আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

মিয়ানমার বিরক্ত করলে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো: পরিকল্পনামন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র। আমরা যুদ্ধ চাই না। যুদ্ধে মানুষের কষ্ট হয়। আমরা সীমান্ত ও দেশের ভেতরেও শান্তি চাই। তবে মিয়ানমার যদি প্রতিনিয়ত বিরক্ত করে, তাহলে বাধ্য হয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের সীমান্ত রক্ষীবাহিনী সার্বক্ষণিক কড়া পাহাড়া দিচ্ছে। তার পেছনে সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য বাহিনীও নিরাপত্তা দিচ্ছে। মিয়ানমারের সাহস নেই আমাদের সরাসরি কিছু করার। ডিস্টার্ব করার অভ্যাস আছে তাদের। এই ডিস্টার্ব নতুন নয়, বহুদিন ধরে করছে। এটা দুনিয়ার মানুষ জানে। আমাদের প্রয়োজন ধৈর্য, আর সেটা আমাদের সরকারপ্রধান দেখাচ্ছেন। এটা ভালো।

তিনি আরও বলেন, মূল সমস্যা সমাধানের জন্য কথা বলতে হবে। বসতে হবে। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বসার জন্য তৈরি। কিন্তু মিয়ানমার একেকবার একেক কথা বলে। তারা কথা দিয়ে কথা রাখে না।

নির্বাচনের বিষয়ে এম এ মান্নান বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে, সরকার নির্বাচন করবে না। নির্বাচনের সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জেলা প্রশাসন সবাই নির্বাচন কমিশনের কথা শোনে। আমরা সেই সময় নির্বাচনের প্রার্থী থাকি। আমরাও চাই শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক। আর সেটা একমাত্র করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। অহেতুক একটা দল আমাদের দোষ দেয়। আমরাও তো নির্বাচনের প্রার্থী।

পূজামণ্ডপ পরিদর্শনকালে পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আগেও আমলে নেয়নি অনেক দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ

Image

বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণা এসেছে। এর পর থেকে বিরোধী দল এটিকে সরকারের ওপর চাপ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করলেও এই ভিসানীতির আওতার মধ্যে রয়েছে তারাও। মার্কিন ঘোষণা অনুযায়ী, প্রকৃতপক্ষে যারা এর আওতায় রয়েছে, তারা হচ্ছে বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধী দলের সদস্য, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে যেসব দেশকে এই ভিসানীতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে, তাদের গ্লোবাল স্ট্যাটাস ভ্যালু বাংলাদেশের চেয়ে কম। তারাই এই ভিসানীতি আমলে নেয়নি, ফলে এ নিয়ে বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমেরিকা তার দেশে কাকে ভিসা দেবে, না দেবে সেই এখতিয়ার তাদের আছে। সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।

গত শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলো। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। 

আরও পড়ুন>> যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই: প্রধানমন্ত্রী

এর পরপরই নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না। তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। যদি কোনও কারণে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে-নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনোটিতে নির্বাচনের আগে, কোনোটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। শুক্রবার ম্যাথু মিলার  ভিসানীতি ঘোষণার পরে সবার মনে প্রশ্ন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কী হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও সেটা যে উদ্দেশ্যে দেয়া হয়েছিল, তা কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক ৯ দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতেও ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল-নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচনকে ঘিরে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি সে দেশে। উগান্ডায় ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি, তিনি একইসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাকে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার জন্য প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বিরোধী দলের প্রার্থীদের ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোনও অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। তবে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী, বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। এর পরের ধাপে সেই সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে থাকেন। ভিসানীতির পর কিছু শর্ত মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ, সোমালিয়ার ওপরে যুক্তরাষ্ট্রের যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা সেখানকার রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল। কারণ, সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়। 

