আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

প্রকাশিত:সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

মায়ের ভাষার জন্য রক্ত ও প্রাণদানের ইতিহাস জ্বলজ্বল করছে। বিশ্বের বুকে এই অনন্য ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ। পলাশ-শিমুল ফোটার দিনে তাইতো আজ গেয়ে উঠছে মন আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি?

আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার দাবিতে প্রাণদানের গৌরবোজ্জ্বল মাতৃভাষা আন্দোলনের আজ ৭০ বছর পূর্ণ হলো।

১৯৫২ সালের এইদিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর তৎকালীন পুলিশ নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। তাদের মধ্যে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার অন্যতম। তাই দিনটিকে শহীদ দিবস বলা হয়ে থাকে। আর ২০১০ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সারাবিশ্বে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। তাই দিনটি বাঙালি জাতি ও বাংলা ভাষা ব্যবহারকারীদের জন্য গৌরবোজ্জ্বলের।

এদিকে দিবসটিকে ঘিরে রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জাতি একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। আজ রাত ১২টা এক মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে একুশের কর্মসূচি শুরু হবে। এছাড়াও কালো ব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরিসহ আজিমপুর কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা জানানো হবে।

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে আজ (সোমবার) সরকারি ছুটি। আজ দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। এছাড়া উত্তোলন করা হবে কালো পতাকা। দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস

তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে প্রথম ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এর চরম প্রকাশ ঘটে। ওইদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর নির্বিকারে গুলি চালায়। এতে কিছু ছাত্র শহীদ হন। এ ঘটনায় নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসেন।

তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়। ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৭ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয় ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে বাংলা ভাষা প্রচলন বিল পাস হয়। যা কার্যকর করা হয় ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ থেকে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি

১৯৯৮ সালে জাতিসংঘের তৎকালীন মহাসচিব কফি আনানের কাছে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম প্রথম একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন। সে সময় সেক্রেটারি জেনারেলের প্রধান তথ্য কর্মচারী হিসেবে কর্মরত হাসান ফেরদৌসের নজরে এ চিঠিটি আসে। তিনি ১৯৯৮ সালের ২০ জানুয়ারি রফিককে অনুরোধ করেন, তিনি যেন জাতিসংঘের অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কারও কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার ব্যবস্থা করেন। পরে রফিক, আব্দুস সালামকে সঙ্গে নিয়ে মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান। এতে একজন ইংরেজিভাষী, একজন জার্মানভাষী, একজন ক্যান্টোনিজভাষী, একজন কাচ্চিভাষী সদস্য ছিলেন। তারা আবারও কফি আনানকে এ গ্রুপ অব মাদার ল্যাংগুয়েজ অফ দ্য ওয়ার্ল্ডের পক্ষ থেকে একটি চিঠি লেখেন এবং চিঠির একটি কপি ইউএনওর কানাডীয় দূত ডেভিড ফাওলারের কাছেও প্রেরণ করা হয়।

১৯৯৯ সালে তারা জোশেফের সঙ্গে ও পরে ইউনেস্কোর আনা মারিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। আনা মারিয়া পরামর্শ দেন, তাদের প্রস্তাব পাঁচটি সদস্য দেশ কানাডা, ভারত, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড এবং বাংলাদেশ থেকে আনতে হবে। তারপর বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিতে ২৯টি দেশ অনুরোধ জানাতে কাজ করেন। পরে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। সেখানে ১৮৮টি দেশ সমর্থন জানালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।

এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ’– এমন একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয় ২০১০ সালের ২১ অক্টোবর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে। সেখানে এ প্রস্তাব উত্থাপন করে বাংলাদেশ।

দিবসের কর্মসূচি

প্রতিবছরের মতো এবারও একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর বিশেষ অবদানের বিষয়টি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে উপস্থাপন করার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ২১শে ফেব্রুয়ারি দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর সাথে সঙ্গতি রেখে বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনসমূহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আজিমপুর কবরস্থানে ফাতেহা পাঠ ও কোরআনখানির আয়োজনসহ দেশের সকল উপাসনালয়ে ভাষা শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ হতে সর্বোচ্চ ৫ জন প্রতিনিধি হিসেবে ও ব্যক্তি পর্যায়ে একসাথে সর্বোচ্চ ২ জন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। শহীদ মিনারের সকল প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও লিকুইড সাবান রাখা হবে। মাস্ক পরা ব্যতিরেকে কাউকে শহীদ মিনার চত্বরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা এবং দিবসটি পালনে নিয়োজিত সকল প্রতিষ্ঠান ও সংলগ্ন এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়কদ্বীপসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সুবিধাজনক স্থানসমূহে বাংলাসহ অন্যান্য ভাষার বর্ণমালা সম্বলিত ফেস্টুন দ্বারা সজ্জিত করা হয়েছে। একুশের বিশেষ অনুষ্ঠানমালা সম্প্রচার এবং ভাষা শহীদদের সঠিক নাম উচ্চারণ, শহীদ দিবসের ভাবগাম্ভীর্য রক্ষা, শহীদ মিনারের মর্যাদা সমুন্নত রাখা, সুশৃঙ্খলভাবে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ইত্যাদি জনসচেতনতামূলক বিষয়ে সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যমসমূহ প্রয়োজনীয় প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সংবাদপত্রসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের বিষয়টি বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ সংলগ্ন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ এবং প্রয়োজনীয় ভ্রাম্যমাণ টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকার আশপাশে ধুলোবালি রোধকল্পে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হবে এবং রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়েছে।

জরুরি চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে শহীদ মিনার এলাকায় চিকিৎসা ক্যাম্প স্থাপন ও পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শহীদ মিনার এলাকার আশপাশে ঢাকা ওয়াসা বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। একুশে ফেব্রুয়ারি রাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সকল ধরনের সরঞ্জামাদিসহ ফায়ার সার্ভিস টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধানসহ সবাই পূর্বের ঐতিহ্য বজায় রেখে যাতে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পারেন সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ; বঙ্গবন্ধু ও ভাষা আন্দোলন বিষয়ক আলোচনা সভা; পুস্তক ও চিত্র প্রদর্শনীসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। এতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক এবং বাঙালি অভিবাসীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন উপলক্ষে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ঢাকা মহানগরীতে ট্রাকের মাধ্যমে রাজপথে ভ্রাম্যমাণ সংগীতানুষ্ঠান এবং নৌযানের সাহায্যে ঢাকা শহর সংলগ্ন নৌপথে সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনসহ জেলা-উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।


আরও খবর



ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা উধাও, ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শাখা ব্যবস্থাপকসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সোমবার দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে ওই কার্যালয়েই মামলাটি দায়ের করেন।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক।

মামলার আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংক পিএলসির শাখা ব্যবস্থাপক মো. আল আমিন শেখ (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক মো. রেজাউল করিম (৩৪), সাবেক ক্যাশ অফিসার মো. খালেদ ইউনুছ (৩১), অফিসার মো. রাশেদুল হাসান (৩৪) ও বর্তমান ক্যাশ অফিসার শাহ মখদুম উদ্দৌলা (২৯)। এর মধ্যে জনতা ব্যাংক তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন শেখ, সহকারী শাখা ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম ও ব্যাংক কর্মকর্তা রাশেদুল হাসান বর্তমানে এই ঘটনায় কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা জনতা ব্যাংক পিএলসির সিরাজগঞ্জের বেলকুচির তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করায় জনতা ব্যাংক পিএলসির সিরাজগঞ্জ এরিয়া অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. নজরুল ইসলাম গত ২৫ মার্চ বেলকুচি থানা পুলিশের ওসি বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় (যার নম্বর- ১৩২০)।

উক্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশনের তফসিলভুক্ত অপরাধ হওয়ায় বেলকুচি থানার একটি স্মারকমূলে দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক বরাবর প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে প্রাপ্ত অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় পাবনার একটি স্মারকমূলে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত-২) ও অভিযোগ যাচাইবাছাই কমিটির আহ্বায়ক বরাবর প্রেরণ করা হয়। এরপর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর অনুমোদন প্রদান করা হয়।

মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়- গত ২০ মার্চ জনতা ব্যাংক পিএলসি তামাই শাখায় পরীক্ষামূলক পরিদর্শন করে কর্তৃপক্ষ। পরিদর্শনকালে টিম দেখতে পায় যে, ১নং আসামি মো. আল আমিন শেখ ব্যবস্থাপক হিসেবে জনতা ব্যাংক পিএলসি, তামাই শাখায় গত ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হতে অদ্যাবধি কর্মরত কিন্তু পরিদর্শনকালীন তাকে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত অফিসে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। এ ছাড়া পরিদর্শনকালে ক্যাশ যাচাই/গণনা করে দেখা যায় যে, গত ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে গত ১৪ মার্চ পর্যন্ত সময়ে আসামিরা একে অপরের সহযোগিতায় তামাই শাখার ভল্টে রক্ষিত পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন মর্মে পরিদর্শনকালে প্রতীয়মান হওয়ায় বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে বিভাগীয় কার্যালয়, রাজশাহী-এর মহাব্যবস্থাপকসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়।

পরবর্তীতে ২৪ মার্চ ১নং আসামি আল আমিন শেখ উক্ত ব্যাংকে যোগদান করলে উক্ত আত্মসাৎকৃত টাকার বিষয়ে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্বীকারোক্তি প্রদান করেন এবং সঠিক হিসাব দিতে ব্যর্থ হন। এ সময় আসামি আল আমিন শেখ ওই দিনই আত্মসাৎকৃত টাকার দায় স্বীকার করেন এবং দায় পরিশোধের নিমিত্তে সানড্রি ডিপোজিট হিসাবে ২০ লাখ টাকা স্বেচ্ছায় ব্যাংকে জমা করেন। তবে অবশিষ্ট টাকা জমা করতে ব্যর্থ হন।

দুদক পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, থানার অভিযোগের কপিটি আসার পর সেটি যাচাই-বাছাই করে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এরপর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে জনতা ব্যাংকের তামাই শাখা থেকে শাখা ব্যবস্থাপকসহ কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৫ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাধারণ ডায়েরির (জিডি) প্রেক্ষিত তিনজনকে (৫৪ ধারায়) আটক করে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

নিউজ ট্যাগ: দুদক সিরাজগঞ্জ

আরও খবর



সোমবার সন্ধ্যায় ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান সৌদির

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সৌদি আরবের নাগরিকদের সোমবার সন্ধ্যায় পবিত্র শাওয়াল মাসের অর্থাৎ ঈদের চাঁদ দেখার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশটির সুপ্রিমকোর্ট শনিবার এ আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার সৌদিতে রমজান মাসের ২৯ তারিখ। যদি ওইদিন শাওয়ালের চাঁদ দেখা যায় তাহলে মঙ্গলবার দেশটিতে উদযাপিত হবে খুশির ঈদ। খবর খালিজ টাইমসের

কিন্তু যদি সোমবার চাঁদ দেখা না যায় তাহলে রমজান মাস ৩০ দিনের হবে এবং বুধবার দেশটিতে ঈদ অনুষ্ঠিত হবে।

রমজান হলো হিজরি বর্ষপঞ্জিকার নবম মাস। আরবি মাসগুলো ২৯ ও ৩০ দিনের হয়ে থাকে। আর মাসগুলো নির্ধারিত হয়ে থাকে চাঁদ দেখার ওপর।

সৌদি আরবে গত ১১ মার্চ ১৪৪৫ হিজরি সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়। আগামী সোমবার ৮ এপ্রিল দেশটিতে রমজানের ২৯তম দিন পড়বে।

গত বছর সৌদিতে রমজান মাস ২৯ দিনের হয়েছিল। যদিও বিশ্বের অন্যান্য দেশে মাসটি ৩০ দিনের হয়েছিল। ইসলামের সূতিকাগার হওয়ায় সৌদিতে চাঁদ দেখা যাওয়া নিয়ে সারা বিশ্বের সব মুসল্লিদের মধ্যে একটি আগ্রহ কাজ করে। বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাধারণ মানুষের মধ্যে ওইদিন থেকেই একটি আনন্দ লাগা শুরু করে। কারণ সৌদিতে যদি চাঁদ উঠে যায় তাহলে তারা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান যে পরদিন তাদের দেশেও ঈদ হবে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, এ বছর বাংলাদেশে রমজান মাস ৩০ দিনের হতে পারে। তবে পাকিস্তানের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এবার পাকিস্তানে রোজা ২৯টি হতে পারে।


