আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম
প্রশাসনের নিরবর্তায়

মহেশপুরে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল। তবে সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে যত্রতত্র ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ইট ভাটাগুলোতে। ফলে ওইসব জমির উর্বতা শক্তি কমে যাচ্ছে।

এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে আবাদি কৃষি জমির টপসয়েল বা উপরিভাগের মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছে ইটভাটা মালিকরা। এতে জমির মালিকরা সাময়িকভাবে আর্থিক লাভবান হলেও রাতারাতি অর্থবিত্তের মালিক বনে যাচ্ছেন কিছু আসাধু মাটি খেকো ইটভাটা ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা জুড়ে অবাধে ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে সেই মাটি ইটভাটায় নিয়ে যাওয়ায় একদিকে গ্রামীণ রাস্তা যেমন ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।

এ উপজেলায় একাধিক সিন্ডিকেট মাটির ব্যবসায় সক্রিয়। এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাত করে অবাধে কেটে চলেছে কৃষি জমির উপরিভাগের ঊর্বর মাটি।

সরেজমিনে গত ১৩ মার্চ বাঘাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ওই গ্রামের মৃত কাদের উদ্দিন হালসান ছেলে নাসির উদ্দিন হালসান, জসিম উদ্দিন হালসান, ফরহাদ উদ্দিন হালসান, মৃত রবিউল মন্ডলের ছেলে মহি উদ্দিন, রজব আলীর ছেলে আনারুল, মুনসুর হালসানের ছেলে হাবিবুর রহমান, মৃত আজিজুর হকের ছেলে আব্দুল সাত্তার তিনমাস ধরে স্কাভেটর ভাড়া করে এনে এলাকার কৃষকদের প্রলোভন দেখিয়ে কৃষি জমির উপরিভাগের টপ সয়েল কেটে নিয়ে উপজেলার সোহাগ ভাটা, করিম ভাটা, মাসুম ভাটা, সুলতান ভাটায় বিক্রি করছেন। ওই মাটি তারা ট্রাক্টর ও লাটাযোগে নিয়ে যাচ্ছেন ওই সকল ইটভাটায়। এছাড়াও ফতেপুর, আজমপুর, মান্দারবাড়িয়া যাদবপুর, পান্তাপারা, নাটিমা ইউপিসহ বিভিন্ন এলাকায় মাটি কাটার প্রতিযোগিতায় নেমেছে মাটি সিন্ডিকেট।

বাঘাডাঙ্গা গ্রামের কয়েকজন কৃষক জানান, টাকার লোভে অনেক জমির মালিক মাটি বিক্রিতে ঝুঁকছেন। ১০-১২ ফুট গর্ত করে মাটি বিক্রি হচ্ছে। ফলে পাশের জমির মাটিও ভেঙে পড়ছে। বাধ্য হয়ে ওইসব জমির মাটিও বিক্রি করছেন মালিকরা। স্কাভেটর মেশিন দিয়ে রাতের আধারে এসব মাটি কাটা হচ্ছে। কিছু বললে হুমকি দিচ্ছেন তারা।

এ ব্যাপারে নেপা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক বলেন, এর আগে ওই স্থানে মাটি কাটা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় মাটি কাটছে কিনা জানা নেই যদি কাটে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর



কুবি উপাচার্যের প্রকাশনা সম্পর্কে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দের চরম মিথ্যাচার

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

২০০৬ সালে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলেও বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক পরিবেশ নিয়ে প্রশংসা করার মত ছিলনা কোন উল্লেখযোগ্য উপাদান। বারবার বিশ্ববিদ্যালয়টি নেতিবাচক খবরের শিরোনাম হয়েছে হত্যা, টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্যে ছাত্র শিক্ষকদের জড়িত থাকার কারণে। হয়নি মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ সৃষ্টি।

এই অবস্থায় দেশ বিদেশে পড়াশোনা ও শিক্ষকতার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ম উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড: এ এফ এম আবদুল মঈন। যোগদানের পরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি লিডিং ও মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন উপাচার্য। এজন্য সর্বপ্রথমেই উদ্ভাবনে নেতৃত্ব, সমাজের ক্ষমতায়ন, উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা, মানবকল্যাণ, সম্প্রদায়কে সমৃদ্ধকরণ এবং টেকসই প্ল্যানেট গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে তিনি অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি ভিশন তৈরী করেন, এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিপরিক্ষার আয় থেকে মানসম্পন্ন প্রবন্ধ প্রকাশনায় উদ্ধুদ্ধ করার জন্য শিক্ষকদের জন্য মর্যাদাসম্পন্ন ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড ও স্বীকৃতি শুরু করা, শিক্ষকদের প্রকাশনার জন্য Editorial Support সহ বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য IELTS, GMAT ইত্যাদি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন ফিস প্রদান করা, গবেষণার মান বৃদ্ধিতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক মানের বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা, মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য প্রথমবারের মত মর্যাদাপূর্ণ ভাইস চ্যান্সেলর বৃত্তি প্রচলন করা, ক্রীড়ায় উদ্বুদ্ধকরণের জন্য স্পোর্টস বৃত্তি প্রচলন করা, কেন্দ্রীয়ভাবে একটি একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করে সেশন জট দূর করা, যে সকল শিক্ষক উচ্চতর ডিগ্রি করার পরেও বিদেশে থেকে পদ ধরে রাখার কারণে এখানে শিক্ষক সঙ্কট তৈরি হয়েছে তাদের ৯ জনের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাওনা বাবদ ১.৭৮ কোটি টাকা ফিরিয়ে এনে পদগুলো শূন্য করে নূতন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া, মশাবিহীন, স্বাস্থ্যকর, নান্দনিক ও নিরাপদ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার মাধমে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করা, সর্বক্ষেত্রে অটোমেশন (ডি-নথি, ওয়েবসাইট, অ্যাপ, ইআরপি, ক্যাম্পাস এরিয়া নেটওয়ার্ক, পেমেন্ট গেটওয়ে) সেবার ব্যবস্থা করা, এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেমন, দুর্নীতিমুক্ত প্রকিউরমেন্ট ও অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যের সংস্কৃতি বন্ধ করা।

এই সকল ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলশ্রুতিতে দুই বছরে বিশ্ববিদ্যালয়টি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সফলতা অর্জন করেছে এবং জাতীয় পর্যায়ে তার ইমেজ বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে। যেমন, এখন গুচ্ছ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের পছন্দের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান অর্জনে সক্ষম হয়েছে। বৈশ্বিক AD ইনডেক্স এর গবেষকদের তালিকায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে মাত্র ৫জন শিক্ষকের সংখ্যা ছিলো, তা এই দুই বছরে ১৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ জনে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া, বর্তমান উপাচার্য ২০২২ সালে যোগদানের পূর্বে এপিএতে যেখানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪২তম ছিলো, তা দুই বছরে উন্নীত হয়ে ১০ম স্থানে এগিয়ে এসেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবার ও সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারগণ সকলেই যখন গর্বিত, তখন হঠাৎ করেই এই অর্জন ও অগ্রযাত্রা বাঁধার মুখে পড়ে। সম্প্রতি ১৯ ফেব্রুয়ারি কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে জয়ের পরই ঐদিন বিকালে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন শিক্ষক নেতারা। ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের ফুল দেওয়ার তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে উপাচার্য ও শত শত শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে দুইজন শিক্ষক কে অপমানিত করে। এছাড়া উপাচার্যকে কটাক্ষ করে নব্য আলী জিন্নাহ বলেন সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান৷ ৬ মার্চ উপাচার্যকে সবার সামনে পদত্যাগ করতে বলেন ও তাঁকে ডাস্টবিন বলেও সম্বোধন করেন। এর আগে প্রো-উপাচার্যকে স্টেজ এ রেখে মেহেদী হাসান এক বক্তৃতায় উপাচার্যকে আমদানিকৃত পঁচা মাল বলে অভিহিত করেন। ৬ই মার্চের বাকবিতণ্ডায় উপাচার্যকে শিক্ষকদের পদোন্নতিতে গুণগতমানের প্রকাশনার শর্ত তুলে নেয়ার দাবিতে মেহেদী হাসানসহ শিক্ষক সমিতির  আরেক নেতা কাজী কামাল উপাচার্যের কোনও Q1 জার্নালে প্রকাশনা নাই বলে দাবি করেন, এমনকি তার Q4 এ কোন প্রকাশনা থাকিলে কাজী কামাল পদত্যাগ করবেন বলে ঘোষণা দেন।

উপাচার্যকে হেয় করার পরিপ্রেক্ষিতে বাস্তব তথ্য পর্যালোচনা করে প্রতীয়মান হয় যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এ এফ এম আবদুল মঈন যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক এবং মর্যাদাপূর্ণ কমনওয়েলথ স্কলারশিপ পেয়ে University Of Stirling U.K থেকে Strategic Management বিষয়ে  পি.এইচ.ডি  পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন। তাছাড়া, অস্ট্রেলিয়ার Top-ranking বিশ্ববিদ্যালয় Australian National University তে Post-Doctoral Fellow হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘ ২৩ বছর এবং অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফেডারেশন ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ায় ১৪ বছর (২০০৭-২০২০) শিক্ষকতা করেছেন।

একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরে, তিনি বাংলাদেশে বহু-দাতা সংস্থা (World Bank, UK-Aid, SIDA এবং Swiss Agency for Development and Corporation) এর অর্থায়নে বাংলাদেশে উদ্যোক্তা প্রচার প্রকল্পে কারিগরি উপদেষ্টা, পরামর্শদাতা এবং ব্যবস্থাপক হিসেবে ব্যাপকভাবে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি Social Responsibility research Network (SRRnet) একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন।

তিনি একটি গবেষণা-ভিত্তিক বই পৃথিবী বিখ্যাত Springer Nature প্রকাশনা থেকে সহ-সম্পাদনা করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন জার্নালে, গবেষণা-ভিত্তিক বই এবং সম্মেলনের কার্যক্রম নিয়ে ৩৯ টি উন্নত মানের গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ইদানীং কালে প্রকাশিত প্রকাশনা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় উপাচার্যের Q1 মানসম্পন্ন ২ টি, Q2 মানসম্পন্ন ৩ টি, এবং Q3 মানসম্পন্ন ১টি প্রকাশনা রয়েছে।


আরও খবর



কোনো দুর্নীতি না করার প্রতিশ্রুতি বিএসএমএমইউ’র নতুন উপাচার্যের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নিজের অবস্থান সব সময় সেন্টারে থাকবে, প্লাস-মাইনাস হবে না বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক।

তিনি বলেছেন, আমার ভুল হতে পারে। কিন্তু আমি কোনো অন্যায় করবো না। ভুল হলে আপনারা শুধরে দেবেন। আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে দায়িত্ব গ্রহণ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক নূরুল হক বলেন, আমি কোনো অন্যায় আবদার শুনবো না। এখানে শ্রম দেওয়া প্রতিটি মানুষকে একসঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আপনাদের বন্ধু-ভাই হয়ে কাজ করতে চাই। প্রশাসনের ক্ষমতা খাটাতে চাই না। আপনারা আমাকে দলনেতা হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। আমি সব সময় আপনাদের পাশে চাই। আপনারা যদি নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করেন, এতেই আমি খুশি। অন্য কোনোভাবে আমাকে খুশি করা যাবে না। যে যেই দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করতে পারবেন, তাকেই দায়িত্ব দিতে চাই। আমি চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান পরিবর্তন করতে চাই।

কারও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে যেভাবে সংবর্ধনা দিয়ে গ্রহণ করা হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। এটা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠতম দিন। আমাকে নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা অনুভব করবেন না। আমাকে কোনো গ্রুপে যুক্ত করার চেষ্টা করবেন না। যারা ভালো কাজ করবে, তারাই আমার লোক।

এসময় সাবেক উপাচার্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক দীন মোহাম্মদ বলেন, সাবেকদের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল। বর্তমান উপাচার্য শারফুদ্দিন সাহেব আমাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন। আমিও তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। তিনি আমার বন্ধু মানুষ। আমরা দীর্ঘদিন একসঙ্গে কাজ করছি। একই ক্লিনিকে প্র্যাকটিস করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন আমার খুবই কাছের বড় ভাই। শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল করার সময় আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ওই জায়গা খালি করেছি। উনার সঙ্গে কাজ করে হাসপাতাল দাঁড় করিয়েছি। তিনি এখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীও আমার কাছের বোন। আমরা তিনজন মিলে দেশকে একটা অসাধারণ স্বাস্থ্যখাত উপহার দিতে চাই। আমি অন্যায় করবো না, কিন্তু আমার ভুলকে পুঁজি করে আমাকে অনুৎসাহিত করবেন না। আমি সাংবাদিক ভাইদের থেকে এ বিষয়ে সাহায্য চাই।

তিনি আরও বলেন, চিকিৎসক ও শিক্ষকদের সমস্যা আমার থেকে ভালো কেউ জানে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় সারাদেশের মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য শিক্ষক তৈরি করে। এ প্রক্রিয়া যেন স্বচ্ছ থাকে তা আমি নিশ্চিত করবো। গবেষণা ছাড়া মেডিকেল শিক্ষা চলতে পারে না। আমাদের প্রধানমন্ত্রী গবেষণায় উৎসাহী। আমরা তার এই স্বদিচ্ছাকে কাজে লাগাতে চাই। গবেষণার জন্য যা যা প্রয়োজন আমি তা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এনে দিতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নেতা ডা. টিটো বলেন, তিন বছরের দুর্নীতির তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা চাই, ভবিষ্যতে যেন কেউ এমন অন্যায় অত্যাচার ও দুর্নীতি করার সাহস না করেন।


আরও খবর



সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপ

ভারতকে হারিয়ে সাফের ফাইনালে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

নেপালের কাঠমান্ডুতে চলমান সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদশ টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। বাংলাদেশের পরবর্তী ম্যাচ ভূটানের বিপক্ষে শুধুই আনুষ্ঠানিকতার।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে চার দল অংশগ্রহণ করছে। রাউন্ড-রবিন লিগ পদ্ধতিতে তিন ম্যাচ শেষে শীর্ষ দুই পয়েন্ট ধারী দল ফাইনাল খেলবে। দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। নেপাল ও ভারতের পয়েন্ট তিন। ভুটান দুই হারে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গেছে। নেপাল ও ভারতের মধ্যে এক দল জয়ী হলে ১০ মার্চ বাংলাদেশের সঙ্গী হবে ফাইনালে। ড্র হলে হবে অন্য হিসাব নিকাশ। ৮ মার্চ বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচ শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে বাংলাদেশ আলফি আক্তারের গোলে ভারতের বিপক্ষে লিড নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে ভারত বাংলাদেশকে চেপে ধরে। ৫০ মিনিটে ভারতের একটি আক্রমণ পোস্টে লাগে। চার মিনিট পর বক্সের ডান প্রান্তের কোণা থেকে ভারতের ফরোয়ার্ড আনুষ্কা কুমারীর শট বাংলাদেশের জালে জড়ায়।

ম্যাচে সমতা আনার পর ভারত লিড নেওয়ার চেষ্টা করে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা স্কিলে ভারতকে যথেষ্ট টেক্কা দিয়েছে। ৮০ মিনিটে প্রীতি ভারতীয় দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে দুরন্ত গতিতে বক্সে প্রবেশ করে অসাধারণভাবে প্লেসিংয়ে গোল করেন। প্রীতির ব্যক্তিগত দক্ষতায় বাংলাদেশ ম্যাচে লিড পায়। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে অধিনায়ক অর্পিতা বিশ্বাস জটলার মধ্যে আরেকটি গোল করলে বাংলাদেশ ৩-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।