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুক্রবার ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশে আমেরিকার নতুন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। যার অর্থ হচ্ছে, এখন থেকে প্রয়োগ হবে। এই ধরনের (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা প্রদানকারী) কোনও ব্যক্তি অ্যাপ্লাই করলে তাকে ভিসা না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটি। তবে এই ঘোষণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তাদের বুঝার দরকার ছিল। তারা ঘোষণা না দিয়েও ভিসা না দিতে পারতো। ঘোষণা দিয়ে বিষয়টা পাবলিক করাটা দৃষ্টিকটূ, অবন্ধুসুলভ আচরণ। আমাদের সরকার ও বিরোধী দল কারোর এটি গ্রহণ করা উচিত না, সোচ্চার হওয়া উচিত সবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা বিষয়টিকে লঘু শাস্তি উল্লেখ করে বলেন, এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এই ভিসানীতির বিপরীতে করণীয় কী নির্ধারণ করে। এর আগেও একই কারণে নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়াকে কেন্দ্র করে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সেসব দেশে কী ঘটেছে? কোথাও কোথাও নির্বাচনের আগে, কোথাও নির্বাচনের পরে ভিসানীতি প্রয়োগ করে আমেরিকা। নাইজেরিয়া, উগান্ডা এই সিদ্ধান্তের তোয়াক্কা করেনি। নাইজেরিয়ার জনগণ যারা আমেরিকায় বাস করে, তারা সেখানে বসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কথা বলেছে, তা ভিসানীতির আওতায় পড়ার মতো হলেও দেশটি কিছুই করতে পারেনি। উগান্ডাতেও তেমন হয়েছে। ফলে এটা তোয়াক্কা না করলেই হয়।

আরও পড়ুন>> মার্কিন ভিসা নীতিতে পুলিশ বাহিনীর ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না: ডিএমপি

বাংলাদেশের জন্য সেটা অসম্মানজনক কিনা, প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেকোনও রাষ্ট্রের স্ট্যাটাসের জন্য এটা সম্মানহানিকর। যে তিনটি দেশের কথা বলা হচ্ছে, তাদের চেয়ে রাষ্ট্রের ব্র্যান্ডিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান উঁচুতে। আবার গ্লোবালি বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ব্র্যান্ডিং ভ্যালু আছে। নাইজেরিয়া-সোমালিয়া-উগান্ডার কাতারে বাংলাদেশকে নামানো হয়েছে, এরকম না ভেবে আমি মনে করি, যে ভিসানীতি নাইজেরিয়া-উগান্ডার মতো দেশ আমলে নিচ্ছে না, সেটা বাংলাদেশ থোড়াই কেয়ার করবে।


আরও খবর



ধামরাইয়ে ৫ ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ধামরাই প্রতিনিধি

Image

ঢাকার ধামরাইয়ে বিএসটিআই এর ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বিহীন ইট ভাটা পরিচালনা করায় ৫টি ইট ভাটার মালিককে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে হতে ধামরাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে দিনভর এই অভিযান পরিচালনা করেন উক্ত মোবাইল কোর্ট বিএসটিআই'র বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আজমেরী হক এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিয়াজ হোসেন মোল্লা, ফিল্ড অফিসার (সিএম), বিএসটিআই, ঢাকা।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে যে সকল ইটভাটাকে জরিমানা করা হয়। (১) মোহাম্মদ আলী ব্রিকস, সিন্দুলিয়া, কালামপুর, ধামরাই, ঢাকা; (২) জেবিন এন্ড নূর ব্রিকস, গোপালকৃষ্ণপুর, নান্নার, ধামরাই, ঢাকা; (৩) মোল্লা ব্রিকস এণ্ড কোং, গোপালকৃষ্ণপুর, নান্নার, ধামরাই, ঢাকা; (৪) মক্কা-মদিনা ব্রিকস, গোপালকৃষ্ণপুর, নান্নার, ধামরাই, ঢাকা ও (৫) আমেনা (হিপ) ব্রিকস, ডাউটিয়া, কালামপুর, ধামরাই, ঢাকা নামীয় প্রতিষ্ঠানসমূহকে ১ লাখ টাকা করে মোট ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বিএসটিআই'র বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত আজমেরী হক বলেন, বিএসটিআইয়ের সিএম লাইসেন্স গ্রহণ/নবায়ন ব্যতীত বাধ্যতামূলক পণ্য ক্লে-ব্রিকস উৎপাদন ও বিক্রি বিতরণের করতে দেখা যায়। বিএসটিআই আইন, ২০১৮ অনুসারে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা করে সর্বমোট ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা জরিমানা ধার্যপূর্বক আদায় করা হয়। জনসার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