আরও খবর



হারের খুব কাছে থেকে দিন শেষ করল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

শ্রীলংকার বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে হারের খুব কাছে থেকে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ। লংকানদের দেওয়া ৫১১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করেছে স্বাগতিকরা। জিততে হলে বাংলাদেশের এখনও ২৪৩ রান করতে হবে। শ্রীলংকার চাই ৩ উইকেট।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫১ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। দলীয় দশম ওভারে ২৪ রান করা মাহমুদুল হাসান জয় বোল্ড হন প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে। বিশ্ব ফার্নান্ডোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন জাকির হাসান (১৯)। এরপর লাহিরু কুমারা বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত (২০)।

মুমিনুল হক হাফসেঞ্চুরি করে আর টিকতে পারেননি। ৫৬ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় দ্রুত ৫০ করে প্রবাথ জয়সুরিয়ার বলে মাঠ ছাড়েন তিনি। এরপর সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। তারা পঞ্চম উইকেটে ৯৯ বলে ৬১ রান তোলেন।

তবে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে ব্যক্তিগত ৩৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন সাকিব। এরপর লিটনও বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি। কুমারার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৭২ বলে ৩৮ করে মাঠ ছাড়েন তিনি। তরুণ শাহাদাত হোসেন ১৫ রান করে কামিন্দুরি বলে আউট হন।

মেহেদী হাসান মিরাজ ৪৯ বলে ৭টি চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। তাইজুল ইসলাম ১০ রানে অপরাজিত আছেন।

শ্রীলংকার বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট পেয়েছেন লাহিরু কুমারা, জয়সুরিয়া ও মেন্ডিস।

এর আগে শ্রীলংকা ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। তাতে জিততে হলে বাংলাদেশকে ৫১১ রান করতে হবে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফিফটি করা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে দিনের শুরুতে বোল্ড করেন সাকিব আল হাসান। ম্যাথিউস ৭৪ বলে ৫টি চারে ৫৬ রান করেছেন।

এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান তুলে তৃতীয় দিন শেষ করেছিল শ্রীলংকা। তাতে গতকালই লংকানদের লিড দাঁড়িয়েছিল ৪৫৫ রান।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যাটিংয়ে নিজেদের হতশ্রী অবস্থা দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। প্রথম ইনিংসে শ্রীলংকার করা ৫৩১ রানের জবাবে মাত্র ১৭৮ রানে হয়েছে অলআউট।


আরও খবর



ত্রাণকর্মীদের ওপর হামলার কথা স্বীকার করলেন নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলের হামলায় সাত ত্রাণকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনার দায়স্বীকার করলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ভুল করে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

আজ মঙ্গলবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সামরিক হামলায় দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর সাত ত্রাণকর্মী নিহত হন। তাদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ফিলিস্তিনের নাগরিক ছিলেন। এই ঘটনায় বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে।

নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল ভুলবশত গাজায় নিরাপরাধ মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, দুঃখজনকভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় আমাদের বাহিনীর ভুলবশত করা হামলায় গাজা উপত্যকায় নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

যুদ্ধে এমন ভুল হয় দাবি করে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবো। আমরা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর সঙ্গে আলোচনা করব। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে সে বিষয়ে আমরা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।


আরও খবর



বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপিকে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিবলে আখ্যায়িত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ বুধবার ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা আমাদের বিজয়কে সংহত করার পথে প্রতিবন্ধক তাদের পরাজিত করব। আমাদের লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যাব।

তিনি বলেন, বিজয়কে সুসংহত করার পথে প্রতিবন্ধকতা হলো বিএনপির মতো সাম্প্রদায়িক অশুভ শক্তি। এ শক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।

তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমরা শপথ নেব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ধারাবাহিক লড়াইয়ে এগিয়ে যাব। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বয়ে নিয়ে যাব, এটাই হোক আমাদের শপথ।

এর আগে, সকালে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর
বিএনপির ৭৫ নেতাকে বহিষ্কার

শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