আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মির্জা কাদেরের গাড়ি বহরে হামলা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দাগনভূঞা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী ও নোয়াখালীর একরামুল করিম চৌধুরীর সন্ত্রাসীরা এ ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে দাবি করেছেন মির্জা কাদের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বৃহস্পতিবার বসুরহাট পৌরসভার নব নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলর বৃন্দ্র চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণের জন্য গাড়ি বহর নিয়ে যাচ্ছিলেন। ফেনীর দাগনভূঞা বাজার এলাকা অতিক্রম করার সময়ে কিছু যুবক মির্জা কাদেরের গাড়ি বহরে ডিম ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে বহরে থাকা নব নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

পরে সাড়ে ৯টার দিকে ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই মির্জা কাদের ফেসবুক পেইজে লাইভে এসে বলেন, সকাল ১০টায় চট্টগ্রামে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে ফেনীর দাগনভূঞাতে আমার গাড়ি বহরে হামলা করা হয়েছে। যারা ফেনীতে একরামকে হত্যা করেছে ঠিক একই কায়দায় আমাকে হত্যা করার জন্য একরাম চৌধুরী ও নিজাম হাজারীর সন্ত্রাসীরা আমার গাড়ি গতিরোধ করে। কিন্তু আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে একটা ট্রাক থাকায় আমি বেঁচে যাই।

তিনি আরও বলেন, পেছনে থাকা বহরের ১০-১২টি গাড়ির ওপর হামলা করা হয়েছে। সেলিম নামের আওয়ামী লীগের এক নেতা আহত হয়েছেন।

মির্জা কাদের বলেন, ফেনীতে এখন হত্যার রাজনীতি চলছে। আমি আগেও বলেছিলাম এ রাজনীতি বন্ধ করতে। এ দেশে কি সরকার নেই, প্রশসান নেই। এসবের কি বিচার হবে না? ফেনীর একরাম ও দাগনভূঞার নির্দেশদাতারা আজ প্রকাশ্যে চলাফেরা করে।

এসব হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

নিউজ ট্যাগ: মির্জা কাদের

আরও খবর



জিম্মি জাহাজে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত সোমালি জলদস্যুরা, ছবি প্রকাশ

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশি জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’তে অবস্থানরত ৪ সোমালি জলদস্যুর ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্রের এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি প্রকাশ করা হয়। ছবিতে জাহাজে টহলরত জলদস্যুদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যাদের সবার হাতেই ভারী অস্ত্র রয়েছে। তাদেরকে জাহাজের উপরের অংশে দেখা গেছে।

এক্সের ওই পোস্টে জানানো হয়, সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে সহায়তা করতে কাছাকাছি এলাকায় একটি ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ ও একটি দূরপাল্লার সামুদ্রিক টহল উড়োজাহাজ অবস্থান করছে।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহর হাইজ্যাক হওয়ার খবর পেয়ে গত মঙ্গলবারই (১২ মার্চ) ভারতীয় নৌবাহিনী দূরপাল্লার মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্র্যাফ্ট এলআরএমপি পি-৮১ মোতায়েন করে। পরে ভারতীয় নৌবাহিনী একটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। যুদ্ধজাহাজটি বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) জিম্মি জাহাজটিকে নজরদারি করতে শুরু করে। ভারতের যুদ্ধজাহাজটি সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায় পৌঁছানো পর্যন্ত এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি অবস্থানে থাকে।

এদিকে ইইউ নৌবাহিনীও অপারেশন আটলান্টার আওতায় জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজটিকে অনুসরণ করছে। শুক্রবার সকালে ইইউ নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সংগৃহীত ভিজ্যুয়াল তথ্যে দেখা গেছে, বর্তমানে জাহাজটিতে কমপক্ষে ১২ জন জলদস্যু অবস্থান করছে।

প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫০ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত মঙ্গলবার বেলা দেড়টায় জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি করার তৃতীয় দিনের মাথায় জাহাজটি সোমালিয়ার উপকূলের দিকে নিয়ে আসে দস্যুরা।

তবে সোমালিয়ার উপকূলে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ও ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে দস্যুরা এখনো কোনো দাবি জানায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, দস্যুরা মুক্তিপণের দাবি জানাতে কিছুটা সময় নিচ্ছে।

এদিকে জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি ২৩ নাবিকের স্বজনরা দেশে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। প্রতিদিন বারবার যোগাযোগ করছেন জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে।


