আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

মিয়ানমারের ৩০ সেনাকে হত্যার দাবি পিডিএফ’র

প্রকাশিত:শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১১ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

দেশজুড়ে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা তীব্র করেছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ), এথনিক ডিফেন্স ফোর্স (ইএও) সহ একাধিক জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের দাবি, গত চারদিনে হামলা চালিয়ে অন্তত ৩০ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন আর্মি মেজর ও ক্যাপ্টেনও আছেন। মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি গতকাল বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে।

রিপোর্ট, মান, কারেন, রাখাইন, কিয়া, বাগো, সাগাইং এবং তানিনথারি রাজ্যে লড়াইয়ে এসব সেনা হতাহত হয়। ইরাবতি দেশটিতে উল্লেখযোগ্য এসব হামলার তথ্য সংগ্রহ করেছে, সেইসঙ্গে মিয়ানমার বাহিনীর বেসামরিক লোকদের ওপর নৃশংসতার খবরও নিয়েছে বলে জানিয়েছে। তবে কিছু সেনা হতাহতের তথ্য নিরপক্ষভাবে যাচাই করা যায়নি বলে জানিয়েছে ইরাবতি।

মান রাজ্যে পিডিএফের অভিযানে মিয়ানমার বাহিনীর তিন সেনা নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ডেপুটি ব্যাটালিয়ন কমান্ডারও আছেন। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার মন রাজ্যের থাথন অঞ্চলে সামরিক গাড়িতে হামলা চালায় পিডিএফ।

অন্যদিকে রাখাইন এবং চিন রাজ্যের শহরগুলোতে আরকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জান্তা সদস্য নিহত হয়। পাশাপাশি রাখাইনে আরও কয়েক কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এছাড়া বাগো অঞ্চলে ইয়েদাশে-পিডিএফের সঙ্গে সংঘর্ষের আরও ৭ সেনা নিহত এবং ৯ জন আহত হয়। পিডিএফ-এর নেওয়া ভিডিও ফুটেছে দেখা যায়, এক গাড়ির কাছে বেসামরিক পোশাকে দুই জান্তার লাশ। তিনটি অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং মোবাইল ফোন।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী সু চির সরকার ক্ষমতাচ্যুত করে। এর পর থেকে দেশটিতে সেনাবাহিনী ও জান্তাবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মিয়ানমার

আরও খবর



রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন: নেতৃত্বের আলোচনায় যারা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) শাখা ছাত্রলীগের ৪র্থ সম্মেলনে আগমী ১৯ সেপ্টেম্বর। এর আগে সর্বশেষ কমিটি ঘোষণা হয় ২০১৬ সালের ১০ ডিসেম্বরে। একই কমিটি প্রায় ৭বছর দায়িত্বে থাকার পর নতুন কমিটি গঠনের লক্ষে সম্মেলনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শাখা সম্মেলনকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেতৃত্বে আসতে স্থানীয় এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন অনেকেই। ক্যাম্পাসে নিয়মিত শোডাউনও দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশী নেতাকর্মীরা। নেতৃত্বে আসতে পারেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কিছু পদপ্রত্যাশী ছাত্রলীগ নেতার নাম এরই মধ্যে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যাম্পাসে।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে ক্লিন ইমেজধারী, সৎ, যোগ্য এবং নেতৃত্বদানে ক্ষমতাসম্পন্ন পদপ্রত্যাশীদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, নাকি অর্থের বিনিময়ে নেতৃত্বে চলে আসবেন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজিতে জড়িতরা, সে নিয়ে চলছে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। সবকিছু ছাপিয়ে রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নতুন নেতৃত্বে আসার দৌড়ে এগিয়ে আছেন বর্তমান কমিটির কার্যনির্বাহী সদস্য সৌমিক সাহা। তিনি কম্পিউটার কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা ফরিদপুর সদর উপজেলায়। তিনি ক্যাম্পাসে শুরু থেকেই ছাত্রলীগের সাথে সক্রিয় ছিলেন বলে জানা গেছে।

উপ-গ্রন্থনা ও প্রকশনা সম্পাদক মো: ছালাতিজ্জোহা ইফতি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বাসা বোয়ালিয়া রাজশাহী। সহ-সভাপতি মো. ফাহমিদ লতিফ (লিয়ন)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা নীলফামারীতে।

তবে মনোনয়ন দৌড়ে আরও একাধিক নেতাকর্মী এগিয়ে থাকলেও রাজনীতিতে দীর্ঘদিন সক্রিয় ছিলেন না। কমিটির তারিখ ঘোষণার পর থেকে সক্রিয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তবে পরিবারিক সমস্যার কারণে সক্রিয় থাকতে পারেননি বলে তাদের দাবি। তাদের মধ্যে রয়েছে সহ-সভাপতি এম. এম. ওসমান হায়দার (তমাল)। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের শিক্ষার্থী। তার বাসা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। উপ-দপ্তর সম্পাদক লাশিউর রহমান (নাহিদ)। তার বাসা গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায়। এছাড়াও আলোচনায় রয়েছেন আরও অনেকেই।

তবে এসব পদপ্রত্যাশীদের মধ্যে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব শেষ হয়েছে এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই শাখায় সৎ, যোগ্য, দক্ষ, নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে স্বোচ্চার থাকবেন এমন নেতৃত্ব চান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্থানীয় ও বাইরের যোগ্য পদপ্রত্যাশীদের সম্মিলিত নেতৃত্ব দেখতে চান তারা।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্র কল্যাণের পরিচালক রবিউল আউয়াল বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে পাশে নিয়ে রুয়েট ক্যাম্পাসে সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখার মতো যাদের যোগ্যতা রয়েছে তাদের হাতেই নেতৃত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন এ বিষয়ে কথা হয় রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাঈম রহমান নিবিরের সাথে। তিনি বলেন, রাজশাহীতে একসময় শিবিরের আস্তানা ছিলো। এখনো কিছুটা প্রভাব রয়েছে। সামনে জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাদেরকে দমন করে ও বঙ্গবন্ধুকে আদর্শকে লালন করে যারা রাজনীতি করে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে ভূমিকা রাখবে এমন নেতৃত্বই কামনা করেন তিনি।

রুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহা. ইসফাক ইয়াসশির ইপু বলেন, আলোচনায় যারাই থাকুক না কেন রুয়েট ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে তাদেরই আসা উচিত যারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে। একটি স্মার্ট ছাত্রলীগের ম্যান্ডেট নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করবে। তবে পরিচ্ছন্ন ইমেজ এবং সততা থাকতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এদেশের যুবসমাজকে নিয়ে সামনের জাতীয় নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে বিজয়ী করে নিয়ে আসার যোগ্যতা যাদের থাকবে তাদেরকেই নেতৃত্বে আনা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

তবে স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এমন যোগ্য নেতাকর্মীরাই শীর্ষপদের জন্য বিবেচিত হবে জানিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের কাছে যারা গ্রহণযোগ্য; শিক্ষার্থীদেরকে সাথে নিয়ে একটি আধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য যাদের দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব ও স্বচ্ছ ইমেজ রয়েছে এবং যারা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি আপসহীন দুর্গ হিসেবে গড়ে তুলবেতারাই রুয়েট ছাত্রলীগের নেতৃত্বে আসবে।


আরও খবর



আবারও এক হচ্ছেন সামান্থা-নাগা?

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

এক হতে চলেছেন নাগা চৈতন্য-সামান্থা রুথ প্রভু, এমনটাই শোনা যাচ্ছে বিনোদন অঙ্গনে। ২০১৭ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন তারা। কিন্তু মাত্র চার বছরের মাথায় ভাঙে সংসার। এরপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতা থেকে প্রাক্তন স্বামী নাগার সব ছবি মুছে ফেলেন অভিনেত্রী।

কিন্তু সম্প্রতি আবারও তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা গেল নাগার সঙ্গে বিয়ের ছবি। তাই ভক্তদের কৌতূহল এখন তাদের দিয়ে। প্রশ্ন উঠেছেআবারও কি এক হচ্ছেন তারা?