আচমকা ইনজুরিতে টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

বিশ্বকাপ শুরুর আগে বড় ধাক্কা বাংলাদেশ শিবিরে। আচমকা ইনজুরির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন টাইগার কাপ্তান সাকিব আল হাসান। এমনকী বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষেও বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের খেলা নিয়ে আছে শঙ্কা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গুয়াহাটিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের আগের রাতে ফুটবল খেলতে গিয়ে বা পায়ে ব্যথা পেয়েছেন সাকিব। তার পা অনেকটাই ফুলে গেছে বলে খবর। যে কারণে আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে খেলছেন না তিনি।

তার জায়গায় অধিনায়কত্ব করছেন আরেক অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও সাকিবের চোট নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট কিংবা বিসিবির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, সাকিব ছাড়াও আজকের ম্যাচে নেই নাজমুল হোসেন শান্ত, মুস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলামরা। তাদেরকে বিশ্রামে রাখা হয়েছে। তবে প্রস্তুতি ম্যাচে বিশ্রামে থাকলেও দলের প্রয়োজনে যেকোনো সময় ব্যাটিং-বোলিং করতে পারবেন ক্রিকেটাররা।

গেল কয়েক দিন ধরে সাকিব ও তামিম ইস্যুতে উত্তাল দেশের ক্রিকেটপাড়া। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালের না থাকা এবং সাবেক এই অধিনায়কের ১২ মিনিটের এক ভিডিও বার্তা নিয়ে তুমুল চর্চা হচ্ছে। এর মধ্যেই সাকিব আল হাসানের পাল্টা একটি সাক্ষাৎকার উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে এক ভিডিও বার্তায় মুখ খুলেছেন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও।

মাঠের বাইরের বিতর্কের বোঝা দূরে রেখে আজ বাইশগজের লড়াইয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। কাগজে-কলমে প্রস্তুতি ম্যাচ হলেও আজ থেকে একপ্রকার বিশ্বকাপ অভিযানও শুরু হয়ে গেল লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। তবে এর মধ্যেই সাকিবের চোট বড় ধাক্কা নিঃসন্দেহে।

নিউজ ট্যাগ: সাকিব আল হাসান

আরও খবর



স্বর্ণ চুরির মামলায় কাস্টমসের আট কর্মকর্তার নাম

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ৫৫ কেজি সোনা চুরির মামলার বিবরণে কাস্টমসের আট কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এসব কর্মকর্তা ও কর্মচারী সোনা চুরির ঘটনার সময় বিমানবন্দরের ওই গোডাউনে দায়িত্বরত ছিলেন। ঘটনার পর কাস্টমসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আট সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার রাতে বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিমানবন্দর থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গুদাম থেকে স্বর্ণ গায়েব: যে ধারণা করছে কাস্টমস

মামলার এজাহারে যে আট কর্মকর্তার নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন শিফট কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সাইদুল ইসলাম শাহেদ, সাহিদুল ইসলাম চৌধুরী, আকরাম শেখ, রেজাউল করিম, মো. মোজাম্মেল হক, আফজাল হোসেন ও সিপাহি নিয়ামত হাওলাদার।

