আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
আদালত অবমাননা

মেয়র জাহাঙ্গীরের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আপিল বিভাগের এক বিচারপতি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যকরে আদালত অবমাননার অপরাধে একমাস কারাভোগকারী দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।

জাহাঙ্গীর আলমের করা রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেয়। এ ছাড়া আদালত রুল শুনানির জন্য আগামী ৩ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বিএনপির রংপুর বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক। দুর্নীতির মামলায় গত ২ আগস্ট খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত। ওই রায়ের পর দিনাজপুর বিএনপি কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরা প্রতিবাদসভা করেন। ওই সমাবেশে মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুন>> সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশে লাগবে এনআইডি বা পাসপোর্ট

তার বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফরম ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সুপ্রিমকোর্টের চার আইনজীবী হারুন অর রশীদ, মাহফুজুর রহমান রোমান, মো. মনিরুজ্জামান রানা ও শফিক রায়হান শাওন মেয়রের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনেন আদালতে।

এ বিষয়ে রিট মামলা হলে মেয়রকে তলব করা হয়। আপিল বিভাগে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না- তার কারণ দর্শানোর আদেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত। সে অনুযায়ী ২৪ আগস্ট আপিল বিভাগে উপস্থিত হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন জাহাঙ্গীর। পরে তাকে ১ মাসের কারাদণ্ড দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ। পাশাপাশি এক লাখ টাকা জরিমানাও করা হয় মেয়রকে।

এরপর মেয়র দিনাজপুরের আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান। কারাবন্দি থাকা অবস্থায় গত ৩০ অক্টোবর তাকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।


আরও খবর



১২১ উপজেলায় তফসিল হতে পারে সোমবার

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের তফসিল তফসিল আগামী সোমবার (১ এপ্রিল) ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই ধাপে ১২১টি উপজেলায় তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোট করবে ইসি।

আগামী সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচন কমিশনের ৩০তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল সভাপতিত্ব করবেন। এই কমিশন সভাই উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের তফসিলের বিষয়টি রাখা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সোমবারের কমিশনের ৩০তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকে কমিশন যদি সিদ্ধান্ত দেয়, তাহলে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছে আউয়াল কমিশন। ইসির তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে ১৫২ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১৫ এপ্রিল। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৭ এপ্রিল। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল, আর ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

উপজেলা নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নিয়োগ করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করবেন আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে জেলা প্রশাসক।

মোট চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের পরে তিন ধাপের ভোটগ্রহণ ২৩ ও ২৯ মে এবং ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। দেশে মোট উপজেলার সংখ্যা ৪৯৫টি।


আরও খবর



জনবহুল পয়েন্টে খাবার পানি সরবরাহ করবে ঢাকা ওয়াসা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ নগরজীবন। প্রকৃতি পুড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপে। দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে নগরজীবন। তাপপ্রবাহে হাঁপিয়ে উঠেছেন খেটে খাওয়া মানুষ। অসহনীয় গরম আর দাবদাহে বিমর্ষ এখন প্রাণ-প্রকৃতি।

সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করছে ঢাকা ওয়াসা।

ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার গ্রাহকদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বর্তমানে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি বা শরীরে পানি শূন্যতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ঢাকা মহানগরীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে খাবার পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা ওয়াসা। গ্রাহকদের প্রয়োজনে পানি সেবা নিয়ে পাশে থাকছে ঢাকা ওয়াসা। আর এ সেবা রাজধানীর জনবহুল পয়েন্টগুলোতে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চালু থাকবে।


আরও খবর



ঝালকাঠিতে ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষ: নিহত বেড়ে ১৪

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

Image

ঝালকাঠিতে  ট্রাক-প্রাইভেটকার-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ১৪ জন হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২৫ জন। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে ঝালকাঠির গাবখান সেতু এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহিতুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গাবখান সেতু টোল প্লাজায় টাকা দেওয়ার অপেক্ষায় ছিল ইজিবাইক, প্রাইভেট কারসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময় সিমেন্টবাহী ট্রাকটি সামনে থাকা সব গাড়িকে ধাক্কা দিয়ে প্রতিবন্ধক ভেঙে রাস্তার পাশে চলে যায়। এতে একটি ইজিবাইকের ৭ আরোহী ঘটনাস্থলেই মারা যান। এছাড়া হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান আরও ৭ জন। তবে এ মুহুর্তে কারও নাম পরিচয় জানা যায়নি।

এদিকে দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খুঁজতে ঝালকাটি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির প্রধান হিসেবে রাখা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে।

জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা এস এম জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও ৫ জন এবং আশঙ্কাজন অবস্থায় বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।

ঝালকাঠি সদর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রাকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। এখানে ভিন্ন কিছু আছে কি না তা নিশ্চিত করতে তদন্ত চলছে।


আরও খবর



কম দামেও তরমুজ কিনছেন না মানুষ, দুশ্চিন্তায় বিক্রেতারা

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

মার্চের শুরুতে প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা দরে। রমজান শুরু হওয়ার পর সে দাম ৮০ টাকায় নামে। কিন্তু বেশি দামের পাশাপাশি অপরিপক্ব হওয়ায় তরমুজে আগ্রহ কম ছিল সাধারণের। এর মধ্যে ফেসবুকে তরমুজ বয়কটের ডাক আসে। ফলে ফলটির বিকিকিনি কমে যায় আরও।

