আজঃ মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মৃতদেহ কেটে বানান নেকলেস!

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

২০১৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার করকোরান জেলে জেইম ওসুনা নামে এক বন্দি তাঁর কুঠুরিতে থাকা অন্য এক আবাসিক লুইস রোমেরোকে নির্যাতন ও শিরশ্ছেদ করে খুন করেন। জেলের ভিতরে খুন করা সত্ত্বেও রক্ষীরা ঘুণাক্ষরে এই খুনের কথা টের পাননি।

কিন্তু ওসুনার নৃশংসতার সূত্রপাত হয়েছিল এর অনেক আগে। ২০১১ সালে ছয় সন্তানের মা ৩৭ বছর বয়সি ইভেট পেনাকে খুন করার জন্য ওসুনাকে গ্রেফতার করা হয়। ছবছরেরও বেশি সময় ধরে এই মামলাটি চলে। ২০১৭ সালে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।

স্বঘোষিত শয়তানের উপাসক ওসুনা অনেক দিন ধরে নজরে আসার চেষ্টা করলেও ২০১১ সালে ইভেটকে খুন করার পরই তিনি প্রকৃতপক্ষে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসেন।

১৯৮৮ সালের ৭ মার্চ জন্ম ওসুনার। এক বছর পরে, তাঁর মা এবং বাবার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। এর পর তাঁর মা মিশেল আবার বিয়ে করেন জেফ নামে এক ব্যক্তিকে। ২০০০ সালে মিশেল এবং জেফ মারা যান।

সৎবাবা ছোটবেলা থেকেই ওসুনার উপর নির্যাতন চালাতেন। পাঁচ বছর বয়সে ওসুনার সৎবাবা তাঁকে গাছে বেঁধে মারধর করতেন। ওসুনাকে মারধর করতেন সৎকাকাও।

২০০৮ সালে একটি পার্টিতে জেন নামে এক মহিলার সঙ্গে দেখা হয় ওসুনার। দুবছর ধরে প্রেম করার পর ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা একে অপরকে বিয়ে করেন।

২০১০ সালের অগস্টে স্ত্রীকে মারধর করার জন্য পুলিশ ওসুনাকে গ্রেফতার করে। নমাস জেলে থাকার পর তিনি ছাড়া পান। একই বছরে জেন এবং ওসুনার প্রথম সন্তান জন্ম নেয়।

কিশোর বয়সেই অপরাধ জগতে নাম লেখান ওসুনা। স্থানীয় একটি গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন তিনি। কম বয়স থেকে মাদকাসক্তও হয়ে পড়েছিলেন তিনি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

এর পর থেকে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন অপরাধের জন্য বেশ কয়েক বার জেলে থাকতে হয় ওসুনাকে। এর পর ইভেটকে খুনের অভিযোগে তাঁকে ২০১১ সালে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর ওসুনা দাবি করেন, ইভেটের মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে দেখা হলেও তিনি ইভেটকে খুন করেননি।

ওসুনা আদালতে জোর গলায় বলেন যে, এই খুন তিনি করেননি। এর পর বিচার চলাকালীন তাঁকে দীর্ঘ প্রায় ছবছর জেলে কাটাতে হয়। শুনানি চলাকালীনই নিজের মুখে বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু করান ওসুনা।

২০১৭ সালের মে মাসে ইভেটকে খুন করার জন্য ওসুনাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। সাংবাদিকদের সামনেই বলেন, তিনি মানুষকে নির্যাতন করতে পছন্দ করেন। আবার কী ভাবে খুন করা যায় তার উপায় তিনি খুঁজে বার করবেন বলেও জানান তিনি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় তাঁর।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ওসুনাকে করকোরান জেলে পাঠানো হয়। এই জেলেই তিনি তাঁর জীবনের সব থেকে নৃশংস অপরাধটি করেন। কথা মতো আরও একটি খুন করেন ওসুনা।

করকোরান জেলে ওসুনার পরিচয় হয় লুইস রোমেরো নামে অন্য এক আবাসিকের সঙ্গে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে রোমেরো গ্রেফতার হন। এর পর থেকে দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে তিনি জেলেই দিন কাটাচ্ছিলেন।

কম্পটনে এক মহিলাকে গুলি করে খুন করায় দোষী ছিলেন রোমেরো। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে রোমেরো আগের সংশোধনাগার থেকে করকোরান জেলে পৌঁছন। কারারক্ষীরা তাঁকে এবং ওসুনাকে একই কুঠুরিতে রেখেছিলেন।

ওসুনা এবং রোমেরোকে এক কুঠুরিতে রাখার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রোমেরোকে খুন করে তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে ফেলেন ওসুনা।

রোমেরোকে টুকরো টুকরো করে খুন করতে একটি রেজার-ব্লেড ব্যবহার করেছিলেন ওসুনা। পরে জানা গিয়েছিল, প্রথমে ওসুনা রোমেরার একটি চোখ এবং একটি আঙুল কেটে ফেলেন। এর পর তিনি রোমেরোর পাঁজরের কিছু অংশ এবং তাঁর ফুসফুস কেটে ফেলেন।

এর পর ওই রেজার দিয়ে রোমেরোর মাথাও কেটে ফেলেন ওসুনা। মুখের দুপাশে এমন ভাবে কেটে ফেলেন যাতে রোমেরোকে দেখে মনে হয় যেন তিনি হাসছেন (ব্যাটমান সিনেমায় জোকার চরিত্রের মুখ যে রকম ছিল)।

তবে রোমেরা যে খুন হয়েছেন তা প্রায় এক দিন পর্যন্ত বুঝতে পারেননি কারারক্ষীরা। রক্ষীরা যখন এক দিন পর ওসুনার কুঠুরিতে পৌঁছন, তখন তাঁদের হাড়হিম হয়ে যায়। কারারক্ষীরা দেখেন রোমেরোর দেহ টুকরো টুকরো করা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ থেকে হার বানিয়ে তা গলায় পরে বসে আছেন ওসুনা।

ওসুনা ঠান্ডা গলায় কারারক্ষীদের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করেছিলেন। এর পর থেকেই ওসুনাকে নিয়ে সাবধান হয়ে যান কারারক্ষীরা। তাঁকে একটি আলাদা কুঠুরিতে বন্ধ করে রাখা হয়। অন্য বন্দিদেরও ওই কুঠুরির আশপাশে যাওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কর্তৃপক্ষ। বর্তমানেও করকোরান সংশোধনাগারেই বন্দি রয়েছেন ওসুনা।


আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১১ ইউনিট

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর ফিশারিঘাট এলাকার লইট্যার ঘাট বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রামের উপপরিচালক দিনমণি শর্মা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে ওই বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে আমাদের পাঁচটি স্টেশনের ১১টি ইউনিট গিয়ে অগ্নিনির্বাপণে কাজ করছে। আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

এখন পর্যন্ত আগুনে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেও তিনি জানান।


আরও খবর



প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলায় ভোট ৮ মে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিন ১৫ এপ্রিল এবং ভোটগ্রহণ আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

অশোক কুমার দেবনাথ জানান, আগামী ৮, ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। জামানতের টাকা বাড়িয়ে ও স্বতন্ত্রদের প্রার্থিতা সহজের পর এ নির্বাচন হচ্ছে। এসব উপজেলায় চেয়ারম্যান, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান ও সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের এ সাধারণ নির্বাচন হবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রথম ধাপে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৫ এপ্রিল, বাছাই ১৭ এপ্রিল, প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। ভোট হবে ৮ মে। ইভিএমে ভোট হবে ২২টি উপজেলায় এবং বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের এ নির্বাচন হবে। পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থিতাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, সংশোধিত নির্বাচন পরিচালনা বিধি ও আচরণ বিধি অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে কোনো সমর্থন সূচক তালিকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই; রঙিন পোস্টার ছাপাতে পারবেন প্রার্থীরা। প্রচারণার সময়ও পাচ্ছে বেশি; তবে জামানতের পরিমাণ বেড়েছে এবার।

এর আগে, ১৯৮৫ সালে উপজেলা পরিষদ চালু হওয়ার পর ১৯৯০ ও ২০০৯ সালে একদিনেই ভোট হয়েছিল। ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন ছয়টি ধাপে ও ২০১৯ সালে পাঁচ ধাপে পঞ্চম উপজেলা পরিষদের ভোট হয়। আগের চারটি উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয়ভাবে হলেও আইন সংশোধন হওয়ায় ২০১৭ সালের মার্চে মেয়াদোত্তীর্ণ তিনটি উপজেলায় দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয়েছিল। পরে ২০১৯ সালে দলীয় প্রতীকে পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন হয়।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও বিএনপি পরে নির্দলীয় উপজেলা ভোটে অংশ নিয়েছিল। গেল ১০ বছর ধরে উপজেলা ভোটে দলীয় প্রার্থী দেয়নি দলটি। দলীয় প্রতীকে ভোট হলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিচ্ছে না। আর বিএনপি অংশ নিচ্ছে না এ নির্বাচনে।


আরও খবর



হলমার্কের তানভীর-জেসমিনসহ ৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. তানভীর মাহমুদ ও তার স্ত্রী গ্রুপের চেয়ারম্যান জেসমিন ইসলামসহ ৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি তানভীর মাহমুদ ও জেসমিন ইসলামকে ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী উপমহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসান, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, জেনারেল ম্যানেজার তুষার আহম্মেদ, ম্যাক্স স্পিনিং মিলসের মালিক মীর জাকারিয়া, প্যারাগণ গ্রুপের এমডি সাইফুল ইসলাম রাজা, নকশী নিটের এমডি আব্দুল মালেক এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্সের পরিচালক তসলিম হাসান। যাবজ্জীবন দণ্ডের পাশাপাশি তাদের প্রত্যেককে ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা প্রধান কার্যালয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির, সাবেক জিএম ননী গোপাল নাথ, সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সাবেক জিএম মীর মহিদুর রহমান, ডিএমডি মাইনুল হক, উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. সফিজউদ্দিন আহমেদ, এজিএম কামরুল হাসান খান ও সোনালী ব্যাংক ধানমণ্ডি শাখার জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুন্নেছা মেরীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আর প্রতারণার আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারকে এক ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে।

