আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

মহামারিতেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সাফল্যের মাইলফলক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জানুয়ারী ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ফিরোজ মাহমুদ, ঢাকা

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শুধু স্বাস্থ্যের নয়, প্রভাব ফেলেছে বিশ্বের গোটা অর্থনীতিতে। ভাইরাসটির প্রভাবে দেশের প্রায় সব খাতেই মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থা হলেও ঈর্ষান্বিত সফলতার সঙ্গে এগিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। লকডাউনে যখন হাট-বাজার, অফিস আদালত সব বন্ধ হয়ে যায়, তখনও মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট খাতে চলমান রাখা হয় ভ্রাম্যমাণ মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রি। এছাড়া ক্রান্তিকালেও বেড়েছে ইলিশের উৎপাদন, চলতি মৌসুমে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত ১৪৬০ কোটি জাটকা, শতভাগ দেশীয় পশু দিয়ে কোরবানি এবং মাছের প্রজন্ম উদ্ভাবন, বিলুপ্তপ্রায় জাতের মাছ সংরক্ষণ, চিড়িয়াখানা আধুনিকায়নসহ নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানাযায়, বিশ্ববাজারে আর্থিক মন্দাবস্থা থাকা সত্বেও সরকারের কার্যকর উদ্যোগের ফলে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৭৬ হাজার ৫৯১ দশমিক ৬৯ মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রফতানির মাধ্যমে ৪০৮৮ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা আয় হয়েছে। মা ইলিশ ও জাটকা সংরক্ষণে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২ লাখ ২৫ হাজার ৯৬৪টি জেলে পরিবারকে ৯৬ হাজার ৮৫৭ মেট্রিক টন ভিজিএফ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। জাটকা সংরক্ষণ, অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা ও প্রজননক্ষম মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ইলিশের আহরণ ২ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন থেকে বেড়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৬৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। এছাড়া চলতি প্রজনন মৌসুমে ৩৯ হাজার ৩১০ কোটি জাটকা ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ১ হাজার ৪৬০ কোটি বেশি। দেশের ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে গত ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর দেশব্যাপী ২২ দিন ইলিশ মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ছিল। এ সময়ে মা ইলিশের প্রজনন সফলতার ওপর বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের চাঁদপুর নদীকেন্দ্র থেকে পরিচালিত গবেষণা ফলাফল সংবলিত প্রতিবেদন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। প্রতিবেদন অনুযায়ী- চলতি প্রজনন মৌসুমে (৪ থেকে ২৫ অক্টোবর) ৫১ দশমিক ৭৬ শতাংশ মা ইলিশ সম্পূর্ণরূপে ডিম ছেড়েছে। এতে চলতি প্রজনন মৌসুমে ৩৯ হাজার ৩১০ কোটি জাটকা (১০ শতাংশ বাঁচার হার ধরে) ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রজনন সফলতা ছিল ৫১ দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩৭ হাজার ৮৫০ কোটি জাটকা ইলিশ পরিবারে যুক্ত হয়েছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রজনন মৌসুমে অতিরিক্ত ১ হাজার ৪৬০ কোটি জাটকা যুক্ত হয়েছে।

