আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

মোখার তাণ্ডবে মিয়ানমারে নিহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারে তাণ্ডব শুরু করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে দেশটির বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে এখন পর্যন্ত তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবের ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাখাইন রাজ্যের থানদউয়ে বিমানবন্দরে একটি ভবন ধসে পড়েছে। সেখানকার বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ভেঙে পড়েছে।

প্রদেশটিতে প্রবল ঝড়বৃষ্টির সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে পানির প্রবাহ। রাজ্যের রাজধানী সিতওয়েতে হাটু পানি জমেছে। কর্তৃপক্ষের দেয়া বিভিন্ন নম্বরে, বাসিন্দারা জরুরি সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছেন। মিয়ানমারে বিবিসির সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, দেশটির স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার পর থেকেই বৃষ্টি এবং দমকা হাওয়া বাড়তে শুরু করে।

এতে করে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বসতবাড়ি বিশেষ করে টিনের বাড়িঘর এবং অস্থায়ী আবাস ভেঙ্গে পড়তে শুরু করে। অনেক বাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে ঝড়ে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে বিদ্যুৎ নেই দেশটিতে। ওয়াইফাই সংযোগও বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

মিয়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগের জন্য এখন শুধু মোবাইল ডাটাই কাজ করছে। মিয়ানমারের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রোববার বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র সিতওয়ে উপকূল অতিক্রম করে যাবে। ঝড়ের প্রভাব ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন>> ঘূর্ণিঝড় মোখা: সেন্টমার্টিনে নারীসহ ২ জনের মৃত্যু

দেশটির আবহাওয়া দফতর বলছে, ঘূর্ণিঝড়টির গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩৭ মাইলের মতো। সকালেই মোখা রাখাইন উপকূলে আঘাত হানে। তখন থেকেই সেখানে দমকা হাওয়াসহ থেকে থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।

রাজ্যেটির ৭টি শহরকে ইতোমধ্যে বিপদজনক লাল এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ মাইল রেকর্ড করা হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের রাসায়ে পর্বতের এক বাসিন্দা সকালে বলেন, পুরো রাসায়ে পর্বতের প্রায় ৫০ হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারা সবাই শহরে চলে গেছেন। গ্রামে বৃষ্টি তেমন নেই। তবে অনেক বাতাস বইছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দুর্যোগপ্রবন এলাকাগুলো থেকে হাজার হাজার মানুষ আশেপাশের শহরে আশ্রয় নিয়েছে। সকাল থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিয়াকু শহরে টহল দিচ্ছে সামরিক বাহিনী।


আরও খবর



পাকিস্তান ভিক্ষা করছে, ভারত চাঁদে যাচ্ছে : নওয়াজ শরীফ

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দেশে ফিরছেন। তার আগেই তিনি এই বোমা ফাটিয়েছেন। লন্ডন থেকে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে লাহোরে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিচ্ছিলেন নওয়াজ। তখনই তিনি বলেন, আজ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী একের পর এক দেশে গিয়ে অর্থভিক্ষা করছেন। আর ভারত চাঁদে পৌঁছে গেছে, জি-২০ শীর্ষবৈঠক করছে। ভারত যা পেরেছে, তা পাকিস্তান কেন অর্জন করতে পারেনি? এর জন্য দায়ী কে?

শরীফের দাবি, অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তখন ভারতের ভাণ্ডারে বিদেশি মুদ্রা ছিল একশ কোটি ডলার। আজ ভারতের কাছে ৬০ হাজার কোটি ডলারের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় আছে। আর পাকিস্তান ভিক্ষা করছে। গত জুলাই মাসে আইএমএফ পাকিস্তানকে অর্থনীতিকে সামলানোর জন্য ১২০ কোটি মার্কিন ডলার সাহায্য দিয়েছে।

আরও পড়ুন>> কানাডায় শিখ নেতা হত্যায় ভারতকে দুষলেন জাস্টিন ট্রুডো

নওয়াজ শরীফ ঘোষণা করেছেন, আগামী ২১ অক্টোবর তিনি দেশে ফিরবেন। গত চার বছর ধরে তিনি লন্ডনে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে আছেন। নওয়াজ জানিয়েছেন, দলের নির্বাচনী প্রচারে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তিনি দেশে ফিরবেন। আসন্ন নির্বাচনে তার দল জিতবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

নওয়াজ জানিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানকে লোডশেডিং-মুক্ত করেছিলেন, আর তাকে চারজন বিচারপতি শাস্তি দিলেন। তাকে ক্ষমতা থেকে তাড়ানোর পিছনে আইএসআইয়ের সাবেক প্রধান হামিদ ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া ছিলেন বলেও তিনি জানিয়েছেন।

