আজঃ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু

প্রকাশিত:বুধবার ০৬ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ বুধবার (৬ অক্টোবর) ভোরে দেবীর আবাহনের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজার ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী দুর্গার আবাহন করেন অনুসারীরা। শারদীয় দুর্গাপূজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ এই মহালয়া। মহালয়ার ছয়দিন পরেই শুরু হবে দেবীর আরাধনা।পঞ্জিকা অনুসারে, দেবী দুর্গা এবার আসবেন ঘোড়ায় চড়ে আর বিদায় নেবেন দোলায় চড়ে।

আগামী ১১ অক্টোবর সোমবার বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। ওইদিনই ষষ্ঠী আর পরেরদিন ১২ অক্টোবর সপ্তমী। ১৩ অক্টোবর অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর নবমী ও ১৫ অক্টোবর দশমীর দিন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।

শাস্ত্র অনুযায়ী, পিতৃপক্ষের শেষ দিনটিকে মহালয়া বলে। এ দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। কৃষ্ণপক্ষের সমাপ্তি ও শুক্লপক্ষ বা দেবীপক্ষের সূচনার আগের অমাবস্যাকে মহালয়া বলা হয়। যদিও এ নিয়ে নানা মত প্রচলিত রয়েছে। মহালয়ার দিনে দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান।

দিনটি উপলক্ষে আজ (৬ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৫টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। দেবীর আগমনী উপলক্ষে দিনটি উদযাপন করতে গুলশান বনানী সর্বজনীন পূজা পরিষদের আয়োজনে ভোরে বনানী মাঠে দেবীবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অপরদিকে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জানায়, গত বছর সারাদেশে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ২১৩টি। এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টিতে। যা গত বছরের চেয়ে এক হাজার ৯০৫টি বেশি। আর ঢাকা মহানগরে পূজা মণ্ডপের সংখ্যা ২৩৮টি; যা গত বছর থেকে চারটি বেশি।


আরও খবর



মায়ার্স তাণ্ডবে কুমিল্লাকে উড়িয়ে বিপিএলের প্রথম শিরোপা তামিমের বরিশালের

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

কাইল মায়ার্স তাণ্ডবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে উড়িয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা ঘরে তুলেছে ফরচুন বরিশাল। এর আগে তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা না পাওয়ার বেদনা ছিল বরিশালের। অবশেষে সেই ক্ষতে তারা প্রলেপ দিতে সক্ষম হলো।

শুক্রবার (১ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে অঙ্কনের ৩৮ ও শেষ দিকে রাসেলের ১৪ বলে ২৭ রানে ১৫৪ রান সংগ্রহ করে কুমিল্লা। জবাবে ৬ উইকেট ও ৬ বল হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল।

কুমিল্লার দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ সংগ্রহ পায় বরিশাল। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তামিম ইকবাল ও মেহেদি মিরাজ ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তামিম ব্যক্তিগত ২৬ বলে ৩ ছক্কা ও সমান চারে ৩৯ রান সংগ্রহ করে মঈন আলির বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি। তামিমের বিদায়ের ৬ রান পরই বিদায় নেন আরেক ওপেনার মেহেদি মিরাজ। তখন বরিশালের রান ৮২। এরপর তৃতীয় উইকেটে কাইল মায়ার্স ও মুশফিকুর রহিম ৫৯ রানের জুটি গড়েন।

এরপর দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্সকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরা মুস্তাফিজ। তার আগে মায়ার্স ৩০ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে করেন ৪৬ রান। মায়ার্সের বিদায়ের তিন রান পরেই মুশফিককে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মুস্তাফিজ। ম্যাচে এটি ছিল ফিজের দ্বিতীয় শিকার। পঞ্চম উইকেটে মিলার ও মাহমুদউল্লাহ মিলে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বরিশালের বোলারদের তোপে পড়ে কুমিল্লা। দলীয় ৬ রানেই সুনীল নারাইনকে হারায় তারা। দ্বিতীয় উইকেটে লিটন-হৃদয় জুটি গড়ার আগেই ব্যক্তিগত ১৫ রানে ফুলারের বলে বিদায় নেন তিনি। হৃদয়ের বিদায়ের ১২ রান পর ব্যক্তিগত ১৬ রান করে ফুলারের বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন লিটন।

এরপর দ্রুতই ফিরে যান জনসন চার্লস ও মঈন আলি। এরপর ৬ষ্ঠ উইকেটে অঙ্কন ও জাকের আলী ৩৬ রানের জুটি গড়েন। তবে দলীয় ১১৫ রানে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে আউট হয়ে যান অঙ্কন। সপ্তম উইকেটে আন্দ্রে রাসেল ১৪ বলে ২৭ রানের ছোট্ট ইনিংস খেলেন। যেখানে ছিল ৪টি ছয়ের মার। শেষ পর্যন্ত কুমিল্লার সংগ্রহ গিয়ে দাঁড়ায় ১৫৪ রানে। বরিশালের হয়ে ফুলার ২টি, কাইল মায়ার্স, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও ওবেদ ম্যাককয় প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।


