আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

মিয়ানমার ইস্যুতে জটিল সমীকরণে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্তের ওপারে রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতের জেরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সীমান্তরক্ষীদের (বিজিপি) ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। একেই বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে জটিলতা কাটছে না। এমতাবস্থায় নতুন করে সীমান্তরক্ষীদের আশ্রয়দানের পর যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে বাংলাদেশকে বুঝেশুনে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা। এসব বিষয় যত দ্রুত সম্ভব আন্তর্জাতিক ফোরামে তুলে ধরারও পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

গত কয়েকদিন থেকে রাখাইনে চলছে বিরামহীন গুলির আওয়াজ। বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি ও সেনাসদস্যসহ মোট ৩২৮ জন বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। প্রায় ১৫ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা মাথায় নিয়ে চলা বাংলাদেশের সামনে তাই স্বাভাবিকভাবে নতুন সংকট তৈরি হয়েছে। সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেছেন, আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, মিয়ানমারের সেনাদের পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। তিনি বলেন, ভারতের সীমান্তে এর আগে এমনটা হয়েছে। গত বছরও দেশটিতে আশ্রয় নেয়। ভারত সরকার দ্রুত তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। চীনও তাই করেছে।

ড. ইমতিয়াজ জানান, পশ্চিমা সমর্থিত মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপ পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জান্তা সরকারের ওপর হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে। তবে চীন চায় না পিডিএফ একক ক্ষমতা কাঠামো তৈরি করুক। সে কারণে তারা আরাকান আর্মিসহ বিভিন্ন গ্রুপকে সহায়তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আরাকান আর্মি সব দিক থেকে তাদের ক্ষমতা শক্তিশালী করেছে। অনেক জায়গা দখলও করেছে। যার প্রভাবে মিয়ানমারের জান্তা সেনারাও অনেক সময় পিছু হটছে। যাদের অনেকে বাংলাদেশে আশ্রয় পর্যন্ত নিয়েছে। যত দ্রুত পারা যায় তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো দরকার। তার আগে দেখে নিতে হবে ভারত ও চীন কীভাবে বিষয়টি সমাধান করছে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশনা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. ইমতিয়াজ বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে হামলা হলে গণহত্যা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। এ কারণে তাদের ওপর হামলার ঘটনা দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সুযোগ নেই বলে মনে করেন এই আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক।

রাখাইনে সংঘর্ষ চলতে থাকলে তা ভারত ও চীনের জন্যও হুমকি হয়ে উঠতে পারে বলে জানান ড. ইমতিয়াজ। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচিত বড় আকারে এ দুই দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতে যাওয়ার আগে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তিনি ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। সেই আলোচনায় ভারতকেও কথা বলতে হবে। আর যদি বাংলাদেশের দিকে হতাহত আরও বেড়ে যায় এবং মর্টারশেল বন্ধ না হয়, তা হলে আন্তর্জাতিকীকরণ আরও বাড়ানো দরকার। পাশাপাশি জাতিসংঘে যদি বিষয়টি উঠাতে হয়, তা হলে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। বিভিন্ন ফোরামকে কাজে লাগাতে হবে।

রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি ভবিষ্যৎ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ওপর প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, রাখাইনের সংঘাতের ওপর এ অঞ্চলে চীন-ভারতের দ্বন্দ্বও নির্ভর করবে। পালিয়ে আসারা কোনো বন্দি নয়, আবার শরণার্থীও নয়। তারা একটা পক্ষ ত্যাগ করে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছেন। এখন বিজিবির হেফাজতে রাখা মানে হচ্ছে, তারা যে এখানে এসে আত্মসমর্পণ করেছে, সেটা গৃহীত হয়েছে।

এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক বলেন, রাখাইন অঞ্চলে ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বলয় তৈরি হয়েছে। কাজেই রণক্ষেত্র না হলেও বাংলাদেশ একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। ভূ-রাজনৈতিক আঙ্গিকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশেষ করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সীমান্ত এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের পথ খোঁজা জরুরি। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবে, সেটা সরকারকে বিবেচনা করতে হবে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে  ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাবখান সেতু টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৭ জন। তবে এ মুহুর্তে কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে ঝালকাটি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে।

জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৫ জন এবং আশঙ্কাজন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।


আরও খবর



৭ দশমিক চার মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৭ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপভূখণ্ডের ভূতত্ত্ববিদদের মতে, বিগত ২৫ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প।

