আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মিয়ানমারকে অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে ভারত,যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশ: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, জাপানসহ বিশ্বের অন্তত ১৩টি দেশের কোম্পানি অস্ত্র তৈরিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের এক সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 

এতে বলা হয়, মিয়ানমারের যেসব নাগরিক সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে, তাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্বদেশে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। এর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা চলছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের দেওয়া মিয়ানমার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সংস্থাটির বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। তবে এটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে পারে এবং সেসব অস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কাঁচামাল, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে। ফলে দেশে উৎপাদিত অস্ত্র মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষায় ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ইয়াংহি লি বলেছেন, মিয়ানমারে কখনোই কোনো বিদেশি রাষ্ট্র আক্রমণ করেনি। এমনকি মিয়ানমার কোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। ১৯৫০ সাল থেকে দেশটি নিজের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করছে।

মিয়ানমারের সরকারি হিসাবমতে, সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে ২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। সামরিক অভ্যুত্থাপের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারপরও দেশটির শাসকদের জন্য স্নাইপার রাইফেল, বিমান বিধ্বংসী বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেড, বোমা, ল্যান্ডমাইনসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে সমস্যায় পড়তে হয়নি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে ইয়াংহি লির সহলেখক ছিলেন ক্রিস সিডোতি ও মারজুকি দারুসমান। তাঁদের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সাবেক সেনাদের সাক্ষাৎকার, অস্ত্র কারখানার স্যাটেলাইট চিত্র ও সামরিক নথি ফাঁস করেছে। ২০১৭ সালে তোলা ছবিগুলো প্রমাণ করে, সেনা অভ্যুত্থানের আগেও দেশে তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।  ক্রিস সিডোতি বলেছেন, সম্প্রতি সাগাইং অঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা হামলা হয়েছে এবং অনেক শিশু নিহত হয়েছে। ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে যে অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে, সেসব দেশীয় কারখানায় তৈরি বলে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলছে, অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জাম অস্ট্রিয়া থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়ার জিএফএম স্টেয়ার যে অস্ত্রগুলো সবরাহ করেছে, সেগুলো বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহ দমন করকে সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছে। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো যখন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়, তখন তাইওয়ানে পাঠানো হয়। সেখানে জিএফএম স্টেয়ারের প্রযুক্তিবিদেরা অস্ত্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেন বলে জানা গেছে। তবে অস্ট্রিয়ার প্রযুক্তিবিদেরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গিয়ে কাজ করেন কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে তারা জিএফএম স্টেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনের লেখকেরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা অস্ত্র উৎপাদন নেটওয়ার্কের একটি ভগ্নাংশ উন্মোচন করেছে। তাঁরা মনে করছেন, বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে কাঁচামাল নিয়ে মিয়ানমারে অস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব কাঁচামালের মধ্যে তামা ও লোহা রয়েছে। ভারত ও রাশিয়া বৈদ্যুতিক ডেটোনেটরের মতো সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া অস্ত্র কারখানার অন্যান্য যন্ত্রপাতি জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে বলে জানা গেছে। ইসরায়েল ও ফ্রান্স থেকে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের সামরিক ক্রেতা এবং বহিরাগত সরবরাহকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হলেও তারা কখনো অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করেনি। কারখানার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ১৯৮৮ সালে দেশটিতে মাত্র ছয়টি অস্ত্র কারখানা ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২৫টি হয়েছে।

ক্রিস সিডোটি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে আসেনি। অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। ফলে অনেক কোম্পানির জন্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানো সহজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার অন্য দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। তবে ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের একটি অস্ত্র বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিল মিয়ানমার।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সিরিয়ায় দুটি বড় মার্কিন ঘাঁটিতে মিসাইল ও ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। ঘাঁটি দুটির নাম- আল ওমার তেলখনি ও খারাব আল জির। এগুলো সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে এসব হামলার ঘটনা ঘটে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, আল ওমার তেলখনির ওই মার্কিন ঘাঁটিতে চারটি মিসাইল হামলা চালানো হয়। আর খারাব আল জির ঘাঁটিতে তিন মিসাইল ও একটি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়।

তাৎক্ষণিকভাবে এসব হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তবে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাকের নিনভেহ প্রদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জুম্মার শহর থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে।

এর আগে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে ইরান-সমর্থিত ইরাকি গোষ্ঠী জর্ডানে মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে তিন মার্কিন সৈন্য নিহত হয়। আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন।


আরও খবর



পশ্চিমবঙ্গের ৭ জায়গায় তাপমাত্রা ছাড়াল ৪০ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পশ্চিমবঙ্গের সাত জায়গায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। কোথাও তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ ডিগ্রির বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার পানাগড়ে। সোমবার ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

অধিদপ্তর জানায়, পানাগড়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পানাগড় ছাড়াও আরও ছয় জায়গায় দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছিল। মেদিনীপুরে দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ব্যারাকপুর ৪০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাঁকুড়ায় ৪১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কলাইকুণ্ডায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল দিনের তাপমাত্রা।

ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুষ্ক পশ্চিমা এবং উত্তর-পশ্চিমা বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। ১৫ এপ্রিল থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এই তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে। আগামী চার-পাঁচ দিন পশ্চিমবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে।

