আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহাসমাবেশ নাম দিয়ে ফ্লপ সমাবেশ করেছে বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ অক্টোবর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি তিনমাস হাঁকডাক করে মহাসমাবেশ নাম দিয়ে একটি ফ্লপ সমাবেশ করেছে। সারাদেশ থেকে সন্ত্রাসীদের চট্টগ্রামে এনে হোটেলভাড়া করে রেখেছে। পরদিন তাদের নিয়ে সমাবেশ করেছে। চট্টগ্রামে জব্বারের বলিখেলায় এরচেয়ে অনেক বেশি মানুষ হয়। সাধারণ মানুষের কোনও সমাবেশে ছিল না।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন আসনের সংসদ সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে রাজনীতি করে। আমরা জনগণকে নিয়েই আগামী মাসে গণসমাবেশ ও মিছিল করবো চট্টগ্রামের প্রত্যেকটি উপজেলা ও থানায়। তার পরবর্তীতে চট্টগ্রাম শহরে আমরা জেলা সমাবেশ করবো। তখন আপনারা দেখবেন ইনশাআল্লাহ আমাদের জেলা সমাবেশ কেমন হয়।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বিএনপি চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ করেছে, সেই সমাবেশ থেকে তারা নানাধরনের আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছে। সমাবেশে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়েছে। চট্টগ্রামসহ সমগ্র দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির একটি ছক এঁকেছে। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমাদের করণীয় ঠিক করবো।

তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি চট্টগ্রামে যেই সমাবেশ করেছে, সেই সমাবেশের প্রস্তুতি তারা দীর্ঘ তিনমাস ধরে নিয়েছে। প্রস্তুতি নিয়ে তারা বলেছিল, পনের লাখ মানুষের সমাগম হবে। এখান থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার, টেকনাফের দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার, সেখান থেকেও মানুষ এনেছে। তারা পলোগ্রাউন্ড মাঠের চল্লিশ শতাংশ পেছনে রেখে মঞ্চ করেছে। আর সামনের যেই অংশ তার অর্ধেকও পূর্ণ হয়নি। অর্থাৎ পলোগ্রাউন্ড মাঠের একতৃতীয়াংশও ঠিকমতো পূর্ণ হয়নি। চট্টগ্রামে জব্বারের বলি খেলায় যত মানুষ হয়, তারচেয়েও অনেক কম মানুষ হয়েছে।

বিএনপি যেই প্লাটপর্মে সমাবেশ করেছে সেখানে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর প্রতিবাদ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কথা বলার কারণে জিয়াউর রহমান চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা নামে তিনটি মামলা দিয়েছিল। মৌলভী সৈয়দকে নির্যাতন করে মেরেছে, সেই বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আসলে ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। তিনি নাস্তা করতে করতে ফাঁসির আদেশে সই করতো। এমন ঘটনাও ঘটেছে, ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে, রায় হয়েছে ফাঁসি কার্যকর হবার পর। তারা যে এই চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে সেগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে যারা সেই নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের শিকার তাদের স্বজনরা সরব হয়েছেন। আমরা সেগুলোকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাবো।

বিএনপির একদফা দাবি সরকারের পতন, এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি গত ১৪ বছর ধরেই এই আন্দোলনের মধ্যে আছে। আমরা সরকার গঠনের দুই-এক মাস পর থেকেই তারা সরকারকে বিদায় দেওয়ার আন্দোলনের মধ্যে আছে। আন্দোলন করতে করতে দেখা গেলো তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের আন্দোলনের মধ্যেই জনগণ পরপর তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব আমাদেরকে দিয়েছে। তারা এই আন্দোলন করার প্রেক্ষিতে আমরা মনে করি আগামী নির্বাচনে ভোট আমাদের আরও বাড়বে, ইনশাআল্লাহ।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ শামসুল হক চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য মোসলেম উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহফুজুর রহমান মিতা, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, দিদারুল আলম, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।


আরও খবর



ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানালো সৌদি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আগামী ৬ জুনের মধ্যে বাইরে থেকে আসা সকল ওমরাহকারীকে সৌদি আরব ছাড়তে হবে বলে জানিয়েছে দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। ওইদিন আরবি বর্ষপঞ্জিকার ১১তম মাস জিলকদের ২৯তম দিন থাকবে।

মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ জানিয়েছে, সৌদি আরব ওমরাহর জন্য যে ভিসা দিয়ে থাকে সেটির মেয়াদ থাকে ৯০ দিন। যাদের কাছে ওমরাহর ভিসা আছে তারা আগামী ১৫ জিলকদ পর্যন্ত সৌদিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র হজের প্রস্তুতি শুরুর অংশ হিসেবে ওমরাহকারীদের সৌদি আরব ছাড়ার তারিখ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।

দেশটি জানিয়েছে, ভিসা যেদিন ইস্যু করা হয় সেদিন থেকে ৯০ দিনের হিসাব শুরু হয়। যদিও অনেকে মনে করেন যেদিন সৌদিতে প্রবেশ করবেন সেদিন থেকে ভিসার মেয়াদ শুরু হয়। তাদের এ ধারণাটি ভুল। এছাড়া ওমরাহ ভিসার মেয়াদ ৯০ দিনের বেশি কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। এই ভিসা অন্য ভিসা হিসেবেও পরিবর্তন করা হবে না।

জিলক্বদ মাসের পরের মাস জিলহজের ৮ তারিখ থেকে হজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৩ তারিখ। প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখ লাখ মুসলমান হজ করার জন্য সৌদিতে সমবেত হন।

হজযাত্রীদের একটা বড় অংশ আসা শুরু করেন জিলক্বদ মাস থেকে। হজের সময় যেন হজ যাত্রীরা নির্বিঘ্নে মক্কা ও মদিনায় পৌঁছাতে পারেন এবং সেখানে অবস্থান করতে পারেন সেজন্য ওমরাহকারীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদি ছাড়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।


আরও খবর



উত্তরায় লেক থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর উত্তরায় লেকের পানি থেকে দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৪ মে) উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেক থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ঢাকা জোন-৩ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম জানান, উত্তরা ১৬ নং সেক্টরের লেকে ১০ নং ব্রিজের কাছে গোসল করতে নেমে দুজন নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে টঙ্গি ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। দুপুর ২টা ৫৩ মিনিটে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় আত্মীয়-স্বজনদের বরাতে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মিরপুরের শহীদ স্মৃতি স্কুলের নবম শ্রেণির মোট পাঁচজন সহপাঠী এই লেকে গোসল করতে এসেছিল। তাদের মধ্যে দুজন বেশি দূরে গিয়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পরে তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহ তুরাগ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তুরাগ থানার ওসি শেখ সাদী জানান, দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর তুরাগ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আশরাফুল ইসলাম, আরেকজনের নাম এখনো জানতে পারিনি। নিহত আশরাফুল বাবা-মায়ের সঙ্গে উত্তরা ১১ নং সেক্টরে থাকতো।

ঘটনার প্রাথমিক বিবরণ দিয়ে ওসি বলেন, ওরা পাঁচ সহপাঠী লেকে গোসল করতে এসেছিল। গোসল করতে করতে দুজন বেশি দূরে চলে যায়। এক নারী সেটি দেখে চিৎকার শুরু করেন। বাকি তিনজন ডুবতে থাকা দুজনকে উদ্ধারে চেষ্টা করেও পারেনি। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হবে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া নিহত অপরজনের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

নিউজ ট্যাগ: মরদেহ উদ্ধার

আরও খবর



কোরবানির ঈদে পশু আমদানির পরিকল্পনা নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু আমদানির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। রবিবার (২৮ এপ্রিল) সাভারের বিপিএটিসি'তে বিসিএস লাইভ স্টক একাডেমিতে ৪১তম মৎস্য ক্যাডারের নবনিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগদান উপলক্ষে ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, খামারিদের উৎসাহ প্রদান করা, তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং তারা যাতে উৎপাদনটা আরও বেশি করতে পারেন সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। পশুর দাম যাতে মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেই ব্যাপারে আমাদের উদ্যোগ আছে।

