আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

মিয়ানমারে নববর্ষ উপলক্ষে ৩ সহস্রাধিক কারাবন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে জান্তা

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির নতুন বছর উপলক্ষে তিন সহস্রাধিক কারাবন্দীকে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনার তথ্য জানিয়েছে। এসব কারাবন্দীর মধ্যে ৯৮ জন বিদেশিও আছেন।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের সেনা জান্তা এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে। তবে বিবৃতিতে সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়নি, যাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে তাদের মধ্যে ২০২১ সালের অভ্যুত্থান বিরোধীতাকারীরা আছেন কিনা।  

আরও পড়ুন: মিয়ানমারে জান্তা সরকারের হাতে নিহত ৭০১

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে গণতন্ত্রপন্থি অং সান সু চি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার জান্তা। এরপর দেশটিতে বিক্ষোভ শুরু হয়। সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নে তিন সহস্রাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে কারাবন্দী করা হয়েছে।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল অং লিন দিউ বিবৃতিতে বলেন, মিয়ানমারের নববর্ষ উৎযাপনের অংশ হিসেবে এই সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়েছে। মানবিক উদ্বেগ এবং মানুষদের খুশি করতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্ষমাপ্রাপ্তরা পুনরায় অপরাধ করলে তাদের বাকি সাজাসহ অতিরিক্ত শাস্তি ভোগ করতে হবে।


আরও খবর



হিলিতে গুদামে পচে নষ্ট হচ্ছে পেঁয়াজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

দিনাজপুরের হিলিতে গত এক সপ্তাহ থেকে ক্রেতা সংকট ও অতিরিক্ত গরমের কারণে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ গুদামেই পচতে শুরু করেছে। তাই বাধ্য হয়ে আমদানি খরচের চেয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক আব্দুস সালাম জানান, সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা দেখা দেওয়ায় পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এতে সরবরাহ কমে গিয়ে দেশটির অভ্যন্তরে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিরুৎসাহিত করতে ভারত সরকার গত ১৮ আগস্ট থেকে ৪০ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করে। এতে প্রতিকেজি পেঁয়াজ আমদানিতে ১০-১২ টাকা খরচ বেড়ে যায়।

এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। তাই লোকসানের শঙ্কায় পাইকাররা আসা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে অধিকাংশ পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় গুদামেই নষ্ট হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে বিক্রি করতে হচ্ছে এসব পেঁয়াজ।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম জানান, আগে যেখানে প্রতিদিন ৫-৬ লাখ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হতো, এখন এক লাখ টাকার পেঁয়াজও বিক্রি হয় না। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজ গুদামে নষ্ট হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজি হারিয়ে পথে বসতে হবে।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) হিলি বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আবু তাহের ও রুবেল জানান, বাজারে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজের দাম বেশির কারণে হিলি বাজারে পাওয়া যায় না।

হিলি স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহের ৬ কর্মদিবসে ১৮৫টি ভারতীয় ট্রাকে ৫ হাজার ৫১০ টন ইন্দোর, নাসিক ও পাটনা জাতের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।


আরও খবর



জিয়ার আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর আদেশ পুনর্বহালে বিল পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিয়াউর রহমানের সময় প্রণীত আইন বাতিল করে ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর আমলের বাংলাদেশ বিমান অর্ডার পুনর্বহাল করতে বাংলাদেশ বিমান অর্ডার ১৯৭২ পুনর্বহাল ও সংশোধন বিল পাস হয়। এটি ভূতাপেক্ষভাবে ২০০৭ সালের ১১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের জন্য উত্থাপন করেন বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।

