আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

মিয়ানমারে বাড়ছে আফিমের উৎপাদন: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

জান্তা শাসনাধীন মিয়ানমারে বাড়ছে আফিমের উৎপাদন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০২২ সালে মোট ৭৯৫ টন আফিম উৎপদিত হয়েছে দেশটিতে। আগের বছর ২০২১ সালে দেশটিতে উৎপাদিত হয়েছিল ৪২৩ টন আফিম। ওই বছরেরই ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং সে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের পর গত এক বছরে মিয়ানমারে আফিমের উৎপাদন শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৪১ শতাংশ এবং গত বছর দেশটিতে যে পরিমাণ আফিম উৎপাদিত হয়েছে, তা গত ৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মাদক ও অপরাধ বিষয়ক জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনাইটেড নেশন্স অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) প্রস্তুত করেছে এই প্রতিবেদনটি। ইউএনডিসির আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস জানান, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অবলম্বন করে প্রস্তুত করা হয়েছে এটি।

বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, মিয়ানমারে আফিম উৎপাদনের সাম্প্রতিক যে উল্লম্ফণ তার সঙ্গে দেশটির বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের সরাসরি সম্পর্ক আছে। ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে দেশটিতে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা ও প্রশাসনগত পরিস্থিতি প্রায় ভেঙে পড়েছে এবং এই পরিস্থিতিতে আসলে দেশটির প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষকদের সামনে আফিম উৎপাদন করা ছাড়া আর তেমন কোনো উপায় নেই। খাদ্য-বস্ত্র ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা মেটাতেই তাদের এ কাজ করতে হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম দামী মাদক হেরোইন এবং কোকেনের প্রধান কাঁচামাল এই আফিম। এছাড়া নেশাদ্রব্য ও ওষুধের উপকরণ হিসেবেও এটির ব্যাপক চাহিদা আছে বিশ্বজুড়ে।

ইউএনওডিসির প্রতিবেদন অনুসারে, আফিম উৎপাদনে বর্তমানে শীর্ষে আছে আফগানিস্তান, তারপরেই আছে মিয়ানমার। আগের বছর ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে দেশটিতে আফিম চাষ বেড়েছে নতুন ৪০ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে এবং বর্তমানে মিয়ানমারে প্রতি হেক্টর জমিতে গড়ে উৎপাদিত হচ্ছে ২০ কেজি আফিম।

ইউএনওডিসির মিয়ানমার শাখার ব্যবস্থাপক বেনেডিক্স হফম্যান জানান, সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে ডলারের বিপরীতে মিয়ানমারের মুদ্রা কিয়াটের মান ব্যাপকভাবে পড়ে গেছে, সেই সঙ্গে দেশটিতে বাড়ছে খাদ্য-ওষুধ ও জ্বালানির দাম। মিয়ানমারে বর্তমানে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বলতে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, এ কারণেই বাড়ছে আফিমের উৎপাদন। যদি এই অস্থিতিশীলতা অব্যাহত থাকে, তাহলে সামনের দিনগুলোতে সেখানে আফিমের উৎপাদনও বাড়বে।

নিউজ ট্যাগ: আফিম মিয়ানমার

আরও খবর



রমনা বিভাগ থেকে এডিসি হারুন প্রত্যাহার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় ধরে নিয়ে বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) সংযুক্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, এডিসি হারুনকে রমনা বিভাগ থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে পিওএমে সংযুক্ত করা হবে। তাকে বদলির বিষয়ে দ্রুত আদেশ জারি হবে। পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি হবে। সেখানে কে দোষী, কে নির্দোষ প্রমাণিত হবে।

জানা গেছে, শনিবার রাতে এডিসি হারুন এক নারীর সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেসময় ওই নারীর স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান এবং তাদের দুজনকে একসঙ্গে পান। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করা হয়।

এ ঘটনার জেরে রাতেই শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনা মীমাংসা করেন।


আরও খবর
ঢাকা ওয়াসার যৌথ ওয়ার্কশপ সম্পন্ন

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩

ঢাকার বায়ু আজ সহনীয়

রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩




চার মাসেও উদঘাটন হয়নি নবাবগঞ্জের শিখার মৃত্যু রহস্য

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় বসত ঘর থেকে স্ত্রী শিখা হালদারের লাশ উদ্ধারের দীর্ঘ  চার মাসেও এ ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ হয়নি। যার ফলে ওই গৃহবধুর মৃত্যু রহস্য খোলাসা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে স্বজনদের ও এলাকাবাসীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম হতাশা। আসামী পক্ষ প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকায় সঠিক বিচার পাওয়া নিয়েও সংশয় আর হতাশা প্রকাশ করেছেন নিহত শিখার স্বজনরা। 