এছাড়া সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের টেকসই আহরণ নিশ্চিতকল্পে সরকারের পরামর্শ ও নির্দেশনায় গবেষণা ও জরিপ জাহাজ আর ভি মীন সন্ধানী বঙ্গোপসাগরে মৎস্য সম্পদের জরিপ ও গবেষণা কার্যক্রম শুরু করে। গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প চলমান। মৎস্য সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য সামুদ্রিক মৎস্য আইন ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ২০২০ সালে দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণে লাইভ জিন ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে এ লাইভ জিন ব্যাংকে দেশের বিলুপ্তপ্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। রুই মাছের চতুর্থ প্রজন্ম উদ্ভাবন করা হয়েছে, যা মূল জাতের চেয়ে ২০ শতাংশের অধিক বর্ধনশীল। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রাক্কালে উদ্ভাবিত হওয়ায় এটিকে সুবর্ণ রুই নামকরণ করা হয়েছে। করোনাকালে দেশের মানুষের পুষ্টি নিশ্চিত করতে ভিন্ন এক উদ্যোগ নেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনার সময় উৎপাদিত মাছ ও মৎস্যজাত পণ্য এবং প্রাণি ও প্রাণিজাত পণ্য বাজারজাতকরণে স্থানীয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ ও অনলাইন বাজার ব্যবস্থা চালু করা হয়। কোভিডকালে ভ্রাম্যমাণ ও অনলাইন বিক্রয় ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা মূল্যের মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং অন্যান্য মৎস্য ও প্রাণিজাত দ্রব্য বিক্রি করা হয়েছে। এদিকে ২০২১ সালে ঈদুল আজহায় সারাদেশে ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২টি পশু কোরবানি হয়। মহামারির কারণে যেহেতু অন্য দেশ থেকে পশু আসেনি সেক্ষেত্রে শতভাগ দেশি পশু দিয়েই সম্পন্ন হয় কোরবানি। যা স্বয়ংসম্পূর্ণতার একটি প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত হয়।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২১ সালে ৪৫ লাখ ৪৭ হাজার গরু-মহিষ, ৭৩ লাখ ৬৫ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং অন্যান্য ৪ হাজার ৭৬৫ পশুসহ মোট ১ কোটি ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৭৬৫টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু ছিল। ২০২০ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৮ লাখ ৯৭ হাজার ৫০০টি। এর মধ্যে প্রায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ২৬৩টি পশু কোরবানি করা হয়েছিল।

এদিকে জাতীয় চিড়িয়াখানাকে ডিজিটালাইজড ও বিশ্বমানের করে বদলে ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সম্পূর্ণ বিদেশি মাস্টারপ্ল্যানে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার চিড়িয়াখানার আদলে গড়ে তোলা হবে চিড়িয়াখানা। এই প্ল্যান পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে জাতীয় চিড়িয়াখানা প্রকৃতই হয়ে উঠবে বিনোদনের অন্যতম আকর্ষণ। চিড়িয়াখানার মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে কাজ করছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠান বার্নার্ড হ্যারিসন অ্যান্ড ফ্রেন্ডস লিমিটেড। এই কোম্পানির টিম লিডার বার্নার্ড হ্যারিসন নিজেই মূল দায়িত্বে রয়েছেন। ইন্দোনেশিয়ার বালিতে বসবাসরত বার্নার্ড হ্যারিসন আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পেয়েছেন।

গবাদিপশুর উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সারাদেশে ৮ হাজার ৪৬৪টি কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র/পয়েন্ট স্থাপন করেছে। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭১ জন মৎস্যচাষি/খামারি/সুফলভোগীকে ৮১৮ দশমিক ৮৩ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এসময়ে বিতরণ করা হয়েছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৭২ জনকে ৮৪ কোটি টাকার উৎপাদন উপকরণ। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬৩ হাজার ৮১ জন খামারিকে ১ হাজার ৪৪৩ কোটি টাকা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে কোভিড-১৯ বিষয়ে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়। সচেতনতামূলক প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের সহযোগিতায় নিয়মিত মাছ, মাংস, দুধ ও ডিম খাই- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই শীর্ষক এসএমএস পাঠানো হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। রুই জাতীয় মাছের বৃহত্তম প্রাকৃতিক প্রজননক্ষেত্র হালদা নদীকে বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, করোনা সংকটেও উৎপাদনের ধারা অব্যাহত রেখেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, একই সঙ্গে রফতানিও বেড়েছে। উৎপাদন বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার জন্য মন্ত্রণালয় অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তার একটি পদক্ষেপ হচ্ছে- নগদ সহায়তা ও উপকরণ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চলতি প্রজনন মৌসুমে ৫১ দশমিক ৭৬ শতাংশ মা ইলিশ সম্পূর্ণরূপে ডিম ছেড়েছে। এতে চলতি প্রজনন মৌসুমে পরিবারে যুক্ত হয়েছে ৩৯ হাজার ৩১০ কোটি জাটকা ইলিশ।


আরও খবর



ভারতের যেখানেই যাই অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই: কঙ্গনা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ভারতের হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা আসন থেকে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে নির্বাচন করছেন কঙ্গনা রানাউত। প্রচার অনুষ্ঠানে তার একেকটা বিতর্কিত মন্তব্য যেন টক অব দ্য টাউন।

সম্প্রতি এক প্রচার অনুষ্ঠানে ভারতের বর্ষীয়ান অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে করেছেন নিজেকে তুলনা। আর সেখানেই নতুন বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী।

অমিতাভের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে কঙ্গনা রানাউতের মন্তব্য, ভারতের যে প্রান্তে যাই, অমিতাভ বচ্চনের মতো সম্মান পাই। আমি ছাড়া তার পর ইন্ডাস্ট্রিতে আর কেউ এতটা সম্মান পাননি।

ভোট প্রচারের অনুষ্ঠানে কঙ্গনা বলেন, গোটা দেশ হয়রান, কঙ্গনা রাজস্থান যাক কিংবা পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি যাক বা মণিপুর এত সম্মান পাই মানুষের কাছ থেকে যে নিঃসন্দেহে বাজি ধরে বলতে পারি, অমিতাভ বচ্চনের পর ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ এত সম্মান পাননি।

বিজেপির তারকা প্রার্থীর এমন মন্তব্যে বিনোদন দুনিয়া তো বটেই, এমনকি বিরোধী শিবিরগুলোর মধ্যেও শোরগোল পড়ে গেছে। গেরুয়া শিবির সমর্থকেরা যদিও অভিনেত্রীর বুকের পাটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। কিন্তু তাই বলে মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের পরই নিজেকে দেখছেন! দিনদুপুরে স্বপ্ন দেখছেন নাকি কঙ্গনা? উঠেছে প্রশ্ন।

ক্যারিয়ারের ভাটার মাঝেই রাজনীতির ময়দানে নেমে প্রথম থেকেই লাইমলাইটে কঙ্গনা রানাউত। হিমাচল প্রদেশের মান্ডি লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারের মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী।


আরও খবর



অনিশ্চয়তায় বেশিরভাগ হজযাত্রী, বাড়ছে ভিসা আবেদনের সময়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের হজ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার (৯ মে) শুরু হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (৭ মে) ভিসা আবেদনের শেষ দিন। কিন্তু এখনও বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

ভিসা সমস্যায় এখনো সৌদি আরবে বাড়ি ভাড়া করতে পারেনি বেশিরভাগ হজ এজেন্সি। এখন পর্যন্ত আবেদন করতে পারেনি প্রায় ৮০ শতাংশ হজ এজেন্সি। তাই বিপর্যয় এড়াতে ভিসা আবেদনের সময় বাড়ানোর জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সময় আরও বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৪ সালের হজে বাংলাদেশ থেকে ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী হজ পালন করবেন। ৯ মে থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ৩৫ হাজারের মতো হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার বলেন, ভিসা আবেদনের সময় বাড়বে। আমাদের টেনশন আছে। আমরা কাজ করছি।’

এর আগে গত ৪ মে হজ এজেন্সিগুলোকে ভিসা আবেদনের তাগাদা দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখানে বলেছিল, হজ ভিসা সম্পন্নকরণের প্রথম পর্বের মেয়াদ (২৯ এপ্রিল) শেষ হওয়ার পর ৭ মে পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। বেসরকারি মাধ্যমে এ বছর ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজযাত্রী ২৫৯টি এজেন্সি/লিড এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজ পালন করবেন। তবে অধিকাংশ এজেন্সি (২০৪টি) এখন পর্যন্ত হজযাত্রীর জন্য ভিসা প্রসেস শুরুই করেনি; যা হজযাত্রীদের হজে গমনে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।

তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হজযাত্রীদের ভিসা সম্পন্ন করতে ওই চিঠিতে এজেন্সিগুলোতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।

ভিসা আবেদনে কেন বিলম্ব হচ্ছে- জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) মহাসচিব ফারুক আহমদ সরদার বলেন, এবার হজ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম করেছে সৌদি আরব। তাই সবকিছু বুঝে কাজ করতে একটু সময় লাগছে।’

তিনি আরও বলেন, কাজ এখন দ্রুত হচ্ছে। অল্প সময়ের মধ্যে ভিসা হয়ে যাবে। আর সময়ও তো তারা বাড়াবে। তাই আশা করি সমস্যা হবে না।’

