আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

মরক্কোর কাছে হেরেই গেল ব্রাজিল

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপে বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালের মতো দলকে ধরাশায়ী করা মরক্কো এবার ব্রাজিলকে হারালো। শনিবার ঘরের মাঠে প্রীতি ম্যাচে তারা পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতলো।

টাঙ্গিয়েরের ইবনে বতুতা স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধের খেলা শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল ব্রাজিল। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরালেও হার এড়াতে পারেনি তারা। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে ইতিহাস গড়া মরক্কো এই প্রথমবার ব্রাজিলকে হারালো।

২৯ মিনিটে সোফিয়ান্নে বৌফলে করেন গোল। বিলাল এল খানোসের অ্যাসিস্টে বক্সের সেন্টার থেকে ডানপায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। মরক্কোর গোলদাতা পরে আরও দুইবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন সতীর্থকে দিয়ে। কিন্তু হাকিম জিয়েখ ও আজেদিন আউনাহির প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

প্রথমার্ধে ব্রাজিল চারটি শটের মধ্যে দুটি লক্ষ্যে রাখলেও পায়নি গোলের দেখা। আর মরক্কো পাঁচটি শটের মধ্যে একটি লক্ষ্যে রেখে তাতে গোল পেয়েছে।

২৪ মিনিটে রনির বাঁ পায়ের শট ডানদিকে ঠেকান ইয়াসিন বোনো। এরপর আন্দ্রে সান্তোসকেও রুখে দেন স্বাগতিক দলের কিপার।

১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধে কাসেমিরো গোল করে ব্রাজিলকে সমতায় ফেরান। কিন্তু ফের মরক্কো এগিয়ে যায়। ৭৯ মিনিটে আব্দুলহামেদ সাবিরি করেন গোল।

নিউজ ট্যাগ: ব্রাজিল মরক্কো

আরও খবর



বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ ক্রমশ ভূমিকম্পপ্রবণ হয়ে উঠেছে। মাঝেমধ্যেই ছোট ও মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে দেশ। এসব ভূমিকম্পে তেমন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বড় মাত্রার ভূমিকম্পে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাম্প্রতিককালে বড় মাত্রার ভূমিকম্প না হলেও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশ।

কিন্তু ভূমিকম্পের তেমন কোনো পূর্বাভাসের ব্যবস্থা নেই। গত ৯ দিনে তিন বার আর পাঁচ মাসে সাত বার ছোট থেকে মাঝারি আকারের যে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে, তার মধ্যে প্রায় প্রতিটিরই উৎপত্তিস্থল ছিল দেশের সীমানার ভেতর বা আশপাশে। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের পরস্পরমুখী গতির কারণেই ঘন ঘন এ ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে। এ দুটি প্লেটের সংযোগস্থলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমে রয়েছে, যেগুলো বের হয়ে আসার পথ খুঁজছে। আগে হোক বা পরে, এই শক্তি বেরিয়ে আসবেই। আর সেটাই জানান দিচ্ছে এই ছোট ভূমিকম্পগুলো। এ ধরনের ছোট ছোট ভূমিকম্প বড় আকারের ভূমিকম্পের পূর্বাভাস।  

ভূমিকম্পের এমন ঝুঁকি থাকলেও মোকাবিলার প্রস্তুতি অনেকটাই কম। বহু পুরোনো ভবন, অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণ, ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অনুসরণ না করা ভূমিকম্প ঝুঁকি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশকে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ছোট ও মাঝারি ভূকম্পনে বড় শক্তি বের হওয়ার একটা প্রবণতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার মানে, যে কোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। তবে এই বড় ভূমিকম্প কবে হবে, সেটা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। 

আরও পড়ুন>> আজ থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাউবি) বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়া একটি বড় ভূমিকম্প সৃষ্টির লক্ষণ। আমাদের জরুরি ভিত্তিতে সিলেটসহ দেশের প্রধান শহরগুলোতে ভূমিকম্পের সময়ে কী করতে হবে, তার মহড়া দেওয়া শুরু করতে হবে। ভূমিকম্প মোকাবিলার প্রস্তুতি ও মহড়াকে নিয়মিত চর্চার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে।

