আজঃ সোমবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মৌলভীবাজার টানা বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে চা শিল্পে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ জুন ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

চায়ের রাজধানী খ্যাত শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি ও তীব্র তাপদাহের পর টানা বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে চা গাছেরা। বৃষ্টির পানি গায়ে লাগিয়ে দুটি পাতা একটি কুঁড়িতে ভরে উঠেছে চা গাছগুলো। ক'দিন আগের তীব্র তাপদাহের কারণে চা পাতাগুলো ঝলসে বিবর্ণ হয়ে উঠেছিল। বৃষ্টির ছোয়ায় যেন আবার প্রাণ ফিরে পেয়েছে সবুজের এই সাম্রাজ্য।

বৃষ্টি চা বাগানের জন্য আশীর্বাদ হলেও অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টির মতোই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে জানান চা উৎপাদন সংশ্লিষ্টরা।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আনিসুর রহমান বলেন, গত ১৫ জুন বৃহস্পতিবার হতে ২০ জুন মঙ্গলবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত ২৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ মাঝারি রয়েছে। আগামী বুধবার (২৪জুন) পর্যন্ত মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি চা বাগান ঘুরে দেখা গেছে, অনাবৃষ্টি আর অত্যধিক তাপমাত্রায় বিবর্ণ হয়ে যাওয়া চা গাছ প্রাণ ফিরে পেয়েছে। চা বাগান গুলোর গাছে গাছে এসেছে নতুন কুঁড়ি, বৃষ্টিস্নাত চা পাতাগুলো ফিরে পেয়েছে তার সৌন্দর্য। তবে ঝড় বৃষ্টিতে অনেক গাছপালা ভেঙে পরেছে। চা শ্রমিকরা চা-পাতা তোলার পাশাপাশি ভেঙে পরা এসব গাছ পরিষ্কার করতে ব্যস্ত সময় পাড় করছে।

ইস্পাহানি জেরিন চা বাগানের উপ-মহাব্যবস্থাপক সেলিম রেজা জানান, চা উৎপাদনে বৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। কিছুদিন আগেও আমরা চা বাগানে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করেছি। বৃষ্টি না থাকায় বিকল্প পদ্ধতিতে পানি দিতে হয়েছে। তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে চা গাছগুলোতে নতুন কুঁড়ি বের হচ্ছিল না, বরং পাতাগুলো বিবর্ণ রঙ হয়ে গেছিল। নতুন কুঁড়ি না আসা, পানির সংকট, লাল মাকড়সার আক্রমণ প্রায় সব চা বাগানেই ছিল। এই বৃষ্টির ফলে চা গাছগুলো সজীবতা ফিরে এসেছে চা বাগানে। এখন পর্যন্ত বৃষ্টি ঠিক আছে। তবে অধিক বৃষ্টিও চা বাগানের জন্য মঙ্গলজনক নয়। এখন চা উৎপাদন ভালো হচ্ছে, তবে বিদ্যুতের কারণে কিছুটা শঙ্কিত চা শিল্প।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ কে এম রফিকুল হক জানান, চা বাগানের জন্য প্রাকৃতিক বৃষ্টি অনেক উপকারী, এর কোন বিকল্প নাই। সম্প্রতি দীর্ঘদিন তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির পর এখন যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তা চা গাছের জন্য উপকারী ও আশীর্বাদ স্বরূপ। তবে অতিবৃষ্টি চা গাছের জন্য ক্ষতিকর। চা গাছের গোড়ায় পানি জমলে তা চা গাছের জন্য ক্ষতিকর হবে। চা গাছের নিচে যেন পানি না জমে, সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

এদিকে প্রচন্ড ঝড় ও বজ্রপাতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চা শ্রমিকরাও পরেছেন বিপাকে। অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে পরছে, বজ্রপাতে একজন চা শ্রমিক নিহত ও ৪/৫ জন আহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চা শ্রমিকদের ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুননির্মাণ ও তাদের কর্মস্থলের নিরাপত্তার দাবী জানিয়েছেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও চা বাগান কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে বজ্রপাতের সময় সতর্কতার বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে, দূর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলী রাজীব মাহমুদ মিঠুন।