তিনি বলেন, আমাদের গবাদি পশু যেমন, গরু ছাগল ইত্যাদির নানা ধরনের রোগ বালাই আসে। রোগ বালাই প্রতিরোধে একটা বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। সেজন্য ভেটেনারি হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা এবং সেগুলোকে সক্রিয় করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। এগুলো যেন ভালোভাবে মানুষকে সেবা দিতে পারে সেই ধরনের ব্যবস্থাপনার জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি আমদানির করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, খামারিদের উদ্বুদ্ধ করার পরিকল্পনা আমরা ইতোমধ্যে নিয়েছি। বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পে খামারিরা ১০০ টাকা বিনিয়োগ করলে সেখানে আমরা ৬০ টাকা দেব। নামমাত্র সুদে দীর্ঘ সময় নিয়ে খামারিদের টাকা ফেরত দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি। এতে নিশ্চয়ই খামারিরা আগ্রহ প্রকাশ করবে এবং উৎসাহিত হবে।

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. মো. রেজাউল হকের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দিন। এ সময় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রথম ধাপে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আগামীকাল ৮ মে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার নিমিত্তে In Aid to the Civil Power এর আওতায় ৬-১০ মে পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিজিবি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট উপলক্ষে ৮ মে (বুধবার) সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।

প্রথম ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট হবে

রংপুর বিভাগের পঞ্চগড় জেলার সদর, তেতুলিয়া ও আটোয়ারী; ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর, নীলফামারী জেলার ডোমার ও ডিমলা; দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুর জেলার কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।

রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর; বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী; চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট; নওগাঁ জেলার ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী; রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী ও তানোর; নাটোর জেলার সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া; সিরাজগঞ্জ জেলার সদর(ইভিএম), কাজিপুর (ইভিএম) ও বেলকুচি (ইভিএম); পাবনা জেলার সাঁথিয়া (ইভিএম) , সুজানগর (ইভিএম) ও বেড়া (ইভিএম)।

খুলনা বিভাগের মেহেরপুর জেলার সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়া জেলার খোকসা, সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুড়হুদা, ঝিনাইদহ জেলার সদর ও কালীগঞ্জ; যশোর জেলার মনিরামপুর (ইভিএম) ও কেশবপুর (ইভিএম); মাগুরা জেলার সদর ও শ্রীপুর; নড়াইল জেলার কালিয়া; বাগেরহাট জেলার সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।

বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলার সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুর জেলার সদর (ইভিএম), নাজিরপুর (ইভিএম) ও ইন্দুরকানী (ইভিএম)।

ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গীপাড়া; নারায়নগঞ্জ জেলার সদর ও বন্দর; গাজীপুর জেলার সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ী জেলার কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর (ইভিএম) ও হরিরামপুর (ইভিএম); ফরিদপুর জেলার চরভদ্রাসন, মধুখালী ও সদর; মাদারীপুর জেলার সদর, শিবচর ও রাজৈর, শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া (ইভিএম) ও ভেদরগঞ্জ (ইভিএম)। নরসিংহী জেলার সদর ও পলাশ, টাঙ্গাইল জেলার ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জ জেলার সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া।

ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুর জেলার সদর (ইভিএম) ও সরিষাবাড়ি (ইভিএম); শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।

সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই ও শাল্লা; সিলেট জেলার সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমা; মৌলভীবাজার জেলার জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ ও বানিাচং।

চট্টগ্রাম বিভাগের ব্রাহ্মণাবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ও সরাইল, কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট ও মেঘনা; চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর (ইভিএম) ও মতলব দক্ষিণ (ইভিএম); ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর, চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া(ইভিএম) , সদর (ইভিএম) ও মহেশখালী (ইভিএম); খাগড়াছড়ি জেলার মনিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি, রামগড় ও মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটি জেলার সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবান জেলার সদর, রোয়াংছড়ি, থানছি ও আলীকদম।


আরও খবর



নিত্যপণ্যের উত্তাপে ভোক্তাদের নাভিশ্বাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
অর্থ ও বাণিজ্য ডেস্ক

Image

লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে স্বস্তি ফিরছে না কিছুতেই; বরং দাম বাড়ছে প্রতিনিয়ত। অস্থির এ বাজার পরিস্থিতি চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া যেন আর কিছুই করার নেই!

