আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মন্দার শঙ্কা, প্রস্তুতি কতটুকু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আবারও একটি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দীর্ঘায়িত হতে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে গোটা বিশ্বে যে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তার প্রভাবেই এই মন্দার আশঙ্কা। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সম্ভাব্য এই মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে। ২০২৩ সালের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে মন্দা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিভিন্ন সংস্থা।

এ নিয়ে মহাদুশ্চিন্তায় রয়েছেন বিশ্বনেতারা। বিভিন্ন দেশ নিচ্ছে আগাম প্রস্তুতি। বাংলাদেশও বসে নেই। এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্ভাব্য মন্দার প্রভাবে আগামী বছর দেশের অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। বলেছেন প্রস্তুতির কথাও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশের মানুষকে তিনি প্রতি ইঞ্চি জমিতে শস্য আবাদের পরামর্শ দিয়েছেন। যাতে করে উৎপাদন বাড়িয়ে মানুষ সঞ্চয় করতে পারে। খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি না হয়। অপচয় বন্ধ করতে সরকারি সংস্থাগুলো নির্দেশনা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি মন্দার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী অর্থবছরের বাজেট কেমন হবে, তা নিয়ে এখনই চিন্তাভাবনা করার কথা জানিয়েছেন।

সরকার কতটা প্রস্তুত এ বিষয়ে খোঁজ নিলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মন্দা দেখা দিলে বাংলাদেশও তার বাইরে থাকবে না। তবে বাংলাদেশ কতটা চাপে পড়বে, তা নির্ভর করছে মন্দার ব্যাপকতার ওপর। সঠিক পদক্ষেপ নিলে সংকট এড়ানো সম্ভব। তবে আগামী কিছুদিন যে বিশ্ব অর্থনীতি ভালো যাবে না, তা বিভিন্ন সংস্থার পূর্বাভাস থেকে নিশ্চিত। এজন্য সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ঠিক রাখা। বিশেষ করে কৃষি উৎপাদন, যাতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। সেবা ও ভোগ চাহিদা ধরে রাখা। কর্মসংস্থান ও সঞ্চয়ের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও সরকারের লক্ষ্য। মন্দার আশঙ্কা যেহেতু আগামী বছর, তাই আগামী অর্থবছরের বাজেটে এ বিষয়ে কৌশলগত উদ্যোগ ও বরাদ্দ রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

বেসরকারি আর্থিক গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিশ্বমন্দার প্রভাবে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের আমদানি পণ্যের দামে অস্থিরতা আরও বাড়বে। ডলারে সংকট আরও প্রকট হবে। এটি ধাক্কা দেবে রিজার্ভের ওপর। কমবে রেমিট্যান্স, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। বাড়বে মূল্যস্ফীতি। এসব মোকাবিলা করে অর্থনীতিকে সচল রাখাই হবে সরকারের কার্যকর প্রস্তুতি। তবে এই প্রস্তুতির জন্য দরকার সরকারের ব্যয় বাড়ানো। কিন্তু রাজস্ব আয় কমছে। সম্ভাব্য মন্দায় এটা আরও কমবে। আবার যেহেতু বিশ্বমন্দা। দাতাদের কাছে প্রায় সব দেশই ঋণ চাইবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ওই অস্থির পরিস্থিতিতে কতটা ব্যয় বাড়াতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় তো থাকছেই।  তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০০৭-০৮ সালেও সফলভাবে বিশ্বমন্দা মোকাবিলা করেছে। করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছে। সম্ভাব্য মন্দাও সফলভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। তবে সরকার যদি সতর্কভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয় তাহলে অর্থনীতি আবারও পিছিয়ে যাবে।

