মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ঝরনা এলাকায় লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১৩ মাইক্রোযাত্রী নিহতের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি ১৫ দিনেও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। ঘটনার দিন গত ২৯ জুলাই দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এই সপ্তাহে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে পারে বলে নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
দুর্ঘটনার দিন গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্টরা। পূর্ব রেলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আরমান হোসেনকে প্রধান করে একটি ও বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনসার আলীকে প্রধান করে আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি দুটিতে চারজন করে সদস্য রাখা হয়েছে। এরপর তারা বৃহৎ তদন্তের স্বার্থে আরো এক সপ্তাহ সময় বাড়ান। কিন্তু ঘটনার ১৫দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো রিপোর্ট দিতে পারেনি গঠিত তদন্ত কমিটি।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, তদন্ত রিপোর্ট এখনো হাতে আসেনি। সময়তো শেষ হয়ে গেছে, এখনো তারা রিপোর্ট জমা দেয়নি। হয়তো এই সপ্তাহের শুরুতে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। সময় ক্ষেপণ এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেলওয়েতে নিয়োগ ছিলো তো, ওরা বিভিন্ন জায়গায় গেল, এজন্য হয়তো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
২৯ জুলাই দুপুরে মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া রেললাইনে উঠে পড়া পর্যটকবাহী একটি মাইক্রোবাসকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেন ধাক্কা দিয়ে টেনে হিঁচড়ে এক কিলোমিটার দুরে নিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১জন মারা যান। পরে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আরো দুইজন। দুর্ঘটনার সময় দায়িত্বরত গেটকিপার সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থলে ছিলো না। তিনি জুমার নামাজে ছিলেন। গেটবারও ফেলা ছিলো বলে তিনি ইতমধ্যে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। ঘটনার কয়েক ঘন্টা পরই গিটকিপার সাদ্দাম গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।