জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের ৪৮ আসনের বিপরীতে মনোনয়নপ্রত্যাশী ১৫৫৩ জন। এ সংখ্যাই প্রমাণ করে যে নারী জাগরণ ঘটেছে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করেছিলেন তা ব্যর্থ হতে পারে না। সে আদর্শকে ধরে রাখতেই দেশে ফিরে আসা। কবরের মাটি ছুঁয়ে শপথ নিয়েছিলাম, এ স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবো না। তাই করেছি। তবে সে চলার পথ সহজ ছিল না।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছে। জেল-জুলুম সব সহ্য করেই ক্ষমতায় এসেছি। জীবনের হুমকি ছিল বারবার। লক্ষ্য ছিল, যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করা এ দেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে যাওয়া। আজ তা অর্জন করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, মেয়েরা সাফ্যলের সঙ্গে যে কোনো কাজ সম্পন্ন করে। পড়াশোনায় নারী আজ এগিয়ে। কর্মক্ষেত্রেও সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। বিভিন্ন পেশায় ভালো করছে। নানান বাধা পেরিয়ে মেয়েরা আজ খেলাধুলার মাঠে আসছে। এখানেও এগিয়েছে তারা। এখন মেয়েরা অনেক পদক আনছে।
তিনি বলেন, মেয়েরা খেলতে পারবে না, ব্যবসা করবে না- ইসলাম ধর্মেও এমন বলা নেই। প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে একজন নারী, কোনো পুরুষ নয়। সাহস করে বিবি খাদিজা এগিয়ে এসেছেন। তিনি ব্যবসা করতেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়ন প্রত্যাশীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, দলের সবাইকে কাজ করতে হবে। দলের সব নেত্রী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করেছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাই মনোনয়ন না পেলেও নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা যেন চলে না যায়। নেতৃত্ব দেওয়ার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নিজে কী পেলাম, তা না ভেবে জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। কাউকে পিছিয়ে রেখে নয়, সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে।