আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

মহানন্দায় কুমির আতঙ্ক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর ২০২২ | ৮৮৫জন দেখেছেন
দর্পণ নিউজ ডেস্ক


Image

চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর পৌর এলাকার পুনর্ভবা ও মহানন্দা নদীতে কুমির আতঙ্কে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পৌর এলাকার বেগুনবাড়ি মহানন্দা ঘাট ও বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টা পর্যন্ত গুজরঘাট ও বেইলি ব্রিজ এলাকায় একটি বিশাল আকারের কুমির দেখা গেছে। কুমির দেখে আতঙ্কে আছেন স্থানীয়রা।

রহনপুর পৌর এলাকার রহমতপাড়ার ফজলুর রহমান বলেন, সকালে মহান্ত ঘাটে কুমিরটিকে দেখতে পেয়ে আতঙ্কিত হই। তখন থেকে নদীতে নামতে ভয় হচ্ছে। এ ঘটনায় আমরা বন্যপ্রাণী অধিদপ্তরকে অনুরোধ করছি যেন এ কুমিরটি তারা ধরে নিয়ে যায়। মহান্ত শ্রী ঘাটের পরান আলী নামে এক জেলে বলেন, সকালে বেইলি ব্রিজের নিচে কুমিরটিকে দেখেছি। কুমিরটি বেশ বড়। নদীর পাড়ে উঠে কয়েকটি হাঁসও খেয়েছে কুমিরটি। অনেকেই বলছে কুমির নাকি আরও একটি আছে। কিন্তু আমি একটি কুমির দেখেছি।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ রাজশাহীর পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কুমির একটি হিংস্র স্বভাবের প্রাণী। আর এই নদীতে পানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় কুমিরটিকে আমরা ধরতে পারছি না। তাই কুমিরের দেখা পেলে অতিউৎসাহী হয়ে বিরক্ত করবেন না। বাচ্চাদের নদীর কিনারায় যেতে দেবেন না। দিনে ও রাতের বেলায় মাছ আহরণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। নদীতে গোসল করা থেকে বিরত থাকুন। ছোট ছোট নৌযান (নৌকা ও ভেলা) চলাচল সাময়িক বন্ধ রাখুন। কুমিরের রোদ পোহানোর সময় ঢিল ছুড়বেন না। আর তাই এলাকাবাসীকে সতর্ক করতে লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি। বাংলাদেশ সরকারের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২ অনুযায়ী কুমিরকে বিরক্ত করা, রোদ পোহানোর সময় ঢিল ছোড়া, তাড়ানোর চেষ্টা করা, ধরা, মারা, ত্রুয়-বিক্রয়, পাচার করা, পরিবহন করা, হত্যা ইত্যাদি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। যার সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।

নিউজ ট্যাগ: মহানন্দা

আরও খবর