আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মৌলভীবাজারে বিরল প্রজাতির ২টি ‘ধুম কাছিম’ অবমুক্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ জানুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
কাছিম দুটি বাংলাদেশের বিরল প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী। এদের একটির দৈর্ঘ্য ৪৪ সেন্টিমিটার এবং অপরটি ৪৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৮ কেজি করে ১৬ কেজি হয়

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের মাছের বাজার থেকে উদ্ধার হওয়া বিরল প্রজাতির দুটি ধুম কাছিম বাইক্কা হাইল হাওরের বিলে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল উপজেলার মৎস্য সম্পদের অভয়াশ্রম বাইক্কা বিলের সংরক্ষিত জলাভূমিতে এই দুটি কাছিমকে মুক্ত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান, মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেনসহ বনবিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

রবিবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন শ্রীমঙ্গল পৌর শহরের মাছ বাজার থেকে দুটি কাছিম উদ্ধার করেন। বন বিভাগের উপস্থিতি টের পেয়ে কাছিম বিক্রেতা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোতালেব হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার শহরের মাছ বাজারে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ২টি বিরল প্রজাতির ধুম কাছিম উদ্ধার করা গেছে। এ দুটোর ওজন অনুমানিক ১৬ কেজি। বন্যপ্রাণী নিরাপত্তা এবং সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমাদের এমন ঝটিকা অভিযান অব্যাহত থাকবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী গবেষক ড. কামরুল হাসান বলেন, কাছিম দুটি বাংলাদেশের বিরল প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী। এদের একটির দৈর্ঘ্য ৪৪ সেন্টিমিটার এবং অপরটি ৪৫ সেন্টিমিটার। ওজন ৮ কেজি করে ১৬ কেজি হয়।

বর্তমানে প্রাকৃতিক জলাভূমি ধ্বংস হওয়াসহ শীতের শুকনো মৌসুমে বিল-হাওরের পানি শুকিয়ে মাছ ধরায় এই প্রজাতিগুলো সহজে ধরা পড়ে যাচ্ছে। তাদের আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ায় তারা এখন খুবই সংকটাপন্ন।


আরও খবর



আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক ও কর্মচারীদের সংরক্ষিত ফান্ডের লভ্যাংশের ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছেন। রবিবার (০৩ মার্চ) তার আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ জামিন আবেদন করেন। দুপুরে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। আদালতের এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা আক্কাস আলী।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলার চার্জশিট আমলে গ্রহণের জন্য আজ রবিবার দিন ধার্য করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন রবিবার (০৩ মার্চ) সকাল ১০টায় শ্রম আপিল আদালতে হাজির হবেন। কারণ সেদিন তাদের এক মাসের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে।

তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করেছে। সেই মামলার চার্জশিট ইতোমধ্যে দাখিল করেছে তারা। একই দিনে সেই মামালার তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। তিনি (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সেইদিন আদালতে হাজির হবেন।

এ মামলার আসামিরা হলেন-গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।


আরও খবর



ডেমরায় আগুন লাগা ভবন যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর ডেমরায় কাপড়ের গুদামে আগুন লাগা ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস। ভবনটি যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টার পর ঘটনাস্থলে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লে. কর্নেল মো. রেজাউল করিম।

তিনি বলেন, চারতলা ভবনের পুরোটাতেই খেলাধুলার সামগ্রী রয়েছে। ভবনটিতে স্টোরেজ (গুদাম) নীতিমালা মানা হয়নি। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চেষ্টায় আগুন আর নতুন করে ছড়ানোর সম্ভাবনা নেই।

ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ওই ভবনে পানির রিজার্ভ ট্যাংক নেই, সিঁড়িও বেশ সংকীর্ণ। আশপাশে পানি না থাকায় ড্রেনের পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। ঢাকা ওয়াসাও পানি দিচ্ছে। ভবনটির পূর্ব ও পশ্চিম দুপাশে লাগোয়া আরও ভবন থাকায় ভেতরে ঢুকতেও সমস্যা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের কোনো ব্যর্থতা নেই। এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনের কাঠামোগত শক্তি কমে গেছে। কয়েক জায়গায় ছাদ ফেটে গেছে। যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে।

রেজাউল করিম বলেন, পানির সোর্স না থাকায় সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগতে পারে। পুরো ভবনে দাহ্য পদার্থ আছে, খেলাধুলার সামগ্রী বেশি। প্লাস্টিকের পরিমাণও অনেক। সব ফ্লোরেই আগুন আছে।

তবে এখন পর্যন্ত ভবন বা গুদামের মালিকপক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মালিকদের খোঁজার চেষ্টা করছি।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ৪৫মিনিটের দিকে ভবনের তিনতলায় গোডাউনে আগুন লাগে। চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে ডেমরা, পোস্তগোলা ও সিদ্দিক বাজার ফায়ার স্টেশনের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। পরে আরও পাঁচটি ইউনিটসহ মোট ১০ ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। প্রাথমিকভাবে আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