এদিকে বর্তমানে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে রয়েছে তার হালনাগাদ পরিস্থিতি জানতে আগামী নভেম্বরে বসছে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে আর্থিক বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠক। ওই বৈঠকেই চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের ব্যয়সংকোচনের বাজেট মূল্যায়নের পাশাপাশি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটেরও রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, মন্দা দেখা দিলে সরকার তার প্রভাব মোকাবিলায় একটি বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ নেওয়ার পরিকল্পনা করছে। দেশের অর্থনীতিতে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় সরকার ২৮টি প্যাকেজ নিয়েছে। আগামীতে প্রয়োজন হলে একই ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে সরকার। বৈদেশিক মুদ্রার মজুত সুরক্ষিত রাখতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বাড়াতে সরকার রেমিট্যান্সের বিপরীতে প্রণোদনার হার বাড়াতে পারে। বর্তমানে রেমিট্যান্সে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে করোনা মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয় সরকার। এর মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ায় বিশ্ব অর্থনীতিতে দেখা দিয়েছে নতুন চ্যালেঞ্জ। চলতি বছরের বাজেটে এই নতুন চ্যালেঞ্জ ও করোনার প্রভাব মোকাবিলার উদ্যোগ অব্যাহত আছে। এখন আসন্ন মন্দার শঙ্কায় আগামী বাজেটেও অনুৎপাদনশীল প্রায় সব খাতে অপ্রত্যাশিত ব্যয় কমিয়ে তা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে সরকার।

বিশ্বমন্দায় দেশে দেশে যা ঘটতে পারে : বৈশ্বিক মন্দা দেখা দিলে জ্বালানির বর্তমান সংকট আরও তীব্র হতে পারে। বাড়তে পারে দামও। খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বাড়বে খাদ্য নিরাপত্তার ঝুঁকি। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে কমবে চাহিদা। এতে করে কমে যাবে রপ্তানি আয়ের ধারাবাহিকতা। বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়বে বিশ্বের বিভিন্ন খাতের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যে। ফলে কমতে পারে রেমিট্যান্স। বৈশ্বিকভাবে মুদ্রার বিনিময় হারে অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান সঞ্চিত রিজার্ভ আরও কমার আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের অনেক দেশ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হতে পারে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিনিয়োগ মারাত্মকভাবে কমে যায়। শিল্পোৎপাদন হ্রাস পায় এবং ব্যাংকে ব্যাংকে নতুন খেলাপি উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়। এসবের প্রভাবে কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসে এবং বেকারত্ব বৃদ্ধি পায়। সার্বিকভাবে মোট দেশজ উৎপাদনও (জিডিপি) কমে যেতে পারে দেশে দেশে।

প্রভাব মোকাবিলায় সরকারের পরিকল্পনা : মন্দার কারণে বাড়বে আমদানি পণ্যের দাম। আমদানি খরচ কমাতে সরকার সব খাতেই অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। বিশেষ করে কৃষি ও উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এজন্য প্রয়োজনে বাড়তি ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি প্রণোদনা বাবদ মোট বরাদ্দের ১৭ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী বাজেটে এ বরাদ্দ আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেজন্য উন্নয়ন ব্যয় ছোট করা হতে পারে।  চলতি অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বাজেটের ৫ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। আগামী বাজেটে তা সাড়ে ৬ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় জ্বালানি তেলের পরিবর্তে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে জোর দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে সৌর বিদ্যুতেও উৎসাহ দেওয়া হবে। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, আগামীতে তার সুবিধাভোগী বাড়ানো হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: রাশিয়া-ইউক্রেন

আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বে মামুন উল হক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরিচালক (আইটিসি) প্রফেসর মো. মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপসচিব আনিসুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক অফিস আদেশ ও প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

এর আগে সনদ বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্তি করা হয়।  সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে দুদিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের জাল সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র তৈরিতে জড়িত একটি চক্রের সঙ্গে সেহেলা পারভীনের টাকা-পয়সা লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই চক্রটি গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি জাল সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আয় করেছে। বোর্ডের জাল সনদ ও নম্বরপত্র তৈরির বিষয়ে তথ্য জানতে আলী আকবর খানকেও জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তলব করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