রোজা শুরুর এক সপ্তাহ পর তরমুজ বিক্রি বলতে গেলে তলানিতে এসে ঠেকে। বিপাকে পড়েন বিক্রেতারা। সারা দিনে হাতেগোনা কয়েকটা বিক্রি হলেও বেশিরভাগই দোকানে অবিক্রীত থেকে যাচ্ছিল। এতে বাধ্য হয়ে ৪০ টাকায় নামিয়ে আনা হয় তরমুজের কেজি। শুধু তাই নয়, আকারভেদে এখন পিস ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ‌তারপরও ক্রেতাদের বড় অংশ এখনও তরমুজ বিমুখ। এতে তরমুজ ব্যবসায়ী এবং ফল দোকানিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

আড়ৎ থেকে পিস হিসেবে দুই ক্যাটাগরির তরমুজ বিক্রির জন্য কিনে এনেছেন বিল্লাল মিয়া নামে এক ব্যবসায়ী। তিনি গুলশানের গুদারাঘাটের পাশে বসিয়েছেন তার অস্থায়ী দোকান। বেশ কিছুদিন ধরে তিনি তরমুজগুলো সেখানে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন, কিন্তু বিক্রি নেই সেভাবে।

তরমুজ বিক্রির এমন চিত্রের বিষয়ে বিল্লাল মিয়া বলেন, এবার প্রথম থেকেই তরমুজ বিক্রি খুব কম হচ্ছে। এটা হতে পারে দাম বেশির কারণে। তবে এখন দাম আগের চেয়ে কমেছে, তবুও এখনো খুব বেশি বিক্রি বাড়েনি। রমজানে তরমুজের খুব চাহিদা থাকার কথা, কিন্তু এবার সে অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা দেখা যায়নি।

তরমুজ বিক্রির সার্বিক বিষয়ে একই স্থানের আরেক বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এত বছর ধরে ব্যবসা করছি তরমুজ নিয়ে কোনোবার এমন বিপাকে পড়িনি। আজ ১০ দিনের মতো হবে তরমুজ এনেছি, দোকানের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে রেখেছি। কিন্তু সেভাবে এবার বিক্রি নেই। প্রথমদিকে ১০০ টাকা কেজি ছিল, পরে ৮০ টাকা হলো, এরপর আবার ৬০ টাকা, সবশেষ এখন আজ প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কিন্তু আগে যখন তরমুজের ব্যবসা করেছি তখন দিনে ১০০ পিছ বিক্রি করেছি। আর এখন সারাদিনে ১৫/২০টা বিক্রি হয় না ঠিকমতো। রমজান মাস এলে তরমুজের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কথা, অন্যান্যবার বেড়ে গেছে, কিন্তু এবার চিত্র উল্টো। অর্ধেক রমজান চলে গেছে কিন্তু তরমুজ বিক্রি সেভাবে আর হয়নি। রমজান মাস শেষ হয়ে গেলে তরমুজের চাহিদা কমে যাবে, তখন যে ব্যবসার কী হবে এটা ভাবলে আরো ভয় লাগে।

কারওয়ান বাজারে ফল ভাণ্ডার নামে একটি প্রতিষ্ঠান বর্তমানে পাইকারি তরমুজের ব্যবসা করছে। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপক সহযোগী হিসাবে কাজ করেন খোরশেদ আলম নামের একজন। তিনি বলেন, প্রথমদিকে তরমুজের দাম বেশি ছিল, ইদানীং প্রচুর সরবরাহ হচ্ছে, ফলে দাম কমে গেছে। আগে যে তরমুজ দেড়শ টাকা পিস হিসেবে বিক্রি করেছি, সেটা এখন ৮০ টাকার মতো বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আড়তে পাইকারি কিনতে ক্রেতারা কম আসছে। এর কারণ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যারা দোকানের মাধ্যমে তরমুজ বিক্রি করে, তারা আগে যে মাল নিয়ে গেছে সেই মালই তাদের রয়ে গেছে, এখনো বিক্রি করতে পারেনি। আগের তরমুজ ফুরালে তারপরে তো তারা কিনতে আসবে।

মহাখালীর বাজারে তরমুজ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী আহসান হাবীব বলেন, এ বছর রমজানে একদিন শুধু তরমুজ কিনেছিলাম টেস্ট করার জন্য। কিন্তু এত বেশি দাম, অসাধু ব্যবসায়ীরা কেজি দরে বিক্রি করে, অপরিপক্ব তরমুজ তবুও বেশি দাম, এদিকে এদের সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য দূর করতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তরমুজ বয়কটের ডাক.... সব মিলিয়েই এবার আর তরমুজ কিনিনি। কিন্তু এখন ম্যাংগো পিপলের ক্ষমতা সম্পর্কে জেনেছে তরমুজ ব্যবসায়ীরা। আজকে তরমুজ ৪০ টাকা কেজিতে এসেছে শুধু সাধারণ মানুষ তরমুজ কিনেনি এ কারণেই। এখন ৪০ টাকা কেজি হওয়ার পর আজ একটি তরমুজ কিনতে এসেছি। তবুও দোকানে যদি পিস হিসাবে তরমুজ বিক্রি না করে তাহলে আবার কিনব না।


আরও খবর



কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যানকে ডিবিতে তলব

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তথ্য-উপাত্ত পেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় রাজধানীর মিন্টো রোড ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গতকাল চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে ওএসডি করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় যাদের নাম এসেছে সবাইকে পর্যায়ক্রমে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

সবশেষ গত শনিবার শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পরদিন রোববার চেয়ারম্যানকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে শেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। এছাড়া গত ৪ এপ্রিল এক সংবাদ সন্মেলনে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপালরা।

যেসব প্রধান শিক্ষক ও প্রিন্সিপাল মধ্যস্থতা করে গ্রাহক নিয়ে আসতেন, তাদের নামের দীর্ঘ তালিকা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে এসেছে। এছাড়া বোর্ডের ছোট-বড় সব কর্তারাই সনদ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতেন।


আরও খবর