মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশের ভেতরে পড়বে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দেশের সীমান্ত এলাকায় মর্টার শেল পড়ার বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আরাকান আর্মি এবং মিয়ানমারের আর্মি, সরকারি বাহিনী দুটির মধ্যে সংঘাত চলছে। সেই সংঘাতেরই মর্টার শেল আমাদের দেশে এসে পড়েছে। এটি আমরা অবশ্যই নজরে রেখেছি, সেখানে আমাদের সীমান্তরক্ষীরা সতর্ক আছে এবং মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী বা সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগের মধ্যে আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করব যে, সেখান থেকে কোনো মর্টার শেল আমাদের দেশে আসবে না। তবে আমরা সতর্ক আছি এ ব্যাপারে।’
মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহীদের মধ্যে ফের প্রচণ্ড গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ সীমান্তের কক্সবাজারের টেকনাফ ও বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। তারা সীমান্তের কাছে হেলিকপ্টার উড়তে দেখছেন। ভারী মর্টার শেলের শব্দও তারা শুনতে পাচ্ছেন। আতঙ্কে থাকার কথা বলেছেন ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গারাও।
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি কখনোই ভালো ছিল না। সেখানে সবসময় অস্থিরতা বিরাজ করে। কখনো ভালো, কখনো খারাপ। মিয়ানমার এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যাচ্ছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য প্রতিকূল পরিবেশ নেই।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী (ইউএনআরসি) গোয়েন লুইস বলেন, ‘এই মুহূর্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খুবই কঠিন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য এটি ভালো সময় নয়। প্রত্যাবাসন বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকার এবং রোহিঙ্গাদের পাশাপাশি বাংলাদেশ তাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে সম্মত হয়েছে।’