আরও খবর



একটি মেয়ে একটি জাতির জন্য অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি: শ ম রেজাউল করিম

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মশিউর রহমান রাহাত, পিরোজপুর

Image
আমি এখানে যে শিক্ষক মন্ডলী আছেন তাদের বলব, এই যে আমাদের কোলমতি মেয়েরা এদেরকে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। এরা যেনো ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে।

পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, একটি মেয়ে একটি পরিবারের জন্য আশির্বাদ। একটি মেয়ে একটি জাতির জন্য অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি। একটি মেয়ে দুঃখ-দুর্দশা-হতাশা ও খারাপ অবস্থায় থাকা একটি অধ্যায় থেকে উত্তোরণের জন্য। তার কোমলমতি মন, তার সৃজনশীলতা এতোদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে যেটা কখনও একটি ছেলের পক্ষে সম্ভব হয় না।

আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় পিরোজপুর সদরের করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ও বিচিত্রা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এমপি বলেন, আমি আনন্দ বোধ করি আমার একটি মেয়ে আছে। মেয়েই হচ্ছে বাবার কাছে অমূল্য সম্পদ। এজন্য আমি এখানে যে শিক্ষক মন্ডলী আছেন তাদের বলব, এই যে আমাদের কোলমতি মেয়েরা এদেরকে আদর্শ শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলুন। এরা যেনো ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখতে পারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবে। এরা বাংলাদেশের সংসদের সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন হবে। এরা বাংলাদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি হবে। এরা একদিন পিরোজপুরের গর্ব জাতীয় সংসদের উপনেতা অগ্নি কন্যা মতিয়া চৌধুরী হবে। এরা যাতে স্বপ্ন দেখতে পারে সচিব হবে, ডাক্তার হবে, ইঞ্জিনিয়ার হবে, স্থপতি হবে, ডিসি হবে, ইউএনও হবে। আমারা যদি এদেরকে গড়ে তুলতে পারি এরা যে উপহার জাতিকে দিতে পারবে সেটা কিন্তু অনেকে দিতে পারবে না।

মেয়েদের উদ্দেশ্যে এমপি বলেন, তোমরা জেনে রাখো গত তিন বছরে যতগুলো ফলাফল হয়েছে সবচেয়ে মেয়েরা কিন্তু ভালো রেজাল্ট করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে ছেলে মেয়েরা সুযোগ পেয়েছে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সুযোগ পেয়েছে মেয়েরা। যিনি প্রথম হয়েছে তিনি একজন মেয়ে। গত বছর বিসিএসএ প্রথম হয়েছে একটি মেয়ে। মেয়েদের ভিতরে সুপ্ত প্রতিভা আছে। কাজেই এই প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে। তোমার আমার মেয়ের সমতুল্য স্বপ্ন দেখবা অনেক বড় হতে হবে। স্বপ্ন দেখবা তোমার মা-বাবার যে আশা, তোমার এলাকার মানুষের প্রত্যাশা, তুমি একদিন অনেক বড় হবে। কোন ভুল পথে পা বাড়াবে না। কোন ছেলে প্রলোভন দেখালে ওইটাকে রঙিন স্বপ্ন মনে করবে না। কোন ভাবে মাদকাশক্ত হবে না। নৈতিকতাকে ধারণ করবে। মূল্যবোধকে ধারণ করবে। সৎ জীবন-যাপন করার স্বপ্ন দেখবে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এমপি আরও বলেন, দ্রুত গতিতে মেয়েকে বোঝা মনে করে তারাতাড়ি বিয়ে দেয়ার প্রবণতা যেনো আপনাদের মাঝে সৃষ্টি না হয়। কাজই প্রত্যেকটা মেয়েকে বিকশিত হতে দেন। ওদের ব্যাক্তি জীবন ওরাই বেছে নিতে পারবে। ওরা ভালো করে লেখাপড়ার পর আপনারাই তাকে ভালো পাত্র এনে দিতে পারবেন। কিন্তু আমার একটি কন্যা সন্তান যেনো পরিবারের ভুল সিদ্ধান্তে তার প্রতিভা বিকাশের আগেই যেনো তার প্রতিভা সমূলে গলা টিপে হত্যা করা না হয়।

বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি শিরিনা আফরোজের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো.আমীনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ মোর্শেদ মিশু জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ ইদ্রীস আলী আযিযী।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট রাজ্জাক খান বাদশা, টাউন মাধ্যমিক বিদ্যারয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক কাজি মুজিবর রহমান, করিমুন্নেছা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বায়েজিদ হোসেন, কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক সিকদার চান, যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হাসান পিরু, যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান প্রমূখ।


আরও খবর



লাদাখকে কেন্দ্র করে ফের প্রকট চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ছয় দশক পর ফের তীব্র হয়েছে ফের চীন-ভারত যুদ্ধের শঙ্কা। চীনের ঘনিষ্ট মিত্র পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক করিডর ঘিরে দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের ঝুঁকি দেখছেন ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিরোধপূর্ণ পূর্ব লাদাখ অঞ্চলে আগামী ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে পারমাণবিক শক্তিধর এই দু'দেশ। সংবাদমাধ্যম দ্য ইউরোএশিয়ান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এমনটিই বলা হয়েছে।

এদিকে, বিশ্লেষকদের দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধের আশঙ্কার সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে। তিনি বলেছেন, ২০২০ সালে গালওয়ান সংঘর্ষের পর চীন এখন এ ব্যাপারে সতর্ক যে, নতুন ভারতকে সহজে পরাজিত করা সম্ভব নয় এবং তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের আগে তারা কোনো সংঘাতের ঝুঁকি নেবে না।

ছয় দশকেরও বেশি সময় আগে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ওই যুদ্ধে ভারত শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হয়। সম্প্রতি সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে চীনের সরকারি গণমাধ্যম বারবার ওই যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। অন্যদিকে, ভারতের তরফে বলা হচ্ছে, ১৯৬২'র অবস্থা থেকে অনেক দূর এগিয়ে গেছে তারা।

এর আগে, ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনা ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে চীনা সেনাদের হামলায় বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহত হয়। এতে চীন-ভারত সম্পর্কে ব্যাপক অবনতি হয়। ওই সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে সীমান্ত অবস্থান সংঘর্ষের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে বহু বৈঠক হয়েছে। কিন্তু এখনো তা পুরোপুরি পুরোনো অবস্থায় ফেরানো যায়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীন তার সামরিক ব্যয় বাড়িয়েই চলেছে। চলতি বছর (২০২৪) প্রতিরক্ষা ব্যয় ৭ দশমিক ২ শতাংশ বাড়িয়েছে দেশটির সরকার। তাইওয়ানে আক্রমণ করে দেশটিকে চীনা মূল ভূখণ্ডের সাথে একীভূত করার লক্ষ্যে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে বেইজিং।

চলতি সপ্তাহে (৫ মার্চ) প্রকাশিত চীন সরকারের এক কার্যবিবরণী প্রতিবেদনে এমনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে চীন বলেছে, তারা তাইওয়ানের স্বাধীনতার লক্ষ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ এবং বাইরের হস্তক্ষেপ দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করবে।

তাইওয়ানকে চীনের সাথে একীভূত করার ব্যাপারে বহুদিন ধরে শান্তিপূর্ণ পূণঃএকত্রীকরণ বলে একটা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল চীন। নতুন প্রতিবেদনে তা সরিয়ে জোরপূর্বক একত্রীকরণ শব্দ উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, চীন পুনঃএকত্রীকরণের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দৃঢ় থাকবে।

চীনের ওই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যেই লন্ডনভিত্তিক রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউট (আরইউএসআই) একটি মন্তব্য কলাম প্রকাশ করেছে। ওয়ার ক্লাইডস ওভার দ্য ইন্ডিয়ান হোরাইজন শীর্ষক ওই কলামে লেখক ইন্টারন্যাশনাল পলিটিক্যাল রিস্ক অ্যানালিটিকসর প্রেসিডেন্ট সমীর টাটা একটি ভয় উদ্রেককারী ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।

তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় চীন-ভারত যুদ্ধ সম্ভবত ২০২৫ ও ২০৩০-এর মধ্যে ভারতের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পূর্ব লাদাখে সংঘটিত হবে। লেখক দাবি করেছেন, বেইজিং পূর্ব লাদাখকে (যেটি ভারতের অন্তর্গত) জ্বালানি সুরক্ষার লেন্সের মাধ্যমে দেখে যা চীন-ভারতকে অদূর ভবিষ্যতে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দেবে।