শরীফের দাবি, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাকিব নাজির ও আলি সঈদ খোসাকে এই কাজে ব্যবহার করেছিলেন সেনাপ্রধান। তাদের ক্ষমা করা হবে না। তাদের শাস্তি পেতে হবে। এদের জন্যই আজ পাকিস্তানের এই অবস্থা।


আরও খবর



সহযোগী অধ্যাপক হলেন ৬৯০ জন

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৬৯০ জন সহকারী অধ্যাপক থেকে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। প্রায় তিন বছর পর জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী পঞ্চম গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন তারা। বুধবার তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

সিনিয়র সহকারী সচিব রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ৬৯০ সহকারী অধ্যাপককে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দিয়ে পদায়ন দেওয়া হয়েছে। প্রচলিতভাবে এবারও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিষয়ভিত্তিক পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে যোগদান করে আগের পদের দায়িত্ব পালন করবেন।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী, পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের বিমুক্তি ও যোগদান প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন হবে। ইনসিটু বা সংযুক্ত সহযোগী অধ্যাপকরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিবর্তে সংযুক্ত কর্মস্থলের নির্ধারিত হারে বেতন ও অন্যান্য ভাতা প্রাপ্য হবেন।

পদোন্নতি পেয়ে সহযোগী অধ্যাপক হওয়া বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে অর্থনীতির ৪০, আরবি ও ইসলামী শিক্ষার ২২, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতির ৩৭, ইংরেজির ৫৯, ইতিহাসের ৩৫, উদ্ভিদবিদ্যার ৩৫, কৃষিবিজ্ঞানের ২, গার্হস্থ্য অর্থনীতির ২, গণিতের ৩২, দর্শনের ৩২, পদার্থবিদ্যার ৩৫, পরিসংখ্যানের ৪, প্রাণিবিদ্যার ৩৬, বাংলার ৫৯, ব্যবস্থাপনার ৪৭, ভুগোলের ১৪, মনোবিজ্ঞানের ৭, রসায়নের ৪০, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ৬৬, সমাজকল্যাণের ১৩, সমাজবিজ্ঞানের ১৫, সংস্কৃতের ১, হিসাববিজ্ঞানের ৪৭, ইসলামী আদর্শ (টিটিসি) ১, ইংরেজি (টিটিসি) ১, ইতিহাসের (টিটিসি) ১, গাইডেন্স অ্যান্ড কাউন্সিলিংয়ের (টিটিসি) ১, গণিতের (টিটিসি) ১, প্রফেশনাল ইথিক্সের (টিটিসি) ১, বাংলার (টিটিসি) ১, ভুগোলের (টিটিসি) ১, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের (টিটিসি) ১ ও বিজ্ঞানের (টিটিসি) ১ জন রয়েছেন।


আরও খবর



নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে যেতে চাই বহুদূর

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
এস এম নুরে আলম সিদ্দিকী

Image

বর্তমানে দেশের মুদ্রিত সংবাদপত্র এক কঠিন সময় পার করছে। কারণ ছাপার কাগজ ও ছাপার সামগ্রীর দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে পত্রিকা চালানো অনেক কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অনেক বড় বড় পত্রিকারও সার্কুলেশন কমিয়ে ফেলেছে। আমাদেরও কমাতে হচ্ছে। কারণ কাগজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে, বেড়েছে প্লেটসহ অন্যান্য সামগ্রীরও দাম। এমন পেক্ষাপটে পত্রিকারও মূল্য বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়, কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে মুদ্রিত সংবাদপত্রের পাঠক কমে গেছে বিপুলভাবে। অথচ পাঠকই সংবাদপত্রের প্রাণ ও মূল চালিকাশক্তি।

অনলাইন নিউজপোর্টালে প্রকাশিত সংবাদ তাৎক্ষণিকভাবে মুছে ফেলা যায়। কিন্তু ছাপা সংবাদ মুছে ফেলার সুযোগ নেই। কারণ প্রিন্ট ইজ প্রুফ (ছাপাই প্রমাণ)। এ জন্যই আমি আশাবাদী, যতোই প্রতিকূলতা আসুক না কেন প্রিন্ট পত্রিকা টিকে থাকবে। ভবিষ্যতে অতীত হবে না ছাপা কাগজ।