মো. মাহবুব আলী বলেন, কোনো প্রকার মৌলিক পরিবর্তন না করেই তৎকালীন সামরিক সরকার ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন অর্ডিন্যান্স দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে প্রণীত বাংলাদেশ বিমান অর্ডার বাতিল করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে প্রণীত সব আইন তার রাজনৈতিক দর্শন ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে সম্পৃক্ত বিধায় ওই আদেশটি পুনর্বহালসহ সংশোধন করে এই আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আইনটি অনুমোদিত হলে সরকারি কোম্পানি হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেডের পরিচালনাসহ পরিচালনা পর্ষদ অবলুপ্তকরণ, নতুন পরিচালক নিয়োগ করা, ব্যবস্থাপনা  চুক্তি অবসায়ন এবং সংঘস্মারক বা সংঘবিধি অথবা কোনও সনদ, চুক্তি বা দলিল পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে সরকারের নীতি ও আদর্শের প্রতিফলন নিশ্চিত করা হবে।

বিলটি পাসের সময় আলোচনাকালে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী অভিযোগ করেন, বিমানে টিকিট পাওয়া যায় না। কিন্তু বিমান খালি যায়।

তিনি বলেন, বিমানবন্দরে মিষ্টি খেতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ আসছে। একজন নারী ফেসবুকে লিখেছেন প্রধান গেট থেকে শুরু করে বিমানে ঢোকা পর্যন্ত। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, মিষ্টি খাবো, মামা মিষ্টি খাওয়ার টাকা দেন। মিষ্টি খাওয়ার টাকা দিতে দিতে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে বিমানে উঠেছেন। এরকম নজির ঘটেছে। এটাতো হতে পারে না। একটা বিমানবন্দর জাতির ভাবমূর্তি তৈরি করবে। বাংলাদেশ বিমান দেশের ইমেজ। সারা পৃথিবীতে ৮০ লাখ বাংলাদেশি আছে। তারা বিমানকে প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখতে চায়। টিকিটের দাম অনেক বেশি, হয় টিকেট পাওয়া যায় না, সিট পাওয়া যায় না, খালি যায়, ফেরত আসার অনেক ক্ষেত্রে লস খায়।

বিমানের অনিয়ম ও অভিযোগ নিয়ে বলে শেষ করা যাবে না উল্লেখ করে গণফোরামের মোকাব্বির খান বলেন, মন্ত্রী সজ্জন ব্যক্তি। আমি মনে করেছিলাম, তিনি বিমানের ভালো ইমেজ নিয়ে আসবেন। কোনো সরকারের সময় বিমানকে ভালো অবস্থান দেখিনি।

বাংলাদেশের অনেকেই যুক্তরাজ্যে প্রবাসী উল্লেখ করেন তিনি বলেন, প্রবাসে আমাদের অনেক ছেলেমেয়ে আছে। তারা দেশে আসতে চায় না। অনিয়ম-বৈষম্যের কারণে দেশে আসতে চায় না। বিমানবন্দরে হয়রানির কারণে প্রবাসীরা বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের প্রবাসীরা বাংলাদেশমুখী হয় না বলে দাবি করেন মোকাব্বির খান।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নাড়ির সম্পর্ক রয়েছে। আমরা কি সেই সম্পর্ক কাট করে দিতে চাই?

জবাবে বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এক সময় ছিল বিমানের টিকিট পাওয়া যেতো না। এখন সে অবস্থা নেই। এখন অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা হয়। বিমান এখন লাভে চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন তিনি।


আরও খবর



বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ১৫ কেজি সোনা উধাও!

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাত্রীদের কাছ থেকে জব্দ হওয়া সোনার বার, অলংকারসহ মূল্যবান জিনিস রাখা হয় ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদামে। অথচ ঢাকা কাস্টমসের গুদাম থেকে প্রায় ১৫ কেজি সোনার হিসাব পাওয়া যাচ্ছে না। কীভাবে এত সোনা উধাও হলো সে বিষয়ে মুখ খুলছেন না কাস্টম হাউসের কোনও কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। 

আরও পড়ুন>> জাতীয় সংসদের ২৪তম অধিবেশন শুরু হচ্ছে আজ

সুত্র জানান, বিমানবন্দরে ২৪ ঘণ্টায় পালাক্রমে চারটি শিফট কাজ করে। এই শিফটগুলোতে জব্দ হওয়া সোনা এক গুদামেই রাখা হতো এতো দিন। তবে স্বচ্ছতা আনার জন্য ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার  একেএম নুরুল হুদা আজাদ শিফট ভিত্তিক জব্দ হওয়া সোনা আলাদা আলাদা লকারে রাখার নির্দেশনা দেন। তিনি নির্দেশ দেন, যে শিফট জব্দ করবে তাদের জব্দ করা সোনা তাদের লকারে থাকবে। 