উল্লেখ্য, গতকাল রবিবার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে ঢাকা ও এর উত্তরের কয়েকটি জেলায় হালকা ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ২, যা মাত্রা অনুযায়ী হালকা ভূমিকম্প হিসেবে ধরা হয়। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৫৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে টাঙ্গাইলে। এ নিয়ে গত ৯ দিনে তিন বার দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হলো। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর সিলেট এলাকায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়, যার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-মিয়ানমার সীমান্ত। তার আগে ৯ সেপ্টেম্বর আরেকটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তার উৎপত্তিস্থল ছিল ভারতের আসামের কাছাড় এলাকা। গত আগস্ট মাসে দুই দফায় বাংলাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর মধ্যে একটি হয় ২৯ আগস্ট। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেট। এর আগে ১৪ আগস্ট আরেক বার ভূমিকম্প হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়। তার আগে গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪৯ মিনিটের দিকে একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ঐ ভূমিকম্পে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা কেঁপে ওঠে। মাত্রা রিখটার স্কেলে ছিল ৫ দশমিক ৫, যা মাঝারি মাত্রার একটি ভূমিকম্প। আর এর উৎপত্তিস্থল ছিল বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সিলেটের কানাইঘাট এলাকায়। গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। গত ১৬ জুন রাজধানীসহ সারা দেশে ৪ দশমিক ৫ মাত্রার মৃদু ভূমিকম্প হয়। এর উৎপত্তিস্থল ছিল সিলেটের গোলাপগঞ্জ। চলতি বছরের ৫ মে আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৩। উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকার কাছে বিক্রমপুরের দোহার থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে। এটিরও গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার। জাতিসংঘ বলছে, পৃথিবীর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে ঢাকা একটি। এছাড়া বাংলাদেশ পৃথিবীর ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত বিধায় প্রাচীনকাল থেকে এ দেশে মাঝে মধ্যে ভূমিকম্প সংঘটিত হয়। উপরন্তু হিমালয় রেঞ্জ হচ্ছে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল। যদিও সৌভাগ্যক্রমে বাংলাদেশের জনগণ শক্তিশালী ভূমিকম্পের মুখোমুখি হয়নি। গবেষকরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা। ইন্ডিয়ান, ইউরোপিয়ান এবং বার্মিজএ তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। আর এগুলোর মধ্যে সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রাম সীমান্তের ভূঅভ্যন্তরে যে শক্তি সঞ্চিত হয়েছে তা বড় মাত্রার ভূমিকম্পের কারণ হতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশে ভূমিকম্পের সাম্প্রতিক আচরণ পর্যবেক্ষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, দেশে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প বেশি হচ্ছে। গত কয়েক বছরে মানিকগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, চট্টগ্রাম, মহেশখালী, রাঙ্গামাটিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এসব লক্ষণ দেখে ভবিষ্যতে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনায় (২০২১-২০২৫) বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যদি বড় মাত্রার ভূমিকম্প হয়, তাহলে সারা দেশে ৬ কোটি ১২ লাখ মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে। ১১ লাখ ৯ হাজার পাকা ভবন, ২১ লাখ ১৪ হাজার সেমিপাকা স্থাপনা, ৪০২টি খাদ্যগুদাম, ১৪টি গ্যাস ফিল্ড, ১৯৫টি হাসপাতাল। ১ হাজার আটটি কল্যাণকেন্দ্র, ২ হাজার ৮০০ উচ্চবিদ্যালয়, ১ হাজার ৯০০ মাদ্রাসা, ১৫ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬ হাজার ৮০০ পুলিশ স্টেশন, ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার জাতীয় মহাসড়ক, ৭ হাজার ৪০০ কিলোমিটার স্থানীয় সড়ক, ২০ হাজার ব্রিজ, ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশে যে ভূমিকম্প মোকাবিলায় প্রস্তুতির অভাব রয়েছে তা-ও স্বীকার করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> ১৪ অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির আভাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, পার্বত্য সীমান্ত আর সিলেট অঞ্চলের ভূ-অভ্যন্তরে ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সৃষ্টির মতো শক্তি সঞ্চিত হয়ে আছে। যেখানে ভূমিকম্প হলে সিলেট, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহসহ জনবহুল শহরগুলোতে বড় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। বাংলাদেশ ৮ দশমিক ৩ থেকে ৮ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি রোধে গৃহনির্মাণের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে বিল্ডিং কোড অনুসরণ করতে হবে। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য ঝুঁকি প্রশমনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও সামাজিক সচেতনতা গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হলে ৭২ হাজার ভবন তাত্ক্ষণিকভাবে ধসে পড়বে। এতে ব্যাপক প্রাণহানি ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেন্ট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জিল্লর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের ঝুঁকিপ্রবণ অঞ্চলে রয়েছে। অতীতে বড় ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশ ও আশপাশে হয়েছে। তাই ভবিষ্যতে বাংলাদেশে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। এটা কিন্তু হবে। বাংলাদেশের আশপাশে ভূমিকম্পের ইপি সেন্টার বা কেন্দ্র আছে। এ কারণে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে আছে বাংলাদেশ। তবে এটা কবে হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৭ মাত্রার মতো বড় ভূমিকম্প হয়েছে মানিকগঞ্জে ১৮৮৫ সালে। এটার নাম ছিল বেঙ্গল আর্থকোয়াক। আরেকটা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৯১৮ সালে, এটার নাম শ্রীমঙ্গল আর্থকোয়াক। শ্রীমঙ্গল আর্থকোয়াকের উৎপত্তিস্থলের আশপাশে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ১৮৮৫ সালের ভূমিকম্পে টাঙ্গাইল, শেরপুর, সিরাজগঞ্জ, ময়মনসিংহ শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। তবে ঐ ভূমিকম্পে ঢাকা শহরের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।