সংবাদপত্র সাধারণ মানুষের কথা বলে, সমাজের কথা বলে, দেশের কথা বলে। দেশ পরিচালনায় সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরে, সমালোচনা করে সরকারকে সঠিক পথনির্দেশনা দেয়। রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সংবাদপত্র সমাজকে সজাগ করে, সম্ভাবনার কথা বলে। সমাজ প্রগতির কথা বলে, সমাজকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করে। এ কারণে সংবাদপত্রকে সমাজের দর্পণ বলা হয়। সেই দর্পণে সমাজের সঠিক চিত্র প্রতিফলিত হওয়াটাই স্বাভাবিক। সংবাদপত্র পরিচ্ছন্নভাবে পরিচালনা করা সমাজের সঠিক প্রতিবিম্ব ও প্রতিফলনের চিত্র তুলে ধরার পূর্বশর্ত। তাই সংবাদপত্রকে সমাজের অন্যকোনো বিষয়ের সাথে তুলনা করা চলে না। এ কারণে সংবাদপত্র ও সাংবাদিককে চলতে হয় বন্ধুর পথে, অতিক্রম করতে হয় অনেক দুর্গম পথ। এভাবেই সংবাদপত্র হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।

আর সেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে হাঁটি হাঁটি পা পা করে আমরা পেরিয়ে এসেছি অনেকটা পথ। আজ (২২ সেপ্টেম্বর) আজকের দর্পণের জন্মদিন। ৯ বছর আগে ‘সত্যের খোঁজে প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে আমার বড়ভাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির সম্পাদনা ও প্রকাশনায় আজকের দর্পণ-এর যাত্রা শুরু করেছিলেন। অদম্য মনোবল আর প্রচণ্ড সাহস নিয়ে শুরু হয়েছিল আজকের দর্পণের পথচলা। নানা বাধাবিপত্তি ডিঙিয়ে নয়টি বছর পেরিয়ে দশ বছরে পর্দার্পণ করলো আজকের দর্পণ।

এরই মধ্যে পাঠকের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে পত্রিকাটি। ব্যাপক জনপ্রিয় না হলেও পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ‘আজকের দর্পণ’ এ আমার আত্মবিশ্বাস। পত্রিকাটির জন্ম আমার হাতে না হলেও আজ এটি আমার সন্তানের মতো। এ কাগজটি প্রতিষ্ঠিত করার পেছনে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের ভূমিকাই বেশি।

একমাত্র পাঠকের ভালোবাসায়, বিজ্ঞাপনদাতাদের সহযোগিতায়, হকার ও এজেন্টদের আন্তরিকতায় কোনো বড় গ্রুপের অর্থলগ্নি ছাড়াই পথ চলছে ‘আজকের দর্পণ’। এ আমাদের এক অন্যরকম শক্তি। এ কারণেই ‘আজকের দর্পণ’ কারো মুখাপেক্ষী নয়। ‘আজকের দর্পণ’ এমন একটি জাতীয় দৈনিক যেটা দেশের কথা বলবে, দেশের মানুষের কথা বলবে। এ দেশের আপামর মানুষের কণ্ঠই প্রতিধ্বনিত হচ্ছে ‘আজকের দর্পণ’ পত্রিকায়। এ জায়গা থেকে আমরা একটুও সরে আসিনি, একচুল পরিমাণও ছাড় দেইনি। দেশপ্রেম প্রশ্নে একচুলও আপস করিনা আমরা। ‘আজকের দর্পণ’ বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে দেশের মানুষের কাছেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো দল বা গোষ্ঠীর কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ নয়, দায়বদ্ধও নয়। তাই ‘আজকের দর্পণ’ সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে দ্বিধা করে না। এর ব্যত্যয় ঘটবে না কখনো।

প্রিয় পাঠক, আপনাদের সাথে নিয়েই আমাদের এ পথচলা। আমাদের এ পথচলায় আমরা সবসময় আপনাদের পাশে পেয়েছি। আপনাদের সহযোগিতায় আমাদের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। আপনাদের অবদানের কথা আমরা সবসময়ই কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করি। আপনাদের ভালোবাসায় ‘আজকের দর্পণ’ অসম সাহস ও ধৈর্য নিয়ে এগোবেই।

সম্প্রতি আজকের দর্পণ-এর ই-পেপার ও অনলাইন পোর্টাল আরো আপগ্রেড করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে পত্রিকাটিকে আরো পাঠকপ্রিয় কাগজে পরিণত করা হবে। আর এ জন্য প্রয়োজন পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা  ও শুভানুধ্যায়ীদের সমর্থন ও সহযোগিতা। আশা করি, আপনাদের পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত আগের মতো প্রসারিত থাকবে।

পরিশেষে আজকের দর্পণের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রিয়পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন। সবাই সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। যতোই সংকট থাকুক, প্রতিকূলতা আসুক, নতুন দিনের স্বপ্ন নিয়ে আমরা যেতে চাই বহুদূর।


সম্পাদক ও প্রকাশক, আজকের দর্পণ


আরও খবর
জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে অস্থির ইউকে এবং ইইউ

বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারী 20২৩




নবাবগঞ্জে নৌকা বাইচ দেখতে এসে ট্রলার ডুবে নিহত ১, নিখোঁজ ১

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নৌকা বাইচ দেখতে এসে ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ওয়াসিম (১৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবরী দল।

রবিবার (১ অক্টোবর) সকালে পাতিলঝাপ ইটভাটা সংলগ্ন এলাকা থেকে ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওয়াসিম মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার চর লক্ষীপুর গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা দাবি করছেন, এ ঘটনায় আরো একজন নিখোঁজ রয়েছে ।

এবিষয়ে দোহার উপজেলা ফায়ার স্টেশন অফিসার তামিম হাওলাদার বলেন, ওয়াসিম ট্রলারে করে সিঙ্গাইর থেকে অনেকের সাথে শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের কালীগঙ্গা নদীতে পাতিলঝাপ পয়েন্টে আয়োজিত নৌকা বাইচ দেখতে আসে। পরে ট্রলারটি স্রোতের মুখে ডুবে যায়। সংবাদ পেয়ে ডুবুরি দল রবিবার সকাল ৭টা থেকে ঘটনাস্থলে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টার পর পাতিলঝাপ বাজার থেকে খানিক দূরে ইটভাটা সংলগ্ন এলাকা থেকে মৃত অবস্থায় ওয়াসিমের লাশ উদ্ধার করে। ট্রলারটি উদ্ধারের পাশাপাশি ট্রলারে থাকা নিখোঁজ আরো একজনকেও আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি বলে জানান এ কর্মকর্তা।

দোহার কুতুবপুর ফাঁড়ির নৌ-পুলিশ উপ-পরিদর্শক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের পর স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। এঘটনায় সিঙ্গাইরের চারিগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের ভাগিনা নিখোঁজ রয়েছে। তাকেও উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



আ.লীগ কোনো ষড়যন্ত্র-পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করে না : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমরা (আওয়ামী লীগ) কোনো ষড়যন্ত্র ও পেশিশক্তিতে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই জনগণের ভালোবাসা। আবারও নির্বাচন আসবে। সারাদেশেই একটাই আওয়াজ শেখ হাসিনার বিকল্প নাই। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিকেএমইএ ভবনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কভিডের সময় প্রধানমন্ত্রী কিভাবে সহযোগিতা করেছেন। তিনি শুধু আমাদের নেতা নন। তিনি বিশ্বের নন্দিত নেতা। কখনও তিনি মাদার অব হিউম্যানিটি কখনও তিনি ভ্যাকসিন হিরো। তিনি এদেশের জনগণকে ভালোবাসেন বলেই আমরা এ জায়গায় আসতে পেরেছি।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ সময়মতো আদায় করেন। তাহাজ্জুদ পড়েন। ফজরের নামাজ পড়ে কাজ শুরু করেন। অন্য ধর্মের প্রতি রয়েছে তার অগাধ বিশ্বাস। সবাইকে তিনি আগলে রাখেন। আমাদের অঙ্গীকার ছিল কাউকে গৃহহীন থাকতে দিবো না। আমরা গৃহহীনদের ঘর দিচ্ছি। কাউকে না খেয়ে মরতে হবে না। 

আরও পড়ুন>> উচ্চবিত্ত পর্যায়ে দুর্নীতি বেশি হচ্ছে : পরিকল্পনামন্ত্রী

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ১৫ বছর আগে হতদরিদ্রের মিছিল ছিল। সবাই ঢাকা চলে আসতো। এখন কিন্তু দাওয়াত দিয়েও খাওয়ানো যায় না। আমরা যখন ক্ষমতায় আসছি তখন ২৮ পার্সেন্ট ছিল হতদরিদ্রের সংখ্যা। এখন ৫ পার্সেন্ট। ২০৪০ সালে আমরা জিরোতে নিয়ে আসবো এ আলোকিত বাংলাদেশের যাত্রা এগিয়ে যেতে হলে সবার সহযোগিতা লাগবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে আইসিটি উপদেষ্টা বঙ্গবন্ধুর দৈহিত্র আইসিটি সেক্টরকে উপড়ে নিয়ে আসছেন। সেখানেও বিস্ফোরণ ঘটছে। বিরাট সম্ভবনার জায়গায় চলে আসছে আইসিটি খাত। এটিই হলো দূরদর্শী নেতৃত্বের পরিচয় দক্ষ নেতৃত্বের পরিচয়। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে। ২০০৮ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন তখন অনেকেই হাসছিলেন। আজকে কোথায় নিয়ে গেছে আমাদের দেশকে। 

আরও পড়ুন>> অভিযানের খবরে দাম কমল ডিম-পেঁয়াজ-আলুর

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি সেলিম ওসমানের এমপির সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি এম এ হাতেম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী নেতারা।


আরও খবর