বুধবার স্থানী সময় সকাল ৭ টা ৫৮ মিনিটের দিকে ঘটা এই ভূমিকম্পের কম্পন তাইওয়ানের পাশাপাশি অনুভূত হয়েছে চীন, ফিলিপাইন এবং জাপানেও। এক তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে জাপানের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বিশাল মাত্রার এই ভূমিকম্পের জেরে সুনামির আশঙ্কা রয়েছে তাইওয়ান ও তার প্রতিবেশী এই তিন দেশে। সুনামির সময় সাগরের ঢেউয়ের উচ্চতা ৩ মিটার (৯ ফুট) ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন ভূতত্ত্ব গবেষণা সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্র এপিসেন্টার তাইওয়ানের হুয়ালিয়েন শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দক্ষিণে ছিল ভূমিকম্পটির কেন্দ্র বা এপিসেন্টার এবং ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পণটির উৎপত্তিস্থল। ৭ টা ৫৮ থেকে পরবর্তী কয়েক মিনিটে অন্তত ৯ দফা কম্পণ হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

তাইওয়ানের ভূকম্পণ পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা তাইপে সিসমোলজি সেন্টারের পরিচালক উ শিয়েন ফু বিবিসিকে বলেন, পূর্ব উপকূলে সাগর তীর বা ডাঙ্গা থেকে অল্প খানিক দূরত্বে, অর্থাৎ সাগরের অগভীর অংশে এই এপিসেন্টারের অবস্থান। এ কারণে তাইওয়ান এবং তার প্রতিবেশি দেশগুলোতে পূর্ণমাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়েছেগত ২৫ বছরে তাইওয়ানে যত ভূমিকম্প ঘটেছে, তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়।

তাইওয়ানের টেলিভিশন চ্যানেল টিভিবিএস ও অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম তাৎক্ষণিকভাবে কিছু ছবি ও ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে ধসে ও হেলে পড়া অ্যাপার্টমেন্ট ভবন ও স্কুলগুলো থেকে লোকজন-শিক্ষার্থীদের সরানো হচ্ছে। বাড়িঘরের ধংসাবশেষের আঘাতে বেশ কয়েকটি যানবাহন ধ্বংস হওয়া এবং বাড়িঘর-দোকানপাটের আসবাব ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ছড়ানো ছিটানো অবস্থার ফুটেজ প্রকাশ করেছে টিভিবিএস।

ভূমিকম্পের জেরে তাইওয়ানের পাহাড়ি এলাকায় ব্যাপক ভূমিধস হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে টিভিবিএস। তবে এখনও হতাহতের কোনো সংবাদ পাওয়া যায় নি।

এর আগে ১৯৯৯ সারের সেপ্টেম্বরে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছিল তাইওয়ানে। সেই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হয়েছিলেন, সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়েছিল অন্তত ৫ হাজার ভবন।


আরও খবর



আজ পবিত্র শবে কদর

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ধর্ম ও জীবন

Image

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সন্ধ্যা থেকে সারাদেশে দিনটি পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনী পালন করবেন।

মহান আল্লাহতায়ালা লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র এই রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

পবিত্র রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছিল। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনী কাটাবেন।

পবিত্র লাইলাতুল কদর উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে আগামীকাল রোববার (৭ এপ্রিল) সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




বিশেষ ট্রেনের ইঞ্জিনসহ ৩ বগি লাইনচ্যুত, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী বিশেষ ট্রেনের (ঈদ স্পেশাল) ইঞ্জিনসহ তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম রুটে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় এ লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশন মাস্টার মো. গোলাম রব্বানী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সকাল ৭টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ওই বিশেষ ট্রেনটি রওনা দেয়। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারায় বিকটশব্দে ওই ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। এতে চট্টগ্রামের সঙ্গে কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রামে উদ্ধারকারী ট্রেনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ট্রেনটি ঘটনাস্থলে পৌঁছে মেরামতের কাজ শেষ করলেই ওই রুটে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে জানান ওই স্টোশন কর্মকতা।


আরও খবর



ঈদুল ফিতরে বায়তুল মোকাররমে ৫ জামাত

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল ফিতরে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। পরে এক ঘণ্টা পর পর বাকি ৪টি জামাত হবে। শেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে বেলা পৌনে এগারোটায়।

রোববার (৭ এপ্রিল) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা শায়লা শারমীনের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়।

প্রথম জামাত : সকাল ৭টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

দ্বিতীয় জামাত : সকাল ৮টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. এহসানুল হক। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের মুয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান ।

তৃতীয় জামাত : সকাল ৯টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন এই মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত : সকাল ১০টা, ইমাম হিসেবে থাকবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী, মুফাসসির। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মুকাররমের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত : সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ইমাম হিসেবে থাকবেন আজিমপুরের মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির হিসেবে থাকবেন বায়তুল মুকাররম মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

এই ৫টি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশননের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