আরও খবর



গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩০ হাজার ছুঁই ছুঁই

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী এবং শিশু। সেখানে গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা এবং বুধবার সকালের মধ্যেই ৭৬ জন প্রাণ হারিয়েছে। ফলে সেখানে নিহতের সংখ্যা ২৯ হাজার ৯৫৪ জনে দাঁড়িয়েছে। খবর এএফপি, আল জাজিরা।

এদিকে নতুন করে আরও প্রায় ১১০ জন আহত হয়েছে। ফলে এখন পর্যন্ত গাজায় আহত হয়েছে ৭০ হাজার ৩২৫ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান এবং আল-শিফা হাসপাতালে পানিশূন্যতা এবং অপুষ্টিতে ৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অন্য শিশুদের অবস্থাও গুরুতর। ওই দুই হাসপাতালে আরও তিন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে হামাসের সিনিয়র কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিশ্চিত করতে এখনও অনেক পথ বাকি রয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, মানবিক সংস্থাগুলো গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া তারাও হামলার শিকার হচ্ছেন। 

আরও পড়ুন>> অবশেষে পাকিস্তানে পার্লামেন্ট অধিবেশন বসছে আজ

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি আশা করছেন যে, আগামী সোমবারের মধ্যে নতুন যুদ্ধবিরতি হতে পারে। তিনি আরও বলেন, আমার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আমাকে বলেছেন যে, আমরা যুদ্ধবিরতির কাছাকাছি আছি।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে এখন পর্যন্ত ২৩৮ জন ইসরায়েলি সেনা নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে লড়াইয়ে অংশ নেওয়া গিভাতি ব্রিগেডের ২৫ বছর বয়সী এক মেজর এবং ২৪ বছর বয়সী এক ক্যাপ্টেন নিহত হয়েছেন।

ওই একই ইউনিটের আরও সাত সেনা সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে। তাদের অবস্থা গুরুতর। চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য তাদেরকে গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক পোস্টে জানানো হয়েছে।

জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় স্থল অভিযান শুরু পর থেকে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর মোট ২৩৮ জন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১ হাজার ৪০৮ জন। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল।


আরও খবর



নিখোঁজের পরদিন ভুট্টা ক্ষেতে মিলল ব্যবসায়ীর মরদেহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

নিখোঁজের একদিন পর ভুট্টা খেতে মিলল সোহেল হোসেন (৩৫) নামের এক ইলেকট্রিক ব্যবসায়ীর মরদেহ।

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের পাশের ভুট্টা খেত থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে দোকান থেকে নিখোঁজ হন সোহেল।

নিহত সোহেল হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদী গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে।

পুরাতন ঈশ্বরদী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খন্দকার আব্দুল মান্নান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে ঈশ্বরদীর এয়ারপোর্ট মোড় থেকে ইলেকট্রিক দোকানদার সোহেল হোসেন নিখোঁজ হয়। রাত গভীর হওয়ায় পরিবারের লোকজন আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের নিকট খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে ঈশ্বরদী থানা ও লালপুর থানায় খোঁজ নেন। সেখানেও না পেয়ে আশেপাশের এলাকায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে ঈশ্বরদী এয়ারপোর্টের (বিমানবন্দর) পাশে ভুট্টা ক্ষেতের আইল দিয়ে একটি মহিলা যাওয়ার পথে সোহেলের মরদেহ দেখতে পেয়ে তার আত্মীয়স্বজনদের খবর দেন। সোহেল স্থানীয়ভাবে ইলেকট্রিক মিস্ত্রি হিসেবে পরিচিত। ভুট্টা ক্ষেতটি লালপুর থানার অধীনে হওয়ায় সেখানে লালপুর থানার পুলিশ  প্রাথমিক তদন্ত করছেন।

এ ব্যাপারে লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ জানান, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলমান রয়েছে। মৃত সোহেল মিস্ত্রির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



টংক আন্দোলনের নেত্রী কুমুদিনী হাজং আর নেই

প্রকাশিত:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৩ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