সেহেলা ছাড়াও এ অভিযোগে আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন- বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামান, একই প্রতিষ্ঠানের চাকরিচ্যুত কর্মচারী ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটে পরিচালক সানজিদা আক্তার কলি, কামরাঙ্গীরচরের হিলফুল ফুযুল টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান এবং যাত্রাবাড়ী এলাকার ঢাকা টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (মেডিকেল) পরিচালক মাকসুদুর রহমান ওরফে মামুন (৪০)।

এই পাঁচজনের মধ্যে পুলিশ সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান ও ফয়সাল হোসেনকে গ্রেফতার করে গত ১ এপ্রিল। তাদের দেওয়া তথ্যে কলিকে কুষ্টিয়া সদর এলাকা থেকে ধরা হয় গত ৫ এপ্রিল। পরে এই তিনজন  আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর কলির জবানবন্দিতে জাল সনদ জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সেহেলার জড়িত থাকার তথ্য উঠে আসে।

গোয়েন্দা পুলিশের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের সঙ্গে শামসুজ্জামান ও সানজিদা আক্তার কলির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। এ চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




শ্যালককে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে বললেন প্রতিমন্ত্রী পলক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লুৎফুল হাবীবকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে বলেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) মোবাইল ফোনে তাকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেন প্রতিমন্ত্রী।

এদিকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় শুক্রবার রাতে লুৎফুল হাবীবকে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ কথা নিশ্চিত করেছেন সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস।

পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, লুৎফুল হাবীবের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশসহ একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রস্তুত করা হচ্ছে। শুক্রবার রাতের মধ্যেই লুৎফুল হাবিবকে নোটিশটি পাঠানো হবে। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়ে আগামীকাল শনিবার লুৎফুল হাবীবকে আরও একটি চিঠি পাঠানো হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন লুৎফুল। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দলীয় এই নির্দেশনা অমান্য করলে লুৎফুলের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে তাকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।

এর আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে অপহরণ করে মারধরের ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক লুৎফুল হাবীবকে তলব করেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের নোটিশে ১৫ এপ্রিল জেলা নির্বাচন অফিসের সামনে থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাধা, মারধর ও অপহরণের ঘটনার কথা তুলে ধরে আগামী তিন দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে লুৎফুল হাবীবকে ফোন দিলেও কল না ধরায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ দেলোয়ার হোসেনকে দেখতে যান সিংড়ার সংসদ সদস্য এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও মারধরের ঘটনায় আমি লজ্জিত, দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের সুষ্ঠু বিচার হবে।


আরও খবর



গরু বিতর্কের জবাব দিলেন আশনা হাবিব ভাবনা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে। ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি।

মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা। এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন। যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না।

হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা। মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা। অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী।

ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী। গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে।

গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে। কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে।

সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক।

ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন। এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না। তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন। নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছ প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু: জবি উপাচার্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

আগামী পহেলা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ে মধ্যে গুচ্ছভুক্ত ২৪ সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম।

আজ শুক্রবার (১০ মে) গুচ্ছের সি ইউনিট (বাণিজ্য) ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।

উপাচার্য বলেন, নতুন বছরের ক্লাস শুরু করা নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। আমরা আশা করছি, ১ লা জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে নতুন বর্ষের ক্লাস শুরু করতে পারব।

এবার গুচ্ছের 'সি' ইউনিট তথা বাণিজ্য ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছেন ১২ হাজার ৫১৩ জন। এ সময় তিনি বিগত সময়ের সংকট কাটিয়ে এবার দ্রুত ক্লাস শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা শেষে ১ আগস্ট গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ক্লাস শুরুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পরে আজ (শুক্রবার) সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১ থেকে -১৫ জুলাইয়ে মধ্যে ক্লাস শুরু করার সম্ভাবনার কথা জানান।

গত বছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস পহেলা আগস্টে শুরু করার ঘোষণা দিয়েছিল তৎকালীন জবি উপাচার্য প্রয়াত ড. ইমদাদুল হক। পরে সেই ক্লাস ১ মাস পরে সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল।

