হারলেই শেষ- এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমেছিল
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে জয়
নিয়ে মাঠ ছেড়েছে কেন উইলিয়ামসনরা। তাতে গাণিতিক হিসাবে প্লে-অফের আশা বেঁচে থাকলো হায়দরাবাদের।
যদিও অনেক সমীকরণ মিললেই কেবল শেষ চারে যাওয়া সম্ভব তাদের।
মঙ্গলবার আইপিএলের রোমাঞ্চকর ম্যাচে মুম্বাইকে ৩
রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৯৩ রান করে উইলিয়ামসনরা।
কঠিন এই লক্ষ্যের পিছে ছুটে ৭ উইকেটে ১৯০ রান করতে পারে মুম্বাই।
শ্বাসরুদ্ধকর এই জয়ে প্লে-অফের আশা গাণিতিক হিসাবে
বেঁচে থাকলো হায়দরাবাদের। ১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে আগের অষ্টম স্থানেই তারা। এখন শেষ
চারে থাকলে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে তো জিততেই হবে, একই সঙ্গে প্রার্থনায় বসতে হবে যেন
অন্য দলগুলোর ফল তাদের পক্ষে আসে। চারে থাকা দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঁচে থাকা রয়্যাল
চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর সমান ১৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ছয়, সাত ও আট নম্বরে থাকা যথাক্রমে
কলকাতা নাইট রাইডার্স, পাঞ্জাব কিংস ও হায়দরাবাদ প্রত্যেকের পয়েন্ট ১২ করে।
শেষ ম্যাচের সমীকরণ যাই হোক, হায়দরাবাদ সেই সম্ভাবনা
বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে মুম্বাইকে হারিয়ে। সব হারানো মুম্বাইয়ের পক্ষে ছিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের
ম্যাচটি। ১২ বলে তাদের দরকার ছিল ১৯ রান। কিন্তু ১৯তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমার উইকেটসহ
মেডেন নিলে ম্যাচ চলে যায় হায়দরাবাদের পক্ষে। শেষ ওভারে ফজলহক ফারুকী চেষ্টা করলেও
কাজে আসেনি।
ওপেনিংয়ে রান পেয়েছে মুম্বাই। রোহিত শর্মা ৩৬ বলে
২ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৪৮ রান। ইশান কিশান ৩৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় করেন ৪৩ রান।
টিম ডেভিডের ঝড়ো ব্যাটে তৈরি হয়েছিল তাদের জয়ের সম্ভাবনা। এই ব্যাটার ১৮ বলে ৩ বাউন্ডারি
ও ৪ ছক্কায় খেলেন ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস।
দুর্দান্ত বল করেছেন উমরান মালিক। এই পেসার ৩ ওভারে
২৩ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। ভুবনেশ্বর ও ওয়াশিংটন সুন্দর নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা রাহুল ত্রিপাঠির ঝড়ো ৭৬ রানে বড় স্কোর গড়ে হায়দরাবাদ। এই ব্যাটার তার ৪৪ বলের ইনিংসটি সাজান ৯ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায়। এছাড়া নিকোলাস পুরান ২২ বলে ৩৮ ও প্রিয়াম গর্গ ২৬ বলে করেন ৪২ রান।মুম্বাইয়ের রমনদীপ সিং ৩ ওভারে মাত্র ২০ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট।