আজঃ রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩
শিরোনাম

মির্জাগঞ্জে অসময়ে ভাঙ্গন: দিশেহারা পায়রা নদী পাড়ের মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

চলতি বছর বর্ষা মৌসুম আসার আগেই পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার রামপুর, ভিকাখালী, পিপড়াখালী, সুন্দ্রা-কালিকাপুর, চিংগড়ীয়া, পিপড়াখালি, গোলখালি-চরখালী, হাজিখালী, মেন্দীয়াবাদ ও কাকড়াবুনিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পায়রা নদীর ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। এতে দিশেহারা হয়ে পরেছেন নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষ। ইতিমধ্যে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা। চোখের সামনে কৃষকের একমাত্র সম্বল আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর তা নিজ চোখে দেখতে হচ্ছে অসহায় কৃষকদের। নদীর তীরবর্তী এলাকার হাজারো পরিবারের এমন দৃশ্য এখন নৈমিত্তিক ঘটনা। গত কয়েক বছর ধরে মির্জাগঞ্জে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদী পারের শত শত ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে। মাথা গুজার ঠাই হারিয়ে এসব লোকজন অনত্র বসবাস করছেন। নদী ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলেও ভাঙ্গন রোধে কোন উদ্যোগ নেই বলে জানান স্থানীয়রা।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার ভিকাখালী, পিপড়াখালী, সুন্দ্রা, চিংগড়ীয়া গ্রামের শত শত বাড়িঘর, হাট-বাজার, আবাদি জমি, মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কবর, মন্দিরসহ বিস্তীর্ণ জনপদ ইতিমধ্যে পায়রা নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অস্থায়ী বেড়িবাঁধের অনেক জায়গায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় জমিহারা লোকজন চরম হতাশায় অন্যত্র জীবনযাপন করছেন। নদীপারের বাকি পরিবারগুলো এখন আতংকে দিন পার করছেন। সরকারি কোনো পদক্ষেপ না পেয়ে চরম হতাশায় ভুগছেন ভাঙন কবলিত বাসিন্দারা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের সুন্দ্রা-কালিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা বিধবা আকলিমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিন-তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটামাটি ও বাড়িঘরসহ ফসলি জমি সবই নদীতে গেছে। আশ্রয় নেওয়ার মতো নিজেদের কোনো জমি নেই। ভাঙন এলাকায় বেড়িবাঁধের বাইরে অন্য একজনের জমিতে কোনো রকম টিন-বাঁশ-পলিথিনের ছাপরা দিয়ে ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করি। বর্তমানে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে মনে হয় কয়েক দিনের মধ্যেই আবার আশ্রয়হীন হয়ে যাবো। এইবার ভাঙলে ছেলে-মেয়ে নিয়ে কই যাবো তা নিজেও জানিনা।

পিপড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা মোঃ রাসেল খান বলেন, ইতিমধ্যে এ অঞ্চলের সুন্দ্রা-কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিপড়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা ও শত শত ঘরবাড়ীসহ হাট-বাজার নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নতুন করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার পরেও তা এখনো রয়েছে নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে। এবছর বর্ষা মৌসুম আসার আগেই যেভাবে নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তাতে খুব দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা না হলে আবারো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। তাই টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য তিনি জোর দাবি করেন।

চিংগড়ীয়া এলাকার বাসিন্দা আলোমগীর আকন জানান, ভিকাখালী, পিপড়াখালী, সুন্দ্রা গ্রামে আগে ১০/১২ হাজার মানুষের বসবাস ছিল। একসময় এই গ্রামে স্কুল, মাদ্রাসা, বাজার সবই ছিল। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়ে অনেকে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এখন হাতেগোনা কয়েকটি পরিবার এই গ্রামে রয়েছে। যেভাবে ভাঙন চলছে, তাতে অচিরেই গ্রামগুলো পায়রায় বিলীন হয়ে যাবে।

মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. আবুল বাশার (নাসির) বলেন, এমন তীব্র গতির ভাঙনের ফলে দিন দিন ছোট হয়ে আসছে মির্জাগঞ্জের মানচিত্র। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ ইউনিয়নের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নামমাত্র বেড়িবাঁধ দেয়। আবার বন্যায় তা ভাসিয়ে নিয়ে যায়। টেকসই বেড়িবাঁধ তৈরির জন্য বারবার দাবি করেও কোনো ফল হয়নি। আশা করি খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্ট মহল এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবেন।

পটুয়াখালী পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন বলেন, মির্জাগঞ্জের পায়রা নদীর ভাঙনকবলিত কয়েকটি স্থানে বেড়িবাধ পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সুন্দ্রা কালিকাপুর ৩৪০ মিটার, পিঁপড়াখালী ৩২০ মিটার এবং উত্তর রামপুর গ্রামে ২৫০ মিটারের কাজ চলমান রয়েছে।


আরও খবর



বৃষ্টিতে ভেসে গেল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ভারতের ইনিংসেও দুইবার হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। তবে ইনিংসটা শেষ করা গেছে বাধার পরও। ভারত ২৬৬ রানে অলআউট হয়। পাকিস্তানের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৭ রানের।

কিন্তু লক্ষ্য তাড়া করতে ব্যাটিংয়ে নামার আর সুযোগই হলো না পাকিস্তানের। বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে গেলো। ফলে দুই দল ১ পয়েন্ট করে ভাগাভাগি করতে হয়েছে। এর আগে ৬৬ রানে ভারত হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট। দলকে সেই কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেন ইশান কিশান আর হার্দিক পান্ডিয়া। তাদের জুটিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে বড় পুঁজির সম্ভাবনাই জাগিয়েছিল ভারত।

৪২ ওভারে তাদের বোর্ডে ছিল ৫ উইকেটে ২৩৭ রান। মনে হচ্ছিল, তিনশো বা তার বেশি রান হয়ে যাবে। কিন্তু পাকিস্তানি বোলাররা ডেথে দুর্দান্ত বোলিং করলেন। ফলে ৪৮.৫ ওভারে ২৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারত ৪.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৫ রান তোলার পর বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়েছিল। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপের মুখে পড়ে ভারত। নিজের টানা দুই ওভারে আফ্রিদি ফিরিয়ে দেন ভারতীয় ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ রোহিত শর্মা আর বিরাট কোহলিকে।

শাহিন আফ্রিদির দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফিরে যান ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত (২২ বলে ১১)। ১৫ রানে প্রথম উইকেট যায় ভারতের। নিজের পরের ওভারে আফ্রিদির আরেকটি দুর্দান্ত ডেলিভারি। এবার ইনসাইডেজ হয়ে বোল্ড কোহলি (৭ বলে ৪)। ২৭ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত। শ্রেয়াস আয়ার তবু চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। তবে অতি মারমুখী হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। হারিস রউফকে পুল খেলতে গিয়ে ফখর জামানের ক্যাচ হন আয়ার। ৯ বলে তিনি করেন ১৪। ১১.২ ওভারে ৩ উইকেটে ৫১ রান তোলার পর ফের নামে বৃষ্টি।

বৃষ্টি থামার পর খেলা শুরু হলে আঘাত হানেন হারিস রউফ। ব্যাটে লেগে ইনসাইডেজ হয়ে শুভমান গিল (৩২ বলে ১০) হন বোল্ড। ৬৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন হার্দিক আর ইশান। পঞ্চম উইকেটে তারা গড়েন ১৪১ বলে ১৩৮ রানের জুটি। তবে দুজনকেই ফিরতে হয়েছে সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে।

৮১ বলে ৯ চার আর ২ ছক্কায় ঝোড়ো ৮২ করা ইশানকে ফিরিয়ে বড় জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। হার্দিক ব্যক্তিগত ৮৭ রানে হন শাহিন শাহ আফ্রিদির শিকার। ৯০ বলের ইনিংসে ৭টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান হার্দিক। সেট দুই ব্যাটার ফেরার পর ভারতের বড় স্কোর গড়ার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। শেষদিকে ভারতীয়দের চেপে ধরেন নাসিম-আফ্রিদিরা। ফলে ইনিংসের ৭ বল বাকি থাকতে ২৬৬ রানেই থেমে যায় ভারতের ইনিংস।

পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি ৩৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট। নাসিম শাহ ৩৬ আর হারিস রউফ ৫৮ রান খরচায় নেন তিনটি করে উইকেট।


আরও খবর



যেখানে সবার শীর্ষে ক্যাটরিনা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নতুন চালু হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে সারা বিশ্বে যেকোনো ব্যক্তির চেয়ে এখন সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার বলিউড অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের। বর্তমানে তার চ্যানেলে ফলোয়ার রয়েছে ১৪ মিলিয়ন, যা র‍্যাপার ব্যাড বানি এবং মার্ক জাকারবার্গের থেকেও বেশি!

সর্বশেষ প্রকাশিত র‍্যাংকিং অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপের নিজস্ব অ্যাকাউন্টেরই সবচেয়ে বেশি ফলোয়ার রয়েছে, যা ২৩ মিলিয়ন। তারপরে স্ট্রিমিং অ্যাপ নেটফ্লিক্স এর ১৬.৮ মিলিয়ন। তিন নম্বরে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের অফিসিয়াল চ্যানেল যাদের ফলোয়ার ১৪.৪ মিলিয়ন। ক্যাটরিনা তার ১৪.২ মিলিয়ন ফলোয়ার নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। ব্যাড বানি ১২.৬ মিলিয়ন ফলোয়ারসহ ৫ নম্বরে এবং ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ ৯.২ মিলিয়ন নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর চ্যানেলে যোগ দিয়েছিলেন ক্যাটরিনা। যোগদান করে ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বার্তা দেন, হাই, আমার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে স্বাগতম। চ্যানেলিং শুরু করুন। এখন পর্যন্ত তিনি নিজের কয়েকটি সেলফি এবং ইউনিক্লোর একটি বিজ্ঞাপন ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি ইউনিক্লোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে স্ত্রীর কবরের পাশে হবে সোহানের দাফন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

স্ত্রী প্রিয়ার মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই চলে গেলেন নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। মঙ্গলবার স্ত্রীর মৃত্যুর পর বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় শেষ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোহান।

নির্মাতার পারিবারিক সূত্রের বরাতে এমন তথ্যই জানালেন পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াত। এদিন সন্ধ্যার পর সোহানের মৃত্যুর খবর শুনে তার উত্তরার বাসায় যান কাজী হায়াৎ, শাহীন সুমন সহ পরিচালকদের একটি টিম।

সোহানকে দেখার পর তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথেও এসময় কথা বলেন তারা। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন কাজী হায়াৎ ও শাহীন সুমন। এসময় সোহানের জানাজা ও দাফন নিয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, শেষবারের মতো সোহানকে এফডিসিতে নেয়ার ইচ্ছা পোষণ করলেও তার পরিবার সেটা চাইছেনা।

শাহীন সুমন বলেন, সোহান ভাই অনেক বড় নির্মাতা। তার বহু শুভাকাঙ্ক্ষী আছেন। আমরা শেষবারের মতো এফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধা জানাতে চাই। কিন্তু এর পুরোটাই নির্ভর করছে তার পারিবারিক সিদ্ধান্তের উপর। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি।

এসময় তিনি বলেন, সোহান ভাইয়ের ইচ্ছে স্ত্রীর কবরের পাশে শায়িত হবেন। এমনটাই তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন। সেক্ষেত্রে তাকে টাঙ্গাইলে নিয়ে যাওয়া হবে।

এদিকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন জানিয়েছেন, ইসলামিক রীতি অনুযায়ী পরিচালক সোহানের পরিবার তাড়াতাড়ি মরদেহ দাফন করতে চান। তাই রাতেই মরদেহ টাঙ্গাইলে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। ভোরে জানাজা শেষে ফজরের পরপরই মরদেহ দাফন করা হবে।