গত মাসে সাফের অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ ও ভারত ম্যাচে অনেক নাটকীয়তা হয়েছিল। নির্ধারিত সময় ১-১ হওয়ার পর সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। টাইব্রেকারে দুই দলই ১১টি সমান গোল করেন। এরপর আকস্মিকভাবে লঙ্কান ম্যাচ কমিশনার টস করেন। এতে বাংলাদেশ হারলে আপত্তি করে। পরবর্তীতে দুই দলকে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে।

ঐ ঘটনার পর বাংলাদেশ-ভারত আবার নারী ফুটবলে মুখোমুখি হয়েছে। সেই লড়াইয়ে বাংলাদেশ জেতায় খানিকটা মানসিক স্বস্তিতে রয়েছে। যদিও দুটি দল ভিন্ন পর্যায়ের।


আরও খবর
ডি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতা গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪




ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে পুলিশ সুপার কাপ ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্ট-২০২৪ এর ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় পুলিশ-সাংবাদিক ও পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে দুটি গ্রুপে দুটি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সাংবাদিক ফাইনাল খেলায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাব রার্নাসআপ ও জেলা পুলিশ চ্যাম্পিয়ন।

খেলায় ঝালকাঠি প্রেসক্লাবের খেলোয়ার ছিলেন ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি অলোক সাহা ও দৈনিক আমার সংবাদ এর জেলা প্রতিনিধি এস.এম. পারভেজ। জেলা পুলিশের বিজয়ী প্লেয়ার হলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (রাজাপুর সার্কেল) মোঃ মাসুদ রানা ও টি.আই মোঃ রফিকুল ইসলাম। পুলিশের সদস্যদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয় কনস্টেবল মোঃ ফায়জুল ইসলাম ও কনস্টেবল মোঃ হাফিজুর রহমান এবং রার্নাস আপ সার্জেন্ট এস.এম মাজহারুল ইসলাম ও এস আই মোঃ মুরসালিন।

সদর পুলিশ ফাঁড়ি প্রাঙ্গন মাঠে রবিবার রাতে এ ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঝালকাঠির মিডিয়া বান্ধব পুলিশ সুপার (পিপিএম সেবা) মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খেলা উপভোগ করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আনোয়ার সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) শেখ ইমরান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মহিতুল ইসলাম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজি খলিলুর রহমান, সহ-সভাপতি আল-আমিন তালুকদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুর রহমান পারভেজ, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক আজকের দর্পণ এর ঝালকাঠি প্রতিনিধি মোঃ রুবেল খানসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য বৃন্দ।

প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন আজকে এ খেলা আয়োজনের মাধ্যমে জেলা পুলিশ ও সাংবাদিক ভাইদের মধ্যে নতুন এক সম্পর্কের উম্মেচন হলো। সাংবাদিক ও আমরা উভয়ই রিক্স নিয়ে কাজ করি। সাংবাদিকরা ঝুকি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আর আমরা ঝুকি নিয়ে অপরাধিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপনেই।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজি খলিলুর রহমান পুলিশ সুপার মহোদয়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, প্রতিবছর যেন এ আয়োজনের ধারা অব্যাহত থাকে। এতে করে পুলিশ ও সাংবাদিকদের মধ্যে সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।


আরও খবর



গোপনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদে উলিপুরে মানববন্ধন

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

উলিপর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের উলিপুরে গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপনে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার প্রতিবাদে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করেছেন।

সোমবার দুপুরে কেসি রোড সংলগ্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অভিভাবকসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষজন অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনকারীদের প্রচারিত হ্যান্ডবিল সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ওই বিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক ফিরোজ ইমাম আমীন ২০২০ সালে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে গোপনে নিয়োগ নেন। নিয়োগ নেয়ার পর উলিপুর সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা হয়। আদালত কর্তৃক তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যাবতীয় কার্যক্রম চালাতে থাকেন ফিরোজ ইমাম। ওই পদে ৩ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে প্রধান শিক্ষক হওয়ার জন্য আবারো গোপনে যোগসাজশে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। বিষয়টি অভিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ফলে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে গতকাল তারা মানববন্ধন করতে বাধ্য হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহতাব হোসেন জানান, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে বিষয়টি তদন্ত করছি। পরে বিস্তারিত জানতে পারবেন।


আরও খবর