নিহত শিখা হালদার ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় সৌদিআরব প্রবাসী রতন হালদারে স্ত্রী। লাশ উদ্ধারের ঘটনায় করা মামলার পর থেকেই পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক বলে অভিযোগ করেন নিহতের স্বজনরা। নিহত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিতেও গড়িমসি করছেন বলেও অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।

নিহত শিখা হালদারের মা সারথী রানী হালদার বলেন, লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। থানায় মামলা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে আমি মহামান্য আদালতে ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারা দণ্ডবিধিতে মামলা করি। মামলা করার পর থেকেই বিবাদী পক্ষ আমার উপর বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছে। আমরা গরীব মানুষ। আমার মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মেরে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আসামী দীলিপ হালদার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার। প্রভাবশালী ব্যক্তি তাই সঠিক বিচার পাওয়া নিয়ে আমরা সংশয়ে আছি। পুলিশ আমাদের বলছেন ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন বা ভিসেরা প্রতিবেদন তাদের কাছে আছে কিন্তু আমাদের কোনো তথ্য জানাচ্ছেন না। পুলিশ বলছে, আদালতে রিপোর্ট পাঠালে আপনারা আদালতে যোগাযোগ করবেন। অযথা আমাকে বিরক্ত করবেন না। আমরা যেহেতু এগুলো বুঝি না, তাই তাদের ওপরেই নির্ভর করে আছি বলে জানান সারথী রানী হালদার।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার উপ-পরির্দশক তানভীর শেখ বলেন, মামলার তদন্ত কাজ শেষ। ময়নাতদন্ত বা ভিসেরা প্রতিবেদনও হাতে পেয়েছি। খুব তাড়াতাড়ি তা আদালতে জমা দেওয়া হবে।

এবিষয়ে নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, এ ঘটনায় আমি কোনো বক্তব্য দিবো না। আদালতে এর বিচার হবে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের গত ৯ জুন নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল ইউনিয়নের ছোট গোবিন্দপুর এলাকায় বসত ঘর থেকে গৃহবধূ শিখার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে শিখার মা আদালতে বাদী হয়ে ৩০২, ১০৯ ও ৩৪ ধারা দণ্ডবিধিতে মামলা করেন।


আরও খবর



শেরপুরে হত্যা মামলার রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

শেরপুরের চাঞ্চল্যকর বৃদ্ধা ফরিদা বেগম হত্যা মামলার রায়ে ৩ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১জনকে যাবজ্জীবন দণ্ডদেশ দিয়েছে আদালত।

বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ তৌফিক আজিজ এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডাদেশ প্রাপ্তরা হলেন, শেরপুর সদর উপজেলার পাঞ্জরভাঙা গ্রামের জোগেন বিশ্বাসের ছেলে লিটন বিশ্বাস, শেরপুর পৌর শহরের গৌরিপুর মহল্লার মেফাজ্জল হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ওরফে ঠোট কাঁটা জাহাঙ্গীর এবং গৌরিপুর মহল্লার রফিক মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া। এছাড়া যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামী হলেন, গৌরিপুর মহল্লার আব্দুস সালামের ছেলে মো. আলাউদ্দিন।

ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার হাজার টাকা করে জরিমানা আদায় এবং যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামীকে ৫ হাজার টাকা এবং অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

পিপি অ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল মামলার নথির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে জানান, আসামীরা ২০১৯ সালের ২১ আগষ্ট রাতে চুরির উদ্দেশে শেরপুর শহরের গৌরিপুর মহল্লার ফরিদা বেগমের ঘরে প্রবেশ করে। এসময় ফরিদা বেগম এক আসামীকে চিনে ফেললে ধরা পরার আশংকায় আসামীরা ওই বৃদ্ধাকে গলাকেটে জবাই করে হত্যা করে ঘরের মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়।

পরে বৃদ্ধার ছেলে শফিউল এহসান শামীম বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশের কাছে প্রায় এক বছর মামলাটি ক্লু-লেছ থাকার পর পিবিআই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে ২ নং আসামী জাহাঙ্গীরকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে ১ নং আসামী লিটন বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে। পরে সে ঘটনার পুরো বিবরণ দিয়ে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে আসামিরা।