আরও খবর



লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে সাতদিনের সফর শেষে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট লন্ডনের স্থানীয় সময় শনিবার বেলা ১১টা ৭ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এর আগে ফ্লাইটটি ওয়াশিংটন ডিসির ডালসে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় ২৯ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ১১টা ৪০ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।

প্রধানমন্ত্রী ১৭ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে ৭৮তম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) অধিবেশনে যোগদানের পাশাপাশি উচ্চ-পর্যায়ের ও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বৈঠক এবং অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে ২৩ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছান। সেখানে অবস্থানকালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস পরিদর্শন করেন তিনি।

আগামী ৩ অক্টোবর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে (বিজি-২০৮) লন্ডন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ফ্লাইটির বাংলাদেশ সময় ৪ অক্টোবর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে পৌঁছান।


আরও খবর



এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলবে বিআরটিসি, ভাড়া ৩৫ টাকা

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবার মাত্র ৩৫ টাকায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পাড়ি দিতে পারবেন বাসযাত্রীরা। আগামী সোমবার থেকে চার জোড়া বাস দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বিআরটিসি। এই বাস রুট হবে খেজুরবাগান থেকে উত্তরার জসীমউদদীন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গণপরিবহণ চললে পথ পাড়ি দিতে যাত্রীদের সময় লাগবে কম। কিন্তু অসুবিধা একটাই মাঝপথে ওঠানামা করার সুযোগ নেই। যাত্রীদের সাড়া ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি। বিআরটিসির এই উদ্যোগে প্রথম ধাপে যুক্ত হতে যাওয়া আটটি দ্বিতল বাসই সংস্থাটির ডিপোতে প্রস্তুত করা হয়েছে।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, এই রুটে (নিচ দিয়ে) আমাদের অনেক গাড়ি চলত। এখন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে তিনটা ডিপো থেকে ৮টি বাস চলবে। তবে একটি ডিপো থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

আপাতত এক্সপ্রেসওয়ের দুই প্রান্ত থেকে ওঠানামা করতে পারবেন যাত্রীরা। উত্তরার জসীমউদদীন, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন ও কাওলা থেকে দক্ষিণমুখী যাত্রীদের বাসে তুলবে বিআরটিসি। তার পরে এক টানেই ফার্মগেট।

অন্যদিকে উত্তরামুখী যাত্রীরা উঠতে পারবেন খেজুরবাগান গোলচত্বর, খামারবাড়ি কিংবা বিজয় সরণি থেকে। সে ক্ষেত্রে আগভাগে বাসে চেপে বসা যাত্রীদের কমপক্ষে দুটি ট্রাফিক সিগন্যাল পেরিয়ে উঠতে হবে এক্সপ্রেসওয়েতে।

বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়াই দিতে হবে যাত্রীদের। খেজুরবাগান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের ভাড়া ৩৫ টাকা। আর জসীমউদদীন পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪০ টাকা। কিলোমিটারপ্রতি ভাড়া দাঁড়াচ্ছে ২ টাকা ৪৫ পয়সা। ই-টিকিটিং ব্যবস্থা থাকায় বেশি ভাড়া নেওয়ার সুযোগও থাকছে না।

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আপাতত ভাড়ায় টোলটা যোগ হচ্ছে না। পরে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত টোল যোগ করে যে ভাড়া হবে, সে ভাড়ায় আমরা গাড়ি চালাব। যেহেতু আমরা সরকারি সংস্থা, জনগণকে সেবা দেওয়াই উদ্দেশ্য, তাই এখন বাস চালু করা। বিআরটিসি কোনো জায়গায় লাভ করবে, কোনো জায়গায় লস করবে।

বিআরটিসির এ উদ্যোগ কম পরিসরে চালু হলেও এতে অফিসগামীদের কর্মঘণ্টা বাঁচবে। একসময় গাজীপুর থেকে নিয়মিত রুটের বাসগুলোকেও এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে চালানোর পরিকল্পনা চলছে।


আরও খবর