মিয়ানমার জান্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আসছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
জাকার্তায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলেট বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমার জান্তার জন্য অস্ত্র কিনতে রাজস্ব আয় করা আরও কঠিন করে তুলবে। আমরা জান্তার ওপর চাপ বাড়াতে এবং তাদের জন্য রাজস্ব তৈরি করা কঠিন করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা যুদ্ধের রণকৌশলে জ্বালানি যোগাচ্ছে। মিয়ানমার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার পথে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ নিষেধাজ্ঞার খবর আসার আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো সরকারের কর্মকর্তা, কোম্পানি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। শোলেট বলেন, এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ৮০ জন ব্যক্তি ও ৩০ টিরও বেশি সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার সংঘাতের সমাধান দেখতে হলে রাশিয়াকে জান্তা সরকারকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করতে হবে। জান্তা যেন আর অস্ত্র আমদানি করতে সক্ষম না হয় আমরা সে অনুযায়ী একটি বড় পদক্ষেপ নেবো।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী তার নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার সময় নোবেল জয়ী সু চি গ্রেফতার হন। সে সময় জান্তা সরকার ক্ষমতা দখল করলেও দেশটির সিংহভাগ জনগণ বিষয়টি মেনে নেয়নি। রাস্তায় বিক্ষোভ, সরকারি কাজকর্ম বয়কটসহ সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে জান্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করে দেশটির বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এখনও প্রায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী ও জান্তা বাহিনীর সদস্যদের লড়াইয়ের খবর পাওয়া যায়।
স্থানীয় মনিটরিং গ্রুপগুলো বলছে, মিয়ানমারে সেনা অভূত্থানের পর সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অভিযান চালিয়ে অনেককে আটক করারও অভিযোগ ওঠে। বহু মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন দেশটির সেনাদের নির্যাতনে। শুধু তাই নয়, সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের অর্থনীতি।