আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

মিয়ানমারকে অস্ত্র তৈরিতে সহায়তা করছে ভারত,যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৩ দেশ: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারত, জাপানসহ বিশ্বের অন্তত ১৩টি দেশের কোম্পানি অস্ত্র তৈরিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে সহায়তা করছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। জাতিসংঘের এক সাবেক শীর্ষ কর্মকর্তার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। 

এতে বলা হয়, মিয়ানমারের যেসব নাগরিক সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করে, তাদের বিরুদ্ধে নৃশংসতা চালাতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী স্বদেশে উৎপাদিত অস্ত্র ব্যবহার করে থাকে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে। এর পর থেকে দেশটিতে সহিংসতা চলছে।

সম্প্রতি জাতিসংঘের দেওয়া মিয়ানমার-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে সংস্থাটির বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলেছে, জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যাহত রেখেছে। তবে এটিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী নিজেরাই বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে পারে এবং সেসব অস্ত্র বেসামরিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশগুলো মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে কাঁচামাল, প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সরবরাহ করে। ফলে দেশে উৎপাদিত অস্ত্র মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষায় ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ইয়াংহি লি বলেছেন, মিয়ানমারে কখনোই কোনো বিদেশি রাষ্ট্র আক্রমণ করেনি। এমনকি মিয়ানমার কোনো দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। ১৯৫০ সাল থেকে দেশটি নিজের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য নিজেরাই অস্ত্র তৈরি করছে।

মিয়ানমারের সরকারি হিসাবমতে, সাম্প্রতিক অভ্যুত্থানের পর থেকে সামরিক বাহিনীর হাতে ২ হাজার ৬০০ মানুষ নিহত হয়েছে। তবে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা ১০ গুণ বেশি বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা। সামরিক অভ্যুত্থাপের পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তারপরও দেশটির শাসকদের জন্য স্নাইপার রাইফেল, বিমান বিধ্বংসী বন্দুক, ক্ষেপণাস্ত্র, গ্রেনেড, বোমা, ল্যান্ডমাইনসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র তৈরি করতে সমস্যায় পড়তে হয়নি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনটিতে ইয়াংহি লির সহলেখক ছিলেন ক্রিস সিডোতি ও মারজুকি দারুসমান। তাঁদের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র সাবেক সেনাদের সাক্ষাৎকার, অস্ত্র কারখানার স্যাটেলাইট চিত্র ও সামরিক নথি ফাঁস করেছে। ২০১৭ সালে তোলা ছবিগুলো প্রমাণ করে, সেনা অভ্যুত্থানের আগেও দেশে তৈরি অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।  ক্রিস সিডোতি বলেছেন, সম্প্রতি সাগাইং অঞ্চলে একটি স্কুলে বোমা হামলা হয়েছে এবং অনেক শিশু নিহত হয়েছে। ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে যে অস্ত্রগুলো পাওয়া গেছে, সেসব দেশীয় কারখানায় তৈরি বলে স্পষ্টভাবে শনাক্ত করা গেছে।

জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা পরিষদ বলছে, অস্ত্র তৈরিতে ব্যবহৃত কিছু সরঞ্জাম অস্ট্রিয়া থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রিয়ার জিএফএম স্টেয়ার যে অস্ত্রগুলো সবরাহ করেছে, সেগুলো বিভিন্ন সময়ে বিদ্রোহ দমন করকে সেনাবাহিনী ব্যবহার করেছে। 

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অস্ত্রগুলো যখন রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন হয়, তখন তাইওয়ানে পাঠানো হয়। সেখানে জিএফএম স্টেয়ারের প্রযুক্তিবিদেরা অস্ত্রগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করেন বলে জানা গেছে। তবে অস্ট্রিয়ার প্রযুক্তিবিদেরা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গিয়ে কাজ করেন কি না, সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। জাতিসংঘের প্রতিবেদনের বিষয়ে জানতে তারা জিএফএম স্টেয়ারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