পরবর্তীতে পিবিআই এর পরিদর্শক হারুন অর রশিদ ৪জন আসামীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে। আদালত ১৬ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে এ রায় দেন। এদিকে সাজা ঘোষণার পর আদালত চত্ত্বরে আসামীদের স্বজনদের কান্নাকাটি ও আহাজারি করতে দেখ যায়। অপরদিকে মামলার বাদী শামীম আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নিউজ ট্যাগ: শেরপুর

আরও খবর



নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। প্রাক পর্যবেক্ষক দলের তৈরি করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসতে পারে ইইউ সদরদপ্তর ব্রাসেলস থেকে। ইইউর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে বিষয়টি ইতোমধ্যে অবহিত করা হয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকার ইইউ সদস্যভুক্ত দেশের এক রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমকে বলেন, ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনকে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে ঢাকায় থাকা ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে। নির্বাচন কমিশন বা সরকার আমন্ত্রণ জানালে জাতীয় নির্বাচনে পূর্ণ নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর বদলে ছোট একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠাতে পারে ইইউ।

সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে যে, তাদের নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য উপযোগী বলে মনে করছে না। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে তাদের এই মতামত জানিয়েছে।

তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে। ২০১৮ সালেও নির্বাচনে ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

প্রাক পর্যবেক্ষক দলের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আলোচনার পর এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, প্রাক পর্যবেক্ষক দলের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ নেই বলে মনে করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় পর্যবেক্ষক দল পাঠানো ঝুঁকিপূর্ণ। তবে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশে নির্বাচন হলে সেই নির্বাচনের তথ্য নিজস্ব সূত্র থেকে পাওয়ার সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ছোট আকারের একটি বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হতে পারে।

ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণাঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে যোগোযোগ করা হলে তারা এমন কোনো চিঠি এখনো আসেনি বলে জানান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও আমাদের কাছে মেইল বা সরাসরি কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। এসব চিঠি অধিকাংশ ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ইসিতে আসে।

গত ৮ থেকে ২৩ জুলাই নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে ইইউর ছয় সদস্যের একটি প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশ সফর করে। প্রতিনিধি দলটি মূলত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের কর্মপরিধি, পরিকল্পনা, বাজেট, লজিস্টিকস ও নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে মূল্যায়ন করে। প্রাকনির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলটি বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক নেতা, সুশীল সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে।

নিউজ ট্যাগ: ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আরও খবর



জি-২০ সম্মেলনে আসছেন না স্পেনের প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ। বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন তিনি। আর এই কারণে দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে পারছেন না এই নেতা।

অবশ্য সংক্রামক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেও ভালো বোধ করার কথা জানিয়েছেন সানচেজ। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষায় পজিটিভ হওয়ার কথা জানিয়ে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ ঘোষণা করেছেন, তিনি নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে পারবেন না।

প্রধানমন্ত্রী সানচেজ বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত হলেও তিনি ভালো বোধ করছেন। এছাড়া তার অনুপস্থিতিতে স্পেনের উপপ্রধানমন্ত্রী নাদিয়া ক্যালভিনো সান্তামারিয়া এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসে ম্যানুয়েল আলবারেস জি-২০ সম্মেলনে স্পেনের প্রতিনিধিত্ব করবেন।

আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে জি-২০ সদস্য দেশগুলোর এই শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে মার্কিন প্রধানমন্ত্রী জো বাইডেন থেকে শুরু করে সদস্য, পর্যবেক্ষক ও আমন্ত্রিত দেশের শীর্ষনেতারা উপস্থিত হবেন।

আগে টুইটার নামে পরিচিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ বলেন, আজ বিকেলে আমি কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছি এবং জি-২০ সম্মেলনের জন্য নয়াদিল্লিতে যেতে পারব না। তবে আমি ভাল বোধ করছি। স্পেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থনৈতিক বিষয়ের মন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই সম্মেলনে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

এর আগে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গ্রুপ অব টোয়েন্টি বা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে না আসার কথা জানিয়েছেন রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং। আর তাদের পর তৃতীয় বিশ্বনেতা হিসেবে আসন্ন এই সম্মেলন থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী সানচেজ।

এনডিটিভি বলছে, ৯-১০ সেপ্টেম্বর ভারতের রাজধানীতে দিল্লিতে জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে ৩০ জনেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি দেশ ও ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান উপস্থিত থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।


আরও খবর