গাজীপুরের শ্রীপুরে
সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই নারীসহ ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে
অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ফেসবুক ও মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে দেখা করার
কথা বলে বাসায় ডেকে পর্নোগ্রাফি তৈরি করে মুক্তিপণ আদায় করতো এ চক্রের সদস্যরা।
র্যাব-১-এর গাজীপুর
পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর এএসএম মাঈদুল ইসলাম মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিকাল
৩টায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে সোমবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্রীপুর
উপজেলার মুলাইদ গ্রামের টুটুলের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা
হলো—চক্রের প্রধান মেহেদী হাসান সঞ্চয়, আবু
হানিফ, লিপি আক্তার স্বর্ণা, লাভলী আক্তার, বাদল মিয়া এবং গোলাম রাব্বী। তাদের কাছ
থেকে অশ্লীল ছবি, সাতটি মোবাইল, নগদ টাকা এবং একটি লোহার পাত উদ্ধার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা
মাঈদুল ইসলাম বলেন, সোমবার র্যাব ক্যাম্পে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন তার ভাইকে শ্রীপুরের
একটি স্থানে নিয়ে মারধর করে আটকে রেখেছে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা এক লাখ
টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের
টুটুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের প্রধান ও তার পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার
করে র্যাব।
মাঈদুল ইসলাম
বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা স্বীকার করেছে দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধভাবে
প্রতারণা করে আসছিল। চক্রের সদস্য লিপি আক্তার জানায়, ফেসবুক ও অপরিচিত মোবাইল নম্বরে
বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচিত হয়। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে। এরপর দেখা
করার কথা বলে ওই ব্যক্তিকে বাসায় নিয়ে আসে। বাসার আসার পর ওই ব্যক্তির পর্নোগ্রাফি
তৈরি করা হয়। এরপর পর্নোগ্রাফি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়
করা হয়।
কমান্ডার মেজর এএসএম মাঈদুল ইসলাম আরও বলেন, চক্রের সদস্যরা গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।