শিল্পাঞ্চল
সাভারে গত গয়েকদিনের শ্রমিক অসন্তোষের জেরে আরও অন্তত ৬০ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
করেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৩ তারিখ থেকেই যৌথ বাহিনীর কার্যক্রম শুরু করে
শিল্পাঞ্চল সাভারে।
বুধবার প্রথম
প্রহরে আন্দোলনকারীদের আন্দোলন শুরু হলে, সকাল ১০টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া ও বাইপাইল
থেকে জিরাবো পর্যন্ত মহাসড়কের উভয়পাশের কারখানাগুলো ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবারও
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আশুলিয়ার মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে আন্দোলন করেছিলো
শ্রমিকরা।
শিল্প পুলিশ
জানায়, আজ সকালে যথা নিয়মে কারখানায় যায় শ্রমিকরা। কিন্তু কাজ না করে বিভিন্ন দাবী
আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করলে কর্তৃপক্ষ একের পর এক কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। পরে
শ্রমিকরা বেরিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখা কারখানা গুলোর সামনে গিয়ে বিক্ষোভ ও ইট পাটকেল
নিক্ষেপ শুরু করলে সেসব কারখানাতেও ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সকাল সাড়ে
১০ টা পর্যন্ত অন্তত শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার ছোট-বড় অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা
করা হয়েছে।
জিরাবো এলাকায়
গিয়ে দেখা যায়, কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হলেও বিক্ষিপ্ত অবস্থায় বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান
নিয়েছেন শ্রমিকরা। এতে করে সড়কটিতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে
কাজ করছে শিল্প পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরা।
শিল্প পুলিশ-১
এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড
সড়কের জিরাবো এলাকা পর্যন্ত সড়কের উভয় পাশে হামীম, শারমীনসহ অন্তত ৬০ টি কারখানা কর্তৃপক্ষ
কারখানা ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে শ্রমিকরা উদ্ভুত পরিস্থিতির
সৃষ্টি করে। পরে কতৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করেন। শ্রমিকরা এখনো সড়কে রয়েছেন, আমরা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গত
কয়েকদিন ধরে তৈরি পোশাক কারখানা গুলোতে সমানুপাতিক হারে নারী ও পুরুষ শ্রমিক নিয়োগসহ
নানা দাবিতে সাভারের আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা বিরাজ করছে। তবে গতকাল পোশাক শিল্পের
নিরাপত্তায় যৌথ অভিযান শুরুর ঘোষণা আসার পর আজ সকাল থেকে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিস্থিতি
স্বাভাবিক থাকলেও বিকেলে আবারও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে গতকাল
বিকেলেই সৃষ্ট বিশৃঙ্খলার কারণে এ পর্যন্ত অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানার সাধারণ ছুটি ঘোষণা
করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।