গত ২৮ জানুয়ারি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায়ের জন্য ২৮ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছিলেন। তবে ওইদিন রায় থেকে মামলাটি উত্তোলন করে আরও দুই জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দুদকের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। পরে গত ১২ মার্চ আদালত দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ম্যাক্স স্পিনিং মিলস নামে ভুয়া কোম্পানির হিসাবে সুতা রপ্তানির নামে ৫২৫ কোটি ৬২ লাখ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের সুতা রপ্তানি করা হয় বলে নথিপত্রে দেখানো হয়। ওই হিসাবে পুরো অর্থ জমা করা হলে তা থেকে ১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা হলমার্কের আরেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান অ্যাপারেল এন্টারপ্রাইজের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়, যা পরে তানভীর ও তার স্ত্রী তুলে নেন।

২০১২ সালের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, পরস্পরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অর্থের অপব্যবহার এবং পাচারের অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক নাজমুচ্ছায়াদাৎ মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান মামলার তদন্তকাজ শেষ করেন বলে জানা গেছে।

২০১৬ সালের ২৭ মার্চ তৎকালীন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ বদলির আদেশ দেন।


আরও খবর



জবির হোস্টেল ছেড়েও রেহাই পাননি অবন্তিকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানের যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন ও সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামের গালমন্দ থেকে রক্ষা পেতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) হোস্টেল ছেড়েছিলেন আত্মহত্যা করা আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ অবন্তিকা।

কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় করা মামলার এজাহারে এমনটিই দাবি করেছেন অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম। এজাহারে দাবি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে থাকা শুরু করলে অবন্তিকার সঙ্গে আম্মান আরও বেশি কুরুচিমূলক আচরণ শুরু করে। এরপরই গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাসায় ফেরত যান।

গতকাল শনিবার রাতে তাহমিনা বেগমের করা মামলায় আসামি করা হয়েছে জবির সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে।

এজাহারে তাহমিনা বেগম উল্লেখ করেছেন, ফাইরুজ অবন্তিকা (২৪) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত ছিল। আমার মেয়ে মেধা তালিকা অনুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে সিট পায়। অবন্তিকা আমাকে জানায় যে, তাঁর ক্লাসমেট রায়হান সিদ্দিক আম্মান বিভিন্ন মাধ্যমে তাঁকে যৌন হয়রানিমূলক নিপীড়ন দেয় ও বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলামকে জানানোর পরও তিনি আম্মানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। এজন্য আমার মেয়ে হোস্টেলে থাকাটা নিরাপদ মনে না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে ছাত্রীদের মেসে থাকা শুরু করে।

কিন্তু তাতেও অভিযুক্ত দুজন ক্ষান্ত হননি। তারা অবন্তিকার কয়েকজন ক্লাসমেটের মাধ্যমে তাঁর চলা ফেরার প্রতি নজর রাখতে শুরু করে। তাদের মাধ্যমেও আমার মেয়েকে বিভিন্ন মাধ্যমে মানসিক নিপীড়ন দিতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৪ মার্চ অবন্তিকা কুমিল্লার বাসায় চলে আসে। অন্যমনস্ক অবন্তিকা আমাকে জানায়, যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ছেড়ে মেসে উঠেছিল সে সমস্যা আরও প্রকট হয়েছে। অর্থাৎ বিবাদী রায়হান সিদ্দিক আম্মান আগের চেয়ে আরও বেশি পরিমাণে আমার মেয়ের সঙ্গে যৌন হয়রানিমূলক কুরুচিপূর্ণ আচরণ করছে।

তাহমিনা বেগম দাবি করেন, সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম আম্মানের পক্ষ নিয়ে আমার মেয়েকে ৬ থেকে ৭ বার অফিসে ডেকে অপদস্থ করেন। মেয়ে কুমিল্লা চলে আসলেও তাঁকে খারাপ মেয়ে হিসেবে প্রচার করবে, যেন আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। এসব কারণে আমার মেয়ে কুমিল্লা নগরীর বাঁগিচাগাও বাসায় গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বলেন, নিহত অবন্তিকার মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান সিদ্দিক আম্মানকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা করেন। পুলিশ মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।


আরও খবর



আজ খুলছে সরকারি অফিস

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতর ও পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) খুলছে সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া রোজার ঈদের চার দিন এবং পহেলা বৈশাখের একদিনসহ মোট পাঁচ দিনের ছুটি শুরুর আগে শেষ কর্মদিবস ছিল ৯ এপ্রিল।

আজ থেকে আগের নিয়মে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অর্থাৎ সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে সরকারি অফিস-আদালত।

এবার রমজান মাস ৩০ দিন ধরে ১১ এপ্রিল ঈদুল ফিতরের তারিখ নির্ধারণ করে ছুটির তালিকা করেছে সরকার। এ ক্ষেত্রে ১০ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ঈদের ছুটি ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের ছুটি ছিল।


আরও খবর