মোংলা বন্দরের
পশুর চ্যানেলে সুন্দরবনের মধ্যে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের ধাক্কায় এম ভি ফারদিন-১ নামে
একটি বাল্কহেড জাহাজ কয়লা নিয়ে ডুবে গেছে। রবিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯ টায় বন্দরের
পশুর চ্যানেলের হারবাড়িায়ার-৯ নম্বর বয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে জাহাটিতে থাকা
তিন নাবিক নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ নাবিকদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে কোস্টগার্ড
ও মংলা বন্দরের উদ্ধারকারী নৌযান।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ
এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মোংলা বন্দরে
আসা বিদেশি জাহাজে শ্রমিক ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স টি হকের সুপার ভাইজার মো. লোকমান
হোসেন জানান, পণ্য খালাস শেষে পানামা পতাকাবহী হ্যান্ডিপার্ক জাহাজ (মাদার ভেসেল) বন্দর
ত্যাগ করার সময় বিপরিত থেকে আসা ওই বাল্কহেড জাহাজটিকে ধাক্কা দিলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া বাল্ডহেড জাহাজটিকে ধাক্কা দেয়া হ্যান্ডিপার্ক জাহাজটি গত ১০ নভেম্বর
টিএসপি সার নিয়ে মোংলা বন্দরে আসে।
এদিকে মোংলা বন্দরে
অবস্থানরত মাল্টা পতাকাবাহী ‘এলিনা বি’ থেকে কয়লা বোঝাই করেছিল ফারদিন-১ বাল্কহেড
জাহাজটি। বিদেশি জাহাজ এলিনা বি’র স্থানীয় শিপিং
এজেন্ট টগি শিপিংয়ের ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজ জানান, মোংলা বন্দরে অবস্থানরত বিদেশি
জাহাজ ‘এলিনা বি’ থেকে প্রায় ছয়’শ টন কয়লা নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল বাল্কহেড
“ফারদিন-১’।
এসময় পণ্য খালাস
শেষে বন্দর ত্যাগ করার সময় হ্যান্ডিপার্ক নামে অপর একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ফারদিন-১
বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দিলে কাত হয়ে পড়ে। এরপর ধীরে ধীরে পানি ঢুকে বাল্কহেডটির পিছনের
অংশ ডুবে যায়। এসময় তিন নাবিক ছিটকে নদীতে পড়ে যায়। ফারদিন-১ বাল্কহেডটিতে একজন নিরাপত্তাকর্মিসহ
মোট ছয়জন নাবিক ছিলেন বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি হারবার মাষ্টার ক্যাপ্টেন মো. শাহাদাৎ হোসেন জানান, এ দুর্ঘটনাটি চরের দিকে হওয়ায় বন্দর মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে। বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলে কোন অসুবিধা হচ্ছে না। ঘটনার পরপরই সেখানে মার্কিং বয়া স্থাপন করা হয়েছে।