আরও খবর



সরকারের শেষ একনেক বৈঠকে ৪৪ প্রকল্প অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বর্তমান সরকারের শেষ একনেক বৈঠকে ৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে ৩৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩০ হাজার ১২৩ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৭ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ১ হাজার ৬৩৯ টাকা ব্যয় করা হবে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ঢাকার শেরেবাংলা নগর এলাকায় পার্ক নির্মাণ প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হলেও সেটি অনুমোদন পায়নি। প্রধানমন্ত্রী এটিকে পরে দেখে দেবেন বলে জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা মোটেও অরিড নই। আমরা নিজভূমে নিজ আইনে পথ চলছি। কাজেই আমাদের কোনো সমস্যা নেই, চিন্তাও নেই।

ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন এবং আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, একেএম ফজলুল হক, আব্দুল বাকি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে কয়েকটি হচ্ছে- ঢাকার শেরেবাংলা নগর প্রশাসনিক এলাকায় বহুতল সরকারি অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প; ঢাকাস্থ তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১২৩টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প; চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুন:খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর অর্থনৈতিক অঞ্চলের সঙ্গে লক্ষীপুর, নোয়াখালী ও ফেনী জেলার সংযোগকারী সড়ক যথাযথ মানে উন্নতীকরণ প্রকল্প; ইলিয়টগঞ্জ-মুরাদনগর-রামচন্দ্রপুর-বাঞ্চারামপুর জেলা মহাসড়কটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্প; রাজউক পূর্বাচল ৩০০ ফুট মহাসড়ক হতে মাদানী এভিনিউ সিলেট মহাসড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়ক নির্মাণ (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; সাতক্ষীরা-সখিপুর-কালীগঞ্জ মহাসড়ক এবং কালীগঞ্জ-শ্যামনগর-ভেটখালী মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প; চার লেনে উন্নীত ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) (দাউদকান্দি-চট্টগ্রাম অংশ) এর চার বছরের জন্য পারফরম্যান্স-বেইজড অপারেশন ও দৃঢকরণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ভাঙ্গা-যশোর-বেনাপোল মহাসড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প; গাবতলী সিটি পল্লীতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ক্লিনারবাসীদের জন্য বহুতলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকা পানি সরবরাহ নেটওয়ার্ক উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বর্ধিত ঢাকা পানি সরবরাহ রেজিলিয়েন্স প্রকল্প; ঢাকা স্যানিটেশন উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিভিন্ন রাস্তা উন্নয়ন, জলাবদ্ধতা নিরসন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন প্রকল্প; বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; মুগদা মেডিকেল কলেজের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা সম্প্রসারণ প্রকল্প; সাপোর্টিং ইপ্লিমেন্টেশন অব দ্যা মাদার এন্ড চাইল্ড বেনিফিট প্রোগ্রাম প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, উন্নয়ন এবং আনুষঙ্গিক কাজ বাস্তবায়ন প্রকল্প; আইসিটি শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণের জন্য নেকটারের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম প্রকল্প; উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; ইমপ্রুভমেন্ট অব আরবান পাবলিস হেলথ প্রিভেনটিভ সার্ভিসেস প্রজেক্ট। যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প-১ দূর্যোগ ঝঁকি অর্থায়ন (কম্পোনেন্ট ৩) প্রকল্প; মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল-৩ এর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প; যশোর রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা প্রকল্প; সুগন্ধা নদীর ভাঙন হতে ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলা ও নলছিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা রক্ষা প্রকল্প; সমগ্র দেশে শহর ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্ব) প্রকল্প; প্রাণী সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ (তৃতীয় সংশোধিত) প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভিবাজার (প্রথম পর্যায়) প্রকল্প; মেহেরপুর সদরে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন ও দেশের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ-প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রম জোরদারকরণ প্রকল্প; বঙ্গবন্ধু পিয়েরে এলিয়ট ট্রুডো কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র স্থাপন এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণায় সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প; পার্বত্য চট্টগ্রাম পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প এবং মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প।

মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব: ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া শুধু মেয়াদ বেড়েছে খুলনা মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প।

অবগতির ৫ প্রকল্প: এসব প্রকল্প ৫০ কোটি টাকার কম ব্যয় হওয়ায় পরিকল্পনামন্ত্রী নিজেই অনুমোদন দিয়েছেন। সেগুলো একনেকে অবহিত করা হয়।

প্রকল্পগুলো হলো- স্মার্ট কৃষি কার্ড ও ডিজিটাল কৃষি (পাইলট) অসমাপ্ত রেখে সমাপ্তকরণ প্রকল্প; তাঁতীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে চলতি মূলধন সরবরাহ ও তাঁতের আধুনিকায়ন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প; জামদানি ভিলেজ স্থাপন প্রকল্প; বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের আওতায় ৫টি বেসিক সেন্টারে ৫টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, একটি ফ্যাশন ডিজাইন ইনস্টিটিউট এবং ২টি মার্কেট প্রমোশন সেন্টার স্থাপন (দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প এবং গোলেজা খাতুন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিজম বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ও থেরাপি সেন্টার নির্মাণ, গোপীনাথপুর, পীরগঞ্জ, রংপুর প্রকল্প।


আরও খবর



আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে দেশের মানুষের উন্নয়ন। আর সেই উন্নয়নের জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। মানুষ আরও ভালোভাবে চলতে পারবে, থাকতে পারবে। শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের মহেশখালীর টাউনশিপ মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ওয়াদা দিয়েছিলাম প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়া হবে। আজকে আমরা প্রত্যেক ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। দেশের মানুষ যাতে সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

সরকারপ্রধান বলেন, দুঃখের বিষয় হলো, যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বাধল, স্যাংশন-কাউন্টার স্যাংশনের ফলে মুদ্রাস্ফীতি একটু বেড়েছে। সেটা নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা চালিয়েছি। খুব শিগগির এই মূল্যস্থীতি হ্রাস পাবে। মানুষ আরও ভালোভাবে চলতে পারবে, থাকতে পারবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির কাজ দেশের মানুষকে পুড়িয়ে মারা। নৌকায় ভোট দিলে দেশে উন্নয়ন হয়।

বিকেল পৌনে চারটার দিকে মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র-সংলগ্ন টাউনশিপ মাঠে আয়োজিত জনসভায় উপস্থিত হন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে এর আগে দুপুরে ১৮ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও কক্সবাজারের আইকনিক রেলস্টেশন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। আইকনিক স্টেশনের উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য সরকারের সময় রেল সবসময় অবহেলিত ছিল। এই সংযোগ পর্যটন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনবে। তিনি বলেন, বাইরে থেকে কারও খরদারি চলবে না। আগুন দিয়ে যারা মানুষ পোড়ায় তাদের চোখ না মনই অন্ধকার।


আরও খবর



আওয়ামী লীগ নেতা মায়ার ছেলে দীপু মারা গেছেন

প্রকাশিত:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ ডিসেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার বড় ছেলে সাজেদুল হোসেন চৌধুরী (দিপু) মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৫টা ২৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় পরদিন তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।

দীপু চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নুরুল আমিন রুহুল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।


আরও খবর



বীজ-সারের বাড়তি দামে বিপাকে জয়পুরহাটের আলুচাষিরা

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটে বীজ ও সারের দাম বেশি হওয়ায় আলু চাষে আগ্রহ হারাচ্ছেন কৃষকরা। খরচের টাকা ওঠা নিয়ে সংশয় তারা। এজন্য আলু রোপণে দেখা গেছে ধীরগতি। এ অবস্থায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে আগামীতে আলুর সংকটসহ দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

আলু উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা জয়পুরহাট। তবে বীজ, সার, দিন মজুরসহ খরচ বেশি হওয়ায় চাষে আগ্রহ নেই কৃষকের।

চাষিদের অভিযোগ, গত বছর যে বীজের দাম ৩০ থেকে ৩২ টাকা ছিল, এবার তা দ্বিগুণেরও বেশি। এছাড়া ১৮০০ টাকার সারের বস্তার দাম এ বছর ২ হাজার ২৫০ টাকা।