নেত্রকোনার পাহাড়ি সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলা স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকা শেষ স্বাক্ষী কুমুদিনী হাজং মারা গেছেন। শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে উপজেলার সীমান্ত গ্রাম বহেরাতলীতে স্বামীর ভিটায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। দুর্গাপুর কালচারাল একাডেমির পরিচালক সুজন হাজং এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন মত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তলদেশে বিজয়পুর সীমান্তের দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলি গ্রাম। যে গ্রাম থেকে খাজনা প্রথা বিলুপ্তিতে আন্দোলনের গণজাগরণ হয়েছিল যার মৃত্যুতে সেই রাশি মণি হাজংয়ের স্মৃতি ধরে রেখেছিলেন কুমুদিনী হাজং।

রাশিমণির সমাপ্তিতে খাজনা বিদ্রোহে প্রজা আন্দোলনের ইতিহাস ঐহিত্যর বীরত্বগাঁথা মনিষীদেরও চারণভূমিও বলা চলে। এ এলাকায় কুমুদিনী হাজংয়ের কাছে মানুষ শুনতে আসতেন টংক প্রথা বিলুপ্তির ইতিকথা। কিন্তু তিনি মৃত্যুর কয়েক বছর আগে থেকে কথা বলতে পারেন না। তবে যাদের চেনেন। তাদের সন্মান করতেন। বসিয়ে রাখতে চাইতেন পাশে। বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি শয্যাশায়ী থাকাকালীন মেঝো ছেলে ও ছেলে বউ দেখভাল করেছেন। রাশিমণি স্মৃতিসৌধ দেখতে গিয়েই সকলে কুমুদিনী হাজংয়ের খোঁজ নেন সবাই। তার তিন ছেলে দুই মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে কয়েক বছর আগেই মারা যান। কুমুদিনী হাজংয়ের মেঝো ছেলে অর্জুন হাজং জানায়- রবিবার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।

১৯৪৬ সনের কথা। কমরেড মণিসিংহ ভারত থেকে দুর্গাপুর মামা বাড়িতে চলে আসেন। শুরু করেন টংক প্রথা বা ধান কড়াড়ি খাজনা বাতিল আন্দোলন। আন্দেলনে যোগ দেন সীমন্তের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের লঙ্কেশ্বর হাজং, রাশিমণি হাজংসহ আদিবাসীরা। এরই জেরে সে বছরের ৩১ জানুয়ারী লঙ্কেশ্বর হাজংসহ বেশ ক’জন হাজং বিদ্রোহী নেতাকে ধরে নিতে ব্রিটিশ ফন্ট্রিয়ার পুলিশ আসে বহেরাতলী গ্রামে। তাদের না পেয়ে লঙ্কেশ্বর হাজংয়ের সদ্য বিয়ে করা স্ত্রী কুমুদিনী হাজংকে তুলে নিয়ে যায়।

এ খবর এক কৃষক বিদ্রোহ সভায় রাশি মণি হাজংয়ের কাছে পৌঁছে। ছুটে যান তিনি। নারীকে নিয়ে যাওয়া মানে মান নিয়ে যাওয়া উল্লেখ করে তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। হাতে থাকা দা দিয়েই পুলিশের উপর হামলা চালান। পরে পুলিশের বন্দুকের গুলিতে তিনিসহ দুজন হাজং নেতার প্রয়াণ ঘটে। তবে রক্ষা হয় গৃহবধূ কুমুদিনী হাজং।


আরও খবর



কারাগারে রাজবন্দী নয় বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট আছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, তারা (বিএনপি) বলছে যে, হাজার হাজার রাজবন্দী। আমি বলব রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। বন্দী আছে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্ট।

পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৪ উপলক্ষে শনিবার (৯ মার্চ) দুপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, রাজবন্দী বলতে আমাদের এখানে কেউ নেই। যারা প্রধান বিচারপতির বাসায় ভাঙচুর করেছে, যারা আমার পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমার আনসার পিটিয়ে হত্যা করেছে, যারা আমাদের মেয়েদের গায়ে হাত দিয়েছে... ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদের সনাক্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে; যেটা পুলিশ করছে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, ২০১৪ সালেও তারা (বিএনপি) একটি অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা করেছে। তবে ক্রমান্বয়ে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন করবেন না বলে মুছলেকা দিয়ে ইংল্যান্ডে গেছেন, আত্মগোপন করেছেন- তার নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দেখলাম দলটির সেক্রেটারি জেনারেল পদত্যাগ করেছেন। ইংল্যান্ডে বসে থেকে তিনি এদেশে তার দলের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছেন। তিনি শুধু এ দেশের জনগণ নয় তার দলীয় নেতাকর্মীদেরও বুঝি তিনি ভালো-মন্দ চান না। দিন দিন এই দলটি জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হয়েছে। আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী আপনারা দেখেন যেখানে যাবেন তার জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। এদেশের মানুষ বিশ্বাস করে যতদিন প্রধানমন্ত্রী বেঁচে থাকবেন ততদিন পথ হারাবে না বাংলাদেশ।


আরও খবর