এজাহারে বলা হয়, ২ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ওই আট কর্মকর্তাকে কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার, কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ করলে, তাঁরা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, শাহজালালের কাস্টমসের গুদামের গুদাম কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা ২ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টার দিকে ঢাকার যুগ্ম কমিশনারকে ফোন দিয়ে জানান, বিমানবন্দরের লস্ট ও ফাউন্ডের সংলগ্ন কাস্টমস ট্রানজিট এলাকার গুদামে প্রবেশ করে দেখতে পান, গুদামের ভেতরের একটি স্টিলের আলমারির লকার ভাঙা এবং এসির ওপরের একটি টিনের অংশ কাটা রয়েছে। কাস্টমসের প্রাথমিক অনুসন্ধানে ৫৫.৫১ কেজি স্বর্ণ লকারে পাওয়া যায়নি। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: স্বর্ণ গায়েব: কাস্টমসের চার সিপাহি পুলিশ হেফাজতে

বিমানবন্দরের ভেতরে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড অর্থাৎ হারিয়ে যাওয়া ও খুঁজে পাওয়া পণ্য রাখার স্থানের পাশেই রয়েছে কাস্টমসের গুদাম। কাস্টমস হাউসের গুদামটিতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত ঢাকা কাস্টম হাউস, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরসহ অন্য সংস্থাগুলোর জব্দকৃত মালামালগুলো এখানে রাখা হয়।

বিমানবন্দর সূত্র জানা যায়, কাস্টম হাউস থেকে স্বর্ণ উধাওয়ের ঘটনায় একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ছাড়া থানা-পুলিশ, বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন তদন্ত শুরু করেছেন।

পুলিশের দাবি, এটি কোনো সাধারণ ভল্ট না। সাধারণ কোনো ব্যক্তি বা চোরের চুরি করা সম্ভব না। এ ছাড়া ওই জায়গাটি সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা। এ ছাড়া পুরো এলাকাটি সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত। 

এদিকে গতকাল রাতে এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর বিমানবন্দর থানা-পুলিশ চারজন সিপাহিকে তাঁদের হেফাজতে নিয়েছে।

আরও পড়ুন: কাস্টমসের সুরক্ষিত গুদাম থেকে ৫৫ কেজি স্বর্ণ গায়েবের ঘটনায় মামলা

ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরা বিভাগের ডিসি মোর্শেদ আলম বলেন, আমরা মামলা হওয়ার পর চারজনকে এনেছি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। কিন্তু এ ঘটনায় কাউকে আটক করিনি। এমনকি কাউকে আমরা গ্রেপ্তারও করিনি। তবে তদন্তের জন্য যাঁকে প্রয়োজন হবে, তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদ করব।


আরও খবর



রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে এলো আরও ৩১ হাজার ৩০০ টন কয়লা

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ সেপ্টেম্বর 20২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য আরও ৩১ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌঁছেছে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টায় বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়া-১১ নম্বরে নোঙর করে জাহাজটি। এরপর সকালের শিফট থেকে জাহাজটি থেকে আমদানি করা কয়লা লাইটার ভেসেলে খালাস শুরু হয়েছে। সক্ষমতানুযায়ী লাইটারে বোঝাই শেষে ওই লাইটারেজে করে কয়লা নেওয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার মুয়ারা পাত্তাই বন্দর থেকে ৪৯ হাজার ৭০০ টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস। 

আরও পড়ুন>> খালেদা জিয়াকে বিদেশ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে: আইনমন্ত্রী

জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেড, খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস জাহাজটি ৪৯ হাজার ৭০০ টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশে আসে। সেখান থেকে প্রথমে ১৮ হাজার ৪০০ টন কয়লা চট্রগ্রাম বন্দরে খালাস করা হয়। সেগুলো লাইটার যোগে রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনা হয়। জাহাজে থাকা অবশিষ্ট ৩১ হাজার ৩০০ টন কয়লা নিয়ে আজ ভোরে এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেস নামক জাহাজটি মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় নোঙর করে।

তিনি জানান, কয়লা খালাস শুরু হয়েছে। খালাস শেষে এই কয়লা লাইটার জাহাজে করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নিয়ে সেখান থেকে ইয়ার্ডে রাখা হবে।


আরও খবর