আজঃ মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

মোংলায় সারবোঝাই জাহাজ ডুবি, ৮ কর্মচারী জীবিত উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৫ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মোংলা প্রতিনিধি:

বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৫০০ টন সার বোঝাই এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেস নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে গেছে। তবে জাহাজে থাকা মাস্টারসহ ৮ কর্মচারী সাঁতরে পাশের লাইটারে উঠতে সক্ষম হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে বন্দর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া এলাকায় জাহাজটি ডুবে যায়। 

লাইবেরিয়া পতাকাবাহী ক্লিংকার ভর্তি বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি সুপ্রিম ভ্যালোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে এমভি শাহজালাল এক্সপ্রেস লাইটারের জাহাজের প্রোপেলার ভেঙে যায়। ফলে ভাঙা স্থান দিয়ে পানি প্রবেশ করে লাইটার জাহাজটি ডুবে যায়। 

হাড়বাড়িয়া-৮ এলাকায় অবস্থিত লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী সারের জাহাজ এমভি ভীটা অলম্পিক নামক একটি জাহাজ থেকে সার বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়া এলাকায় যাচ্ছিল জাহাজ এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেস। তবে জাহাজটি ডুবে গেলেও চ্যানেল সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপটেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ।

তিনি বলেন, জাহাজ ডুবলেও চ্যানেল সচল রয়েছে। চ্যানেলে কোনো সমস্যা নেই। জাহাজটি ডোবার খবর পেয়ে জাহাজের মালিক পক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মালিকপক্ষ জাহাজ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলের উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছেন। বন্দরের নিয়ম অনুযায়ী জাহাজ অপসারণের জন্য তারা ১৫ দিন সময় পাবেন। এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ জাহাজ উদ্ধারে ব্যর্থ হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

জাহাজে থাকা সার পানিতে দ্রবীভূত হলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটবে কিনা এমন প্রশ্নে হারবার মাস্টার ক্যাপটেন মোহাম্মাদ শাহীন মজিদ বলেন, আসলে সার একটি দ্রবনীয় পণ্য। পানির স্পর্শে এলে এটি দ্রবীভূত হবেই। মালিকপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বোঝা যাবে আসলে কি অবস্থায় রয়েছে।

ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এমভি শাহাজালাল এক্সপ্রেসের মালিক ভাই ভাই শিপিং নাইন নামের একটি কোম্পানি। লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী সারবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ  এমভি ভিটা অলম্পিক গেল ২১ জানুয়ারি ৩১ হাজার ৪৫৯ মেট্রিক টন সার নিয়ে মোংলা বন্দর চ্যানেলের বহিঃনোঙরে সুন্দরিকোঠা-১ এলাকায় আগমন করে।


আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




ক্রিমিয়ায় রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে  বলে দাবি ইউক্রেনের। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ ও নৌবাহিনী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইয়েভপাতোরিয়ার কাছে রুশ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা  চালায়। খবর বিবিসির।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত  ফুটেজে দেখা গেছে, ইয়েভপাতোরিয়ার শহরে ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে। শহরটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপের পশ্চিম দিকে অবস্থিত।

রাশিয়া সরাসরি ইউক্রেনের এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং নৌটহলে থাকা নৌযানে হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ক্রিমিয়ায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিবিসিকে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ড্রোন রাশিয়ার রাডার সরঞ্জামে হামলা চালায় এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারে আঘাত করা হয়।

সূত্র বলেছে, রাডার স্টেশন অচল করার পর নৌবাহিনীর ইউনিট দুটি নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এস-৩০০ ও এস-৪০০ ব্যবস্থাকে আঘাত করে। এগুলোর মূল্য ১২০ কোটি ডলার।

সম্প্রতি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে তারা দেশে নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন শুরু করেছে। ক্রিমিয়ায় চালানো হামলায় কতটি ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে বা আঘাত করা হয়েছে তা জানায়নি ইউক্রেন।