এছাড়া উপকূলবর্তী অঞ্চলে বাতাসে আর্দ্রতা ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ থাকতে পারে।


আরও খবর



ভারতে লোকসভা নির্বাচন ঘিরে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহারের চাঁদমারি এলাকায় বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষ থেকে ইট-পাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে একজন আহত হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

এদিকে মুজাফফরনগরের তান্ডেরার গ্রামবাসীদের কেউই ভোটকেন্দ্রে যাননি। সকাল ৮টা পর্যন্ত একটি ভোটও পড়েনি সেখানে। রাস্তা নির্মাণে বিলম্বের বিরুদ্ধে তাদের এই প্রতিবাদ বলে জানা গেছে।

উত্তর প্রদেশের নাগিনা থেকে এক স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিযোগ করেছেন যে, সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। বিজেপি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করছে এবং ভোটারদের তার পক্ষে ভোট দিতে দিচ্ছে না। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ১০টিরও বেশি ইভিএম সঠিকভাবে কাজ করছে না এবং ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকা ক্যামেরাও ত্রুটিপূর্ণ।

তিন কেন্দ্র মিলিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে মোট ৩৭টি অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

স্থানীয় সময় সকাল সাতটায় শুরু হয়েছে ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা। সাত দফার এই নির্বাচনে আজ প্রথম দফায় ২১টি রাজ্য এবং‌ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে দেশের ১০২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।

নির্বাচন কমিশন ১ লাখ ৮৭ হাজার ভোটকেন্দ্র জুড়ে ১৮ লাখেরও বেশি ভোটকর্মী মোতায়েন করেছে। নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৬ কোটি ৬৩ লাখ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৮ কোটি ৪০ লাখ পুরুষ, ৮ কোটি ২৩ লাখ নারী এবং ১১ হাজার ৩৭১ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।

২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী ৩ কোটি ৫১ লাখ তরুণ ভোটার ছাড়াও প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন ৩৫ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার।


আরও খবর



যাকাত নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে নারীর মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
শাকিল মোল্লা, রাজবাড়ী

Image

রাজবাড়ীতে যাকাতের কাপড় নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা নারী মারা গেছেন। আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজবাড়ী শহরের ভবানীপুর এলাকায় হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ভোর থেকেই যাকাতের কাপড় নেওয়ার জন্য হাজী দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে মানুষ ভিড় জমায়। সকাল ৭টার দিকে কাপড় দেওয়া শুরু করা হয়। লাইন দিয়ে কাপড় দেওয়া হচ্ছিল। হঠাৎ কাপড় নিতে আসা মানুষেরা হট্টগোল পাকিয়ে ফেলে। তড়িঘড়ি করে কাপড় নিতে আসার সময় এক নারী নিচে পরে যায়। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। অসুস্থ অবস্থায় তাকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মিলন খান নামে একজন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাত দেওয়া শুরু হয়। শুরুতে সবাই সিরিয়াল ধরে নিচ্ছিল। যাকাত দেওয়ার কিছু সময় পরে লাইনের পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে সামনে প্যান্ডেলের বাঁশ ভেঙে যায়। এতে করে হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে এক নারী গুরুতর আহত হয়। তাকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, সকাল ৭টা থেকে যাকাতের লুঙ্গি ও শাড়ি বিতরণ করার কথা ছিল। কিন্তু সময়ের আগেই লোকজন এসে ভিড় জমায়। তাদের লাইন ধরে দাঁড় করানো হয়। কিন্তু একপর্যায়ে লাইন ভেঙে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা নিরাপত্তার জন্য পুলিশ চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ ছিল না। দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

রাজবাড়ী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইফতেখারুল আলম প্রধান বলেন, যাকাতের কাপড় আনতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এক নারীর মৃত্য হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই নারীর পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।


আরও খবর



জনপ্রকাশ্যে ইউপি সদস্যকে গুলি, পরে গলা কেটে হত্যা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নরসিংদী প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীতে প্রকাশ্য দিবালোকে রুবেল আহম্মেদ নামে এক ইউপি সদস্যকে গুলি করার পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টার দিকে নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের পাকুড়িয়া বাজারে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রুবেল আহম্মেদ ওরফে বডি রুবেল আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আজ দুপুরে রুবেল আহম্মেদ পাকুড়িয়া বাজারে আসেন। কাজ শেষে পৌনে ২টার দিকে মোটরসাইকেলে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রাইভেটকারযোগে আসা একদল দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে পরপর ছয় রাউন্ড গুলি করে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রুবেল মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার শরীরের ওপর বসে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।

মাধবদী থানা পুলিশের এসআই ফজলে রাব্বি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত করছে।

নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্রের ধারণা, ইউপি নির্বাচনের সময় তৈরি হওয়া শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।

জানা গেছে, সবশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদস্য পদে রুবেল আহাম্মেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ইমরুল নামে এক প্রার্থী। ওই সময় দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে একাধিকবার হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই নির্বাচনে কেন্দ্রে প্রভাব খাটিয়ে রুবেল বিজয়ী হন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইমরুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়।


আরও খবর