এর আগে জেদ্দার বাংলাদেশ হজ অফিস থেকে এ বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়, এ বছর হজ পরিচালনাকারী এজেন্সির সৌদি আরব পর্বের খরচ বাবদ পাঠানো পুরো অর্থ এরই মধ্যে তাদের স্ব-স্ব আইবিএএন-এ পাঠানো নিশ্চিত করা হয়েছে। হজ ভিসা প্রক্রিয়াকরণের প্রথম পর্বের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৭ মে পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল থেকে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা সময়ব্যাপী ই-হজ সিস্টেমে বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। মুচলেকা দেওয়ার পর বিভিন্ন দেশের বাড়িভাড়া চুক্তির জন্য ই-হজ সিস্টেম খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে, ৭ মে পরবর্তী সময়ে তাৎক্ষণিকভাবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। তাই ৭ মের মধ্যে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ শেষ করা প্রয়োজন।

ভিসা প্রক্রিয়াকরণের অন্যতম বাধ্যতামূলক ক্ষেত্র হচ্ছে মক্কা/মদিনায় বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন। বাড়িভাড়ার চুক্তি সম্পাদন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, প্রায় অর্ধেকের বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর জন্য অদ্যাবধি মক্কা/মদিনার বাড়িভাড়া সম্পন্ন হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাব্যঞ্জক। বাড়িভাড়া ই-হজ চুক্তি ছাড়া ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব নয়। তাই এজেন্সিগুলোর দ্রুততর সময়ের মধ্যে বাড়িভাড়া চুক্তি সম্পাদন ও ভিসা নিশ্চিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও হজ এজেন্সিগুলো বাড়ি ভাড়া করতে গাফিলতি করেছে। কম রেটে বাড়ি ভাড়া করার জন্য প্রতিবার শেষ সময়ে এসে বাড়ি ভাড়া করেন তারা। এবারও তাই করেছেন। এবার এটা করতে গিয়ে নতুন আইনের ফাঁকে পড়ে যায় হজ এজেন্সিগুলো।

বাড়ি ভাড়ার জন্য নির্ধারিত এজেন্সি প্রতিনিধি মোনাজ্জেমদের ভিসা আটকে দেয় সৌদি সরকার। ফলে হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া করতে সৌদি আরবে যেতে পারেননি তারা। এ জায়গায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েও পায়নি বলে অভিযোগ করছে এজেন্সিগুলো।


আরও খবর



বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে কোন ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি বা হুমকি নেই। সুনির্দিষ্ট কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি না থাকলেও সবকিছু মাথায় রেখে আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে আসন্ন শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা, আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২২ মে শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘিরে সকল ধরণের নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ডিএমপি। কেউ যাতে কোন প্রকার নাশকতা করতে না পারে এ জন্য ডিএমপির সকল অফিসার ও ফোর্সদের সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে। পাশাপাশি আয়োজকদেরও সতর্ক থাকতে হবে। একাধিক জায়গায় অনুষ্ঠান হবে এবং প্রত্যেক জায়গায় আয়োজক আলাদা। প্রত্যেকটা জায়গায় আয়োজকদের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট থাকবেন। আমাদের পুলিশের পক্ষ থেকে একজন ফোকাল পয়েন্ট অফিসার থাকবেন। তারা পারস্পরিক সমন্বয়ে কাজ করবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশে যে সমস্ত ঘটনা ঘটে বা ধর্মীয় সমস্যাগুলো তৈরি হয়েছে এর বেশিরভাগই গুজব ও তুচ্ছ ঘটনা। এগুলো সংগঠিত কিছু নয়, ধর্মীয়ও কিছু নয়। সেগুলোকে যেন শুরুতেই দমন করতে পারি সে জন্য আমাদের সবাইকে তৎপর থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যে সকল রাস্তায় শোভাযাত্রা যাবে, সেই সব রাস্তায় আগের দিন থেকেই পুলিশের তৎপরতা জোরদার করা হবে। বুদ্ধ পূর্ণিমার অনুষ্ঠান ঘিরে পুলিশের পক্ষ থেকে সিসিটিভি, আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর থাকবে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান. অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম ও পুলিশ কমিশনারগণ, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, এসবি ও এনএসআইসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