স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ এবং ধোঁয়া দেখা গেছে।

রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রিমিয়ার আকাশে তারা ১১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রুশপন্থি কর্মকর্তারা সামরিক ঘাঁটি বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষয়ক্ষতির কথা জানাননি।

২০০৭ সাল থেকে রুশ সেনাবাহিনী এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে। এটি শীতল যুদ্ধের সময়কার এস-৩০০ এর উন্নত সংস্করণ। এটি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে এবং ৪৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। যুদ্ধবিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে এই ব্যবস্থা।

নিউজ ট্যাগ: ইউক্রেন

আরও খবর
গুয়াতেমালায় ভূমিধসে নিহত ৬, নিখোঁজ ১২

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পদে পদে এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শাহবাগ থানায় ওসির (তদন্ত) কক্ষে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনার পুলিশের তদন্ত শেষ পর্যায়ে। মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

এ ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি ২৫-৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফা রয়েছেন।

ছাত্রলীগের ভুক্তভোগী নেতা এবং ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল ও থানার প্রত্যক্ষদর্শীদেরও সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশের বর্ণনায় হারুনের বিরুদ্ধে হাসপাতাল থেকে থানায় নির্যাতন পর্যন্ত নিপীড়নমূলক ভূমিকায় থাকার অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে হারুন এবং সানজিদা এ ঘটনার সূত্রপাতের জন্য রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক খান মামুনকে দায়ী করেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তদন্তসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এবং ভুক্তভোগীরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, তদন্ত শেষ পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে। এখন যে তদন্ত চলছে এর মাধ্যমে মূলত ঘটনায় কার কী ধরনের ভূমিকা সেটি নিরূপণ করা হবে। প্রাথমিক তদন্তে সাধারণত শাস্তির সুপারিশ করা হয় না। কার বিরুদ্ধে কোন অপরাধ সেটি বলা হয়। বিভাগীয় তদন্তে গিয়ে শাস্তির সুপারিশ করা হয়। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি মূলত কে কী কাজ করেছে এর পাশাপাশি কোন বিষয়টি শাস্তিযোগ্য, কোনটি শাস্তিযোগ্য নয়, সেগুলো বলবে। এরপর বিভাগীয় তদন্ত হবে।

তদন্ত কমিটি ঘটনার মূল ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম এবং ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমেরও বক্তব্য নিয়েছে। তারা তদন্ত কমিটির কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত ও নির্যাতনের বর্ণনা তুলে ধরেছেন।

সেদিনের ঘটনায় এডিসি হারুনের পর সবচেয়ে আগ্রাসী ভূমিকায় পাওয়া গেছে পরিদর্শক মোস্তফাকে। এদিকে আহত ছাত্রলীগ নেতাদের পক্ষ থেকে হামলায় ১০-১৫ জনের অংশগ্রহণের কথা বলা হলেও এখন পর্যন্ত তদন্তে ৮-১০ জনের নাম উঠে এসেছে।

গত ৯ সেপ্টেম্বর দিন রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে নির্মম নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে রমনা জোনের তৎকালীন এডিসি হারুন-অর-রশীদসহ ১০-১৫ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

নির্যাতিতদের অভিযোগ, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে এপিএস মামুনের স্ত্রী সানজিদার সঙ্গে হারুনকে দেখে ফেলায় তাদের ওপর এ নির্যাতন নেমে আসে। থানা হেফাজতে নিয়ে পিটিয়ে তাদের রক্তাক্ত করা হয়।

তবে হারুন ও সানজিদার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সানজিদার স্বামী মামুন সেখানে গিয়ে ঘটনাটিকে বড় করেন। তিনিই প্রথম হারুনের শরীরে আঘাত করেন। ঘটনার শুরু সেখানেই।

রংপুর রেঞ্জে যোগ দেননি হারুন: এ ঘটনার পরদিন এডিসি হারুনকে রমনা জোন থেকে প্রত্যাহার করে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়। সেদিন রাতেই আবার তাকে এপিবিএন-এ বদলি করা হয়।