উল্লেখ্য, আজ গুচ্ছের অন্তর্ভুক্ত ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য বিভাগ (সি ইউনিট) এর ভর্তি পরীক্ষা বেলা ১১ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষায় ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪০ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।

নিউজ ট্যাগ: জবি উপাচার্য

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




জলবায়ু পরিবর্তনের মূল আঘাত যাচ্ছে এশিয়ার ওপর দিয়ে: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন দুর্যোগের কারণে ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়া মহাদেশভুক্ত দেশগুলো। জাতিসংঘের বৈশ্বিক আবহাওয়া ও জলবায়ু নিরাপত্তা বিষয়ক সংস্থা ওয়ার্ল্ড মেটেরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশনের (ডব্লিউএমও) এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে এ তথ্য।

ডব্লিউএমও’র মতে, অন্যান্য মহাদেশের চেয়ে এশিয়ায় বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব পড়েছে বেশি। এ কারণে এই মহাদেশের তাপমাত্রাও বাড়ছে। ১৯৯১ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা বেড়েছে ১ দশমিক ৮৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এমনকি ২০২০ সালের তুলনায় গত বছর এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ছিল দশমিক ৯১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টানা ও দীর্ঘ তাপপ্রবাহে এক দিকে এশিয়ার পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহগুলো গলে যাচ্ছে, অন্য দিকে জলাশয়গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে— যা অদূর ভবিষ্যতে এই অঞ্চলের পানির নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ব্যাপক সংকট সৃষ্টি করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ডব্লিউএমও’র প্রতিবেদনে।

মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক বিবৃতিতে ডব্লিউএমওর শীর্ষ নির্বাহী কেলেস্টে সাউলো বলেন, এশিয়ার অধিকাংশ দেশের ইতিহাসে ২০২৩ সাল ছিল উষ্ণতম বছর। বিশ্বে খরা, তাপপ্রবাহ, ঝড়, বন্যার মতো যত বিপর্যয় ঘটেছে, সেসবের অধিকাংশই ঘটেছে এশিয়ার বিভিন্ন দেশে। জলবায়ু পরিবর্তনের গভীর প্রভাব ইতোমধ্যে জনজীবন ও পরিবেশের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সমাজ ব্যবস্থা, অর্থনীতিতেও পরিলক্ষিত হচ্ছে। যদি তাপমাত্রা বৃদ্ধি, হিমবাহ গলে যাওয়া এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে, তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এই প্রভাব আরও ব্যাপক হবে।’

ডব্লিউেএমও’র তথ্য অনুয়ায়ী, তাপমাত্রা বাড়ছে সাইবেরিয়া থেকে মধ্য এশিয়া, পূর্ব চীন থেকে জাপান পর্যন্ত। জাপানের ইতিহাসে উষ্ণতম বছর ছিল ২০২৩ সাল। একই সঙ্গে এ সময় প্রশান্ত মহাসাগরের উত্তর পশ্চিমাঞ্চল অর্থাৎ এশীয় অংশের তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির জেরে এশিয়ার হিমালয় পবর্তমালা এবং এই পর্বতমালার হিন্দুকুশ ও তিব্বত রেঞ্জের ২২ টি হিমবাহের মধ্যে অন্তত ২০টির বরফের মজুত ২০২৩ সালে ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।

তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি জলসৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবিলা করতে হচ্ছে এশিয়াকে। ২০২৩ সালে এশিয়ায় বড় আকারের ঝড়, বন্যা ও তুমুল বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে অন্তত ৭৯টি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন অন্তত ৯০ লাখ।

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় এশিয়ার দেশগুলোর আবহাওয়া কর্মীদের যথাযথ প্রশিক্ষণ এবং গ্রীন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসে জোর দেওয়া হয়েছে ডব্লিউএমওর প্রতিবেদনে।

এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, আবহাওয়া কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমাতে খানিকটা হলেও সহায়তা করবে। তবে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমণ কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এই মুহূর্তে গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ হ্রাস কেবল একটি বিকল্প নয়, বরং জরুরি কর্তব্য।’


আরও খবর