বঙ্গোপসাগরে লবণ বোঝাই ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো.আমজাদ হোসেন, আনোয়ারা

Image

বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপকূলে লবণবাহী ট্রলার ডুবে অর্ধশতাধিক নিখোঁজ রয়েছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮ টার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে লবণ বুঝাই ১৫ থেকে ২০টি ট্রলার আনোয়ারা উপকূলে সাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ ৩৪ জনকে উদ্ধার করলেও বাকিদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ড।

উদ্ধার মাঝি মাল্লাদের মধ্যে ১৩ জনের নাম পাওয়া যায়, তারা হল কুতুবদিয়া উপজেলার তৌফিক এলাহী ট্রলারের মাঝি মো: মানিক, নূরুল আমিন, মো আনিস, বাঁশখালী উপজেলার আল্লার দান ট্রলারের মাঝি মো:জিয়া, মো আলী, মো মানিক, মো. সোহেল, মো. মনছুর, জাবেদ আহমদ, "বার আউলিয়া ট্রলার'র মাঝি মো. ফারুক, বদি আলম, আবু হানিফ ও আবু তৈয়ব। নিখোঁজ মাঝি মাল্লাদের উদ্ধারে কাজ করছে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন।

নিখোঁজ বার আউলিয়া ট্রলারের মালিক কুতুবদিয়া এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম বলেন, আমার ট্রলারটি লবণ নিয়ে কুতুবদিয়া থেকে চট্টগ্রাম নগরীর দিকে যাচ্ছিল। একই সাথে কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও বাঁশখালী থেকে আরো ১৫-২০টি লবণবাহী ট্রলার গহিরার বারআউলিয়া উপকূলে সাগরে ডুবে যায়। তবে আনার ট্রলারের মাঝি মাল্লাদের উদ্ধার করা হয়। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারের মূল্য ২০ লাখ টাকা।

গহিরা বার আউলিয়া নৌ পুলিশের ইনচার্জ টিটু দত্ত বলেন, আনোয়ারা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি ট্রলার ডুবির খবর পেয়েছি। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ অন্তত ৩০ জনকে উদ্ধার করলেও এখনো অনেকে নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজদের সন্ধানে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।


আরও খবর



জাজিরায় ককটেল বিস্ফোরণে আহত যুবকের মৃত্যু

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি:

শরীয়তপুরের জাজিরায় বোমা বিস্ফোরণে আহত সৈকত সরদার (১৯) নামের এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল ৫টার সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।

নিহত সৈকত সরদার (১৯) জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের মুলাই বেপারী কান্দি গ্রামের কাসেম সরদারের ছেলে। তিনি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থক ছিল।

এর আগে গত ২৪ এপ্রিল সাহাবুদ্দিন নামে এক যুবক নড়িয়া থেকে তার বাড়িতে আসার সময় সারেং কান্দি বাজারে আসলে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর কিছু লোক তাকে গতিরোধ করে। এরপরে তাকে সেখানে গণধোলাই দিলে স্থানীয়রা জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করে।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবর ও বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারীর সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে নিহত সৈকত বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

এবিষয়ে বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ কুদ্দুস বেপারী মুঠোফোনে বলেন, সংঘর্ষের সময় আমার সমর্থক সৈকতের পিঠে, গলায় ও মাথায় বোমার আঘাত লেগে গুরুতর আহত হওয়ার পর এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলো। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এমন সংঘর্ষ কখনোই সমর্থন করিনা। কিন্তু জলিল মাদবরের সমর্থকরা খুবই বেপরোয়া প্রকৃতির। জলিল মাদবরের আস্কারায় এলাকায় তারা এই অরাজকতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিষয়টি নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আঃ জলিল মাদবরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।

উল্লেখ্য: গত ২৭ মার্চ দু'পক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে ৫ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি জলিল মাদবরের সমর্থক ছিলেন।

নিউজ ট্যাগ: ককটেল বিস্ফোরণ

আরও খবর