প্রতিবেদনের লেখকেরা স্বীকার করেছেন যে তাঁরা অস্ত্র উৎপাদন নেটওয়ার্কের একটি ভগ্নাংশ উন্মোচন করেছে। তাঁরা মনে করছেন, বেশ কয়েকটি দেশ মিয়ানমারের অস্ত্র উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। চীন ও সিঙ্গাপুর থেকে কাঁচামাল নিয়ে মিয়ানমারে অস্ত্র উৎপাদন করা হচ্ছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব কাঁচামালের মধ্যে তামা ও লোহা রয়েছে। ভারত ও রাশিয়া বৈদ্যুতিক ডেটোনেটরের মতো সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। এ ছাড়া অস্ত্র কারখানার অন্যান্য যন্ত্রপাতি জার্মানি, জাপান, ইউক্রেন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসে বলে জানা গেছে। ইসরায়েল ও ফ্রান্স থেকে প্রযুক্তিগত যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার আসে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুর একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলো মিয়ানমারের সামরিক ক্রেতা এবং বহিরাগত সরবরাহকারীদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে থাকে। কয়েক দশক ধরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার শিকার হলেও তারা কখনো অস্ত্র উৎপাদন বন্ধ করেনি। কারখানার সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ১৯৮৮ সালে দেশটিতে মাত্র ছয়টি অস্ত্র কারখানা ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে ২৫টি হয়েছে।

ক্রিস সিডোটি বলেছেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা খুব একটা কাজে আসেনি। অন্যদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। ফলে অনেক কোম্পানির জন্য নিষেধাজ্ঞা এড়ানো সহজ হয়েছে। এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে, মিয়ানমার অন্য দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে না। তবে ২০১৯ সালে থাইল্যান্ডের একটি অস্ত্র বাণিজ্য মেলায় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র প্রদর্শন করেছিল মিয়ানমার।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



আনোয়ারায় স্বপ্নের টানেল উদ্বোধনের সভাস্থল পরিদর্শনে ভূমিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধনে আনোয়ারা প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুধীসমাবেশ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভাস্থল নির্ধারণের জন্য স্থান পরিদর্শন করেছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাযের পর তিনি আনোয়ারার বৈরাগ ইউনিয়নের কুরিয়ান ইপিজেডের মাঠ, চায়না ইকোনমিক জোনের মাঠ ও বৈরাগ পানির ট্যাংকি এলাকার মাঠ পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য এস এম আলমগীর চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মান্নান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইশতিয়াক ইমন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল্লাহ আল মুমিন, ভূমি মন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব রিদুয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ মালেক, উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান, ভূমিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী এড. ইমরান হোসেন বাবু, বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ ও আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

আগামী ২৮ অক্টোবর নির্বিঘ্ন ও মনোরম পরিবেশে প্রধানমন্ত্রীর সুধীসমাবেশ করতে সার্বিক নিরাপত্তা বিবেচনা করে তিনটি মাঠ থেকে যেকোন একটি নির্ধারন করা হবে।

পরিদর্শনকালে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেন, আনোয়ারা কর্ণফুলী ছাড়াও পুরো চট্টগ্রামের জন্য এ দিনটি আনন্দের দিন। এই আনন্দ চট্টলার ঘরে ঘরে উদযাপন করবে মানুষ। আগামী একশ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে এই টানেল উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে দক্ষিণ চট্টগ্রাম শিল্পাঞ্চলে পরিণত হবে। কোনো বেকারত্ব থাকবেনা।


আরও খবর



ভূমিকম্পে কাঁপলো ঢাকা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। রোববার দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে এ কম্পন অনুভূত হয়। সার্চ ইঞ্জিন গুগলের তথ্য বলছে, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল চার দশমিক ২।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে। এ কম্পনের ফলে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে।

এর আগে গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.৫।

নিউজ ট্যাগ: ভূমিকম্প

আরও খবর



চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম ডেঙ্গুতে শিশুসহ দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ১২৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জন।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়া ৪০ বছর বয়সী রোকেয়া বেগম চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর তিনি ডেঙ্গু উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আরেকজন ডেঙ্গুতে মৃত্যু হওয়া ২ বছর বয়সী শিশু ফাহিমা আক্তার গত ১৩ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়। তারা গত ১৫ সেপ্টেম্বর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। উভয়ই এক্সপান্ডেড ডেঙ্গু সিনড্রোম জটিলতায় ভুগছিলেন।

তাছাড়াও নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১২৪ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৬০ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে ৬৪ জন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৬৭৭ জন। এর মধ্যে চলতি সেপ্টেম্বরে শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৯০ জন। 

নিউজ ট্যাগ: চট্টগ্রাম

আরও খবর



কে এই এডিসি সানজিদা?