আরও খবর



বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজার হবে বাংলাদেশ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত দিক থেকে বাংলাদেশ এখন প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের বাজারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সচ্ছল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি। জার্মানি ও যুক্তরাজ্যকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বাজারে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফোরাম সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকার কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য পূরণ করার জন্য দরকার টেকসই বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা। বাংলাদেশের বিনিয়োগের জন্য সকল খাতই উন্মুক্ত। বাংলাদেশের বিনিয়োগের জন্য সবকিছু সহজতর করা হয়েছে। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল, ১০৯টি হাইটেক পার্ক করা হয়েছে। সড়ক-রেলসহ যোগাযোগ খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন>> বাহিনীর কোনো সদস্য অপকর্ম করলে তার দায় নেবে না পুলিশ: আইজিপি

তিনি বলেন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধা সু-নিশ্চিতকরণের জন্য বাংলাদেশ নিরলসভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আয়োজিত কর্মসূচিসমূহের মধ্যে বাংলাদেশসহ অন্যান্য কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো অমিত সম্ভাবনা সংশ্লিষ্ট সবার নিকট উন্মোচিত হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিগত ১৫ বছরে আর্থসামাজিক খাতে বাংলাদেশের অভাবনীয় রূপান্তর ঘটেছে। বর্তমান বাংলাদেশ এক পরিবর্তিত বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ একটি সাফল্যের গল্পগাথা।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। সুচিন্তিত এবং পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকি। বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সকল উন্নয়ন থমকে যায়। বিএনপি-জামায়াতের পাঁচ বছর এবং সামরিক সরকারের পরবর্তী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পূর্ণ মন্দার কবলে পড়েছিল।


আরও খবর



যে কারণে শিরীন শিলাকে ‘সেকেন্ড পরীমনি’ বলা হয়

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে আলোচনায় থাকেন ঢালিউডের আলোচিত অভিনেত্রী শিরিন শিলা। বিশেষ করে এক যুবকের প্রকাশ্যে চুমুকাণ্ডে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছিলেন এ অভিনেত্রী। এ ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছিল।

এ ছাড়া পরীমনি ও রাজের সঙ্গে ভিডিও করে কথা বলে কিছু স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনায় এসেছিলেন শিরিন শিলা। এ ঘটনায় পরীমনির সঙ্গে সম্পর্ক টানাপোড়েনও চলছিল তার। এবার পরীমনির সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে নতুন করে আবার আলোচনায় এসেছেন অভিনেত্রী শিরিন শিলা।

শুক্রবার গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিরিন শিলা বলেন, আমাকে অনেকে পরীমনির সঙ্গে তুলনা করেন। আমি কাউকে অনুসরণ করি না। আমি আমার স্টাইলে চলি। আমি নিজেও জানি না পরীর কথা কেন আমাকে বলে। তবে হ্যাঁ, পরী আমার ভালো বান্ধবী।

শিলা আরও বলেন, আমি আর পরীমনি যমজ বোনের একটা ছবিতে অভিনয় করেছিলাম। সেটা ছিল মুশফিকুর রহমান গুলজার ভাইয়ের। ওই ছবিতে পরী ও আমি একসঙ্গে কাজ করেছি। যেহেতু যমজ বোন ছিলাম, তাই অনেকে আমাকে সেকেন্ড পরীমনি বলত। বাস্তব জীবনে আমি আসলে এ রকম না। পরীর লাইফস্টাইলটা একরকম, আমারটা অন্য রকম।  


আরও খবর



অফিসকক্ষে ছাত্রীকে ধর্ষণ: মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে আবাসিক মাদ্রাসার এক ছাত্রীকে অফিসকক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক মাওলানা শিহাব উদ্দিনের (৩০) বিরুদ্ধে।