কালাই উপজেলার পুনট গ্রামের আলুচাষি কুদ্দস বলেন, ‌এবার বেশি করে আলু রোপণের ইচ্ছা থাকলেও মাত্র ৪ বিঘা জমিতে আলু রোপণ করছি। কারণ, সার ও বীজের দাম খুব বেশি।

একই উপজেলার মোলামগাড়িহাট গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, গতবার আড়াই বিঘা আলু লাগাইছি, এবার পারর না। কারণ সার, বীজ, কামলা, চাষ খরচ সব বেশি। গত বছর বীজ কিনছি, ২৮ থেকে ৩৫ টাকা আর এ বছর ৭০ টাকা কেজি। সার বস্তাপ্রতি এক থেকে দেড়শ টাকা বেশি। এ কারণে বেশি আলু লাগানো যাচ্ছে না। 

ক্ষেতলাল উপজেলার বটতলী এলাকার মোকাররম হোসেন বলেন, গত বছর যে আলু বীজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা ছিল। এ বছর সেই বীজ দ্বিগুণেরও বেশি। সার ছিল ১৮০০ টাকা, এ বছর ২২৫০ টাকা প্রতি ব্যাগ। আমরা খেটেখুটে কষ্ট করে আলু চাষ করি আর বড়লোক ব্যবসায়ীরা সেই আলু আমাগেরে কাছ থেকে অল্প দামে কিনে নিয়ে পরে সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বেচে।

তবে, ডিলাররা বলছেন, সরবরাহ ও বরাদ্দ যথেষ্ট হলেও সরকারিভাবেই দাম বেশি সার ও বীজের। গতবারের তুলনায় বিক্রিও কম।

ডিলার গোলজার হোসেন বলেন, গত বছর এ সময় আমরা নাস্তাপানি খাওয়ার সময় পাইনি, এত ভিড় ছিল। এ বছর বেচাবিক্রি নেই বললেই চলে। এভাবে যদি বেচাবিক্র হয় তাহলে পুঁজি হারিয়ে আমাদেরও পথে বসতে হবে। সরকার যদি এদিকে একটু নজর দেন, তাহলে কৃষি বিভাগ বাঁচবে।

আলুচাষে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে নজরদারির বাড়ানোর তাগিদ দেন কৃষি কর্মকর্তা।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় আসন্ন আলু রোপণ মৌসুমে প্রায় ৩৮ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আলুচাষের লক্ষ্যমাত্র অর্জনে কৃষক হয়রানি বন্ধ করাসহ সার ও বীজ সিন্ডিকেটদের বিরুদ্ধে কঠোর নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জেলায় আলু রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৮ হাজার ৮১৫  হেক্টর জমিতে।

নিউজ ট্যাগ: জয়পুরহাট

আরও খবর



ছেলেরা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এইচএসসিতে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি, এটার জন্য ধন্যবাদ। সবসময় আমাদের শুনতে হয় জেন্ডার ইকুয়ালিটি। এখন তো দেখি উল্টো হচ্ছে, ছেলেরা মেয়েদের থেকে পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবার দেখি মেয়েদের পাশের হার বেড়ে যাচ্ছে। এখন ছেলেদের পিছিয়ে যাওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

আজ রোববার সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ বছরের এইচএসসির ফলাফল হস্তান্তরের পর তিনি তার বক্তব্যে এ কথা বলেন।

মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'ছেলেদের বলছি তোমরা পিছিয়ে থেকো না। তোমরা পড়াশোনা করে সমান তালে চলো, সেটাই আমরা চাই।'

আরও পড়ুন>> এইচএসসিতে পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

তিনি বলেন, 'জিপিএতেও মেয়েরা এগিয়ে। যাই হোক আমি ছেলে-মেয়ে সবাইকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।'

তিনি আরও বলেন, 'এখন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে রেজাল্ট খুঁজতে হয় না। আজ মোবাইল ফোনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফল দেখা যায়। এজন্য আমি সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।'

পরীক্ষায় যারা উর্ত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ফলাফল বিশ্লেষণে জানা যায়, এ বছর ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।


আরও খবর