আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর অভিযানে বিমান হামলা

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের স্যাগাইং অঞ্চলে জান্তাবিরোধীদের সঙ্গে তীব্র সংঘাতের পর দেশটির সামরিক বাহিনী কিছু এলাকায় বিমান হামলা শুরু করেছে। স্থানীয় গণমাধ্যম এবং মিলিশিয়া সদস্যরা বলছে, সংঘাতের কারণে স্যাগাইংয়ের কিছু জেলায় ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে।

সামরিক বাহিনী নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতায় আসায় গত ১ ফেব্রুয়ারি এক দশকের অস্থায়ী গণতান্ত্রিক যাত্রার অবসান ঘটে মিয়ানমারে। দেশটির সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থানের বিরোধিতায় দেশে এবং বিদেশে ব্যাপক ক্ষোভ এবং নিন্দার ঝড় শুরু হয়। মিয়ানমারের গণতন্ত্রকামীরা সামরিক শাসনের বিরোধিতায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) নামে একটি প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলেছেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডিভিবি বলেছে, উত্তর-পশ্চিম মিয়ানমারের স্যাগাইংয়ের পিনলেবু এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানের সময় বিমান হামলা হয়েছে। শনিবার রাতে ফোন এবং ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার আগে বিমান হামলা এবং বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

পিনলেবু পিডিএফের একজন সদস্য ওই এলাকার বাইরে থেকে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বিমান হামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হামলায় পিডিএফের কোনও হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে পিডিএফের ওই সদস্য বলেন, ‌ইন্টারনেট এবং ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে আমরা সহকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। বিমান হামলার দাবির বিষয়ে রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলেও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মুখপাত্রের সাড়া পায়নি।

জান্তার বিরোধী মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সংসদ সদস্যদের নিয়ে গঠিত ছায়া প্রশাসন জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) বলেছে, সংঘাতে একটি রকেট চালিত গ্রেনেড, ক্ষুদে আগ্নেয়াস্ত্র এবং গোলাসহ একটি অস্ত্র ভাণ্ডার জব্দ করা হয়েছে। লড়াইয়ে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর ২৫ জনেরও বেশি সদস্যের প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানিয়েছে এনইউজি।

সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গত ৭ সেপ্টেম্বর এনইউজি বিদ্রোহ ঘোষণার পর স্যাগাইংয়ের মতো কিছু এলাকায় রক্তপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা এবং সরকারের সম্পদকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে গণতন্ত্রকামীদের পিপলস ডিফেন্স ফোর্স।

এর আগে, সংঘাতের সময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিক্ষোভ দমনে শহরগুলোতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় দেশটির জান্তা সরকার। দেশটির আরেক সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার নাও পিডিএফের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বলেছে, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সেনাবাহিনী চিন রাজ্য এবং ম্যাগওয়ে অঞ্চলের সংঘাত-কবলিত ১১টি জেলায় ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে।

গত সপ্তাহে চিন রাজ্যের থ্যান্টলাং শহরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে পিডিএফের সংঘাতের পর সেখানকার হাজার হাজার বাসিন্দার ভারতমুখী ঢল শুরু হয়। ওই সংঘাতে থ্যান্টলাংয়ের খ্রিস্টান একজন যাজকের প্রাণহানি ঘটে। পরে মিয়ানমারের সেনা-নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি মাইটেলের বেশ কিছু মোবাইল টাওয়ার ধ্বংসের দাবি করে সেখানকার কিছু মিলিশিয়া গোষ্ঠী।


আরও খবর



ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাকের স্থায়ী জামিন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীকে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় খন্দকার মুশতাক আহমেদের স্থায়ী জামিন দিয়েছেন আদালত। এছাড়া মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।

সোমবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালতে মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২ জুন ধার্য করেন। অন্যদিকে খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও ফাওজিয়া রাশেদী স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন।

মামলার বাদী হলেন ওই শিক্ষার্থীর বাবা মো. সাইফুল ইসলাম। খন্দকার মুশতাক প্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য ও ফাওজিয়া রাশেদী কলেজটির অধ্যক্ষ।

আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুকুর রহমান ভুইয়া সোহাগ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ১৪ মার্চ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত। একই সঙ্গে অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

গত বছরে ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন।


আরও খবর



মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত হলে তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টির যে আভাস দেখা যাচ্ছে, তা সারাবিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। দেশের অর্থনীতিতে এই সংঘাতের কিছুটা প্রভাব আসতে পারে। তবে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসামঞ্জস্যতা এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সূত্রে দেশের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার শঙ্কা থাকে। এছাড়া, সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহের সাপ্লাই-চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হলে মূলত ইরান বা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে রপ্তানি সংশ্লিষ্ট পরিবহন খরচ বাড়তে পারে। এতে পণ্য তৈরি ও সরবরাহ ব্যয় বাড়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে পারেন।

মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতের আশঙ্কার বিষয়ে দেশের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্দেশ দিয়েছি যাতে প্রত্যেকে মধ্যপ্রাচ্যের চলমান ঘটনাপ্রবাহের ওপর নজর রাখে এবং এ বিষয়ে নিজ নিজ করণীয় নির্ধারণ করে। সংঘাত দীর্ঘ হলে কোন কোন সেক্টরে প্রভাব পড়তে পারে তা বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের যে কোনো সংঘাত বা সংঘাতের খবর জ্বালানি তেলের বাজারকে প্রভাবিত করে। এতে পণ্যের জাহাজ ভাড়া বাড়ে। যা আমদানি ব্যয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। সার আমদানি ব্যয়ে প্রভাব পড়ে। এতে বিকল্প উৎস হিসেবে চীন, মরক্কো, তিউনেশিয়া, কানাডা, রাশিয়া ইত্যাদি দেশের সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক আরও জোরদার করা হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের সংকট আরও ঘনীভূত ও দীর্ঘায়িত হলে তা বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে। সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। হ্যাঁ, দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। যার প্রভাব আছে। বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের জন্য কষ্ট হচ্ছে। তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের জন্য খুব একটা কষ্ট নেই। হাহাকারও নেই। তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা যে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এ কারণে যথাযথভাবে যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা দেশে যেমন উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি, পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। তাতে যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। যার ফলে আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণ আমাদের সব থেকে বড় কথা, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিকে অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য যেমন জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, গম, সারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে শিগগির ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাস দ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যে এলসি সহজ করা হয়েছে।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবদুর রউফের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বৃদ্ধির বিষয়টি পর্যালোচনাধীন।

সড়ক দুর্ঘটনা রোধে পদক্ষেপের বিষয়ে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেন, আমাদের ট্রাফিক পুলিশ দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে। তাদের ঈদ বা ঝড়-বৃষ্টি-রোদ বলে কিছু নেই। তারা তাদের কর্তব্য পালন করে যান। কিন্তু মানুষের সচেতনতা না এলে কী করবেন? হেলপার যদি গাড়ি চালায় বা যার লাইসেন্স নেই সে কখন যে কোন গাড়িতে বসে চালাতে শুরু করে এটা তো বোঝাও দুষ্কর। আর এভাবে গাড়ি চালাতে গিয়েই দুর্ঘটনা ঘটে। এরা নিজেও মরে, যাত্রীদেরও মারে।

দেশে ব্যক্তিগত গাড়ি বৃদ্ধি পেয়েছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। আমরাও গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়েছি মানুষকে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও সুযোগ দিয়েছি। এখন আমাদের গাড়ির সংখ্যা এত বেশি কিন্তু সেই তুলনায় ড্রাইভারের সংখ্যা খুব কম। আমরা চালকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিচ্ছি। এখন শুধু হাতে কলমেই ট্রেনিং নয়, একেবারে কম্পিউটারাইজড। এটা ডিজিটাল সিস্টেমে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যাতে লাইসেন্স দেওয়া হয় সেই পদক্ষেপ নিচ্ছি। এই প্রশিক্ষণটা নেওয়া.. আর যাদের ভারী গাড়ি চালানোর কোনো লাইসেন্স নেই তারা যেন সেটা চালাতে না যান। এটা করতে গেলে তা হবে আত্মঘাতী। এই আত্মঘাতী ব্যবস্থা থেকে মানুষকে বিরত রাখতে হবে। এ ব্যাপারে সবাই সচেতন ও স্বোচ্চার হলে এটা অনেকটা কমবে। তারপরও বলবো দুর্ঘটনা দুর্ঘটনাই। এটা আমাদের দেশ বলে নয়, সারা বিশ্বে অন্য দেশে যান কী পরিমাণ মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যায়? এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা সুনির্দিষ্ট করে দুর্ঘটনামুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছি। যার জন্য অনেক এলাকায় দুর্ঘটনা হচ্ছে না। এই ড্রাইভারের ব্যাপারটা নিয়ে সমস্যা।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চালকদের দীর্ঘ সময় যাতে একটানা গাড়ি চালাতে না হয়- এজন্য আমরা বিশ্রাম করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। এজন্য অনেকগুলো বিশ্রামাগার তৈরি করা হচ্ছে। এটা হলে চালকরা কিছু স্বস্তি পাবেন। আর সবাইকে বলবো আপনারা চালকদের দিয়ে গাড়ি চালান। সে সময়মতো গেলো কি না, বিশ্রাম নিতে পারলো কি না? অনেকে সেটা করেন না। আপনারা গাড়ি চালাতে বলে দেন। গাড়ি চলতেই থাকে। আপনি পার্টি করে আসেন, দাওয়াত খেয়ে আসেন কিন্তু ড্রাইভার খেলো কি না সে খবরটা রাখেন না।