এ নিয়ে আপত্তি উঠলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। ছাত্রলীগ নেতারা এ নিয়েও আপত্তি তুললে সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর তাকে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। যদিও তিনি এখনো রংপুর রেঞ্জে যোগদান করেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি মো. আব্দুল বাতেন বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশীদ এখনো রংপুরে যোগদান করেননি। এ ধরনের আদেশে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কর্মস্থলে যোগদান করতে হয়।


আরও খবর



চড়া বাজারে জনপ্রিয় সবজি শাপলা এখন গরীবের ভরসা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো: আফসার খাঁন, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)

Image

চড়া সবজির বাজারে দিশেহারা মানুষ। দ্রব্যমূল্য ক্রয় ক্ষমতার বাইরে থাকায় স্বস্তার মধ্যে ফেলনা শাপলার দিকে ঝুঁকছে মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। শুধু গ্রামেই নয়, পুষ্টিকর সবজি খাবার হিসেবে শাপলার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে শহর-উপশহরেও। আর বর্ষা মৌসুমে শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন দরিদ্র অসহায় পরিবারের মানুষ।

সরেজমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা মেদীআশুলাই এলাকায় ঐতিহ্যবাহী আলোয়া বিল। এ বিলের পাড়ে বসে শাপলা বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন পঞ্চাশোর্ধ নারী মালতি রানী। আড়াই বছর আগে মারা গেছেন তার স্বামী। দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকলেও সবাই আলাদা থাকায় তার সংসারে তিনি এখন একা। পাশেই মেদীআশুলাই বাজারে বসে শাপলা বিক্রি করছেন ষাটোর্ধ অপর নারী গোলাপি রানী। তারও স্বামী ১০বছর আগে মারা যান। তার সংসারেও আর কেউ নেই। তাদের দুজনের স্বামীই ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। সরকারী ১০টাকা কেজি চাল পেলেও তারা এখনো বয়স্ক বা বিধবা ভাতা পাননি। শুষ্ক মৌসুমে অন্যের বাড়িতে টুকটাক কাজ করে কোন রকমে তাদের সংসার চলে। কিন্তু বর্ষা মৌসুমে বিলে ডিঙ্গি নৌকা দিয়ে শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন এই দুই অসহায় নারী। শুধু গোলাপি রানী ও মালতি রানীই নন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরমা বেগম, তমিজ উদ্দিন, আলেয়া, সাবিনা, আসলাম মিয়া, আব্দুল ইব্রাহিম হোসেন, সাত্তারসহ শত শত অসহায় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এখন শাপলা বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র পাওয়া যাচ্ছে জাতীয় ফুল শাপলা। তবে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার খাল, বিল, পুকুরে শাপলা পাওয়া যায়।

মেদীআশুলাই, কালিয়াকৈর, চাবাগান, ফুলবাড়িয়া, জালশুকা, দেওয়াইর, গোসাত্রা, ঢালজোড়া, সফিপুর, বড়ইবাড়ী, লতিফপুরসহ বিভিন্ন ছোট-বড় বাজারে শাপলা বিক্রি করা হচ্ছে। এ উপজেলা ছাড়াও অন্য জেলা উপজেলায়ও যাচ্ছে এ শাপলা। প্রতি আটিতে ১০টি শাপলা। যার পাইকারী বাজার মূল্য ৩-৬ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬ থেকে ১০ টাকা। সুযোগ বুঝে অসহায় শাপলা ক্রেতা-বিক্রেতাদের ঠকাচ্ছেন সুবিধাবাদী পাইকাররা। তবে শাপলা বাজারেও মূল্য তালিকা টানানোর দাবী জানিয়েছেন দারিদ্র অসহায় পরিবারের লোকজন।

