সময়ে কেউ প্রেম করলে সেটা আর গোপন রাখা সম্ভব হয় না। নিজ থেকে সম্পর্কের কথা সময় নিয়ে, ভেবে-চিন্তে জানাবেন বলেন তিনি। ইশা বলেন, আমি চিরাচরিত চিন্তাধারায় বিশ্বাসী নই। ভালোবাসাটাই মূল বিষয়। সেটা না থাকলে বিয়েটার কোনও দাম নেই। বিয়ে আছে, প্রেম নেই, এ রকম জীবনের কোনও মানে হয় না। বিয়ে টিকিয়ে রেখেছি বলে চিৎকার করে কোনও লাভ নেই।প্রেমটা থাকুক, বিয়ে কোনও এক সময়ে হয়েই যাবে। দুটো সই করার ব্যাপার।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে প্রজাপতি বিস্কুট দিয়ে সিনেমায় অভিষেক হয় ইশার। এরপর তাকে দেখা গেছে গুপ্তধনের সন্ধানে, সোয়েটার, দুর্গেশগড়ের গুপ্তধন সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ওয়েব দুনিয়াতেও সমাদর আছে এই অভিনেত্রীর। 

নিউজ ট্যাগ: ইশা সাহা

আরও খবর