শুক্রবার (১০ মে) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও হাতিরপুল কাঁচাবাজার এবং কেরানীগঞ্জের জিনজিরা, আগানগরসহ বেশ কটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে আরও দাম বেড়েছে মাছ-মাংস, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের।

বিক্রেতারা জানান, তীব্র গরমের কারণ ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন ব্যবস্থা। এতে বাজারে সরবরাহ ঘাটতি দেখা দেয়ায় দাম বাড়ছে পণ্যের। আর ক্রেতারা বলেন, এ বছর রোজার আগে থেকেই বেড়েছে পণ্যের দাম। রোজায় সেটি আর চড়েছিল। কিন্তু ঈদের পরও সেই দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় চাপ বাড়ছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের সংসারে।

সাব্বির হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, এ বছর রোজায় কারণ ছাড়াই পণ্যের দাম বেড়েছিল। এখন গরমের অজুহাতে নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগে গেছে। অসহায় ক্রেতাদের এখন চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ব্যবসায়ীরাও বুঝে গেছে, দাম বাড়ালেও পণ্য কিনবে সাধারণ মানুষ। তাই খেয়াল-খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছে পণ্যের।’

বাজারে প্রতিকেজি বেগুন ৬০-৯০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, পেঁপে ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০ টাকা ও কহি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ধুন্দল ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, আলু ৫০-৫৫ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা ও কাঁকরোল ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দাম চড়েছে কাঁচা মরিচেরও। পাইকারি পর্যায়ে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা ও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতি পিস লাউ ৬০ টাকা ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। আর বাজারে লালশাকের আঁটি ১৫ টাকা, পাটশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ২৫ টাকা, কলমিশাক ১৫ টাকা ও পালংশাক ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজিতে দাম বেড়েছে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত। মূলত তীব্র গরমে গ্রাম পর্যায়ে সবজির দাম বাড়ায় রাজধানীর বাজারগুলোতেও এর প্রভাব পড়েছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর বাজারের সবজি বিক্রেতা উজ্জ্বল বলেন, তীব্র গরমে ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছে সবজি। পাশাপাশি সেচ বাবদ বেড়ে গেছে উৎপাদন খরচ। এর প্রভাবে দাম বাড়ছে।’

স্বস্তির খবর নেই মাছের বাজারেও। গরমের উত্তাপ ছড়িয়েছে এখানেও। বেশিরভাগ চাষের ও দেশি মাছের দামই চড়া। বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে।

বাজারে প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০-২২০ টাকা, চাষের পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা, চাষের শিং ৫০০ টাকা, চাষের মাগুর ৫৫০ টাকা ও চাষের কৈ বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকায়। আর আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ৩৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৪৮০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা ও আইড় ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর কারওয়ানবাজারের মাছ বিক্রেতা আসলাম জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হয়েছে। আর গরমের কারণে মাছ কম ধরা পড়ছে। এতে কমছে না মাছের দাম।’

বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের জন্য গুনতে হচ্ছে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম পড়ছে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা।

বিক্রেতারা জানান, এ বছর বৃষ্টি কম হওয়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে ইলিশের দাম। সপ্তাহ ব্যবধানে দাম বেড়েছে অন্তত ৪০০ টাকা।

বাজারে দাম বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। আর কেজিতে ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে প্রতি কেজি দেশি রসুন ১৮০-২০০ টাকায় ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়। আদা আগের বাড়তি দামেই ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে মাংসও। প্রতিকেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০-৮০০ টাকায়। এ ছাড়া প্রতিকেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।

আর প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০-২৩০ টাকা, সোনালি মুরগি ৪০০ টাকা, দেশি মুরগি ৭২০-৭৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায়। এ ছাড়া জাতভেদে প্রতি পিস হাঁস বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়।

নিত্যপণ্যের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের দাবি ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েরই। ক্রেতারা বলছেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হয় না। এতে বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানোর সুযোগ পায়।

আর বিক্রেতারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছে। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে।


আরও খবর