বিষয়টির ব্যাখা করে লেখক বলেছেন, পূর্ব লাদাখ হলো একমাত্র পথ যেখান থেকে কোনো শত্রুশক্তি চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ শিনজিয়াংয়ে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শক্তির উৎস কাশগরে আক্রমণ ও দখল করতে পারে।

চীনের জ্বালানি নিরাপত্তার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো একটি পরিকল্পিত স্থল-ভিত্তিক পাইপলাইন যা ইরানের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোকে কাশগরের সাথে সংযুক্ত করেছে এবং পাকিস্তান ও চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) মধ্যদিয়ে গেছে।

ভারতের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল এমএম নারাভানে এই যুক্তির সাথে একমত পোষণ করেছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে পূর্ব লাদাখ ও কারাকোরাম পাস চীনের দীর্ঘমেয়াদী কৌশলের অংশ। কারণ এগুলো তাদের সিপিইসি প্রকল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ইউরোএশিয়ান টাইমসকে জেনারেল নারাভানে বলেন, কিন্তু যদি চীনারা মনে করে যে আমরা সিপিইসি বা পাকিস্তান-অধিকৃত-কাশ্মীর বা তিব্বতে তাদের বিচ্ছিন্ন করার অবস্থানে আছি, তবে এটি ১৯৬২ সালের (ভারত ও চীনের মধ্যে প্রথম যুদ্ধের বছর) পর একটি বড় পরিবর্তন।

নিউজ ট্যাগ: চীন-ভারত লাদাখ

আরও খবর



শ্রমিক বিক্ষোভ: ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় রণক্ষেত্র মোংলা ইপিজেড

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আবু বকর সিদ্দিক, মোংলা প্রতিনিধি

Image

ঈদের আগে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মোংলা ইপিজেড। কারখানার প্রধান ফটক বন্ধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ গেলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ভাঙচুর ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে; রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ইপিজেড এলাকা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মোংলা ইপিজেডের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়।

শ্রমিকরা জানান, মোংলা ইপিজেডে দেশি-বিদেশি প্রায় ৩৪টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ৯টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ভিআইপির। সেই কোম্পানির কয়েকটি কারখানা থেকে আজ সকালের শিফটে প্রায় দুই হাজার শ্রমিকের কাছ থেকে কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই পূর্ব ঘোষণা ছাড়া তাদের কারখানা থেকে চলে যেতে বলেন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

ভিআইপি কর্তৃপক্ষ বলেন, একে একে ছাটাই করা শ্রমিকরা ইপিজেডের সামনে জড়ো হন এবং ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রধান গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মূলগেটে অবস্থান নেয়া শ্রমিকদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় শ্রমিকরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় দুই শ্রমিক আহত হয়েছেন।

শ্রমিকদের দাবি, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই তাদের ছাটাই করে প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন শ্রমিকরা।

এ নিয়ে ভিআইপি কর্তৃপক্ষ জানায়, রফতানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়ায় কিছু শ্রমিককে ছাটাই করা হয়েছে। তবে তাদের আগাম এক মাসের বেতন, ঈদ বোনাস ও তাদের সব পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।

অহেতুক কিছু শ্রমিক প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করার জন্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে। এ সময় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার স্বার্থে জেলা থেকে ৬ প্লাটুন পুলিশ মোতায়েন করেছে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ।

এ দিকে শ্রমিকদের দাবি, রমজান মাস চলছে, এ ছাড়া সামনে পবিত্র ঈদ। এই মুহূর্তে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ছাটাই করলে আমাদের পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। গত বছরও একই সময় অহেতুক প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক ছাটাই করেছিল এই ভিআইপি নামের প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে মোংলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, সমঝোতার জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছিল, কিন্তু কিছু শ্রমিক উত্তেজিত হয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করে তুলে। এ সময় পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয় এবং সবাইকে শান্ত হয়ে বাড়ি চলে যেতে বলা হয়েছে।


আরও খবর



রাশিয়ার সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ১৫

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার একটি সামরিক কার্গো বিমান ১৫ জন আরোহী নিয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। রাশিয়া জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ মার্চ) উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই তাদের ইলিউশিন আইএল-৭৬ সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইভানোভো অঞ্চলে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। রাশিয়ার অনলাইন নিউজ সার্ভিসগুলো জানিয়েছে, আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই।

রাশিয়ার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অযাচাইকৃত ভিডিওতে দেখা গেছে, একটি ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে। উড়োজাহাজটি নিচের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। চক্কর দেওয়ার সময় আকাশে ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা গেছে।


আরও খবর