বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ৫০ লাখ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন একটি ছবি ছড়িয়ে এ দাবি করেন মেহেদী হাসান রনি। বিএনপি নেতার অনুদানের বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ পেলে শুরু হয় মন্তব্যের ঝড়। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার চেয়ে সমালোচনাই হচ্ছে বেশি।
এদিকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরকে কটাক্ষ করে ভুয়া চেকের ছবি দিয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বাদি হয়ে একটি মামলাটি করেন।
অভিযুক্ত মেহেদী হাসান রনি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাজিদপুর এলাকার আবু বক্কর'র ছেলে।
মামলার বাদী জয়নাল আবেদীন জানান, যাচাই বাছাই না করে একজন সন্মানী ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে সন্মানহানি করতেই মেহেদী হাসান রনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া চেকের ছবি প্রচার করে যা অত্যান্ত নিন্দনীয়। তাই আজ দুপুরে ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রমেশ কুমার দাগা'র বরাবরে মেহেদী হাসান রনিকে আসামী করে ৫০০ কোটি টাকার মানহানিকর মামলার কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জেলা বিএনপি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী বলেন, চমৎকার নোংরামির উদাহরণ। এ ধরনের নোংরামি যারা করতে পারেন তাদেরকে কোনো সভ্যতার মধ্যে উল্লেখ করা যাবে না। বিএনপি মহাসচিব অনেক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। তার ব্যাপারে অবান্তর কোনো গুজব ছড়ানোর আগে চিন্তা ভাবনা করা উচিত। এ ধরনের মানুষদের বলবো গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকবার জন্য।
চেক ইস্যুর বিষয়ে ঠাকুরগাঁও বিএনপি সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত প্রোপাগান্ডা। চলমান আন্দোলনে সরকার নিপীড়ন-নির্যাতন করে কোনোভাবেই দমন করতে পারছে না। তাই তারা নানা প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। সম্মানহানি এবং হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে নকল চেক বানিয়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট আব্দুল হালিমসহ জেলা বিএনপি'র শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।