সর্বোচ্চ গতিতে বল করে রেকর্ড গড়লেন প্রোটিয়া পেসার

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড গড়া এবং ভাঙা প্রতিদিনের ঘটনা। কখনও নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার রেকর্ড, কখনও সেটি অন্যদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। তেমনই এক রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার শবনিম ইসমাইল।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভারতের ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট নারী আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির বল করেন শবনিম। তার বলের গতি ছিল ঘণ্টায় ১৩২.১ কিলোমিটার (৮২.০৮ মাইল প্রতি ঘণ্টায়), যা নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতির বোলিং ডেলিভারি। এর আগে নারীদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির বল ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এবার সেটি টপকে নতুন রেকর্ড গড়লেন প্রোটিয়া পেসার।

তার রেকর্ডগড়া বলে ব্যাট করেন দিল্লির অধিনায়ক মেগ ল্যানিং। যদিও বল ব্যাট লাগাতে পারেননি অজি তারকা। সরাসরি ল্যানিংয়ের প্যাডে আঘাত করে। এর আগে নারীদের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ গতির বল ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এবার সেটি টপকে নতুন রেকর্ড গড়লেন প্রোটিয়া এই নারী পেসার।

এ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও সর্বোচ্চ গতির বলের রেকর্ড রয়েছে শবনিম ইসমাইলের দখলেই। ২০১৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১২৮ কিলোমিটার গতিতে বল করেছিলেন তিনি। অন্যদিকে বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ ১২২ কিমি গতিতে বল করার রেকর্ড পেসার জাহানারা আলম।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




পাঁচ সাংবাদিককে জেলে পাঠানোর হুমকির পরদিনই বদলি এসিল্যান্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

লালমনিরহাটে জমি খারিজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায় পাঁচ সাংবাদিককে অফিসে আটকিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে জেল পাঠানোর হুমকির ঘটনায় লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমানকে বদলি করা হয়েছে। তাকে ঠাঁকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বদলি করেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে লালমনিরহাট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৪০ মিনিট পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অফিস গেটের তালা খুলে সাংবাদিকদের মুক্ত করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে ওই সহকারী কমিশনার সাংবাদিকদের দালাল’ বলে অপমান করতে থাকেন। এসময় সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে অবস্থান নিলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসকের সাথে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা সকলে ঘটনাস্থলে ত্যাগ করেন।

এদিকে ওই দিনে ক্ষিপ্ত হয়ে পিছনে থাকা একটি টেলিভিশনের ক্যামেরা পার্সনের মোটরসাইকেল আটকিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমান করেন সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান।

এ ঘটনার পর জেলার কর্মরত সংবাদকর্মীরা শহরের মিশনমোড়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। দুপুর ২টার দিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় অভিযুক্ত সহকারী কমিশনারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা অবরোধ তুলে নেন।

এদিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে সাধারণ নিরীহ লোকজনকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তুচ্ছ ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ছাগল খোয়ারে দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অভিযোগ ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এছাড়াও জমি খারিজের নামে সাধারণ লোকজনকে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের আনন্দ বাজার এলাকার উজির মাহমুদ নামের এক ব্যক্তি।

এদিকে সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরন ও পাঁচ সাংবাদিককে আটক করে জেলে পাঠানোর হুমকির ঘটনায় ফুঁসে উঠেছেন জেলা ও উপজেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীরা। তারা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানিয়েছেন।

সাংবাদিকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের তিনজন অফিস সহকারী ভূমি সংক্রান্ত শুনানি করছিলেন। সেখানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) উপস্থিত ছিলেন না। মাই টিভি ও ডেইলি অবজারভার পত্রিকার সাংবাদিক মাহফুজ সাজু এ শুনানির ভিডিও ধারণ করেন। এতে অফিসের স্টাফরা ক্ষুদ্ধ হয়ে সহকারী কমিশনারকে ডেকে আনেন। সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের নির্দেশে সাংবাদিক মাহফুজ সাজুকে আটকিয়ে রাখেন।

সাংবাদিক আটকে রাখার খবর পেয়ে প্রেসক্লাব থেকে ৪ জন সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম বিপু, লিয়াকত হোসেন, নিয়ন দুলাল, এসকে সাহেদ, ফারুক আহমেদ ও কাওছার আহমেদ ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও অফিসে আটকে রাখা হয়।

