ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। পরে যদি আমরা তেমন কিছু পাই, তদন্তের পর, তখন বলা যাবে। এ মুহূর্তে আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে এসেছি। আজ রবিবার দুপুরে রাজারবাগে নিহত পুলিশ কনস্টেবলের জানাজা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্য হত্যার ঘটনাসহ, বিভিন্ন স্থানে বাস পোড়ানো হয়েছে, বিভিন্ন ট্রাফিক বক্স, ১১৩ জন পুলিশ সদস্যকে আহত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে এখনো অনেকের জীবন সংকটাপন্ন। কিছুক্ষণ আগেই আমরা খবর পেয়েছি, আরেকজনের জীবন সংকটাপন্ন। কী হয় আপনারা জানেন। আপনারা প্রত্যক্ষভাবে দেখেছেন। এখানে একটি আনুষ্ঠানিক সমাবেশের ভেতর থেকে এ কাজগুলো করা হয়েছে। সুতরাং সেখানে অনেকেই জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, এসব বিবেচনায় আমরা অনেককেই খুঁজছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসছি। তদন্ত কার্যক্রম চলছে। তদন্ত কার্যক্রম শেষ হলে প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা আরও গ্রেপ্তার করবো।
আরও পড়ুন>> পুলিশ সদস্য হত্যা মামলায় গ্রেফতার ২
কমিশনার বলেন, বিএনপির হামলা গাজা উপত্যকায় হামলার মতো, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনীর হাতেও এমন হামলা আমরা দেখিনি। পুলিশ সদস্য হত্যাসহ গতকালের সব ঘটনায় যোগ্য ও সুষ্ঠু বিচারের জন্য সবকিছু করছি।
হাবিবুর রহমান
বলেন, ‘এই নৃশংস ঘটনার যাতে ন্যায় ও যোগ্য বিচার হয়, এজন্য যা কিছু করা দরকার
ডিএমপির পক্ষ থেকে করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের
পর ছবি মিলিয়ে দুজনকে শনাক্ত করে গাইবান্ধা থেকে একজন এবং ঢাকা ডেমরা থেকে একজনকে
গ্রেপ্তার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
তিনি বলেন,
‘বাংলাদেশের
স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও একটি অনুষ্ঠানে অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
হাত পা ভাঙা হয়েছে। ক্যামেরা ভাঙা হয়েছে। হামলাকারীদের অনেকে সাংবাদিক বেশে এসেছিল।
তারাও এসেছিল ব্যাগ নিয়ে। ব্যাক-প্যাকের ভেতর থেকে বের হয়েছে ককটেল। যারা অপপ্রচার
করছে, দেশে-বিদেশে থেকে কল্পনাপ্রসূত তথ্য প্রচার করছে। আমি মনে করি, বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের
অংশ হিসেবে এসব করা হচ্ছে। কেবল পুলিশ, নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী নয়,
পুলিশ সাংবাদিকসহ নগরবাসী মিলে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে মূলধারার
গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে।’