শুক্রবার রাতে ছাত্রীর মায়ের করা মামলায় পার্শ্ববর্তী হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলা থেকে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়।

শিহাব উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার সাতাউক গ্রামের সালেহ আহাম্মদের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার পূর্বভাগ ইউনিয়নের শ্যামপুরে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার আরবি শিক্ষক। ওই মাদ্রাসায় প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রী ও আটজন শিক্ষক রয়েছে।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী মাদ্রাসায় পড়াকালীন বিভিন্ন সময়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শিক্ষক শিহাব উদ্দিন। গত ২৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার অফিসকক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন শিহাব। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ছাত্রীকে ভয় দেখান শিহাব উদ্দিন।

এর পর আবারও ৯ সেপ্টেম্বর শিহাব উদ্দিন ওই ছাত্রীকে ফোন করে মাদ্রাসায় ডেকে নিয়ে অফিসকক্ষে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর ছাত্রীটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তার পরিবারের কাছে সব কিছু বলে। পরে ছাত্রীটির মা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নাসিরনগর থানায় মামলা করলে ওই দিন রাতেই একমাত্র আসামি শিহাব উদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

জামিয়া ইসলামীয় তাজিমুন্নেছা মদিনাতুল উলুম মহিলা মাদ্রাসার মোহতামিম মাওলানা ফখরুদ্দিন জানান, ঘটনাটি জানার পর আমরা ছাত্রী ও শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার বসা হয়েছে। আজও আবার বসার কথা ছিল। মাদ্রাসা থেকে ছাত্রী-শিক্ষক উভয়কে বের করে দেওয়া হয়েছে।

নাসিরনগর থানার ওসি সোহাগ রানা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিহাব উদ্দিন ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। শনিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: নাসিরনগর

আরও খবর



আমি চীনকে ধারণ করতে চাই না: বাইডেন

প্রকাশিত:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি চীনকে ধারণ করতে চান না। ক্ষমতাধর এই দুই দেশ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং অধিকারের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে মুখোমুখী হওয়ার প্রেক্ষাপটে তিনি এমন কথা বলেন। খবর এএফপির।

বাইডেন বলেন, তিনি নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে চীনা প্রধানমন্ত্রী  লি কিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাত করেন এবং স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এই সাক্ষাতের বিষয়টি হোয়াইট হাউস ঘোষণায় ছিল না।

প্রেসিডেন্ট হ্যানয়ে এই সাক্ষাতের কথা প্রকাশ করেন। সেখানে দিনের শুরুতে তিনি ভিয়েতনামের সাথে সম্পর্ক জোরদার করার একটি চুক্তিতে সম্মত হন কারণ বেইজিংয়ের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের মুখে ওয়াশিংটন এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের চারপাশে মিত্রদের নেটওয়ার্ককে শক্তিশালী করতে চায়।

ওয়াশিংটন এবং বেইজিং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছে। বাইডেন আন্তর্জাতিক শৃংঙ্খলাকে চীনের পক্ষে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালানোয় বেইজিংকে অভিযুক্ত করেছেন। 

আরও পড়ুন>> মরক্কোয় থামছে না মৃত্যুর মিছিল, নিহত বেড়ে ২১২২

বাইডেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বর্তমানে যে ইস্যুগুলো চলমান তার মধ্যে একটি হলো চীন বাণিজ্য এবং অন্যান্য বিষয়ের ক্ষেত্রে গেমের কিছু নিয়ম পরিবর্তন করতে শুরু করেছে।

ওয়াশিংটন ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সাথে কোয়াড সিকিউরিটি ডায়ালগ এবং ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়ার সাথে অকাস চুক্তিসহ দেশটির ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে জোট গঠনে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে।

তবে তিনি জোরদিয়ে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনকে ধারণ করতে চাইছে না। তারা বরং সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট মৌলিক নিয়ম প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। 

আরও পড়ুন>> নেদারল্যান্ডসে ২৪০০ জলবায়ু কর্মী আটক

বাইডেন বলেন, আমি চীনকে ধারণ করতে চাই না। আমি কেবলমাত্র এটা নিশ্চিত করতে চাই যে, চীনের সাথে আমাদের একটি সম্পর্ক রয়েছে। আঞ্চলিক এবং অন্যান্য ইস্যুতে বেইজিং ও দিল্লির বাদানুবাদের কারণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জি-২০ সম্মেলন এড়িয়ে যান।


আরও খবর