অন্যদিকে শোনা যাচ্ছিল, সামান্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অভিনেত্রী শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে নাকি চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেতা। সেই সম্পর্ককেই গুরুত্ব দিতে চান তিনি। সঠিক সময় এলে নাকি পরের ধাপে পা বাড়াবেন। কিন্তু এসবের মধ্যেই হঠাৎ সামান্থার ওই পোস্ট তাদের পুনর্মিলনের জল্পনা উসকে দিয়েছে।

সামান্থার অনুরাগীদের মতে, হয়তো সামান্থা তাদের বিচ্ছেদটা মন থেকে মেনে নিয়েছে। কারও মতে, সামান্থা-নাগা হয়তো এক হতে চলেছেন, সেই আভাসই দিলেন অভিনেত্রী।

নাগার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়তে দেখা যায় অভিনেত্রীকে। সম্প্রতি তার ছবি খুশির সংগীত প্রকাশ অনুষ্ঠানে সানগ্লাসের আড়ালে অশ্রু ধরে রাখার চেষ্টা করেন অভিনেত্রী। তবে তারা সত্যিই এক হতে চলেছেন কিনা, তা সময়ই বলবে।

নিউজ ট্যাগ: সামান্থা-নাগা

আরও খবর
‘শক্তিমান’ হবেন রণবীর সিং

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




বাংলাদেশে আসতে চান সৌদি যুবরাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

সৌদি সিংহাসনের উত্তরসূরি মোহাম্মদ বিন সালমানকে (এমবিএস) বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে তিনি এই আমন্ত্রণ জানান।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুবরাজ মোহাম্মদ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ গ্রহণ করে বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন।

এতে আরও বলা হয়, তাদের মধ্যে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অসাধারণ সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণামূলক নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন যুবরাজ মোহাম্মদ।

মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা বাড়াতে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব একসঙ্গে কাজ করবে।

এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পরিপূর্ণ সমর্থনেরও নিশ্চয়তা দেন তিনি। পতেঙ্গা টার্মিনাল, পায়রা বন্দর ও এসিইউডব্লিউএ নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সৌদি বিনিয়োগের জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেন এমবিএস।

কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্যের সঙ্গে সৌদি আরবের অর্থনীতিতে ২৮ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসীর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন যুবরাজ মোহাম্মদ। এছাড়াও ২০৩০ সালের বিশ্বকাপের আয়োজন দেশ হিসেবে সৌদিকে সমর্থন দেয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

সৌদি আরবে বিভিন্ন সামাজিক সংস্কারমূলক কাজ হাতে নেয়ায় যুবরাজের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর
লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩




জলবায়ু ও পরিবেশ রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে: বাবর

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর বলেছেন, পৃথিবী আজ জলবায়ু ও পরিবেশ দূষণের শিকার। তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত পরিবেশ বিষয়ক কর্মসূচি আমরা যথাযথভাবে পালন করলে ধ্বংসাত্মক পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা পাবো এবং সবুজ বেষ্টিত বাংলাদেশকে রক্ষা করতে পারবো।

তিনি আরও বলেন, গাছ লাগানো এবং পরিবেশ বাঁচানো আমাদের দায়িত্ব এবং নৈতিক কর্তব্য। প্রতিটি মানুষ যেন দুটি করে গাছ রোপন করে। হেলাল আকবর বাবর বলেন, দেশকে রক্ষা করতে হলে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের এই সোনার বাংলাকে সত্যিকারের সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে সর্বদিকে পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে হবে এবং দেশের সকল নাগরিককে পরিবেশবান্ধব হতে হবে।

শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে পরিবেশবাদী সংগঠন এ্যাড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত এক পরিবেশ ও জলবায়ু সম্মেলন চট্টগ্রাম স্টেশন রোডস্থ মোটেল সৈকত অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন হাজারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগর আওয়ামীলীগ নেতা ও এ্যাড ভিশন বাংলাদেশের প্রধান পৃষ্টপোষক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম নাগরিক ফোরামের মহাসচিব, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সংগঠক মো: কামাল উদ্দিন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু। বিশেষ অতিথি ছিলেন ন্যাশনাল এনভায়রনমেন্ট এন্ড হিউম্যান রাইটস্ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো: আব্দুল আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহানারা সাবের, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক স্টেট অফিসার মো: জসিম উদ্দিন চৌধুরী, সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাছির বাঙালী, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও সাহিত্য চর্চা পরিষদের সভাপতি এম. নুরুল হুদা চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু প্রজন্ম লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মো: হাসান মুরাদ, সহ সভাপতি মো: ইউসুফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মৌসুমী চৌধুরী, স্বপ্নযাত্রার সভাপতি সাজমিন কনিকা। সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স ম জিয়াউর রহমানের সঞ্চালনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিবেশ সংগঠক মাসুদ রানা। অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগ নেতা মুমিনুল হক মুমিন, আকবর আলী,চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো: দেলোয়ার, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মো. মনিরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার পলাশ, কোতোয়ালী থানা ছাত্রলীগের গণযোগাযোগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ইয়াছির আরফাত রিকু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, শিল্পী শিউলী আকতার, মো: মোস্তফা, আবুল হাশেম, সাংবাদিক আমিনুল হক শাহীন, রফিকুল ইসলাম, সীমা চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রুবেল দে।

সভার প্রধান আলোচক মো: কামাল উদ্দিন বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। প্রতিনিয়ত শব্দ দূষণ ও গাড়ি কালো ধোঁয়ায় এবং হাইড্রোলিক হরণের কারণে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মস্তিষ্ক ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।

প্রধান বক্তা শেখ নওশেদ সরোয়ার পিল্টু বলেন, চট্টগ্রাম নদী, সমুদ্র ও পাহাড় বেষ্টিত নানন্দিক নগরী। এই নগরীকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে রক্ষা করতে আমাদের সকলকে আরও বেশি সচেতন ও দায়িত্ববোধ হতে হবে।

বক্তারা আরও বলেন, পরিবেশবাদী সামাজিক সংগঠন এ্যাড ভিশন চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় ও সচেতনতা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এই সংগঠনকে সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এগিয়ে এলে চট্টগ্রামের রক্ষার আন্দোলন আরও বেগবান হবে।


আরও খবর



পাকিস্তানে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৩১

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

পাকিস্তানে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার দেশটির পাঞ্জাবের শেখপুরা জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানয়ালি থেকে একটি ট্রেন যাচ্ছিল লাহোরের দিকে। একই রেললাইনে একটি মালবাহী ট্রেন আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল। দূর থেকে দেখে ট্রেনচালক থামানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু লাভ হয়নি। 

আরও পড়ুন>> উইঘুর শিক্ষাবিদকে যাবজ্জীবন দিল চীন

উদ্ধারকর্মীরা জানায়, এখন পর্যন্ত তারা ৩১ জন আহত যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলেন, এখনো উদ্ধারকাজ চলছে। ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে।

রেলওয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, দুর্ঘটনার পরও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটার মধ্যে রেলপথ পরিষ্কার করা হয়েছে। মিনওয়ালি এক্সপ্রেসের সব যাত্রীরা এখন নিরাপদ আছে। ট্রেনচালক ইমরান সারওয়ারসহ চারজন রেল কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলেও জানান মুখপাত্র। তদন্তকারী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডেপুটি প্রিন্সিপাল অফিসার। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দলটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দওয়ার কথা রয়েছে। 

আরও পড়ুন>> পাকিস্তানের ১০ কোটি মানুষ দরিদ্র : বিশ্বব্যাংক

রেলওয়ে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, যারা দায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদ আজিজ বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

নিউজ ট্যাগ: লাহোর

আরও খবর