আরও খবর



ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা: নিহত ১৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে বুধবার কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ওই শহরে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এরই মধ্যে মিত্র দেশগুলোর কাছ থেকে আরও বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, শহরের রাস্তা-ঘাট রক্তাক্ত হয়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবিতদের উদ্ধারে কাজ করছেন। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে আরও সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছেন। অপরদিকে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ অবশেষে একটি বিশাল আকারের নতুন সামরিক সহায়তা প্যাকেজের ওপর ভোটাভুটির ঘোষণা দিয়েছে। এতে ৬১ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘ সময়ের সামরিক সহযোগিতা অন্তর্ভূক্ত থাকছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি।

চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি যখন বিস্ফোরিত হলো তখন তিনি তার সন্তানদের নিয়ে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডোরে অবস্থান করছিলেন।

৩৩ বছর বয়সী ওলগা বলেন, আমাদের প্রতিবেশীরাও ইতোমধ্যেই সেখানে অবস্থান করছিলেন। আমরা চিৎকার করে সবাইকে মেঝেতে শুয়ে পড়তে বলেছিলাম। সবাই তাই করেছিল এবং এর মধ্যেই আরও দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। তারপরেই আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।

এদিকে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, তিন শিশুসহ ৬০ জন রুশ হামলায় আহত হয়েছে। শহরের মেয়র ওলেকসান্দর লোমাকো জানিয়েছেন, ডজনখানেকের বেশি ভবন আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডজনখানেক যানবাহন এবং মেডিকেল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এই হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, রুশ হামলা প্রতিহত করতে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত ইউক্রেনকে আরও সহায়তা দেওয়া।

তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং রাশিয়ার সন্ত্রাসী হামলা প্রতিহত করার জন্য বিশ্বের দৃঢ় সংকল্প থাকত তবে তারা এভাবে হামলা চালাতে পারত না। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ থেকে প্রায় ১৪৫ কিলোমিটার (৯০ মাইল) উত্তরে অবস্থিত চেরনিগিভ শহরটি। যুদ্ধের আগে ওই শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার।


আরও খবর



চুক্তি ছাড়াই শেষ যুদ্ধবিরতি আলোচনা, রাফায় ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি হামলা বন্ধে দুপক্ষের যুদ্ধবিরতির আলোচনা চুক্তি ছাড়াই শেষ হয়েছে। চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ হওয়ায় ইসরায়েল রাফাতে হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে। তারা রাফা অঞ্চলে নতুন করে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে। এতে ওই অঞ্চল থেকে অন্তত ৮০ হাজার মানুষ পালাতে বাধ্য হয়েছে। শুক্রবার (১০ মে) বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী বৃহস্পতিবার রাফা অঞ্চলে বোমাবর্ষণ করেছে বলে ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাফাতে হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করার যে হুমকি প্রেসিডেন্ট বাইডেন দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

রয়টার্স বলছে, একজন সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বলেছেন, গাজায় সংঘাত থামাতে কায়রোতে চলমান পরোক্ষ আলোচনার সর্বশেষ দফা শেষ হয়েছে এবং ইসরায়েল পরিকল্পনা অনুযায়ী রাফা এবং গাজা উপত্যকার অন্যান্য অংশে তাদের অভিযান চালিয়ে যাবে।

গাজায় আটক বন্দিদের মুক্তির চুক্তির জন্য হামাসের প্রস্তাবের বিষয়ে মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েল তার আপত্তি জমা দিয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন।

এছাড়া নেতানিয়াহু এক ভিডিও বিবৃতিতে বলেছেন, যদি আমাদের প্রয়োজন হয়, আমরা আমাদের নখ দিয়ে লড়াই করব। কিন্তু আমাদের নখের চেয়ে অনেক বেশি আছে।’

এদিকে বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বেশিরভাগই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে আগেই। এখন বাকি রয়েছে অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির রাফা শহর। গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরেই এবার হামলা জোরদার করেছে ইসরায়েল। আর এরই জেরে শহরটি ছেড়ে ইতোমধ্যেই পালিয়ে গেছেন ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ। জাতিসংঘ এই তথ্য সামনে এনেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার অন্যান্য অংশ থেকে তারা এখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সোমবার থেকে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ দক্ষিণ গাজার রাফা শহর থেকে পালিয়ে গেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। এছাড়া রাফার বিভিন্ন অংশে ক্রমাগত বোমাবর্ষণের মধ্যে ইসরায়েলি ট্যাংকগুলি শহরের কাছাকাছি এসে জড়ো হচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি এই আক্রমণের ফলে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে প্রায় ৩৫ হাজার লোক নিহত এবং আরও প্রায় ৮০ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।


আরও খবর



হিলি বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পর এল পেঁয়াজ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

সাড়ে ৫ মাস বন্ধ থাকার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ফের ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে ভারত থেকে ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ট্রাক হিলি বন্দরে প্রবেশ করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক। তিনি জানান, হিলি বন্দর দিয়ে সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। আজ সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে বগুড়ার মেসার্স আরএস এন্টার প্রাইজ নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৩০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করেন।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি আহম্মেদ সরকার বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় সাড়ে ৫ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। গত ৪ মে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আজ প্রথম হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো।


আরও খবর