সাংবাদিক মাহফুজ সাজু বলেন, সেবা নিতে আসা লোকজনের সাথে খারাপ আচরণ করা হয় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) অফিসে। এ তথ্য জানতে এসে সত্যতা পাই। এসিল্যান্ড আমাকে অফিসে আটকালে সহকর্মীদের ফোন দিলে তারা ঘটনাস্থলে আসেন। এসিল্যান্ড তাদেরকেও অফিসে আটকিয়ে রাখেন। এসি ল্যান্ড সাংবাদিক সম্পর্কে খুবই অপ্রীতিকর মন্তব্য করেছেন। আমাদের জেলে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন।’

লালমনিরহাট প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এটিএন বাংলা ও দৈনিক সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন স্বপন জানান, জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। ইতিমধ্যে ওই কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, শুধু বদলিই নয় তদন্ত করে ওই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিকরা আন্দোলনে যাবেন।

এ বিষয়ে লালমনিরহাট টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আনিসুর রহমান লাডলা বলেন, বদলি কোন শাস্তি হতে পারে না।’ তিনি তদন্ত করে ওই এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার দাবি জানান।

সাংবাদিকদের অফিসে আটকিয়ে গালিগালাজ ও জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ-আল-নোমান সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন উত্তর দেননি। কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এক মোটরসাইকেল আরোহীর ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বলে তিনি দাবী করেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন সাংবাদিকদের জানান, সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল নোমানকে ইতিমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ঠাকুরগাঁও জেলায় বদলি করেছেন। তিনি আরও জানান, বিষযটি জেলা প্রশাসক খতিয়ে দেখছেন।


আরও খবর



সন্তান প্রসবের পর মারা গেলেন সাফজয়ী নারী ফুটবলার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এক সময় বয়সভিত্তিক দলে নিয়মিত ছিলেন রাজিয়া খাতুন। বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়েছেন বছর চারেক আগে। এরপর ঘরোয়া লিগ খেলেছেন। নারী ফুটবলের সেই পরিচিত মুখ রাজিয়া আর নেই। প্রসবকালীন জটিলতায় আজ ভোরে পৃথিবী ছেড়েছেন তিনি। তার সতীর্থ ফুটবলার ও ফুটবলসংশ্লিষ্টরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ফুটবলসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে, গতকাল (বুধবার) রাতে রাজিয়া সন্তান প্রসব করেন। সন্তান প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় তার। সেই রক্তক্ষরণেই প্রাণ হারিয়েছেন রাজিয়া। রাজিয়ার মৃত্যুতে দেশের ফুটবলে নেমে এসেছে গভীর শোক।

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন গোলাম রব্বানী ছোটন। তাই রাজিয়াকে খুব কাছ থেকেই চেনেন দেশের নামী এই কোচ। রাজিয়ার মৃত্যুর খবরে স্মৃতিচারণ করে ছোটন বলেন, ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডে এএফসি অ-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্বে রাজিয়া খেলেছিল। পরের বছর সাফ অ-১৮ ভুটানের চ্যাম্পিয়ন দলেও ছিল। সিনিয়র দলে ক্যাম্পও করেছে কিছু দিন। পারফরম্যান্স অবনতির জন্য ২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ে।

রাজিয়ার আকস্মিক মৃত্যুতে খুবই ব্যথিত জাতীয় দলের নিয়মিত মুখ সানজিদা আক্তার। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলতে এখন আছেন ভারতে। সেখান থেকেই ব্যথিত কণ্ঠে বলেন, আমাদের ক্যারিয়ার একই সময়েই শুরু মূলত। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর ও লিগ খেলেছে এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেছে। বাচ্চা হওয়ার মুহূর্তে ও মারা গেছে শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আমরা একজন বন্ধু হারালাম।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের প্রেক্ষাপটে বাফুফের ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পর আবার ফিরে আসা কঠিন। লিগ অনিয়মিত এবং এত দিন ফিটনেস ধরে রাখাও কষ্ট। ক্যাম্প থেকে বাদ পড়ার পরেও ফুটবলের সঙ্গে ছিল। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কাচারিপাড়া দুই দলে গত দুই লিগ খেলেছিলেন রাজিয়া। এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া দলের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন জুবায়ের বলেন, এক মৌসুম আগের লিগে আমাদের দলে খেলেছে রাজিয়া। সাতক্ষীরায় তার বাড়ি। আমাদের সাবেক খেলোয়াড়ের প্রসবকালীন মৃত্যুতে আমরা খুবই ব্যথিত।

২০০১ সালের ২৫ জানুয়ারি জন্ম নেয়া রাজিয়া বাংলাদেশের নারী ফুটবলের উত্থানের শুরুর দিকের একজন। এএফসি অ-১৪ রিজিওনাল (সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ এশিয়া) চ্যাম্পিয়নশিপে ২০১৩ ও ১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন দলে ছিলেন তিনি৷ এরপর অ-১৬ ও অ-১৯ দলেও খেলেছেন।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