আরও পড়ুন>> ফখরুল-রিজভীসহ ৮ নেতার বিচার শুরু

প্রায় এক সপ্তাহ আগে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ খবর পান প্রায় ১৫ কেজি সোনা গুদামে নেই। এরপর একটি কমিটি করে দেওয়া হয় গুদামের  সব সোনা গণনা করার জন্য। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনার সত্যতা মিলে। পরে আবার তা গণনা করছে কাস্টমস।

বিমানবন্দরের সূত্র বলছে, কাস্টমসের গুদামে কাস্টমসের কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কারও প্রবেশের সুযোগ নেই। সুরক্ষিত এই গুদামে চুরি হলে কাস্টমসের কেউই করেছে। 

আরও পড়ুন>> ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে দুটি 'স্মার্ট হাইওয়ে'

সোনা উধাও হওয়ার ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার একেএম নুরুল হুদা আজাদ বলেন, এ ঘটনা আমার জন্য বিব্রতকর। চূড়ান্ত ভাবে নিশ্চিত হতে আমরা ইনভেন্টরি করছি। নিশ্চিত হলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। থানায় মামলা করা হবে।


আরও খবর



খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে আগের দুটি শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্মসচিব (কারা অনুবিভাগ) মো. জিয়াউল হক গণমাধ্যমকে প্রজ্ঞাপন জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মত দিয়ে এ সংক্রান্ত ফাইল আইন মন্ত্রণালয় থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। ওইদিন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আগের মতো খালেদা জিয়া ঢাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং এই সময়ে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না- এ দুটি শর্তে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এ নিয়ে অষ্টমবারের মতো কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়লো। খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হবে।

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতে তার পরিবারের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে হাপাতালে নিতে হচ্ছে।

বেগম জিয়া এখন রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্তে রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

দুটি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া কারাবন্দি ছিলেন। নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত রয়েছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। এরপর ৩০ অক্টোবর এই মামলায় আপিলে তার আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট।

একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন একই আদালত। রায়ে সাত বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে সরকার শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়। এরপর পরিবারের আবেদনে দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ আটবার বাড়নো হলো।


আরও খবর



ধামরাইয়ে অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০23 | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ের কাইটামারা খালে খুন হওয়া অজ্ঞাত যুবকের অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের কালিদাস পট্টি এলাকার কাইটা মারাখালের ব্রিজের নিচ থেকে ভাসমান অবস্থায় যুবকের লাশটি করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। মরদেহ দেখতে শত শত নারী পুরুষ ও শিশুরা ভিড় জমায়।

ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবককে অন্য কোথাও নির্মমভাবে হত্যার পর রাতের আঁধারে গাড়িযোগে কাইটা মারা খালের উজানে ফেলে দেয় বেশ কিছুদিন আগে। লাশটি ভাসতে ভাসতে আসার পর এলাকাবাসী দেখতে পান।

বুধবার সকালে পোশাক শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে কাইটা মারা খালের কালিদাস পট্টি এলাকার ব্রিজের নিচে পানিতে ওই অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের মরদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি তারা ধামরাই থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ হারুন অর রশিদকে অবহিত করেন।

ধামরাই থানা পুলিশ এ মরদেহটি উদ্ধার করে। সুরত হাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ধামরাই থানার এস আই মোহাম্মদ রাসেল হোসেন ফকির বলেন, পোশাক শ্রমিকরা বুধবার সকালে কর্মস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে উক্ত স্থানে খুন হওয়া ওই ব্যক্তির মরদেহ দেখতে পেয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে অবহিত করেন।

এরপর তিনি আমাকে ঘটনাস্থলে পাঠালে আমি সঙ্গীয় ফর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে খুন হওয়া অজ্ঞাত পরিচয় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আরও খবর