স্থানীয় কহিনুর ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, সোহেল রানা, নুরু মিয়াসহ অনেকই বলেন, শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। কিন্তু এক সময় যে শাপলা বিলে ফুটে বিলেই পঁচে যেতো। সেই শাপলা তুলে বাজারে বিক্রি করে শতশত অসহায় পরিবার সংসার চালাচ্ছেন। আর ফেলনা শাপলাকে জনপ্রিয় সবজি হিসেবে এগিয়ে নিতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিল পাড়ের অসহায় মানুষ। এর মাধ্যমে তারাই দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। এছাড়াও শাপলার ফল দিয়ে তৈরি হয় চমৎকার সুস্বাদু মোয়া ও খৈই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। এর পাশাপাশি এক অংশ আমরা খেয়ে থাকি। এটা পুষ্টিকর একটা খাবার। আর এ শাপলা বিক্রি করে অসহায় পরিবারগুলো তাদের সংসার চালাচ্ছেন, এটা খুব ভালো উদ্যোগ। তারা দেশের অর্থনীতিতেও অবদান রাখছেন। তবে যারা এখনো বয়স্ক, বিধবাসহ বিভিন্ন সরকারী ভাতা পাননি। এমন ব্যক্তিদের লিখিত পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: শাপলা

আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




যুক্তরাজ্য অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়: সিইসি

প্রকাশিত:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৭ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। রোববার (২৭ আগস্ট) আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে বৃটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় ও আলাপচারিতার মধ্যে নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। জানতে চেয়েছিলেন আমাদের প্রস্তুতি কেমন। নির্বাচন সম্পর্কে তিনি আশাবাদী নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর ও অংশগ্রহণমূলক হবে। তিনি অতিরিক্ত যেটা বলেছেন নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়।

আমরাও আমাদের পক্ষ থেকে তা জানাতে পেরেছি। গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা বলেছি আমরা ট্রান্সপারেসিতে খুব জোর দিয়ে থাকবো। গণমাধ্যমের কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ সহায়তা কামনা করে থাকবো।

তিনি বলেন, গণমাধ্যম দাবি তুলেছে মোটরসাইকেল ব্যবহারের বিষয়ে। আমরা বলেছি একটা কারণে এটা বাদ দিয়েছিলাম, এটার অপব্যবহার হবে কি না। যারা মাসলম্যান তারা মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ নিয়ে কোন ধরনের সংকট সৃষ্টি করবে কি না? সেটা মাথায় রেখে একটা বিধান আমরা করেছিলাম।

একই সঙ্গে বলছি গণমাধ্যমের যে দাবি সেখানে যৌক্তিকতা আছে। মোটরসাইকেল তাদের পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রম কাভার করা কষ্টসাধ্য হতে পারো। এটা আন্ডাররিভিও করছি, এটা পরিবর্তন করবো। তিনি আশা করেছেন নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক ও ক্রেডিবিলিটি হয়। আমরা বলছি নির্বাচন অবাধ করতে পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

সারাহ কুক বলেন, ইউকে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চায়।


আরও খবর
যেভাবেই হোক নির্বাচন হতে হবে: ইসি আলমগীর

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩




আদালত থেকে পালিয়ে ভারত যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

হবিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গন থেকে হাতকড়াসহ পালিয়ে যাওয়া মাদক ব্যবসায়ী রাজুকে তিনদিন পর গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত থেকে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম।

গত ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার ভোররাতে মাধবপুর থানার হরষপুর রেল স্টেশন বাজার এলাকা থেকে রাজুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯।

সে উপজেলার শিবরামপুর গ্রামের মো. চাঁন বাদশা মিয়ার ছেলে। রাজু একজন পেশাদার মাদক কারবারি। সে সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক এনে পুরো জেলায় ছড়িয়ে দিতো। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ২৬৪ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করে।

গ্রেপ্তারের পর মাধবপুর থানা পুলিশ রাজুর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।

গত বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির ছিলো। এ সময় পুলিশ তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পর হাতকড়াসহ পালিয়ে যায় রাজু।

শনিবার বিকালে রাজুর বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে হাতকড়াটি উদ্ধার করে পুলিশ।


আরও খবর
জয়পুরহাটে খাল থেকে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার

মঙ্গলবার ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