নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ হতে যাচ্ছে। শুক্রবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় নতুন সদস্যরা বঙ্গভবনে শপথ নেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচি থেকে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারপ্রধানের যে কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মন্ত্রিসভার নবনির্বাচিত সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
নতুন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, মন্ত্রিসভার পরিধি বাড়বে কি না এটি প্রধানমন্ত্রী বলতে পারবেন। তবে সময়মতো কিছু, যেমন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়; এগুলোয় কোনো-না কোনো সময় মন্ত্রী আসবেন। সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের পর নির্বাচিতদের মধ্য থেকে কেউ কেউ মন্ত্রী হতে পারেন এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন সেতুমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। আমি যা বলি একবারেই বলব।’
তবে সূত্র জানায়, নতুন করে শপথ নিতে যাওয়া মন্ত্রীদের জন্য ১০টি গাড়ি প্রস্তুত করা হচ্ছে।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ের পর টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় ১১ জানুয়ারি। নতুন মন্ত্রিসভায় ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান। মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করা হলেও শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কোনো মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী না দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অধীনে রাখা হয়। এ ছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো বড় ও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে শুধু মন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রসারণ হলে ফাঁকা থাকা মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি এই মন্ত্রণালয়গুলোতেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে মন্ত্রী থাকলেও নতুন মন্ত্রিসভায় সেটা এখনও ফাঁকা রাখা হয়েছে। এজন্য অনেকেই মনে করছে, এখানেও নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।