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সম্প্রতি শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনায় এসেছেন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন নিপা। তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হিসেবে কর্মরত এবং ৩১তম বিসিএস কর্মকর্তা। তিনি রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হকের স্ত্রী।

সানজিদা আফরিনের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুরের নাগদা শিমলা ইউনিয়নে। এম হোসেন আলীর মেয়ে সানজিদা ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তার বড় বোন পেশায় একজন ডাক্তার।

২০১৬ সালের ৫ মে থেকে ২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন সানজিদা। এর পর ২০২১ সালের ৬ মে থেকে ২০২২ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত গাজীপুর সদর সার্কেলে এএসপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন সানজিদা। ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ডিএমপিতে যোগদান করেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যাকে ঘিরে ঘটনার সূত্রপাত সেই নারী এডিসি সানজিদার বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। সর্বশেষ হারুনের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্কে জড়ান বলে অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি বেশ কয়েক মাস ধরে তার স্বামী ও রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল গোপনে নজরদারি করছিলেন। সব বিষয় সামনে রেখেই তদন্ত হচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: এডিসি সানজিদা

আরও খবর



নৌকা সারাজীবন উজান ঠেলেই এগিয়ে গেছে, এগিয়ে যাবে: শেখ হাসিনা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে আন্দোলন, ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা বা বিদেশিদের ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নৌকা মার্কা স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, নৌকা মার্কা স্বাধীনতা দিয়েছে। নৌকা মার্কা অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে। নৌকা মার্কা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকা সারাজীবন উজান ঠেলেই এগিয়ে গেছে, এগিয়ে যাবে। ঝড় ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়েই নৌকা তীরে থেকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলা মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সুধী সমাবেশে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের জনগণ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন, স্মার্ট জনশক্তি আমরা তৈরি করব। আমাদের সরকার স্মার্ট সরকার হবে। আমাদের অর্থনীতি স্মার্ট অর্থনীতি হবে। আমাদের সমাজ স্মার্ট সমাজ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের উন্নয়ন হওয়ার কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে গণতন্ত্র আর মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি। আমরা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পেরেছি, তার কারণে আজ বাংলাদেশের এত উন্নয়ন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে নাকি গণতন্ত্র চোখে দেখে না, আবার গণতন্ত্র উদ্ধার করবেন, যাদের জন্ম হয়েছে অগণতান্ত্রিকভাবে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, উচ্চ আদালত যাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করেছে, তাদের হাতে জনগণ কি গণতন্ত্র দেবে? তারপরও তারা আন্দোলনের নামে অনেক সময় অনেক কথা বলে।

শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে অনেকে ঘাবড়ে যান। তারপর আবার স্যাংশন, ভিসানীতি আসে, আমার স্পষ্ট কথা এই মাটি আমাদের, জাতির পিতার নেতৃত্বে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, এসব ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ অধিকার আদায় করতে জানে।  বাংলাদেশ তো ছয় ঋতুর দেশ, ছয় ঋতুর দেশে আমরা কখনো বর্ষা, কখনো ঝড়, কখনো জলোচ্ছ্বাস দেখার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।

তিনি বলেন, আজ যারা আন্দোলনের নামে রোজই আমাদের ক্ষমতা থেকে ফেলে দিচ্ছেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, আমি কবির ভাষা বলব মেঘ দেখে করিস না ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে। ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ তার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে।

সরকারি চাকরিজীবীরা পেনশন পায়, সাধারণ মানুষ পায় না স্মরণ করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষের যখন একটু বয়স হয়ে যাবে, কর্মহীন হয়ে যাবে, তখন তারা যাতে পেনশন পায়, সেই কারণে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ভবিষ্যৎ আর অন্ধকারে থাকবে না, শুধু বর্তমান উন্নয়ন না, ভবিষ্যৎ যাতে উজ্জ্বল হয় তার জন্য আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি। এটা আমাদের নির্বাচনী ওয়াদা ছিল। সেই ওয়াদা আমরা রক্ষা করতে পেরেছি।

বেকারদের উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংক আছে, বিনা জামানতে ঋণ পাওয়া যায়, ঋণ নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। কেউ বেকার বসে থাকলে হবে না। ফসল ফলাতে হবে। কাজ করতে হবে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৭৫ সাল থেকে ৯৬, ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত যে অন্ধকার যুগে বাংলাদেশ ছিল, আজ সে অন্ধকার যুগে নেই। বাংলাদেশ এখন আলোর পথে যাত্রা শুরু করেছে। শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন বেকার সমস্যা তিনভাগে নেমে এসেছে, তারপর আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। যার ফলে কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ হয়েছে। আমার কাজ একটাই, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। যে অন্ধকার যুগ ছিল, সেই অন্ধকার যুগ থেকে বাংলাদেশের মানুষকে আলোর পথে নেওয়া। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছি এক একে সব ওয়াদা পূরণ করেছি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেতু সচিব মো. মনজুর হোসেন প্রমুখ।


আরও খবর